নিধি কথা রাখে নি
@অর্নব চ্যাটার্জি, ১৯৮৩ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
আমার হস্টেলের রুমমেট ছিল শ্রী রামমোহন চট্টোপাধ্যায়, আমরা সংক্ষেপে বা আদর করে রামু বলেই ডাকি। চাকরি সূত্রে দীর্ঘ ৩৩-৩৪ বছর সে রাঁচিতে কাটিয়েছে। মূল বাসস্থান ও শিকর কলকাতায় – তাই সুযোগ সুবিধা পেলেই কলকাতায় আসত, আবার ছুটির শেষে চাকরিস্থলে ফিরে যেত। এইভাবে অনেকবার ট্রেনে ভ্রমণ করেছে সে। একদিন ওঁর সাথে আমরা হিসেবে বসেছিলাম – বললাম, “বল রামু, এই হাওড়া – রাঁচি ট্রেনপথে মোটামুটি কত কিলোমিটার ট্রেন জার্নি করেছিস? আর কত টাকা তোর পকেট থেকে রেলের ঘরে গেছে?” ও মোটামুটি একটা হিসেবও দিয়েছিল। তার সাথে নিজের ট্রেন সফরের এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। সেই সফরের অভিজ্ঞতা এবং কিছুটা আমার কল্পনার সংমিশ্রণে লেখা গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো —–
********
নিধি প্রথমটা বেশ হকচকিয়ে গেলো। কি বলবে ভেবে পায় না। বিয়ের পর সবে মাত্র কয়েকমাস অতিবাহিত হয়েছে… এমন সময় তাঁর স্ত্রী প্রমীলা অভিযোগ করলো যে নিধির নাসিকা গর্জনের শব্দে নাকি বাড়ির ভিত পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। নিধির নাসিকা গর্জনের মাত্রা নাকি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রাত্রিকালীন নিদ্রার ন্যূনতম প্রয়োজনটুকুও পরিপূরণ করা প্রমীলার পক্ষে সম্ভপর হয়ে উঠছে না। শব্দ দূষণের এই ভয়াবহ পরিবেশ দিনের পর দিন প্রমীলার মানসিক শান্তির চূড়ান্ত ব্যাঘাত ঘটিয়ে চলেছে। আর অন্যদিকে দাম্পত্য জীবনের প্রেম শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে নিধির অনেক অনেক রঙিন কল্পনার অঙ্কুরেই বিনাশ ঘটল। নাক ডাকার শব্দ ডোমেস্টিক ভাওলেন্স এর পর্যায়ে পড়ে কিনা এই চিন্তায় নিধিরও রাতের ঘুম উড়ে গিয়ে সেও ভয়ে ভয়ে দিন কাটায়।
নিধির চরিত্র বা স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা এবং কর্তব্যপরায়নতা এদব কোন কিছু নিয়েই সমস্যা নেই। সমস্যা এবং সংসারে যাবতীয় অশান্তি ঐ এক… নিধির নাকডাকা কে কেন্দ্র করে। কিন্তু মানুষ অভ্যাস এর দাস। কালপ্রবাহে প্রমীলা এই শব্দের সাথে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিলো। নাকডাকার আওয়াজ কানে না এলে এখন যেন তার ঘুমই আসতে চায় না। এমনও হয়েছে যে অনেকদিন…… নিধির নাক ডাকার নিনাদ না শুনতে পেয়ে সে ভয় পেয়ে গেছে… কিছু হলো না তো তার স্বামীর!!!! নিধিকে মাঝরাতে ঠেলা মেরে জাগিয়ে জিজ্ঞেস করেছে … ওগো হ্যাঁগো, কি হোলো গো? নাক ডাকছ না কেনো? নিধি ধড়ফড় করে উঠে বসে সলজ্জ দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। নাকডাকার শব্দ নবদম্পতির দাম্পত্যের সুর তাল লয়ে নতুন এক মাত্রা নিয়ে এলো।
শব্দসমস্যা এবার যেন কিছুটা চরিত্র বদল করে উদয় হলো। নিধির স্ত্রীর কথা অনুযায়ী আগে কেবল নাক থেকেই শব্দ বের হতো। ইদানিং নিধির নাক এবং মুখ এই দুইই শব্দনিনাদে একে অপরকে টেক্কা দেয়। কখনো নাক, নাক থামলে মুখ আবার কখনও কখনও উভয়ে একত্রে যুগলবন্দী করে, আলাপ দিয়ে শুরু, ঝালা দিয়ে শেষ। আজকাল আবার কখনও কখনও নাকি সব আওয়াজ হঠাৎ থেমে যায়… তখন প্রমীলা ভগবানের নাম স্মরণ করে দুচোখের পাতা যেই এক করে তখন আবার শুরু হয় সেই বিভীষিকা। মানে খানিক আগেই যা লিখেছি, নবদম্পতির দাম্পত্যজীবনের সুর তাল লয়ে নতুন এক মাত্রা নিয়ে এলো।
