সাহিত্যিকা

পলাশ রাঙানো পথে

পলাশ রাঙানো পথে
দীপঙ্কর মুখার্জী, ১৯৭৪ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

ছোটবেলার লত মঙ্গেশকরের বাংলা গান ছিলো ও পলাশ, ও শিমুল, কেন এ মন মোর রাঙালে। আমাদের সহজ কথায় পলাশপুর মানে সেই জায়গা যেখানে রাঙা পলাশবন দেখা যাবে। কলকাতার সবচেয়ে নিকটে পলাশপুর কোথায়? এ প্রশ্ন নানানভাবে নিজেদের ভ্রমনসূচী নির্ধারণ করার আগে এবং সময়ে অসময়ে মাথায় খেলেছে। কিন্তু, এবার নিশ্চিত একটা উত্তর পাবার জন্য এবং সঠিক ভ্রমনসূচী নির্ধারণের জন্য দোলের দু-চারদিন আগে আমাদের সাড়ে চুয়াত্তর ব্যাচের (৭৪ সালে পাস করার কথা, রাজনৈতিক ডামাডোলে এই ব্যাচ ৭৫ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলো) তিনজন, মানে আমাকে নিয়ে শৈবাল (চ্যাটার্জি), আর অশোক (ভট্টাচার্য) নিউটাউনের এক্সিস মলের জার্মান কাফেতে মিলিত হয়েছিলাম। চায়ের কাপে তুফান তুলে কাছেপিঠের পলাশপুর হিসাবে উঠে এসেছিল তিনটি নাম – ঝাড়গ্রাম, শান্তিনিকেতন আর টাটা। বাজেট, সীজন, টেম্পারেচার, তাছাড়া আমাদের তিনজনের সকলেরই বয়স ৭০+, আর গিন্নিদের ৬০+, এছাড়াও সুগার, প্রেসারের ব্যাপার আছে, তাই মনোমত থাকার যায়গাকেও অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। সুতরাং সবরকম সুবিধা অসুবিধা বিচার করে কাছেপিঠের এই তিনটে নামই প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছিলো। খোঁজখবর নিয়ে টাটানগর থেকে প্রায় পনেরো/কুড়ি কিলোমিটার দূরের যাদুগোড়ায় (শঙ্করডিহ) প্রাকৃতিক পরিবেশের উইক এন্ড রেসোর্টেই যাওয়া ঠিক হয়। অতঃ কিম বন্ধুবর শৈবাল ট্রেনের টিকিটের দায়িত্ব-নেয় আর আমি থাকা/খাওয়া ইত্যাদি এডভান্স বুকিং এর দায়িত্ব নি।

এই শঙ্করডিহ রেসোর্টে যাওয়ার একটা অন্যতম আকর্ষন ছিলো, যে আমরা শুনেছিলাম এখানের স্থানীয় আদিবাসী সাঁওতালরা তীরধনুক নিয়ে রিসর্টের রাতের পাহারা দেয়। যদিও আজকের নিউক্লিয়ার যুগে আত্মরক্ষার এইধরনের যুদ্ধাস্ত্র কেউ বিশ্বাস করবে না। দুর্ভাগ্য, আমরা স্বস্থানে গিয়েও সেই অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দী করতে পারিনি।

