কালীপুজো
©তাপস সামন্ত ১৯৯১ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই দূর আকাশের চাঁদটা দিন দিন ছোট হতে হতে একদিন ঠিক সরু কাস্তের মতো হয়ে গেলে ছোটদের সাজোসাজো রব পড়ে যেত। বর্ষায় জোগাড় করা পাঠকাঠির বোঝাগুলো সবার গোয়ালঘরের পাড়নের ওপর থেকে একে একে নেমে আসত। তারপর গোছা গোছা করে আলাদা আলাদা আঁটি বাঁধাই হত সেগুলো দিয়ে। পুরানো পাটদড়ি জড়িয়ে সেই আঁটিগুলোকে শক্তপোক্ত করে রোদে দেওয়া হত। যার যার নিজের জিনিস সব গুনতি করে রাখা হত। তারপর মোমবাতি বা রঙমশাল কিংবা একটা দুটো কালিপটকার বিনিময়ে বেচাকেনা হত পাটকাঠির মশাল। মা কাকিমার সজাগ চোখ এড়িয়ে জোগাড় হত শালিমার নারকেল তেলের কৌটো। আগের বছর সরস্বতী পুজোয় সংগ্রহ করা ক্যালসিয়াম কার্বাইডের স্টক (হ্যাজাক আর গ্যাসবাতি দুইয়েরই চল ছিল আমাদের সাতপুরুষের সরস্বতী পুজোয়) থেকে না মিলিয়ে যাওয়া অংশ আলাদা করে রাখা হত- কৌটোবোমার জন্য। নরম ভেজা মাটিতে গোড়ালি দিয়ে গর্ত করে এক টুকরো ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফেলে ফুটোওয়ালা টিনের কৌটোটা তার চারপাশের মাটিতে গেঁথে বায়ুনিরোধক করে দেওয়া হত। তারপর পাটকাঠির আগা জ্বালিয়ে কৌটোর ফুটোর ওপর ধরলে ভেতরে জমে থাকা অ্যাসিটিলিন গ্যাসে দুম করে বিস্কোরণ হত। তার ধাক্কায় কৌটোটা সাঁ করে মাঝ আকাশে উঠে আবার ঠং করে মাটিতে ফিরে আসত। এইছিল আমাদের কৌটো বা গ্যাসবোমা। কখনো কখনো আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটে যেত। ভেতরের গ্যাসের পরিমাণের ওপর নির্ভর করত আগুন দিলে ফাটবে কী ফাটবে না। কখনো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠত আবার কখনো ফোঁ করে আগুনটা ভেতরে ঢুকে যেত কিন্তু ফাটত না। সব নির্ভর করত মাটিতে জলের পরিমাণ কত। পরিমাণ মত জল আর ক্যালসিয়াম কার্বাইডের সংমিশ্রণেই বিস্কোরণযোগ্য অ্যাসিটিলিন তৈরি হয়। এগুলো মাঠের ভিজে মাটি ছাড়া ফাটানো যেত না। তাই কালীপুজোর আগের দিনই দু একটা পরীক্ষা করে নেওয়া হত।
মেয়েরা সকাল থেকে মাটির প্রদীপ আর তুলোর পলতে বানাতে বসত। বিকেল হলে পুজোর জোগাড় করতে বেরুত। কুলপাতা, শালুকফুল, সীতাহারফুল, কাঁটাজবা, লঙ্কাজবা, অপরাজিতা আর দূর্বাঘাসের পসরা নিয়ে কুলকুলোতির ঘরের পাশে বসত। সঙ্গে শাঁখ, বাতাসা আর একটা পেতলের জ্বলন্ত দীপ। কুলকুলোতি পুজোর ঘরগুলো সেই কোন সকালেই সুন্দর করে নিকানো হয়ে যেত গোবর আর জল দিয়ে। বেশ লাগত তুলসীমন্দিরের পাশে সারি সারি গর্ত নতুন শুকনো তালপাতা চাপা। সব সুন্দর করে লেপাপোঁছা। ছোট্ট ছোট্ট তিনটে সিঁড়ি নেমে গেছে তলা পর্যন্ত। মায়েরা চাল ভিজিয়ে শুকনো করে দুপুর দুপুর শিলে