দুই পৃথিবী
@জয়ন্ত মজুমদার, ১৯৬৩ মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
রাজপুত্র ও ছোট শহরের ফুটবলার
সময়কাল ১৯৩০-৩১ সাল, স্থান রাঁচি শহর।
রাঁচি তখনও আজকের মতন শিল্পনগরী হয়ে ওঠেনি, এবং বিশেষত বাঙালীদের কাছে রাঁচি ছিল স্বাস্থ্য পুনঃরুদ্ধারের জায়গা। আর সমুদ্রতল থেকে ৭০০ মিটার উঁচুতে এই শহরকে বলা হতো City of Falls, তাই বহু বাঙালী এখানে বেড়াতে আসতেন।
আগে রাঁচি নিয়ে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বলি।
চতুর্থ শতাব্দীতে নাগবংশী রাজা প্রতাপ রাই এখানে নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। মোঘল শাসনকালে রাজ্যের সার্বভৌমত্য কিছুটা বিঘ্নিত হয়, কিন্তু নাগবংশী রাজারাই এখানে রাজত্ব করতে থাকেন। এর অনেক পরে ঠাকুর আনি নাথ সহদেও সুবর্ণরেখা নদীর কাছে শতরঞ্জিতে নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। তাঁরই অনুদানে ১৬৯১ সালে নির্মিত রাঁচি জগন্নাথ মন্দির আজও বিদ্যমান, এবং সারাবছর বহু পূন্যার্থী এখানে আসেন।
১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ রাজ এখানে প্রথম পৌরসভা (municipality) স্থাপন করেন, ১৮৭০ সালে নাগবংশী রাজ রাতু’তে নতুন রাজ্য স্থাপন করে। এবং ১৯০০ সালে উদয় প্রতাপ নাথ সহদেও এখানেই রাতু প্রাসাদের নির্মান করেন।
রাজনীতি ও স্বধীনতা আন্দোলনের আবহে ১৯০০ সালের ৯ জুন বীরসা মুন্ডা এখানের রাঁচি জেলে মারা যান।
১৯৫৮ সালে এখানে হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের পত্তন হয়। এর কিছুদিন বাদেই মেকন, (Metallurgical & Engineering Consultants (India) Limited) আর সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেড, এই দুই কোম্পানির সদর দপ্তর, হিনুতে স্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, এখানে স্থাপন করা হয়। ধীরে ধীরে রাঁচি এক শিল্পনগরীর চেহারা নেয়।
ফিরে আসি প্রসঙ্গে।
রাঁচি শহরে খেলাধূলার ভালো চল ছিল। আর সেইসময়ের শহরের সেরা ফুটবলার ছিলেন নগেনবাবু। কাজ করতেন একাউন্টস জেনারেল অফিসে। অবিবাহিত, দুটো ছোট ছোট কামরার এক সরকারী কোয়ার্টারে একলাই থাকতেন। কোয়ার্টার মানে শুধুই মাথার উপর একটি ছাদ আছে, জল নেই, বিদ্যুৎ তখন স্বপ্ন। নগেনবাবুর একটি কর্মঠ ও বিস্বস্ত ভৃত্য রামকঠিন সিং ওনার নিত্যদিনের দেখাশোনা করতো।
