সাহিত্যিকা

বক্সিং ও আমি

বক্সিং ও আমি।
অমিত সামন্ত, ১৯৭৬, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

উপরের ফটোটি BE College Athletic Club Committee, 1973-74 (I am standing, second from the left, facing camera). 

আমার জন্ম হাওড়ার রামকৃষ্ণপুরে। আমাদের আদিবাড়ি হুগলীর মলয়পুর গ্রামে। কাজের সূত্রে আমার ঠাকুর্দা হাওড়ার শিবপুর মন্দিরতলা অঞ্চলে এসে বসতবাটি স্থাপন করেন। আমার বাবা, কাকা, পিসিদের জন্ম থেকে বড় হওয়া এই হাওড়া শিবপুর মন্দিরতলাতেই। ছোটবেলা থেকেই আমাদের ছিলো যৌথ পরিবার। আর হয়তো সেই কারণেই আমার এতজন বড়দের মধ্যে যে নানান রকমের খেলাধূলা বা অন্যান্য অভ্যাসগুলো ছিলো, আমার উপর তাঁর অনেকটাই প্রভাব পড়তো।

ছোটবেলা থেকেই দেখতাম যে আমার বাড়িতে বড়রা নিয়মিত খেলাধূলা, বিশেষ করে শরীরচর্চায় খুবই মনোযোগী ছিলেন। ছোটবেলা স্কুলে বা অন্য অনেক বইতে যা পড়তাম, আমার ঠাকুর্দা আমাদেরকে ডেকে সেই কথাটাই বলতেন যে, স্বাস্থ্যই সম্পদ। সেই কারণেই অল্প বয়স থেকেই দেখেছি, যে আমাদের বাড়িতে শরীরচর্চার ভালোই চল ছিলো। বলতে বাধা নেই, এই এত যুগ পরেও খেলাধুলা ও শরীর চর্চায় আমাদের হাওড়ার শিবপুর মন্দিরতলা অঞ্চলে সামন্তবাড়ির নাম এখনও আছে। আরও একটা কথা বলি, আমার মেজকাকা প্রয়াত অনিল সামন্ত জাতীয় স্তরের মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন। আর তখন আমি অতটা না বুঝলেও আমার মেজকাকার গৌরবকে নিজের গৌরব বলে মনে করতাম। আর নিজের মনেই সেই অল্প বয়সেই একলা একলাই শ্যাডো প্রাকটিস করে মজা পেতাম।

পাড়ায় বন্ধুরা ছিলো, রাস্তায় বা ছোট মাঠে ক্রিকেট ফুটবল খেলা হতো, কিন্তু অন্যদের মতন আমার অতটা উৎসাহ ছিলো না, ঠিক সুবিধেও করতে পারতাম না। না ব্যাটসম্যান, না বোলার,না ফুটবলের স্ট্রাইকার, না ডিফেসের প্লেয়ার। পাড়ার ক্রিকেট ফুটবল টিমে খুব একটা সম্মানজনক প্লেয়ার আমি ছিলাম না।

ইতিমধ্যে, আমার মেজকাকার দৌলতে আমি খুব অল্প বয়সেই, মানে আমার বয়স যখন ১২-১৪ বছর, তখন থেকেই একটু আধটু বক্সিং শেখা শুরু করি। আমার মেজকাকা শিখিয়েছিলো যে বক্সিং শুধু খেলাই নয়, এটা আত্মরক্ষা, বা সেলফ ডিফেন্স।

আমাদের পাড়ার খেলাধূলার ক্লাব রামকৃষ্ণপুর ব্যায়াম সমিতিতে বক্সিং শেখানো হতো। তখন সব সিনিয়র দাদা, অনেকেই কাকুর বয়সী, তাদের মাঝখানে গিয়ে আমার বক্সিং এর হাতেখড়ির শুরু। বাড়িতে বক্সিং নিজের চোখের সামনে দেখা ছাড়াও মেজকাকা আমাকে দুনিয়ার বক্সিং এর খবরাখবর দেয়। ১৯৬২ সালে সোনি লিস্টন তখন ফ্লয়েড প্যাটারসনকে হারিয়ে বক্সিং হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এরপরেই ১৯৬৪ সালে খবরের কাগজে পড়ছি ক্যাসিয়াস ক্লে সোনি লিস্টনকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই ক্যাসিয়াস ক্লে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দেখলাম খবরের কাগজে ওনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা চলছে। আমিও কেন জানি না কিছুই না বুঝে ওনার ফ্যান হয়ে গেলাম। সেটা ১৯৬৪ সাল।