বা ঢেঁকিতে গুঁড়োতে বসত সবাই মিলে। কালীপুজোর পরের দিন গরুর বিয়ে আর গোয়াল পুজো। তারই প্রস্তুতি। নতুন ঘোলমুয়ানি জোগাড় হত সব বাড়িতে। সবাই গরুর গা ধোয়াতো পালা করে। খড়ের লুটি দিয়ে গা ঘসে বালতি বালতি জল ঢালা হত। তারপর শিং আর খুরগুলো সব সরষের তেল মাখিয়ে কালো চুকচুকে করা হত। মাথায় কাঁচাহলুদ বাটা আর সিঁদুর লাগানো হত। গলায় পরানো হত বকুলপাতার মালা। সঙ্গে থাকত মোটামোটা আখ খাদি খাদি করে কাটা, কাঠালিকলা। রাতে খেতে দেওয়া হত পিঠে বেশ লাগত লালি, ধবলি আর লালা, ভোলাদের। এসব হত কালিপুজোর পরের দিন।
আমাদের গ্রামে দশমহাবিদ্যার পুজো হত। বিশাল মেলা বসত। আত্মীয়স্বজনরা সব বাড়ি আসত। হইহই ব্যপার। এখনো পুজো হয়। তবে সেই ছোটবেলায় পুজোর দিনগুলোতে ওই কদিনই ইলেকট্রনিক আলোর দেখা মিলত। তাই সন্ধ্যার পর ঘন অন্ধকার দেখে অভ্যস্ত চোখ গুলো বৈদ্যুতিক আলোয় ধাঁধিয়ে যেত। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলত কে একটানা কতক্ষণ ওই আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। তারপর আলোর উল্টোদিকের অন্ধকারে চোখবন্ধ করে তাকালেই বৈদ্যুতিক আলোর প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠত চোখের মধ্যেই। সে এক মজার খেলা।
দশমহাবিদ্যা কালীতলা আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার- মানে গ্রামের একদম উল্টো প্রান্তে। পুজোর কদিন (প্রায় দিন দশেক হয়ে যেত) আমরা ওই অন্ধকার রাস্তা হেঁটেই পুতুলনাচ, যাত্রা প্রতিযোগীতা বা খোলা মাঠে পর্দা টাঙিয়ে সাদাকালো সিনেমা দেখতে যেতাম। তারও আগে মানে যখন আমরা স্কুলেও যাইনি তখন দাদা কাকাদের কাঁধে চেপে সাঁকো পেরিয়ে দুলতে দুলতে যেতাম। ওই সব অনুষ্ঠান শুরু আর শেষটা বেশ দেখার মতো হত। একটু সন্ধ্যা হলেই খাওয়া পব্ব সেরে ছেলে মেয়ে বুড়োবুড়ি, ছেলে সঙ্গে নতুন বউ সব সারি দিয়ে হেঁটে চলেছে অন্ধকারে- কারো হাতে মাদুর, কেউ নিয়েছে চাঁচি (চামলতি দিয়ে বোনা মাদুর বিশেষ), কেউ চট, কেউ বা আসন, কারো হাতে ব্যটারিওলা টর্চ, কারো হাতে লন্ঠন, কেউ হ্যারিকেন নিয়ে। ছেলেছোকরার দল সব নারকেল মালার টর্চ নিয়ে গল্প করতে করতে কালীতলার দিকে এগোচ্ছে। রাস্তাগুলো মনে হত যেন সব এক একটা নদী। সব এসে কালীতলায় মিশছে।
নারকেল মালার টর্চটা তবে বেশ অদ্ভুত। চোখওয়ালা নারকেল মালার চোখের ভেতর পাটকাঠি ঢুকিয়ে হাতল বানিয়ে নিয়ে সামনে একটা মোমবাতি বসিয়ে নিলেই টর্চ তৈরি। অন্ধকারের ভয় তখন শত হাত দূরে। তবে পুজোর দিনটায় আলাদা কোন অনুষ্ঠান হত না। সবাই সন্ধ্যায় পাটকাঠির মশাল জ্বালিয়ে “ধা রে মশা ধা লাল বন কে যা •••••” গাইতে গাইতে হাতে ধরা মশালটাকে বন বন করে ঘোরাতে ঘোরাতে এগোত কালীতলা অবধি। ফেরার পথে যার যা সংগ্রহ সব বাজি ফাটাতে ফাটাতে বাড়ি।অবশ্য কৌটোবোমা ফাটানো হত দিনের বেলা। বাড়ি ফিরে খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়তাম।
