সাহিত্যিকা

জীবনের রঙ (সিগারেট…)

জীবনের রঙ (সিগারেট…)
ময়ূখ দত্ত, ১৯৯০ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ক্লাশ ফাইভে পড়ার সময়ে প্রসূনের একটা প্রশ্ন আমাকে বেশ ঝামেলায় ফেলেছিল “বল তো কোন জিনিষ’টা কাটলে বড় হয় আর কোন জিনিষটা টানলে ছোট হয়ে যায়?” এরকম উদ্ভট প্রশ্ন শুনে সেদিন আমি এর কোনো উত্তর দিতে পারি নি। অনেক পরে উত্তরগুলো জেনে নিজেকে কেমন যেন খুব বোকা বোকা মনে হয়েছিল। উত্তর ছিল পুকুর আর সিগারেট… সম্ভবত এর পর থেকেই বাবার স্টক থেকে সিগারেট ঝেড়ে খাওয়ার দিকে বেশী করে নজর দেওয়া শুরু করেছিলাম।

ক্লাশ নাইনে প্রথম সিগারেট টেনেছিলাম শুনে আমার এক সিনিয়র বলেছিল “বড্ড তাড়াতাড়ি উচ্ছন্নে গিয়েছিলি তুই!!” সত্যিই হয়ত তাই… বাবাকে দেখতাম রাত জেগে কাজ করতে করতে আপন মনে সিগারেট টানছে, মাঝে মাঝেই রিং ছাড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা … তখনো জানতাম না যে বাবা নায়ক সিনেমার উত্তমকুমারকে কপি করার চেষ্টা করত!! ক্লাশ এইটে সিনেমা দেখা চালু হতেই সিগারেট ফোঁকার সাথে সাথে “হীরো” হওয়ার অদৃশ্য লিংকটাও চোখের সামনে যেন খুলে গেল! দীওয়ার সিনেমায় গিঁট মারা নীল জামা পড়া অমিতাভের মুখে ছোট্টো একটা বিড়ি কিভাবে মুখের এদিক থেকে ওদিক চলে যাচ্ছে, সেটা হাঁ হয়ে গিলতে আরম্ভ করলাম…. বা সিগারেট হাওয়াতে ছুঁড়ে বন্দুকের গুলিতে সেই সিগারেট জ্বালিয়ে মুখে এনে ফেলা রজনীকান্ত, বা মজবুর সিনেমায় জিন্স প্যান্টে দেশলাই কাঠি ঘষে সিগারেট জ্বালানো প্রান সাহেব। আর তার অনেক আগেই পপ গ্রুপ বীটলসের একটা ফটো তো সারা দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলো। বীটলস, অমিতাভ, রজনীকান্ত তো হতে পারলাম না, ভাবলাম যদি এঁদের ধোঁয়ায় একটা হনু হতে পারি। তাই এরা সবাই আমাকে বাধ্য করল সিগারেটের দিকে নিজেকে ঠেলে দিতে!!

আজ অবধি কোনো সময়ই কোনো সিগারেটখেকো কে বাজেট পেশের পরে খুশী হতে দেখি নি, প্রত্যেকবারই মনে হয়ে সরকারের যাবতীয় রাগ যেন সিগারেটের ওপরে… তবে অন্যদিকে প্রত্যেক বছর দাম বেড়ে যাওয়া সত্বেও কোনো সিগারেটপ্রেমীকেই দেখি নি যে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে বা কমিয়ে দিয়েছে। এদের মত ‘লয়াল’ লোকজন খুব কম দেখা যায়…রোজগার চালু করার আগে (মানে কলেজের থার্ড ইয়ারে প্রাইভেট টিউশান চালু করার আগে) বাড়িতে থাকতে বাবার সিগারেট প্যাকেট থেকে প্রায়ই সিগারেট ঝাড়তাম, খুব ঝামেলা হত যখন প্যাকেটে মাত্র একটা বা দুটো সিগারেট পড়ে থাকত!! তখন ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আর কিছু করতে পারতাম না…