বিয়ের পর প্রথম বসন্তের রোম্যানটিসিসম নাসিকা গর্জনের পদতলে গুমরে কেঁদে চলে। ফিকে বসন্ত আস্তে আস্তে বিদায় নেয়। কিন্তু এবার এলো গরমকাল- একে গরম তার উপর নাক আর মুখের বিচিত্র আওয়াজ … নিধি বেশ বুঝতে পারে সে তার স্ত্রীর উপর অনিচ্ছাকৃত অত্যাচারের মাত্রা কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। বিয়েতে অনেক খরচা হয়ে গেছে। পকেটে অত পয়সা নেই। তাই ধার দেনা ক’রেই একখানি সেকেন্ড হ্যান্ড বাতানুকুল যন্ত্র কেনে। যন্ত্রটি ঘর ঠাণ্ডা করলেও নিধির নাক আর মুখের সাথে শব্দ উৎপাদনেও সক্রিয় ভুমিকা নিতে থাকে।
অর্থাত নিধির নাক আর মুখ নিসৃত শব্দ সাথে বাতানুকুল যন্ত্রের ভিন্ন তরঙ্গের শব্দ —
সবই ভাগ্যের পরিহাস মেনে নিয়ে প্রমীলা মুখ বুঝে সহ্য ক’রে চলে।
নিধির নাক ডাকা নিয়ে নানান ঘটনার কথা প্রমীলার কানে আসতে থাকে। লজ্জায় তার মাথা হেঁট হয়ে যায়। নিধির এক সহপাঠীর থেকে শোনা……… একসময় নিধির নাকি মাঝেমধ্যে যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ার ব্যামো ছিল… আর সাথে নাক ডাকা। নিধি তখন ক্লাস সিক্স কি সেভেনে পড়ে। একবার ইতিহাস ক্লাসে প্রসন্ন স্যার পলাশীর যুদ্ধ পড়াচ্ছিলেন। পড়াতে পড়াতে স্যার যুদ্ধের সাথে একেবারে একাত্ম হয়ে গেছেন। স্যারের পড়ানোর পদ্বতি এতো সুন্দর ছিল যে ইতিহাসের মতন রসকষহীন বিষয়ও প্রায় সব ছাত্রই মন দিয়ে শুনত। ছাত্র শিক্ষক উভয়ই পলাশীর প্রান্তরে নেমে পড়েছে। এমন সময় কড় কড় করে বিকট আওয়াজ। সকলেই ভাবল এ বুঝি যুদ্ধের গোলাগুলির শব্দ। পলটু হাত তুলে উঠে দাঁড়ালো……মাষ্টার মশাই, নিধি নাক ডাকছে। প্রসন্ন মাষ্টার নিধিকে কান ধরে নিয়ে গেলেন হেডস্যারের ঘরে। বিচারসভা বসলো নিধিরাম পুরকায়স্থর নাক ডাকার উপর। বিচারকের আসনে স্বয়ং হেডমাষ্টারমশাই। তিনি এমনিতে মাটির মানুষ। ছাত্রদের তিনি নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতেন। বললেন নাক ডাকার উপর কারোর নিয়ন্ত্রণ নেই। ঘুমিয়ে পড়লে প্রায় সব মানুষই অল্প বিস্তর নাক ডাকে। তাই নাক ডাকার জন্য কোনও শাস্তি দেওয়া যাবে না। তবে হ্যাঁ … নিধি ক্লাস চলাকালিন ঘুমিয়ে পড়ে যে অপরাধ করেছে তার অল্প হলেও শাস্তি হওয়া দরকার। সেই শাস্তি দেওয়ার ভার তিনি প্রসন্ন মাষ্টারমশাই এর উপর ছেড়ে দিলেন। প্রথমবার বলে প্রসন্ন মাস্টার কোন শাস্তি না দিয়ে নিধিকে ছেড়ে দিলেন। তবে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিধির জন্য ক্লাসে স্পেশাল মনিটর প্রথা চালু হয়ে গেলো। একজন ছাত্রের কাজ ছিল ক্লাস চলাকালীন নিধির উপর কড়া নজর রাখা… সে যাতে ক্লাসে ঘুমোতে না পারে।
প্রমীলা অনেক ডাক্তার কবরেজ করলো। কোনো লাভ হলো না। অবশেষে সে গগন ডাক্তারের শরণাপন্ন হলো। হাতুড়ে ডাক্তার হলে কি হবে, তাঁর টোটকায় পাড়ার অনেকেরই উপকার হয়েছে। গগন ডাক্তার নিদান দিলেন জল হাওয়া পরিবর্তন করলে হয়ত সমস্যা মিটবে। প্রমীলা নিধি কে বলে … চলো না দিন পনেরো কোথাও ঘুরে আসি। কিন্তু নিধির ছুটি আর মনজুর হয় না।