১০ই নভেম্বর, ২০১৮

কালীপুজো ২
কালীতলা মানে এক অদ্ভুত আকর্ষণ। হাজারো জিনিসের পসরা সাজানো সেথা। মাটির পুতুল থেকে শুরু করে দম দেওয়া স্প্রিংয়ের খেলনা, অজস্র রকমের খাবার। হরেকমাল পাঁচসিকে গোছের অজস্র গৃহস্থালির জিনিসের দোকান। আর খাবারের দোকান তো গুনে শেষই হত না। নির্জন কালীতলা ওই কদিন কোথা থেকে যে অত প্রাণ পেত কে জানে। অত দোকানদানি ঠিক কোথা থেকে যে এসে জুটত অবাক হয়ে খালি ভাবতাম। ছোটবেলার জগৎটা তো খুব ছোট্ট হত।
হরেক কিসিমের খেলনাগুলো বড় টানত। পয়সা থাকত না হাতে। তাই বায়না ধরা ছাড়া উপায়ান্তর থাকত না। বেশ মনে পড়ে সে বছরের কথা। বর্ষার হানাগুলো তখনো বাঁধা হয় নি। লম্বা লম্বা বাঁশের সাঁকো। নিচে কোমর ডোবাজল। তাতে মাছ, সাপ সব কিলবিল করছে। সেই সাঁকো পেরোনো চাট্টিখানি কথা না। সাহস ও সামর্থ্য দুইই জবরদস্ত হওয়া চাই। ছোট্ট তাই দুটোই নাই। সেবার সবাই কাজ মিটিয়ে নিয়েছে সন্ধ্যাবেলায় আগাম। রাতে ঠাকুরদেখা ও পুতুলনাচ দেখা আছে। কাকার কাঁধে চড়ে দীপাবলির রাতে সেই সব ভয়ংকর সাঁকো পেরিয়ে পৌঁছে গেছি সেই মহা মিলন মেলায়। পুতুলনাচের আসরে বাজনা পড়ে গেছে। বায়োস্কোপের খেলা চলছে। একপাশে খাবারের দোকানের সারি। একটু দুরে হরেকমাল পাঁচসিকের সারি সারি দোকান। কী নেই সেখানে। আমি বাবার হাত ধরে মা কাকা কাকিমা, দিদি, পিসি ও অন্যান্য ভাইবোনেদের সঙ্গে চলেছি দেখতে দেখতে। কোনকিছু কেনার বায়না করা বারণ। যা বড়রা দেবে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট হতে হবে। নইলে সোজা বাড়ি ফেরত। যাই হোক পুতুল নাচ দেখে ফিরব। তাই মনকে শক্ত করে এগোচ্ছি। হরেকমাল পাঁচসিকের সারি শেষ হয়ে একটা মজাদার খেলনার দোকান। আমার নজরে এল দম দেওয়া স্প্রিং এর একটা কামান। রিল ভরে দমদিয়ে ছেড়ে দিলে রিলের বোমা ফাটাতে ফাটাতি আপন দর্পে এগিয়ে চলে সে কামান। দোকানদারের সাথে চোখাচোখি হতেই সে তুলে হাতের কাছে এনে বলল খোকা নেবে? বলে দমদিয়ে ছিড়েদিল। বাবা বলল না না নেবে না। চল তো। আমি আটকে গেলাম। বাবার হাতে টান পড়ল। বাবা বলল থাকো এখানে। তারপর এগিয়ে চলল। আমার কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ নাই । আমি হাতে ধরে নিয়েছি ততক্ষনে খেলনাট। বাবা আবার ফিরে এল। হাতে টান দিয়ে বলল চল সবাই অপেক্ষায় আছে। পুতুল নাচ শুরু হবে। আমি প্রথম মুখ খুললাম। কামানটা আমার চাই। বাবা বকুনি দিল হল না। বোঝাল অনেক