কলেজে এসে শিখলাম 1st. Cut / 2nd. Cut… মানে একটাই সিগারেট শেয়ার করে খাওয়ার মহাত্ম্য… তখনো আমাদের কেউ প্রথাগত ভাবে শেখায় নি “sharing is caring”.. বা ওই ধরনের কথাবার্তা, কিন্তু অজান্তেই জীবনের এইসব শিক্ষা পেয়ে গিয়েছিলাম!! কিছু কিছু পারফেকশনিস্ট বন্ধু আবার সিগারেটে আগুন ধরানোর আগেই স্কেল দিয়ে মিলিমিটার মেপে ডট পেন দিয়ে সিগারেটের গায়ে গোল মার্ক করে দিত!! শেয়ারিং করার সময়ে কে কতটা অবধি টানবে তার লিমিট ঠিক করে দেওয়া হত, এবং শ্যেনচোখে সিগারেটের দিকে তাকিয়ে স্ট্যাটাস মনিটর করত – এক unofficial ভাট study তে দেখা গেছে যে এরা পরবর্তী কালে প্রফেশ্যানাল জীবনে খুব ভাল ম্যানেজার হতে পেরেছে কারন scope define করা প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট এর একটা বড় অংশ আর এই সব মহান ব্যক্তিরা ছোটো থেকেই সেই কাজে বেশ পারদর্শীতা দেখিয়েছিল!!

কলেজ জীবনে কলকাতার সাথে ধীরে ধীরে পরিচয়ের সময় নিজেকে জাতে তোলার জন্য সাহেবপাড়ায় নিউ এম্পায়ার, লাইটহাউস, নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রীটে যেতাম। তখন অনেক সুন্দরী মেয়েদের লিপস্টিক মাখা ঠোঁটে সিগারেট দেখে অবাক নয়নে চেয়ে থাকতাম। কি প্র্যাকটিস? লিপস্টিকের একটাও দাগ সিগারেটে লাগছে না। ভাবলাম গিয়ে প্রশ্ন করি। কিন্তু বিবেক অনুমতি দিলো না, সাবধান করে দিলো, যদি ইংরেজি বলতে হয়? সেদিনের কলেজ লাইফের সেই ছোট্ট জিজ্ঞাসা আজও উদ্ঘাটন করতে পারলাম না।

আঠেরো-উনিশ বছর বয়স মানেই বিপ্লবী হওয়ার ডাক এসে গেছে, এখন সব কিছু ভেঙে দেওয়া, গুঁড়িয়ে দেওয়ার বয়স… আমাদের অনেকেই সেই সময়ে ওইরকমই কিছু একটা হতে চেয়েছিলাম, আর কিভাবে যেন তার শর্ত হিসেবে বিড়ি আর চারমিনার সিগারেট টা বিপ্লবীদের শিক্ষার প্রথম অধ্যায়ের ‘as a package’ চলে এসেছিল। সত্যি কথা বলতে, বিড়ি র গন্ধ’টা যে খুব একটা ভাল লাগত সেরকম নয়, কিন্তু প্রচুর বিড়ি খেতাম বা টানতাম, তার একটা কারন পকেটে পয়সার টানাটানি। আর একটা কারন, কিছুটা হলেও ওই বিপ্লবী সত্বার সাথে যাতে মিশে যেতে পারি, সেই অভিলাশে বা অভিপ্রায়ে… চারমিনারও তাই, তবে প্রচন্ড কড়া। তিতকুটে লাগলেও ফিল্টার সিগারেট খেলে অনেক সময়েই মনে হত – এই রে!! ফিল্টার সিগারেট খাচ্ছি বলে কেউ আবার পাতি বুর্জোয়া বলে চিহ্নিত না করে দেয়!! পরবর্তী কালে পানামা বলে একটা ফিল্টার হীন সিগারেটের advertisement catchline দেখেছিলাম, সেটা কিন্তু এই প্রলেতারিয়েত রোম্যান্টিকতার বাইরে গিয়ে অন্য এক রোম্যান্টিকতার কথা বলেছিল “… There is nothing between you and me, not even a filter!!” প্রেমময় চারদিকের ব্যার্থতার মাঝে এটা আমার অনেক বন্ধুদেরই বেশ মনে ধরেছিল সেই সময়ে…

