এপিফ্যানি (ইন্টারভিউ)
©গণেশ ঢোল, ১৯৮৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
– বাঙালি হয়ে উড়িষ্যায় চাকরি করবে, কলকাতায় চাকরি নেই? তালচের থেকে লোক কলকাতায় চাকরি করতে যাচ্ছে আর তুমি কলকাতা থেকে এখানে আসছ, কলেজে পড়াতে?
– আমি ঘটনাচক্রেই এখানে এসে পড়েছি। সেরকম কোনো পরিকল্পনা আমার ছিল না।
– বিশদে বলো।
– আমি মানিকতলায় দাঁড়িয়েছিলাম আমার প্রেমিকার জন্যে। সেখানে ডাইনিরা আমায় তাড়া করল, তাদের ভয়ে পালাতে পালাতে আমি এখানে এসে পড়েছি।
– ডাইনি মানে? তুমি কি পাগল?
– ডাইনি মানে অশরীরী অশুভ আত্মা। আর আমার মানসিক প্রকৃতিস্থতা নিয়ে কি আপনাদের সন্দেহ হচ্ছে?
– না, না কোনোই সন্দেহ হচ্ছে না। আচ্ছা বলো কম্প্রেসরের কাজ কী?
– (বেশ বুঝতে পারি লোকদুটো বেশ মজা পাচ্ছে।) কম্প্রেস করা।
– তবে পাম্পের কাজ কী পাম্প করা?
– এগজাক্টলি তাই।
– কখনও কম্প্রেসর দেখেছো?
– হ্যাঁ।
– কোথায় দেখেছো?
– ডিপিডি প্ল্যান্টে।
– ডিপিডি মানে কী?
– ডিউ পয়েন্ট ডিপ্রেসন।
– সেই প্ল্যান্টটা কোথায়?
– হাজিরায়।
– হাজিরা কোথায়?
– নাজিরা থেকে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে।
– নাজিরা কোথায়?
– আসামে।
– আর হাজিরা?
– গুজরাটে।
– গুজরাটের কোথায়?
– সুরাটে।
– সেটা আগে বললেই তো হত।
– সেটা আগে বলে দিলে তো আমি নাজিরার ব্যাপারটা যে জানি তা বোঝানোই যেত না। তাছাড়া হাজিরা আর নাজিরা শব্দ দু’টোর মধ্যে যে কী সুন্দর একটা রাইমিং আছে সেটাও তো অ্যাপ্রিসিয়েট করবেন।
– কী কম্প্রেস করছিল, ঐ কম্প্রেসর?
– গ্যাস।
– কী গ্যাস?
– মিক্সচার অফ গ্যাস।
– কীসের মিক্সচার?
– মিথেন, ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন।
– তুমি একবারে ডিটেলে উত্তর দিচ্ছনা কেন?
– এটাই যে আমার ইন্টারভিউ দেওয়ার স্টাইল।
– হঠাৎ এরকম স্টাইল অ্যাডপ্ট করতে গেলে কেন?
– কেননা একবারে যা জানি সব বলে দিলে লোকে বড় বেশি প্রশ্ন করে। এই স্টাইলে ইন্টারভিউ দিয়ে আমি এর আগে তিনটে চাকরি পেয়েছি।
– সেসব চাকরিগুলো কোথায় গেল?
– দুটো ছেড়ে দিয়েছি, একটা এখনও আছে।
– যেটা আছে সেটা তাহলে ছেড়ে দেবে?
– দেব।
– ছাড়বে কেন?
– কেননা এখানকার লেডিজ হস্টেলের সুপারকে আমার আগেকার প্রেমিকার মত দেখতে। এখানে চাকরি করলে রোজ ওকে দেখতে পাব।
– অ্যাঁ এখানে পা রাখতে না রাখতেই সুপারের প্রেমে পড়ে গেলে?
– আমি প্রেমে উঠতে চেষ্টা করছি, পড়তে নয়।
– তোমার প্রেমিকা তোমায় ছাড়ল কেন?
– ছাড়েনি। ছাড়া ছাড়া ভাব দেখাচ্ছে। এখানে চাকরি করলে পুরোপুরি ছেড়ে দেবে।
– ঠিক আছে, এবার তুমি যাও।
– চাকরিটা কি আমি পাব?
– না।
– কেন?
– কেননা এই কলেজটা পাগলখানা নয়, তাই।
– তাহলে এতক্ষণ ধরে ইন্টারভিউ নিলেন কেন?