যদি সত্যি কথা বলতে হয়, তাহলে স্বীকার করবো যে, প্রথম প্রথম আমার ভয় করতো। কারণ আমি তখনই বুঝে গিয়েছিলাম যে বক্সিং শেখার সময়েই বেশ মার খেতে হয়। আর এরপর প্র্যাকটিসে বা কম্পিটিশনে প্রতিপক্ষ যদি আমার থেকে শক্তিশালী হয়, তাহলে মার তো খাবোই, উপরন্তু নাক চোখ মুখে রক্তারক্তিও হতে পারে। এই ভয়ের থেকে মুক্তির উপায় ছিলো নিজের মনকে শক্ত করা, আর আমার মেজকাকুর উপদেশ যে বক্সিং একমাত্র খেলা যা আত্মরক্ষা শেখায়। সুতরাং বেশ কিছুটা মার খেয়েই আমার বক্সিং শেখা শুরু হয়েছিলো। তখন আমার মেন্টর ছিলেন আমার বক্সার মেজকাকা।

আমি তখন ধীরে ধীরে পাড়ায় বা স্কুলে নিজের বন্ধুদের মাঝে বক্সার নামেই পরিচিত হতে চলেছি। আমি যখন বলি যে বক্সিং শিখতে হলে বেশ মার খেয়ে শরীরকে শক্তপোক্ত করতে হয়, তখন বন্ধুরা আমাকে বেশ সমীহের চোখেই দেখে। স্কুলের পরে বিকেলে ক্লাবে গিয়ে প্র্যাকটিস করি। এখানে বলে রাখা দরকার যে, পাড়ার ছেলেরা মাঠে ময়দানে, বা রাস্তায় ক্রিকেট ফুটবল খেলার সময় অনেক উৎসাহী প্লেয়ার পেয়ে যায়, সে সমবয়সী হোক, বা অসমবয়সী। কিন্তু বক্সিং সেরকম নয়। আমি আমার ছোটবেলার যে সময়ের কথা বলছি, তখন রোজ বিকেলে প্রাকটিসের সময় নিজের সমবয়সী প্রতিপক্ষ পাওয়াটাও অত সহজ ছিলো না। বক্সিং এ হাইট আর ওজনের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, যেমন সকলেই জানে লাইটওয়েট, মিডলওয়েট, হেভিওয়েট। আমার হাইট মোটামুটি বয়সের অনুপাতে ঠিক থাকলেও অনেক সময়েই আমার সঠিক প্রতিপক্ষ পেতাম না। তবু আমার অদম্য উৎসাহ, বক্সিং শেখার জেদ, আর সবার উপরে মেজকাকার মতন গুরু পেয়ে আমি আমার অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছিলাম।

সেই ছোটবেলায়, যখন আমার বয়স দশ, মনে হচ্ছে আমি খানিকটা বক্সিং শিখেছি, মনে হলো এবার তো আমাকে প্রতিযোগীতায় নামতে হবে। আমি তখন শিবপুর বি কে পাল’স ইনস্টিটিউশনের চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। আমার প্রথম প্রতিযোগিতা বালী আইডিয়ল ক্লাবের প্রতিযোগিতা। আমি অংশগ্রহণ করি ও দিলীপ দাশের কাছে হেরে যাই। কিন্তু হেরে গিয়ে দমে যাওয়ার পাত্র আমি ছিলাম না। আমি আমার প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছি, আর বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় নাম দিয়ে চলেছি। সাফল্য যে খুব একটা আসছে তা নয়, কিন্তু আমার যে উন্নতি হচ্ছে, সেটা আমি নিজে যেমন বুঝতে পারছি, তেমনি আমার আশেপাশের লোকজনও তাই বলছে। যে দিলীপ দাশের কাছে আমি হেরে গিয়েছিলাম, পরবর্তী সময়ে বহু প্রতিযোগীতায় আমি ওঁর বিরুদ্ধে জিতেছি। আর মনে আছে, জয়গোপাল ও শোভন ছিলো আমার প্রধান প্রতিপক্ষ।

এই সময় আমি হাওড়ার জেলাস্তরে বা বেঙ্গল স্টেট লেভেলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নামছি। ১৯৬৯ আর ১৯৭০ সালে West Bengal Inter School Championship আর ১৯৭১ সালে West Bengal Inter College Championship জিতি।
যদি ট্রফি পাওয়া সাফল্যের মাপকাঠি হয়, তাহলে আমার বক্সিং ক্যারিয়ারের সেরা সময় ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সাল। ১৯৭১ এ আমি West Bengal Inter College ট্রফি জেতার সাথে সাথে West Bengal Junior Bengal Champion এর ট্রফিও জিতি। সেই বছরেই আমি Junior Bengal National Junior Runner’s Up