কলেজে পয়সাওয়ালা বা ‘classy” ছেলেরা ফিল্টার উইলস খেত, আর আমাদের মত অভাগারা সাধারনত আই ডি র জন্য বসে থাকতাম ওই ফিল্টার উইলস বিনি পয়সায় খেতে পাব ভেবে। গ্র্যান্ড ফিস্টের রাতে আবার রথম্যান্স বা ৫৫৫ বা সরু লিকলিকে MORE মেন্থল…অনেক পরে একদিন মোর মেন্থল ফুঁকছি দেখে কোনো এক ইংরেজি সিনেমার পোকা বলল ” এ বাবাআআআআ, তুই মোর মেন্থল খাচ্ছিস? জানিস, এটা মেয়েদের সিগারেট?!!” ব্যাস, তারপর থেকে আর কোনোদিন ওই সিগারেটটা খাই নি, ফ্রিতে পেলেও না… সিগারেটের সাথে “পৌরুষত্ব” এর সেই অদৃশ্য যোগাযোগের জন্যই সম্ভবত!!

মলয় আবার বিড়ি খেতেই পছন্দ করত, কিন্তু কলেজের বাইরে কোথাও বিড়ির বান্ডিল থেকে বিড়ি বের করে খেতে অনেক সময়েই বেশ কুন্ঠা বোধ করত!! বিশেষ করে যদি আশেপাশে সুন্দরী মেয়েদের আনাগোনা থাকত (যেমন ধরুন নন্দন চত্বর বা গ্লোবের বারে)। তাই বাইরে গেলে ওর জামার বুক পকেট উঁচিয়ে রাখা থাকত একটা ফিল্টার উইলস এর প্যাকেট, তাতে সারে সারে বিড়ি রাখা…সাথে একটা মাত্র গোটা সিগারেট!! সবাই ভাবত বেশ স্টাইলিশ ছেলে!! খুব বিপদে পড়লে বেশ কেতা মেরে পকেট থেকে প্যাকেট টা বের করে রজনীকান্ত স্টাইলে সেই একমাত্র সিগারেট টা ধরাত… তারপরে আর কিছু করার থাকত না, সিগারেটের প্যাকেট থেকে বিড়ি বের করে ধরিয়ে নির্বিকারভাবে টানতে টানতে মকবুল ফিদা হুসেনের মত “এটাই আমার স্টাইল স্টেটমেন্ট” ছিলো ওর পেটেন্ট।

হস্টেলে, প্রচুর জনগন ছিল যারা চার বছরে হয়ত সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেষ্ট ইত্যাদি কিনে ফালতু টাকা নষ্ট করার কথা ভাবতেই পারে নি কোনোদিন। এবারে ভেবে দেখুন যে একরম প্রিয় বন্ধুদের খপ্পর থেকে সিগারেট কিভাবে লুকিয়ে রাখব? একটা উপায় বের করেছিল উজ্জ্বল… কোনোদিন আমাদের হোস্টেল ঘর পরিষ্কার, ঝাঁট দেওয়ার বালাই ছিল না… এসবের মাঝে সিগারেটের খালি প্যাকেট সারা মেঝে তে ছড়ানো… তারই মধ্যে শুধু ওই একমাত্র জানত যে ডানদিকের দেওয়ালের পাশে অবহেলায় ফেলে রাখা তিন নম্বর প্যাকেটা একেবারে খালি নয়, ওটাতে চারটে গোটা সিগারেট আছে… যখন একা ঘরে আছে, ও চুপি চুপি উঠে গিয়ে ওই প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে এনে মনের শান্তিতে ধোঁয়ার আনন্দ উপভোগ করতো!!