১৬ই মার্চ, ২০২২ তিনবন্ধু সস্ত্রীক চেপে বসলাম সকালের হাওড়া টাটানগর বড়বিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে। টাটায় যথাসময় পৌঁছে বাইরে বেরিয়ে দেখি রিসর্টের ড্রাইভার (সুভাষ) আমাদের জন্য একটি স্করপিও গাড়ী নিয়ে অপেক্ষমাণ। পরিচয়পর্ব সেরে ও সামান্য ঠাণ্ডা পানীয় সংগ্রহ করে যাত্রা শুরু করলাম। শহরের কোলাহল ও মলিনতার পাশ দিয়ে মিনিট পনেরো কুড়ি বাদে পৌঁছে গেলাম টাটা যাদুগোড়া বড় রাস্তায়। যে পলাশপুরের সন্ধানে আমাদের হৃদয় ব্যাকুল হয়েছিল, বাইরের প্রকৃতির রঙীন রূপ দেখে বুঝতে আর বাকি থাকলো না যে আমরা গন্তব্যস্থলের কাছাকাছি এসে গেছি। রাস্তার পাশে লাল লাল ফুলের গাছ সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে। আর কখনো বা খাপছাড়া, মাঝে মাঝে গাছও দেখা যায়। কোথাও কোথাও মাটিতে পড়ে থাকা ফুলের বিছানা তৈরী করেছে। কী যে ভাল লাগলো বর্ণনা করে বলা যায় না।

ঘড়ির কাঁটা পৌনে এগারটা প্রায়, তখন ড্রাইভার মূল রাস্তা থেকে একটি ধুলোভরা কাঁচা রাস্তায় ডানদিকে ঘুরলো। বাঁদিকে হাত তুলে দেখাল Uranium Corporation of India-র টাউনশিপ। দেখা হল মোষের পিঠে চেপে বসা একটি বালকের সঙ্গে। সাথে সাঁওতালী মহিলার এক হাতে লাঠি, যা দিয়ে সে তার গতি ও দিক নির্ণয় করছে। অন্য হাতে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক শ্রেষ্ঠ সম্পদ – পলাশফলের একটি গোছা। আমরা হাত নাড়াতে সেও খুশিমনে এক গাল হেসে হাত নাড়াল। আর আমার বৌ তো আনন্দে গেয়েই উঠলো ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে, ডালে ডালে ফুলে ফুলে ………

উইক্ এন্ড রেসোর্ট
দশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। উইক এন্ড রেসোর্টের ম্যানেজার অসিতবাবু আমাদের দেখে সহাস্যে স্বাগত জানালেন। আমাদের ছোটো রিসেপশন লাউঞ্জে বসতে বলে খাবার জল আনবার কথা বলতেই ইউনিফর্ম পরিহিত দুটি তরুণ কর্মচারী জলের বোতল ও গ্লাস নিয়ে হাজির। আমরা সকলেই বললাম যে ঠান্ডা ফ্রিজের জল চলবেনা, আমরা কলের জল খেতেই আগ্রহী। তাই ব্যবস্থা হলো বাগানে হওয়া বড় কাগজি লেবুর রস আর জল।

এরপর ঘরে যাওয়ার পালা। একটু অবাক হয়েছিলাম, কারণ যা আশা করেছিলাম, ব্যাবস্থা তার থেকে অনেকটাই ভালো। কুটির সদৃশ ঘরগুলির বাইরে হালকা টেবিল ও ফ্যানসহ দুটি করে চেয়ার। ঘরে ঢুকতেই বড় আলমারি ও তার পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা দু জোড়া চপ্পল। টয়লেটের বেসিনের এক ধারে গুছিয়ে রাখা আছে দৈনন্দিন প্রয়োজনের সবকিছু (দাড়ি কামানোর ব্যবস্থা সহ)। স্বল্প পরিসরেও টয়লেটটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঘরে রয়েছে ডবলবেড বিছানা, এল ই ডি টিভি, ছোটো একটা টেবিল, আর দুজনের মত সোফাসহ আরো দুটি চেয়ার। প্রয়োজনের তুলনায় এ সবই যথাযথ ভেবে ভালো লাগলো।