১৯৭২ আর ১৯৭৩ সালে আমি জুনিওর বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হই।
১৯৭২ আর ১৯৭৩ সালে আমি রাজ্য চ্যাম্পিয়ন।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৪, টানা তিন বছর আমি কলকাতা ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।
১৯৭৩ সালে আমি ন্যাশনাল সেমিফাইন্যাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম।
৭২ থেকে ৭৪ সাল, এই টানা তিনবছর ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সূত্রে ১৯৭৩-৭৪ সালে কলেজ থেকে আমি ব্লেজার পাই।
আমি feather, bantam, light আর welter weight এ খেলেছি। মানে Feather এ খেলা শুরু আর welter weight তে খেলা শেষ। মাঝে কখন যে categoryর পরিবর্তন হয়ে গিয়ে কোন সময়ে কোন categoryতে খেলেছি এখন এতদিন বাদে আর মনে করতে পারছি না।

যদি বলা হয়, একজন স্পোর্টসম্যানের সেরা সময় যদি স্কুলের ক্লাস টেন ইলেভেন, বা কলেজের তিন চার বছর হয়, তাহলে আমি সেইসময় বক্সিং প্রাকটিসের পর্যাপ্ত সুযোগ পাই নি, বিশেষ করে কলেজের সময়ে। আমি ১৯৭১ সালে যখন বিই কলেজে এলাম, তখন কলেজে বক্সিং এর কোন ব্যাপারই ছিলো না। আমি প্রফেশনাল কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসেছি, বক্সিং আমার extra curricular activities এর মধ্যে পড়ে। তাই বলে বক্সিং বন্ধ করে দিতে পারি না। আমি সেইসময় রাজ্য চ্যাম্পিয়ন, অথচ কলেজ থেকে সেইরকম কোন উৎসাহ নেই। আমাদের জিমন্যাশিয়াম সেন্টারের মাঝখানের সেন্ট্রাল হলের মাঝখানে জোড়াতালি দিয়ে একটা রিং বানিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু প্রাকটিস করবো কার সাথে? তখন ফার্স্ট ইয়ারে সোমনাথ (চ্যাটার্জী), মোটামুটি সাহসী, আর শরীরী ভাষায় “দেখি না। কি হয়?” বোধহয় মজা দেখতেই এগিয়ে এলো। পরে জেনেছিলাম, বন্ধুদের সাথে চ্যালেঞ্জ করেছিলো। আমি প্রথমেই বলেছিলাম, এই একদিন দু’দিনের জন্য এলে হবে না, আর এটাও বলে দিলাম যে একটু আধটু মারও খেতে হবে। এইভাবেই সোমনাথের সাথে প্রাকটিসের শুরু। সেই বছর, মানে ১৯৭৩ সালে, সোমনাথের তখন ফার্স্ট ইয়ারের মাঝামাঝি সময়ে, শিবপুর পুলিশ ব্যারাকের গ্রাউন্ডে হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট্রের টুর্নামেন্টে আমি এককথায় জোর করেই সোমনাথের নাম দিয়ে দিলাম। সেটা ছিলো রবিবার। ওরই ব্যাচের অসীম (দেব) সোমনাথের সাথে এসেছিলো। সেটাই ছিলো সোমনাথের প্রথম টুর্নামেন্ট। মার যেমন খেয়েছিলো, তেমনি বক্সিং এর প্রথম প্রাইজটাও সে সেদিন পেয়েছিলো। এত মার খেয়েছিলো যে, ওঁকে রিক্সা করে হস্টেলে নিয়ে যেতে হয়েছিলো। এত কথা লিখলাম এই কারণে যে, বক্সিং শিখতে হলে নিজেকে শারীরীক ও মানসিক, দু’দিকেই শক্ত রাখতে হবে।

এরপর প্রফেসর দুর্গাদাস ব্যানার্জীকে অনেক বলার পরে, সম্ভবত ১৯৭৩ সালে কলেজে বক্সিং রিং তৈরি হয়। রাতে প্র্যাকটিসের জন্য ফ্লাড লাইটের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়। আমি উদ্যোগ নিয়ে সেই বছর হা কলেজের এই রিং এই হাঁওড়া ডিস্ট্রিক্ট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে দি।

এরপরে সোমনাথ (’৭৭-৭৮ ব্যাচের) বাদ দিলে কলেজের একজনই মাত্র উৎসাহ দেখিয়েছিলো, অসমের ছেলে, সুপ্রভাত বড়বড়ুয়া। কিন্তু ধারাবাহিকতা ছিলো না। আমি আর সোমনাথই কলেজে বক্সিং নিয়ে কিছুটা মাতামাতি করেছিলাম।

কলেজ ছাড়ার পরে আমি আমার পেশাগত কারণে খুব একটা বক্সিং প্র্যাকটিস করতে পারিনি, তবে যোগাযোগটা ছিলো। এখন আমি হাওড়া জেলা বক্সিং এসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট।