নেশা করার মধ্যেও যে একটা সামাজিক স্ট্যাটাসের ব্যাপার আছে সেটা আরো পরে বুঝলাম….. খুব শখ করে একদিন একটা হুকা কিনে এনে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে গামছা আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরে দেওয়ালে একটা বালিশে কোমর’টা ঠেসে স্টাইল মারার অনেক ব্যার্থ চেষ্টা দেখে সুমিত বলেছিল “ভুলে যাস না যে তুই ঝাড়গ্রাম বা পুরুলিয়ার ভুমিপুত্র!! ওখানকার কাউকে দেখেছিস বা শুনেছিস যে গড়গড়া খাচ্ছে? এসব খেতে হলে প্রথমে একটা সিল্কের নাইট গাউন কিনতে হবে তোকে… না হলে মানাবে না…”। সাথে সাথে বাংলা সিনেমায় ছবি বিশ্বাসের জমিদার চেহারা টা মনে পড়ে গেল…ওই রাস্তায় আর পা বাড়াই নি কোনোদিন!! এই দেশে এখন হুক্কাবার বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে জানি, তাও কেন জানি না ওই সিল্কের গাউন টা আজ অবধিও কিনে উঠতে পারি নি বলে হুঁকা খাওয়ার আর ইচ্ছে হয় নি..

বিয়ের পরে শ্বশুর মশাই জানতে পেরেছিলেন আমার সিগারেটের নেশার কথা। কোনোদিন জিজ্ঞাসা করেন নি সামনে, কিন্তু মনে হয় বেশ খুশীই হয়েছিলেন মনে হয়… তার মেয়ের কাছে পরে শুনেছি যে ওনার মনে হয়েছিল এর পর থেকে মাঝরাতে সিগারেট ফুরিয়ে গেলে আর কোনো টেনশান নেই, ঘরে আর একজনের স্টক থেকে তো নিশ্চই পাওয়া যাবে, এই ভেবে নাকি বেশ আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার সেরকম হয়েওছিল – দুপক্ষেই… তবে বিয়ের পরে প্রথমবার আমাদের ছোট্ট নতুন সংসারের ভাড়া বাড়িতে এসে বেশ বমকে গিয়েছিলেন। কলেজের অভ্যেস মত আমার বাড়িতে তখন ছটা সিগারেটের খালি প্যাকেট কে হেক্সাগন বানিয়ে ashtray বানানো হয়েছিল (ash tray কিনে পয়সা নষ্ট করাটা সেই সময়ে প্রায় ‘হারাম’ এর পর্যায়ে ছিল আমার কাছে)। আমার মনে হয়েছিল হোস্টেলের ট্রাডিশান মেনে মেঝে তে ছাই আর ফিল্টার এর শেষাংশ টা ফেলার থেকে এটা নিশ্চিত ভাবেই বেটার অপশান!! আরো ভেবেছিলাম যে শ্বশুর মশাই হয়ত খুশীই হবেন সদ্য ইঞ্জিনীয়ার জামাই এর এরকম ক্রিয়েটিভ ব কন্সট্র্যাকটিভ আইডিয়া দেখে… একদিন সাইট থেকে ফিরে দেখি আমার ঘরে পিতলের একটা সুন্দর ডিজাইনের ashtray… জামাই এর সিগারেটের নেশা আছে কিন্তু ashtray কেনার ক্ষমতা নেই – এই ব্যাপার টা সম্ভবত ওনার ঠিক মনঃপুত হয় নি, তাই ওটা নাকি জামাই কে গিফট করেছেন!! দাম শুনে আমার চক্ষু চড়কগাছ!! Ash tray র ওই দামে আমার প্রায় সারা মাসের সিগারেট হয়ে যাবে!!! নতুন জামাই, বেশী কিছু বলতে পারি নি, কিন্তু আজও টাকা নষ্ট করার কোনো দৈনন্দিন জীবনের উদাহরন দিতে হলে স্বাভাবিকভাবেই কেন জানি না আমার মাথায় এই উদাহরন টাই এসে যায়!!