– ওতো টাইম পাস। এবার যাও। জয় জগন্নাথ।
– জয় জগন্নাথ। ভালোই হয়েছে, আসলে প্রেমিকাকে ছাড়ার কথা ভাবলেই আমারও বুকটা হু হু করে উঠছিল। আর ঐ সুপার মেয়েটিও আজ সকাল থেকে আমায় আর পাত্তা দিচ্ছিল না। গুড বাই। কন তে পারতিরো।
– আরে দাঁড়াও দাঁড়াও, এইমাত্র তুমি একটা কী যেন বললে কী তিরো। কথাটার মানে কী?
– বলব কেন? আপনারা আমায় চাকরি দেবেন না, আর ভালো ভালো কথা শিখে নেবেন আমার কাছ থেকে?
– তোমার ইন্টারভিউ এখনও শেষ হয়নি। বলো কথাটার মানে কী এবং ভাষাটাই বা কী?
– কথাটা একটি ইতালিয়ান অপেরাটিক পপ গানের লাইন। মানে হচ্ছে, “তোমার সঙ্গে আমি চলে যাব।” এই গান শোনার একটা গল্প আছে। গল্পটা আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম।
– কী গল্প?
– গল্প বললে চাকরি দেবেন?
– গল্পটা ভালো লাগলে নিশ্চয়ই দেব।
– ভালো লাগা না লাগা ডিপেন্ড করছে আপনার মন কতটা সংবেদনশীল তার ওপর। আপনার বুকের ভেতর যদি প্রকৃত মনুষ্য হৃদয় থাকে তবে ভালো লাগবে, নইলে নয়।
– ঠিক আছে, শুরু তো করো।
– শুরু করছি। মন দিয়ে শুনুন:
আমি যে ইতালিয়ান অপেরাটিক পপ শুনব তা আমি কেন আমার বাবাও কোনদিন ভাবতে পারেননি। স্বপ্নে দেখি, বসে আছি গ্লোব সিনেমা হলে। আমার পাশে বসে আছেন কবি পূর্ণেন্দু পত্রী। ব্যস আর কেউ নেই। সারা হল ফাঁকা। হঠাৎ পর্দায় ভেসে এল ‘টাইম টু সে গুড বাই’। পুরনো হলিউডি ইংরিজি সিনেমা। সেই সিনেমার দৃশ্যের মধ্যেই সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আসর। একটি মেয়ের মুখ। গোলগাল ফরসা নার্সারি রাইমসের ‘চাবি চিকস্, ডিম্পন্ড চিন, রোসি লিপস্, টিথ উইদিন’-এর মত। যেন ঠিক আমাদের হিন্দি সিনেমার শ্রীদেবী। দর্শকেরা হাততালি দিচ্ছে, মেয়েটি স্টেজে উঠে তার পুরুষ সহশিল্পী অসাধারণ রোম্যান্টিক চেহারার এক যুবকের গালে হামি দিল। তারপর শুরু হল সেই মায়াবী গান- ‘কন তে পারতিরো’। যে গানের একটা কথাও আমি বুঝতে পারছি না, অথচ সুরের দোলায় ভেসে যাচ্ছি অজানা দেশে। গান গাইতে গাইতে মেয়েটি পুরুষ সঙ্গীর ঘাড়ে মাথা রাখছে। সঙ্গীটি কখনও তাকে জড়িয়ে ধরছে, তার মধ্যেই উদাত্ত গলায় গেয়ে চলেছে –
কন তে / পারতিরো / সু নাভি / পের মারি / কে ইও লো সো / নো, নো / নন এসিসতোনো পিউ টাইম টু সে গুড বাই কন তে আইও লি ভিভরো।
এইসব অজানা না শোনা শব্দের মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎই বুঝতে পারছিলাম একটা কথা- টাইম টু সে গুড বাই। আমি সঙ্গীতবোদ্ধা নই, গান শুনতে ভালো লাগে, কোনো গান শুনতে শুনতে চোখে জল আসে, আশেপাশে কেউ না থাকলে ভালো লাগা গানের কলি নিজের মনেই গুনগুন করি এই পর্যন্ত। কিন্তু সেদিন ঐ গান শুনে আর কিছুতেই স্থির থাকতে পারি না। বারবার সিনেমা হলের অপারেটরকে বলি, “আবার চালাও ঐ গান, বারবার চালাও।” পূর্ণেন্দু আমার কানে কানে বলেন, “বারবার শুনলে বিঠোফেনও জোলো লাগবে, এবার থামো।” খুব ইচ্ছে করে গানের কথাগুলোর মানে জানতে। একে তাকে জিজ্ঞেস করি, ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে গিয়ে খুঁজতে থাকি সেই গানের কথা। দেখি ওখানকার দেওয়ালে নোটিশ বোর্ডে কে আটকে রেখে গেছে ঐ গানের কথা আর তার মানে। জানতে পেরে অপার্থিব আনন্দ হয়। কথাগুলোর মানে :
“তোমার সঙ্গে আমি চলে যাব। জাহাজে চড়ে সমুদ্র পেরিয়ে। যা আমি জানি / না, না / সেগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। এখন সময় বিদায় নেওয়ার / তোমার সঙ্গে। আমি জেনে নেব সব।”
মনে পড়ে যায় ‘শেষের কবিতা’র কথা:
“ফর উই আর বাউন্ড হয়্যার মেরিনার হ্যাজ নট ডেয়ার্ড টু গো / অ্যান্ড উই উইল রিস্ক দ্য শিপ, আওয়ারসেলভস্ অ্যান্ড অল।”
“আমরা যাব যেখানে কোনো যায়নি নেয়ে সাহস করে / ডুবি যদি ডুবি না কেন/ ডুবুক সবই, ডুবুক তরী।”
সেই গান, মেয়েটির নাদব্রহ্ম থেকে উঠে আসা ‘ও’ আর ‘উ’-এর মধ্যেকার উচ্চারণ আমায় নিয়ে যায় এক অপরূপ মায়াবী জগতে। আমি আর আমার মধ্যে থাকি না। এক অসহ্য ভালোলাগা, এক অসম্ভব মনখারাপ চারিয়ে যায় আমার সমগ্র সত্তায়। মিউজিক হ্যাজ নো ল্যাঙ্গয়েজ কথাটা শুনেছিলাম। উপলব্ধি করলাম সেদিন। সেই পুরুষ ও মহিলা শিল্পী, হুইটম্যান, রবীন্দ্রনাথ সব একাকার হয়ে যায়। পূর্ণেন্দু বললেন, “জানো তো যে ছেলেটা গান গাইছিল, ও চোখে দেখতে পায় না।” অত রূপবান পুরুষ দৃষ্টিহীন জেনে মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল।
– আমার গল্প শেষ। এবার আপনারা বলুন কেমন লাগল?
– ভালো লেগেছে, কিন্তু এর মধ্যে গল্প কোথায়?
– গল্প বলতে আপনি কী ভেবেছিলেন? এ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার স্মৃতি উদ্যাপন। ওসব ছাড়ুন, ভালো যখন লেগেছে চাকরি দিন।
– ওকে, ইউ আর সিলেক্টেড। চাকরিটা কী তুমি করবে?
– করতে পারি যদি আমার তাকেও এখানে চাকরি দেওয়া হয়?
– তার কি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াবার যোগ্যতা আছে?
– আছে মানে? খুব আছে। আমার থেকে বেশিই আছে। তাকে একটা প্রশ্ন করলে, ডিটেলে উত্তর দেবে। আপনারা যেরকম চান। আপনি কম্প্রেসরের কথা মুখে আনতে না আনতেই সে আপনাকে কালো বোর্ডে সাদা চক দিয়ে ভেপার কম্প্রেসন সাইকেল এঁকে বুঝিয়ে দেবে। আমি ক্যান্টিনে আড্ডা মারতাম আর সে-ই তো আমার ক্লাস নোটস্ কপি করত। তাই সে নিজের সাবজেক্টের সাথে সাথে আমার বিষয়টাও বেশ ভালো জানে। কোনো বর্ষা বাদল দিনে আমার ক্লাস নিতে ইচ্ছে না করলে সে আমার ক্লাসটা নিয়ে নেবে।
– সে যখন তোমার ক্লাস নেবে, তখন তুমি কী করবে?
– কী করব আবার, কিছুই করব না। বৃষ্টি দেখব, পুরনো জন্মের সব কথা মনে পড়বে। সেগুলো একটা খাতায় লিখে রাখব। এইরকম পুরনো কিছু লেখা পড়ব।
– ওহ গড! তোমার আবার আগের জন্মের কথাও মনে পড়ে? তুমি তো দেখছি মহাপুরুষ হে।
– এতে মহাপুরুষত্ব কিছু নেই। চেষ্টা করলে আপনিও পারবেন। আপনি ঠিক একবছর আগে কী করছিলেন, মনে করার চেষ্টা করুন। তারপর পিছোতে থাকুন, ক্রমশ পিছোতে পিছোতে দেখবেন পূর্বজন্মে পৌঁছে গেছেন। এইরকম করতে করতে একসময় ওটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন একটা কিছু ট্রিগার দরকার। যেমন আমার, আকাশে মেঘ করলেই মনটা সজল হয়ে যায়। মনে পড়ে, আমি কলেজের লাইব্রেরির সিঁড়িতে বসে আছি। সে একা একটা লেডিজ সাইকেল চালিয়ে আসছে লাইব্রেরির দিকে। আমি একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি তার দিকে। কয়েকদিন আগে কলেজ ফেস্টে তার গাওয়া গান: ‘হ্যাভ ইওরসেলফ আ মেরী লিটল্ ক্রিসমাস’ আমার কানে কেউ গুনগুন করে যাচ্ছে। তার কপালে ছেলেদের মত করে কাটা এলোমেলো চুল, মুখটা কেমন বিষণ্ণ। আমি হঠাৎই দুদ্দাড় করে উঠে বিনা ভূমিকায় তার কাছে গিয়ে বলে ফেললাম, “ঐ ক্রীসমাসের গানটা একবার শোনাবে?” সে বলল, “না।” তারপর সাইকেলের মুখটা ঘুরিয়ে সে অন্যদিকে চলে গেল। আমি আবার ধীরে ধীরে আগের জায়গায় গিয়ে বসলাম। ব্যাগ থেকে ডায়েরি বার করে লিখলাম কিছু শব্দ। তারপর সেই শব্দগুলোকেই কাটাকুটি করতে করতেই তারা একটা কবিতার রূপ পেয়ে গেল।
– কী কবিতা?