করে-দশটাকা দাম, অনেক দামি; বাবার কাছে অত টাকা নাই আর অত সামর্থ্যও নাই। বাবা হাত থেকে কামানটা নিয়ে দোকানদারের হাতে দিল। কে কার কথা শোনে। সোজামাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি সঙ্গে উচ্চস্বরে কান্না। ওই মিলনমেলার নরম কাঁচামাটি আমার মনে কী আশ্চর্য রকমের বিশ্বাস এনে দিয়েছিল জানি না- আমার জেদের কাছে বাবা হার স্বীকার করে দশটাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিলেন ওই কামানটা। পরে বাবা বুঝিয়েছিলেন যে আমি কতটা অন্যায় আবদার করে ওটা কিনিয়েছিলাম। তারপর থেকে বাবার কাছে কোন কিছু আবদার করে চাওয়ার আগে দশবার ভাবতাম। ওই ঘটনা আমার শিশুমনে অনেক দাগ কেটেছিল। পরবর্তীকালে অনেক দায়িত্বশীল করে তুলেছিল।
তখনও ইস্কুলের পথ মাড়াইনি। খুব দূরে যাওয়া বলতে বাড়ি থেকে পাঁচশ মিটার কি পৌনে এক কিলোমিটার দূরের একটা অশ্বত্থ গাছ অব্দি কালেভদ্রে। আমরা ডাকতাম ঝাঁকড়া আশুদতলা।
সেখানে রোজ আসর বসতো ছোটদের খেলাধুলার। পাশেই খাল। সেখানে পাট পচানো হত। আর পাটকাচার পর ভেজাপাট শুকনো করা হত লম্বা লম্বা বাঁশের এক মাচার উপর। পাশে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকত হরেক সাইজৈর পাটকাঠি। কেউ মোটা, কেউ লম্বা, কেউ শুকনো তো কেউ ভেজা। আমাদের লোভ পড়ে থাকত সরু সরু শুকনো লম্বা পাটকাঠির ওপর। রোজ চাইতে যেতাম ছোটরা দলবেঁধে। কিছুটা কিছুটা করে রোজ জোগাড় করে জমাতাম। আর লম্বা মোটা পাটকাঠি পেলে তাদের দুটোকে দুপ্রান্তে পাটের সুতো দিয়ে বেঁধে মাজখানে একটা ছোট পাটকাঠিকে ঠেকা দিয়ে পঠলের আকৃতি দেওয়া হত। তারপর ডানহাতে একপ্রান্ত ধরে মাঝখানটা মাটিতে ঠেকিয়ে চলত দৌড় এপাড়া ওপাড়া। কাদেরও নতুন বাছুর থাকলে আমাদের পাশাপাশি ছুট লাগাত। আর তার মা দুরে গেলেই হাম্বাআআআআআ বলে লম্বা একটা ডাক দিত। আর সে থেমে যেত। এইভাবেই চলত আমাদের কালীপূজার প্রস্তুতি ওই বয়েসে।
আগের রাতে পুতুলনাচ দেখে ফিরে আমরা সবাই পেটভরে পিঠেপুলি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। মা ঠাকুমারা তারপর সবাই মিলে বসে পায়ে আলতা পরেছে। সিঁদুর পরেছে। গল্পগুজব করে অনেক রাতে ঘুমুতে গেছে।
পরের দিন ভোর ভোর উঠে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখতাম গরুর বিয়ে দেওয়া চলছে। অগ্নিকোনে এক তাল গোবরের ওপর ফুল দিয়ে সাজানো। পাশে একটা ঘোলমুয়ানি রাখা কয়েকটা বকুলপাতার মালা দিয়ে সেটা জড়ানো। তার সামনে বরণডালা- একছড়া পাকা কাঁঠালিকলা, পাউঁচু জ্বলন্ত প্রদীপ, দুটুকরো আখের খণ্ড, এক বাটি সরিষার তেল, একবাটি কাঁচা হলুদ বাটা, একথান সিঁদুর, ধান দুর্বা, লাল সুতোর ঘুনসি এবং দুটো হরিতকি