ঘণ্টাখানেক জিরিয়ে নিয়ে স্নান সেরে দেখলাম বাইরে হাজির ম্যানেজারবাবু, সাথে কুক ও একজন কর্মচারী। কুক ছেলেটার বয়স কম, সুন্দর ভদ্রোচিত পরিষ্কার চেহারা। জানলাম, ওকে মালিকের (বারিকবাবু) কর্মস্থল মুম্বাই থেকে সম্প্রতি নিয়ে আসা হয়েছে রন্ধন বিভাগকে শক্তিশালী করবার জন্য। বারিকবাবুর রেলওয়ে গুডস সাপ্লাই এর পুরানো ব্যবসা। এ ব্যাপারে ওঁর প্রধান সহকারী অসিতবাবু। এছাড়াও অতিথি/অভ্যাগত দের প্রাথমিক অভ্যর্থনা এবং ভ্রমণসূচী নির্ধারণেও অসিতবাবু।

ডুমনা ও জুবিলী

বারিকবাবুর সাথে কথা বলে বিকেল তিনটায় রওনা হয়ে চারটের মধ্যেই ডিমনা পৌছালাম। রাস্তার বর্ননা এককথায় অপূর্ব সুন্দর, লিখে বোঝাতে পারবো না। আইসক্রিম খেতে খেতে ড্যাম এর সোর্শ উপর হাঁটা শুরু করলাম। একপাশে সবুজ কালো জল – দূরে গিয়ে মিশেছে হয়ত নাতিউচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নীচে। অপরদিকে টাটা স্টীলের বদান্যতায় গড়ে উঠেছে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স সহ ছোটো উপনগরী। এরপর সন্ধ্যার মুখে আমাদের পরবর্তী গন্তব্যে জুবিলি পার্কে পৌঁছে সত্যই আশাহত হলাম। এই পার্কটির হৃদপিন্ডস্বরূপ যে ফোয়ারার লাইন রয়েছে সেগুলি নীরব। জানা গেল, শুধু সপ্তাহান্তে দুটি দিন ওগুলি সচল হয়। এছাড়া আলোর ব্যবস্থাও বেশ অপ্রতুল। তাই দ্রুত পাততাড়ি গুটিয়ে গাড়ীতে গিয়ে বসলাম। ফিরবার পথে দেখলাম জামসেদজী টাটার বিশাল এক ব্রোঞ্জ মূর্তি। স্থানীয় জনতার কাছে এটা একটা অন্যতম ল্যন্ডমার্ক।

ঘণ্টাখানেক বাদে রেসোর্টে ফিরে হাত্মুখ ধুয়ে বাগিচার মাঝখানে বসবার ঘরে শুরু হলো আমাদের সান্ধ্য চায়ের আসর। রস্নার পরিতৃপ্তির জন্য এল একটি করে ভেজিটেবিল চপ, বড় বড় সাইজের আলুর চপ আর মুড়ি। ব্যসনে ভাজা মনকাড়া স্বাদ। এত খাওয়া যেন রাতে আর কিছু খেতেই হবে না। কিছুক্ষণ পর এই রেসোর্টের প্রানপুরুষ ও প্রতিষ্ঠাতা বারিকবাবু আমাদের খবর নিতে এলেন। আমাদের অনুরোধে কিছুক্ষণ আড্ডায় যোগদানও করলেন। উনি এখানের স্থানীয় আদিবাসী জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে অনেক কথাই বললেন। এদের মধ্যে থেকে জাতীয় স্তরে খেলাধূলার মান উন্নীত করার যে অঙ্গীকার একসময় টাটাদের ছিল, তা থেকে কালের গতিতে তাঁরা বোধহয় বিচ্যুত। এটাই ছিল ওনার অভিমত।

রাত্রের আহারাদি ছিল মধ্যাহ্নের মতই ঘরোয়া ছিল ভাত, রুটি ছাড়াও লাচ্ছা পরোটার সঙ্গে চিকেনের একটা দক্ষিনী আয়োজনে। অনেকদিন পরে এই প্রাকৃতিক পরিবেশের লোকাল টেস্ট খুবই ভালো লেগেছিলো। রেসোর্টের মধ্যে আরও কিছুটা পায়চারী করে মধ্যরাতের কাছাকাছি সময় শুতে গেলাম। মার্চের মাঝামাঝি হলেও রাতে এখানে কিন্তু ভালোই ঠান্ডা লাগে।