– সে অন্য কবিতা।
– লাইনগুলো বলো।
– বাংলায় মনে পড়ছে, তবে চেষ্টা করলে ইংরিজিতেও বলতে পারি।
– ঠিক আছে, আগে বাংলাটা শুনি। আমি অনেক বাঙালির থেকে ভালো বাংলা জানি।
– কবিতা শুনলে আমার তাকে চাকরি দেবেন?
– যদি সত্যিকারের কবিতা হয়, তবে দেব।
– তবে শুনুন:
থমকে আছে মেঘ,
স্তব্ধ গাছের পাতা
প্রতীক্ষাতেও শুকনো মাটি,
নাকি বৃষ্টি লেখার খাতা?
বৃষ্টি লেখার খাতা!
আমার সৃষ্টি গেছে ভেসে।
সেই মেয়েটি না বলেছে,
একটুখানি হেসে।
– এবার ইংলিশ ভার্সানটা বলো। ঠিকঠাক লাগলে তোমাদের দুজনের চাকরি পাকা।
– শুনুন:
Waiting clouds,
silent leaves,
reminiscent soil
or, book for writing rain?
Book for writing rain!
My whole being
has been drained.
With a half faint smile
that girl said, “NO.”
এরকম আরও অনেক কবিতা আমি তাকে নিয়ে লিখেছি। কখনও ইংরিজিতে কখনও বাংলায়। যেমন লিখেছিলাম, গিফট অফ দ্য সামার সলস্টিস্। একবার একুশে জুন সারাদিন খুব বৃষ্টি হল। আমারও তার কথা খুব মনে পড়তে লাগল। তাকে দেখতে ছিল ব্লু লেগুনের বাচ্চা ব্রুক শিল্ডসের মতো। মনে হল ওই দিনেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। দীর্ঘ এক কবিতা লিখেছিলাম, কবিতাটা লিখেই টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই নিউজ পেপারে তো কোনো পোয়েট্রি সেকশন ছিল না। তবু তারা আমার কবিতা ছাপিয়েছিল, এটাকে আপনি কী বলবেন পূর্ব জন্মের সুকৃতী না আ ম্যাটার অফ কোইন্সিডেন্স? কবিতার কয়েকটা লাইন এখনও মুখস্থ আছে। শুনুন:
When the plants and shrubs.
bend down after rains.
trees are greener on all sides,
the robin sheds dirt
from its wings,
when riparian feelings
pervade in every mind,
you must come then
like a real woman
in ochre silk
rinsing hair with
joss stick flavour
smearing your arms with
fragrance of unknown flower
and say,
“Take me now,
hold me please,
I am yours, truly yours”.
ধন্যবাদ আমাকে এতক্ষণ ধরে সহ্য করার জন্য।
– তোমাকেও ধন্যবাদ। তোমার যাওয়া আসার ভাড়াটা নিয়ে যাও। ঠিকই বলেছ সত্যিই আমাদের হৃদয় ও মস্তিস্কের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছিল। তুমি খুব বুদ্ধিমান।
ওনারা আমাকে দু’টো কড়কড়ে হাজার টাকার নোট ধরিয়ে সাইন করিয়ে বিদায় করলেন। আমারও বুকের ভেতর দিয়ে কেমন একটা হালকা বাতাস খেলে গেল যাক এই পাণ্ডববর্জিত স্থানে আর আমায় চাকরি করতে হবে না। কলকাতায় ফিরে যাব, ওখানেই যা পারি করব। আবার সেই ট্রেকার, বাস, ট্রেন- ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন।
১৪-৪-২০২৫
সোমবার
*******
********
একটা সহজ চিন্তা ভাবনা নিয়ে ভালো একটা লেখা।