এমন সময় ঘটলো সেই অভূতপূর্ব ঘটনা। বেশ কয়েকদিন ধরে অফিসে কতৃপক্ষের সাথে স্টাফ ইউনিয়ন এর দাবি সনদ নিয়ে জোরদার মীটিং চলছে। নিধি স্টাফ ইউনিয়নের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য হিসাবে মিটিং-এ উপস্থিত থাকে। শেষ পর্যায়ের মিটিং-এ ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি বক্তব্য রাখছেন। এমন সময় ছন্দ পতন……অপ্রত্যাশিত- অনভিপ্রেত- বিকট এক শব্দ…… কোথা থেকে আসছে!!!!!! চাপা গুঞ্জন শুরু হলো। একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার এ কি পরিণতি!!!!!! আলোচনার আর গুরুত্বই তো রইল না………পুরো ব্যাপারটা ভীষণভাবে লঘু হয়ে গেলো। শব্দের উৎস সন্ধানে সকলেই ব্যাস্ত। বিশাল সম্মেলন কক্ষের এক কোণে দেখা গেলো অর্ধনিমীলিত চোখে নিধিরাম পুরকায়স্থ নিজের অজান্তেই নাক থেকে শব্দ উৎপাদন করে চলেছে।
আলোচনার বিষয় ছিল স্টাফ ইউনিয়নের দাবি সনদ। সেই বিষয় এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে। সিরিয়াস সভাকক্ষে নাক ডেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে নিধির কেন শাস্তি হবে না এই নিয়ে অফিস কতৃপক্ষ নিধিকে লম্বা চওড়া শো’কজ চিঠি ধরাল … ইউনিয়নকে চিঠির কপি দেওয়া হলো। সেই শো’কজ চিঠির উত্তর দিতে গিয়ে স্কুলের হেডমাস্টার মশাইয়ের সেই যুক্তির কথা মনে পড়ে গেলো নিধির…… নাক ডাকার উপর কারোর নিয়ন্ত্রণ নেই…… নাক প্রায় সকলেই ডাকে। সেই যুক্তির উপর ভিত্তি করেই নিধি বেশ গুছিয়ে চিঠির জবাব দিলো। কিন্তু স্কুল আর কর্মক্ষেত্র তো এক নয়। একজন নববিবাহিতের রাত্রি জাগরন এবং ফলস্বরুপ পরের দিন দিবানিদ্রা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু এই সত্য উপলব্ধি করে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড এ নিধিকে মাফ করার কেউ নেই। অফিস কতৃপক্ষ নিধির এই আচরণকে কর্পোরেট কালচার এর পরিপন্থী হিসাবে গণ্য করে তাকে কর্পোরেট অফিস থেকে বদলি করে দিলো। রাঁচিতে এক গুরুত্বহীন স্টোরে পোস্টিং হলো নিধির। ইউনিয়নকে ধরে নিধি সেই ট্রান্সফার অনায়াসেই আটকাতে পারতো। কিন্তু এ ধরনের অন্যায় প্রভাব খাটানো নিধির চরিত্রের বিরোধী। তার জন্য কতৃপক্ষের কাছে বা ইউনিয়নে মাথা নত করবে তা সে ভাবতেই পারত না।
প্রমীলা ট্রান্সফার এর কথা শুনে বেজায় খুশি। মনে মনে ভাবে গগন ডাক্তার তো বলেইছেন স্থান পরিবর্তন করলে হয়তো নিধির নাক ডাকা বন্ধ হতে পারে। রাঁচি যাওয়ার আগে প্রমীলা নিধিকে একটা শর্ত দিলো ……… নিধি ট্রেন এ ঘুমোতে পারবে না। কারন এতগুলো লোকের মধ্যে নাক ডাকলে প্রমীলার লজ্জায় মুখ লোকানোর জায়গা থাকবে না। হাওড়া থেকে রাঁচি তো এক রাত্রির যাত্রা পথ, আশা করি এ শর্ত মানতে তোমার আপত্তি থাকার কথা নয়… প্রমীলা বলল নিধিকে। নির্বিবাদী নিধি তাই মেনে নিলো। কথা দিলো এ যাত্রায় সে কিছুতেই ঘুমোবে না…… নাক ডাকা তো দুরের কথা।