পরদিন সকালে সাতটার সময় বেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙল। দেখলাম চা প্রস্তুত। যে যার কুটিরের সামনের বারান্দায় বসে চা পান সমাপ্ত করে দেখতে বেরোলাম কুটিরগুলির পিছনে তৈরী করা বিশাল সবজিবাগান। এখানে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে ট্মেটো, বেগুন, পাতিলেবু, শাক, পেঁপে ফলানোয়। হটাৎ খুব কাছেই বিকট ঘেউ ঘেউ শব্দ ও সঙ্গে সঙ্গে একটি আমগাছের আড়াল থেকে ভেসে এলো একটা আওয়াজ, গুডমর্নিং স্যার। দেখি দু’হাতে দুটি অ্যালসেসিয়ানকে সামলে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছেন দীর্ঘদেহী বারিকবাবু। ওনার দেহরক্ষীরা আসলে রাগত নয়, উল্টে নতুন অতিথীদের সাথে আলাপ করার জন্য ছটফট করছে। আলাপ হল প্রিন্স ও রানী নামের একটি দশ মাসের পুরুষ ও আট মাসের মহিলা সারমেয়র সঙ্গে। আলাপ সাঙ্গ করতে হল সন্ধ্যাবেলা পুনরায় সাক্ষাৎ প্রার্থী হব জানিয়ে। এবার বারিকবাবুই আমাদের সকলকে তাড়া লাগিয়ে রওনা করালেন ড্যাম ও দলমা পাহাড় দর্শনের জন্য।

চান্ডিল ড্যাম:
সব চাইতে মনোমুগ্ধকর ভ্রমণ তিনদিনের মধ্যে এই দিনই ঘটল। চান্ডিল ড্যাম আমাদের রেসোর্টের থেকে প্রায় ৮০ কিলমিটার দূরে, আর সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এই চান্ডিল ড্যাম সুবর্ণ রেখা ও কার্করী নদীর যুগ্ম গতিপথকে বাগে এনেছে। হুড্রু ফলস থেকে একটি ছোট নদী কার্করী এখানে এই সুবর্ণরেখায় এসে মিশেছে। আরও একটি কথা, এর কাছেই একটি ছোট মিউজিয়াম আছে যেখানে পাথরের উপর খোদাই করা ২০০০ বছরের পুরনো লিপি পাওয়া গেছে।

এখানে এসে গাড়ী থেকে নামার আগেই আমাদের একদম কাছেই চলে এলো একজোড়া স্বাস্থ্যবান ও দুধসাদা রাজহাঁস। এঁরা মানুষজনকে ভয় পায় না। এদের ভাবভঙ্গীই ঘোষনা করছে যে দ্বিপদ প্রানীদের কাছ থেকে এরা স্ন্যাকস পেয়ে থাকে। কিন্তু কাছেপিঠে কোনো দোকান খোলা না থাকায় এদের আবদার অপূর্ণই থেকে গেল – আমাদেরও খারাপ লাগলো, কত আশা নিয়েই না ওরা এসেছিলো। তবে অবাকও হলাম এটাই ভেবে যে, এত মনোরম ভ্রমণ স্থানে দ্বিপ্রহরে দোকানদার বা জলবিহারের নাবিকেরা অনুপস্থিত কেন? কাজেই, আমাদেরও জলবিহারের ইচ্ছেটা অপূর্ণই থেকে গেলো।