সিগারেটের কথা বলতে গেলে সিগারেট ছাড়ার কথা এসেই পড়ে… কোনো সিগারেটখোর জীবনে একবারও সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা করেন নি, এরকম সাধারনত দেখা যায় না। আমার এক বন্ধুর কথায় “আমি বুঝতে পারি না এই সিগারেট ছাড়া নিয়ে এত কথা বলার কি আছে…আমি তো প্রতি রাতে প্রায় আট- নয় ঘন্টা সিগারেট না খেয়েই থাকি, সেই হিসেবে প্রতিরাতেই আমি সিগারেট ছেড়ে দিই… এমন কিছু শক্ত ব্যাপার নয়…”। ওইসময়ে আমি ওর যুক্তি মেনে নিয়েছিলাম!! তবে আমার কাছে সিগারেট ছাড়াটা বা তার চেষ্টা করাটা কেমন যেন মানসিক শক্তি টেস্ট করার একটা বেশ ভাল পরীক্ষাকেন্দ্র!! আমার এক সিনিয়র দিনে মাত্র একটাই সিগারেট খায় গত কুড়ি-তিরিশ বছর ধরে, রাত দশটায়, ডিনার সেরে…. সারাদিন কোনো সিগারেট না খেয়ে কি করে সে এটা maintain করতে পারে, আমি আজ অবধি ও বুঝে উঠতে পারি নি। আমার এক কন্ট্র্যাকটর ছিলেন যিনি আবার সকাল আটটা থেকে বিকেল ছটা অবধি কোনো সিগারেট খেতেন না as a matter of principle.. (যতক্ষন সাইটের বাউন্ডারির মধ্যে আছেন, কাজের যায়গাটা নাকি মন্দিরের মত পবিত্র – ওনার কথায়) … বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়েই সন্ধ্যে ছটা থেকে নটার মধ্যে গোটা দশেক সিগারেট পুড়ত ওনার ঠোঁটে…সিগারেটের নেশার মাদকতা অস্বীকার করে এনাদের এইকরম self control শেখার মতন…. নমস্য এনারা আমার কাছে…ধন্য এনাদের মানসিক শক্তি!!

শেষে আমার আরেক বন্ধু কৌশিকের ফ্রাস্ট্রেশান দিয়ে শেষ করব। ও একবার বলেছিল “… আরে ধুর, ধুর!! যারা এত কষ্ট করে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে বৌ-বাচ্চা- বন্ধু-বন্ধুর বৌ দের কাছে হীরো সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমার কাছে তারা এক্কেবারে জিরো…এরকম প্রচুর মানুষ চারপাশে দেখবি…এর নয়, আমরাই আসল হিরো, যারা চারপাশের এত এত হিতোপদেশের মাঝেও মাথা ঠান্ডা রেখে কোনোরকম কোনো আত্মগ্লানি ছাড়াই পরের সিগারেট টা জ্বালাতে পারি….”

শেষ হইয়াও হইতেছে না শেষ…কেননা সিরিয়াস কথাটা বাকি থেকে যাচ্ছে!! এই লেখা পুরোটা পড়ে যদি এত অবধি আসতে পেরেছেন, তাহলে হয়ত ৩ মিনিট মত সময় লেগেছে, আর এর মধ্যে ৩৩ মিলিয়ন সিগারেট পুড়ল আর ৩০ জন মারা গেলেন এই বদভ্যাসের দরুন…

তাই অনুরোধঃ Quit smoking!!! (আমি সিগারেট ছেড়েছি প্রায় ১৪ বছর হয়ে গেল…)

Sahityika Admin

2 comments

  • আমি কোনোদি হোস্টেলে থাকিনি। তবে লেখকের যৌবন কালের অকপট স্বীকারোক্তির সাথে আমাদের কলেজ জীবনের অনেক মিল আছে। সকলের জন্যই এগুলো সেদিনের সোনাঝরা দিনের স্মৃতি। বেশ ভালো লাগলো।