ইষ্ট নাম জপে ট্রেনে উঠলো দুজন। স্লিপার ক্লাসের টিকিট … নিধির আপার বার্থ আর প্রমীলার লোয়ার। নিধি মুখের সামনে একটা গল্পের বই মেলে ধরল … পড়তে পড়তে রাত কাবার করে দেবে। প্রমীলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিধিকে একবার দেখে নিলো। নিধি বই এর মধ্যে ডুবে গেছে। ঘুমিও না কিন্তু…… শেষ বারের মতো সতর্ক করলো নিধি কে।
রাত শেষ হয়ে সদ্য ভোরের আলো ফুটছে। শরতের সকাল। ট্রেনের হাওয়ায় লাইনের ধারের কাশ বন দুলছে । রাত জাগা দু’চোখ নিয়ে ভোরের সকালের সে দৃশ্য নিধি ট্রেনের জানালা দিয়ে উপভোগ করছে আর ভাবছে প্রমীলার হাত ধরে যদি দু’জনে মিলে কাশবনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতাম। পরের স্টেশনে নেমে গেলে কেমন হয়!! প্রমীলাকে ঘুম থেকে ওঠানো কি ঠিক হবে? আজ প্রমীলা অনেকদিন পর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে কারন আজ তার নাক ডাকে নি। এদিক ওদিক নানান কথা ভেবে প্রমীলার কানের কাছে গিয়ে বললো, “চলো পরের স্টেশন এ নেমে গিয়ে শিশিরে ভেজা কাশ বন দেখি। সেখান থেকে বাস ধরে রাঁচি চলে যাবো।“ প্রমীলা এরকম রোম্যান্টিক প্রস্তাব তার স্বামীর থেকে আশা করে নি। চলো নেমে যাই… এক কথায় সে রাজি।
কাশবন দিয়ে হেঁটে চলেছে দুজন। কাশ এর তালে তালে নিধির সমস্ত শরীর যেন দুলছে। প্রমীলা বলে, “এমন সুন্দর সকাল … যেখানে নেই কোন নাক ডাকার শব্দ আছে কেবল পাখির কূজন … তুমি আমাকে উপহার দেবে ভাবতে পারিনি… ভোরের কাশ বনে মধুচন্দ্রিমা কজনের ভাগ্যে থাকে?”
সমস্ত শরীরে অনাবিল আনন্দের এক নতুন অনুভুতি মেখে ভেসে বেড়ায় নিধি … পাশেই তার প্রিয়তমা। তার মনে হয় ভোরের মৃদুমন্দ বাতাস যেন তার শরীরে ক্রমাগত হাল্কা এক স্পর্শ দিয়ে চলেছে। বহমান বাতাস এর গতি ক্রমশ বাড়তে থাকে। এবার সে বাতাস ধাক্কা দিতে শুরু করেছে। নিধির সারা শরীর জুড়ে হাওয়ার ধাক্কায় নিধির সারা শরীর দুলছে। হাওয়ার ধাক্কা থেকে ঝাঁকুনি – সারা শরীর ধরে কারা যেন কারা ঝাঁকাচ্ছে। কিন্তু ভোরের শান্ত প্রকৃতির বুকে হঠাত এতো শোরগোল কিসের…… বাতাসও তো হঠাত থেমে গেল…… তাহলে কিসের ধাক্কায় দুলে চলেছে তার শরীর। পাখির ডাক ছাপিয়ে এ কাদের আর্তনাদ কানে আসে…… ভাই সাহাব উঠিয়ে……… হাম লোগো কো ভি শোনে দিজিয়ে……… কি হলো দাদা নাক ডাকাটা বন্ধ করুন। এরকম নানা শ্লেষাত্মক কথা কানে আসে নিধির।
চার পাঁচ জন সহযাত্রীর মিলিত ঝাঁকুনি তে ধড়ফড় করে উঠে বসে নিধি। রাত তখন একটা। নিধি বুঝতে পারে কাশ বনের বাতাস না, সহযাত্রীরা ঠেলছিল তাকে। তার ঘুম ভাঙিয়ে নাক ডাকার শব্দ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা।
ট্রেনে যাদের ঘুম আসে না তাদের কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে হাসি মস্করা করছে…দাদার ট্রেনে ঘুমনো উচিতই না। চারি দিক থেকে নানা ব্যাঙ্গক্তি ভেসে আসে নিধির কানে। গল্পের বই পড়তে পড়তে কখন যে দু’চোখের পাতা এক হয়ে গেছে খেয়ালই নেই নিধির। দেখে সামনের লোয়ার বার্থে প্রমীলা মুখ নিচু করে বসে আছে।
মনে পড়ে গেলো প্রমীলাকে কথা দিয়েছিল এ যাত্রায় সে কিছুতেই ঘুমোবে না।
দারুণ লেখা দারুণ
আরে, এ তো ঘর ঘর কি কহানি।
নিজে ঘুমিয়ে পাড়া পড়শিদের জাগিয়ে রাখবে।
চোর ত্রিসীমানায় আসবে না।
Excellent write up Arnab