দলমা টপ্ :
এরপর দিনের দ্বিতীয় ভাগে আরও অন্তত ঘণ্টাখানেক পরে আমরা পৌছালাম দলমা পাহাড় চূড়ায়। এটি একটি সংরক্ষিত কেন্দ্রীয় বনাঞ্চল। এখানকার বিখ্যাত দামালদের কাছে হয়ত আমাদের আসার খবর অগ্রিম থাকায় তারা সকলেই ভয়ে অরণ্যের গভীরে পালিয়ে গিয়েছিলো। আসা যাওয়ার পথে চোখে পড়ল শুধুমাত্র কালামুখো দু-চারটি লাঙ্গুল, দুটি ময়ুর এবং একটি হৃষ্টপুষ্ট বাইসন। দলমার উপরিভাগে রয়েছে দুটি শিবমন্দির, একটি দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের মাইক্রোয়েড রীলে সেন্টার এবং টাটা কোম্পানির একটি অতি সবুজ অতিথি নিবাস। মনেমনে প্রার্থনা করলাম, এই ছিমছাম অতিথি নিবাসটিতে ভবিষ্যতে একবার যেন আস্তানা গাড়তে পারি। অতঃপর বেশ কিছুটা হাটাহাটি এবং ইচ্ছেমত বেশ কিছু ছবি তুললাম।

শেষদিন সকালের জলখাবার সমাপন করে আমরা গাড়ি নিয়ে দেখলাম পাহাড়ভাঙা নামক একটি পলাশ বিছানো সমতল যায়গা। এখানে লৌকিক বিশ্বাসমতে দুটি ছোটো জলধারা যুক্ত হয়েছে এবং তৈরী হয়েছে চরুই ভাতির জন্য একটি আদর্শ স্থান। পাথরের উপর বসার যায়গা করে নিয়ে পদযুগলে জল সিঞ্চনের লোভ সামলানো যায়না। শিমূল এবং পলাশ ফুল এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশকে এক অনির্বাচনীয় মাধুর্য এনে দিয়েছে। শেষমেশ রুক্কিনী দেবীর মন্দির, কৃষ্ণ মন্দির ও হনুমানজির মন্দিরে পূজো দিয়ে রওনা হলাম রেসোর্টের পথে। পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিলো কমলা লেবুর রস। রাস্তায় গাড়ী থামিয়ে আমরা কমলা লেবুর রস পান করলাম।

এরপর হোটেলে ফিরে দ্বিপ্রহারিক খাওয়া দাওয়া ও সামান্য বিশ্রাম সেরে মালপত্রসহ গাড়ীতে উঠে বসলাম। সুভাষবাবুই আমাদের যথাসময়ে পৌঁছে ট্রেনের যথাযথ কামরার সামনে বসিয়ে দিলেন। আর বললেন একবার দোলপূর্নিমায় আসতে, তাহলে এখানের স্থানীয় আদিবাসীদের নাচ গানের নির্ভেজাল এবং আদি সংস্কৃতি নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবো। শুনে খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো। এবার মন সায় না দিলেও টাটানগরকে আমাদের তরফে টাটা জানাতেই হল। ফেরার পথে মনে এলো তিনদিনের ভ্রমণ বৃত্তান্তকে লিপিবদ্ধ করার কথা। অতঃপর খড়গপুর স্টেশনে লম্বা ভাঁড়ে চা পান এবং নিজস্ব ডায়রিতে দিনগত ভ্রমণ তালিকা বিন্যাশ করে নেওয়া। রাত নটায় হাওড়া স্টেশনে পৌছলেও আমাদের মন পরিপূর্ণ হয়ে থাকলো শিমুল ও পলাশের স্মৃতিতে।

আমাদের তো জায়গাটা খুবই ভালো লেগেছে। পাঠকদের এবং ইচ্ছুক ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য যোগাযোগের সূত্রঃ অসিত ভৌমিক। মোবাইল 9471310108 ,7004611668

Sahityika Admin

3 comments

Leave a Reply to Pradip Bhaumik Cancel reply

  • পড়ে বেশ ভাল লাগলো। সুন্দর অভিজ্ঞতা।

  • খুব ভালো লাগল, সাবলীল লেখা।যাওয়ার ইচ্ছা তৈরী হয়ে গেল।