আর পাশে একটা ছোট থালায় নারিকেলের পুলিপিঠে। একগোছা ধূপ জ্বলছে একপাশে। মা গলায় আঁচল জড়িয়ে বাবু হয়ে বসেছে আসনের উপর। আঁচলের এককোনে একগোছা চাবি। পাশে ঠাকুমা, কাকিমা, পিসি দিদি। কেউ শাঁখ বাজাচ্ছে তো কেউ উলু দিচ্ছে। আমরা মাঝে মাঝে বাইরে যাচ্ছি একটা করে চকলেট বা কালিপটকা ফাটিয়ে আসছি আবার। ঠাকুমা মার পাশে উবু হয়ে বসে মা কে নির্দেশ দিচ্ছে। মা সেই মত কী সব বলছে আর প্রণাম করছে। সবার শেষে ওদের পায়ে হলুদ আর আলতা ছোঁয়ানো হচ্ছে, শিংএ তেল হলুদ আর গলায় বকুল পাতার মালা পরানো হচ্ছে। ঘন ঘন শাঁখ বাজছে। তারপর মা বরণডালা সাজিয়ে ওদের বরণ করছে। আর বরণশেষে দুহাত জড়িয়ে আদর করে পিঠে খাইয়ে দিচ্ছে। সবশেষে প্রণাম করছে। আমিও আধবোজা চোখে গিয়ে আদর করে প্রণাম করতাম। একে একে লালি ভুলি, লালু ভুলু সবার সারা হলে ভাল করে গোয়াল বন্ধ করে পুকুর ঘাটে হাতপা ধুয়ে বাড়ি উঠে আসতাম। তারপর চোখের পলকে দে ছুট। গতরাতের না ফাটা বোমাগুলো আর না জ্বলা তুবড়িগুলো খুঁজে খুঁজে সংগ্রহ করার জন্য।
১২/১১/২০২৪

ডুব দে রে মন কালী বলে
ডুব দে রে মন কালী বলে,
হৃদি রত্নাকরের অগাধ জলে-
রত্নাকরের অগাধ জলে,
ডুব-দে রে মন কালী বলে
ডুব দে রে মন কালী বলে।
রত্নাকর নয় শূণ্য কখন
দু চার ডুবে ধন না পেলে,
রত্নাকর নয় শূণ্য কখন
দু চার ডুবে ধন না পেলে,
তুমি দম সামর্থে এক ডুবে যাও
কুলকুন্ডলিনীর কূলে,
তুমি দম সামর্থে এক ডুবে যাও
কুলকুন্ডলিনীর কূলে,
ডুব দে রে মন কালী বলে
ডুব-দে রে মন কালী বলে।
জ্ঞান সমুদ্রের মাঝে রে মন
শান্তিরুপা মুক্তা ফলে,
জ্ঞান সমুদ্রের মাঝে রে মন
শান্তিরুপা মুক্তা ফলে,
তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে
শিব যুক্তি মতো চাইলে,
তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে
শিব যুক্তি মতো চাইলে,
ডুব দে রে মন কালী বলে
ডুব দে রে মন কালী বলে।
কাম আদি ছয় কুম্ভীর আছে
আহার লোভে সদাই চলে,
কাম আদি ছয় কুম্ভীর আছে
আহার লোভে সদাই চলে,
তুমি বিকেক হলদি গায়ে মেখে যাও
ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে,
তুমি বিকেক হলদি গায়ে মেখে যাও
ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে,
ডুব দে রে মন কালী বলে
ডুব-দে রে মন কালী বলে।
রতন মানিক কত
পড়ে আছে সেই জলে,
রতন মানিক কত
পড়ে আছে সেই জলে,
রামপ্রসাদ বলে ঝম্প দিলে
মিলবে রতন ফলে ফলে,
রামপ্রসাদ বলে ঝম্প দিলে
মিলবে রতন ফলে ফলে।
ডুব দে রে মন কালী বলে
ডুব দে রে মন কালী বলে,
হৃদি রত্নাকরের অগাধ জলে
রত্নাকরের অগাধ জলে,
ডুব দে রে মন কালী বলে
ডুব-দে রে মন কালী বলে
ডুব দে রে মন কালী বলে।
******






Add comment