এমন সময় নগেনবাবুর উর্ধতন অফিসারের পরিচিত দূরদেশের এক রাজপরিবারের অচেনা এক রাজকুমার এসে উপস্থিত। রাজকুমারের বয়স আন্দাজ পঁচিশ, স্বাস্থ্য ভালো নয়, সর্দি কাশিতে ভোগে, স্বাস্থ্য উদ্ধারে এখানে এসেছে, কিন্তু থাকার জায়গা নেই। যাই হোক, উর্ধতন অফিসারের অনুরোধ (বা, আদেশ) ফেলা যায় না। রাজপরিবারের সেই অচেনা ছেলেটি নগেনবাবুর কুঠুরিতে ঠাই পেলো। নগেনবাবু আরও জানতে পারলেন, এই অচেনা রাজপুত্র কতদিন এখানে থাকবে, সে কেউ জানে না। নগেনবাবু একদিকে পুলকিত, কারণ রাজবংশের একটি ছেলে উনার সাথে থাকবে, আবার অন্যদিকে চিন্তিত যে এই রাজবংশীয় ছেলের চাহিদা আদব কায়দা কিছুই তিনি জানেন না, এমনকি কবে সে বিদায় নেবে তারও স্থিরতা নেই। নগেনবাবু দেখলেন, ছেলেটির সাথে আছে সামান্য কিছু জামাকাপড়, আর একটি হারমোনিয়াম, পরে জানলেন সেটি নাকি খুবই দামী এক হারমোনিয়াম। অর্থাৎ বোঝা গেল যে ছেলেটি গানবাজনা নিয়েই থাকে।
পরদিন থেকে প্রিন্সের রুটিন চালু হয়ে গেলো। নগেনবাবু ও অন্যান্য কয়েকজনের সাথে রোজ সে প্রাতঃভ্রমণে যায়। শুরুতে প্রিন্সের শরীরে না দিলেও কিছুদিন বাদে সেও অন্যদের সাথে সমান তালেই হাঁটতে শুরু করলো। আমরা যাকে বলি স্ট্যামিনা, কিছুটা বেড়েছে।
এরপর সকাল দশটায় নগেনবাবু অফিস চলে যান, তখন তাঁর বিস্বস্ত ভৃত্য রামকঠিন সিং প্রিন্সের খেয়াল রাখে। না, কোনরকম রাজকীয় ভোজন নয়, অতি সাধারণ খাদ্য যা প্রিন্স সানন্দে উপভোগ করে। তারপর প্রিন্সের লম্বা দিবানিদ্রা।
বিকেলে অফিস থেকে এসে নগেনবাবু ফুটবল খেলতে যান, প্রিন্স মাঠের বাইরে থেকে খেলা দেখেন।
আর সন্ধ্যার পরে সেই ছোট্ট কোয়ার্টারেরই অন্য এক রূপ। প্রিন্স তাঁর সাধের হারমোনিয়াম নিয়ে একের পর এক গান গেয়ে যায়। আর দিকে দিকে বার্তা রটি গেল ক্রমে, নগেনবাবুর বাড়িতে অল্পবয়সী সুকন্ঠের অধিকারী গায়কের গান শুনতে প্রতি সন্ধ্যায় ভীড় হতে লাগলো।
প্রিন্স, বা গায়ক ন’মাস কাটিয়ে দিলেন। কিভাবে যেন দিনগুলি কেটে গেল। এখন প্রিন্স অনেক সুস্থ, এবং রাঁচির জলহাওয়ার গুণে সর্দি কাশি সারিয়ে গলায় জোর দিয়ে গানও গাইতে পারে। কিন্তু একদিন তো নিজের ঘরে ফিরে যেতেই হয়, প্রিন্স ফিরে গেলেন।
এরপর প্রায় বছরখানেক হয়ে গেছে। রাঁচি তার গতানুগতিক জীবনেই চলছে। নগেনবাবু তাঁর অফিস আর ফুটবল নিয়ে ব্যাস্ত। তবে আগের মতন প্রতি সন্ধ্যার গানের আসর তিনি ভুলতে পারছেন না।
এমন সময় ১৯৩২ সালের কোনো একদিন নগেনবাবুর কাছে একটি পার্শেল এলো। তখনকার সময়ের ৭৮ আরপিএমের গ্রামাফোন ডিস্ক। হিন্দুস্থান মিউজিক কর্পোরেশনের দুটি বাংলা গান। গান দুটি “এ পথে আজ এসো প্রিয়” আর “ডাকলে কোকিল রোজ বিহনে”, খামাজ রাগাশ্রয়ী দুটি গান। এর সাথে বাংলায় একটি চিরকুট, যার হুবহু কপি এখন পাওয়া কঠিন, তবে সারমর্ম এই,
“প্রিয় নগেনবাবু,
আমি রাঁচি ভুলতে পারবো না। রাঁচি ও আপনার সান্নিধ্যে আমি নতুন জীবন পেয়েছি। আমার গাওয়া প্রথম গ্রামাফোন ডিস্ক আপনাকে পাঠালাম। দয়া করে শুনবেন, আমার রাঁচির অন্য শুভানুধ্যায়ীদের শোনাবেন।
ইতি
কুমার শচীন দেব বর্মন
Jayanta Mazumdar.