আমি যেটুকু বক্সিং দেখেছি, খুব দুঃখের সঙ্গেই বলতে হয় যে আমাদের দেশে সরকার বা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের থেকে কোনরকম সহযোগীতা দেখতে পাই নি। মেরি কমের বায়োপিক সিনেমা চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেশের খেলাধূলার রাজনীতিকরন ও দূর্নীতিটা দেখিয়ে দিয়েছে। এই মেরি কম ছয়বার বিশ্ব অপেশাদার বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়েও বানিজ্যিক আনুকুল্য জোগাড় করতে পারলেন না। ২০১৪ সালে সাউথ কোরিয়া এশিয়ান গেমসে প্রথম ভারতীয় মহিলা হয়ে সোনা জেতার পরে কিছুটা হয়তো সংবাদের শিরোনামে আসতে পেরেছিলেন। আর ২০০৯ মিলানে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং এসোশিয়েশন চ্যাম্পিয়নশিপে মিডল ওয়েট বিভাগে (৭৫ কেজি) বিশ্বের প্রথম স্থান দখল করেছিলেন। তবুও যোগ্য স্বীকৃতি পেলেন না।

বক্সিং এ আমার প্রিয় চরিত্র মহম্মদ আলি। সর্বকালের অন্যতম সেরা মহম্মদ আলি শুধু বক্সিং নয়, ছিলেন অন্যয়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী চরিত্র। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে আমেরিকার মিলিটারিতে আবশ্যিক যোগদানে অস্বীকার করেন, ফলস্বরূপ কারাবন্দী হতে হয়। তাঁকে কারাবন্দী হতে হয় যখন তিনি তাঁর বক্সিং ক্যারিয়ারের শীর্ষে। আর ব্যাক্তিগত জীবনেও ছিলেন এক আদর্শ পুরুষ। আলির ৬১টি চ্যালেঞ্জের মধ্যে ৫৬টি জয়, তার মধ্যে ৩৭টি নকআউট। হার মাত্র পাঁচটি, যা তাঁর ক্যারিয়ারের শেষজীবনে। এরপরেই তিনি রিটায়ার করেন। আমার কলেজে পড়ার সময় ইংলিশ ইন্টারন্যাশনাল টপ চার্টের একটা গান ছিলো, He floats like a butterfly, stings like a bee.

এছাড়া মাইক টাইসন আর জর্জ ফোরম্যানের কিছু খেলা আমি টিভিতে দেখেছি। দুজন প্রবাদপ্রতিম বক্সারের কথা অনেক শুনেছি। “সুগার” রে রবিনসন, ১০০-র অধিক চ্যালেঞ্জারের বিরুদ্ধে ২০২ খেলার মধ্যে ১৭৫টি জিতেছিলেন, হার হয়েছিলো মাত্র ১৯টি। বাকীগুলি ড্র। আরেকজন জো লুইস, ২৭টি হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপের অধিকারী। প্রফেশনাল বক্সিং এর ৭২টি চ্যালেঞ্জে ৬৯টি জিতেছিলেন, হার মাত্র তিনটিতে। আর এই ৬৯টি চ্যালেঞ্জ জেতার মধ্যে ৫৫টিই নকআউট।

আজকাল টিভিতে WWF এর দৌলতে ঘরে ঘরে বক্সিং দেখা যায়। কিন্তু এগুলো বক্সিং এর নামে শুধুই বানিজ্যিক বিনোদন, এর বেশি কিছু নয়।

শেষের আগে আরেকটা কথা বলতে চাই। আমাদের পুরাণে মল্লযুদ্ধের অনেক উল্লেখ আছে। সত্য মিথ্যা জানি না, গুগল ঘাঁটলে পেয়ে যাই যে রামায়ন মহাভারতেই মুষ্টিযুদ্ধের উল্লেখ আছে, তবে উদাহরণ নেই।

ইতিহাস বলে আজ থেকে প্রায় ৩,৩০০ বছর আগে (খ্রীষ্টপূর্ব ১৩৫০ সাল নাগাদ) বক্সিং জাতীয় একটি খেলা ছিলো। মিশরীয় থীবস পুরাতত্ব এর সাক্ষ্য দেয়। এছাড়াও খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ – ১৪০০ সময়ে Minoan Crete সাক্ষ্য দেয় যে খালি পায়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতে একটি খেলা ছিল। এমনকি হাতে গ্লাভসও দেখা যায়। সেই তিন হাজার বছর আগের বক্সিং এর বিবর্তন কিভাবে হলো, অনেক চেস্টা করেও সঠিক প্রামান্য খুঁজে পাই নি।

Sahityika Admin

Add comment