August 5, Year 2023
*****
কমিউনিস্ট ভিয়েতনাম ও ফ্রেঞ্চ সোমেলিয়ার
আমার মেয়ে জামাইএর দৌলতে আমাদের বেশ কয়েকবার ভিয়েতনাম ঘোরা হয়ে গেছে। অনেকসময় বেশ কয়েকবছর পরপর। একবার হ্যানয় শহরে গিয়ে আমার এক অভিজ্ঞতা এখানে শেয়ার করতে চাই।
আমরা যখন স্কুল কলেজের ছাত্র (আমি বিই কলেজ থেকে পাস করেছি ১৯৬৩ সালে), তখন ভিয়েতনামে চলছে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম। ১৯৪৫ সালে জাপানের থেকে শাসন থেকে মুক্তি, তারপর আবার পরাধীন। ১৯৫৪ সালে ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিলেও আমেরিকা এসে আবার দেশের দখল নিলে এবার আরেক স্বাধীনতা সংগ্রামে শুরু হয়েছে। সেই সংগ্রাম চলেছিল ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যতদিন না ভিয়েতনাম আবার নিজেদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়। এগুলো বলছি এই কারণে যে সেই সময় ভিয়েতনাম ছিল দুনিয়ার সবথেকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে একটি। কৃষি ছাড়া আর কিছুই ছিল না, ওঁদের রোজের বেঁচে থাকাটাই ছিল সংগ্রাম। ’৭৫ সালে আমেরিকা যখন দেশ ছেড়ে যায় (মানে বিতারিত হয়), তখন ভিয়েতনাম এক ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে। সেই দেশ এর পরবর্তী পাঁচ দশকে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, একে বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের জাপান বা জার্মানীর সাথেই তুলনা চলে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শুধু শিক্ষা, প্রাচীন ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার, দেশের পরিকাঠামো (infrastructure) বা বানিজ্যিক প্রসার নয়, নিজেদের ঐতিহ্যের পাশাপাশি প্রাচ্যের বিনোদনের সংস্কৃতির সাথেও সমানে পা মিলিয়ে চলেছে। আজকে আমার এরকম একটি অভিজ্ঞতার কথাই বলবো।
আমার মেয়ে অনিন্দিতা, আর জামাই আশীষ ভালো ওয়াইনের খুবই ভক্ত। ইউরোপের নামী দামী ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, জার্মান, ইতালিয়ান ওয়াইনের সূক্ষ গুনাগুণ এঁদের নখদর্পনে। এবং হ্যানয় শহরে সেগুলি প্রচুর পাওয়া যায়।
একদিন এক পার্টিতে দুজনেরই আমন্ত্রণ ছিল, কিন্তু অন্য ব্যাস্ততা থাকায় আশীষ যেতে পারছে না, আমার অর্ধাঙ্গিনী ইন্দিরাও বলে বসলো যে যাবে না। সুতরাং আমি আর মেয়ে যাবো। ড্রেস কোড ইনফরমাল, কিন্তু ছোট প্যান্ট (শর্টস), বা চপ্পল পায়ে প্রবেশের অনুমতি নেই। আমাদের গন্তব্যস্থল ছিল হ্যানয় লেকের লাগোয়া মার্কেটে কাছেই। জায়গাটি আমার চেনা, দোকান আমার চেনা, কিন্তু তারই বেসমেন্টে যে বড় লাউঞ্জ সহ সুন্দর একটি হাই ক্লাস বার আছে সে আমি জানতাম না। বার এর একটি মেয়ে আমাদের দুজনকে নীচে নিয়ে গেলো।
লাউঞ্জে এসে মনে হলো জনা দশ বারোজন এখানে উপস্থিত, বিদেশীদেরই আধিক্য, যদিও কয়েকজন ভিয়েতনামীও আছেন মনে হলো। বারের ভিয়েতনামী সার্ভিস টিমের (waiters and stewards) সাথে তিন চারজন স্মার্ট সুদর্শন ইউরোপীয়ন মেয়েও আছে। জানলাম এঁরা ট্রেনি sommeliers, প্যারিস থেকে এঁরা এসেছে সেলস প্রমোশনের জন্য। এখানে sommeliers কথাটা বুঝিয়ে দি, ফরাসি ভাষায়, সোমেলিয়ার শব্দের আক্ষরিক অর্থ “বাটলার” এবং এটি 19 শতক থেকে “ওয়াইন স্টুয়ার্ড” বা “ওয়াইন ওয়েটার” বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। sommelier এর সংজ্ঞা বিশেষ একজন অভিজ্ঞ ওয়েটার যিনি একটি হোটেল বা রেস্তোরাঁয় ওয়াইন পরিষেবা পরিচালনা করেন। প্রতিশব্দ: ওয়াইন স্টুয়ার্ড, ওয়াইন ওয়েটার। খেয়াল করলাম, সার্ভিস টিমের প্রতিটি waiters and stewards দের হাতে একটি করে ওয়াইনের বোতল।
দেখলাম আমার মেয়ে অনিন্দিতাকে এখানে কয়েকজন চেনে। স্বভাবতই তাঁকে উষ্ণ স্বাগতম দেওয়া হলো। একটি সুন্দরী সোমেলিয়ার আমাদের হাতে ওয়াইন গ্লাস দিয়ে জানালো যে নতুন কিছু ব্র্যান্ড এসেছে, আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পারি। রেড ওয়াইন, আমি নাসারন্ধ্র দিয়ে ঘ্রাণ নিয়ে তারপর এক চুমুক দিয়ে দেখলাম, পছন্দ হলো না। সেই সোমেলিয়ার নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় আমার নীরব অভিব্যক্তি সহজেই বুঝে নিলো। কোথা হতে একটা মেটাল bowl নিয়ে এলো, পাশে রেখে বললো যে ভালো না লাগলে আমি এখানে ফেলে দিতে পারি। আমাকে একটি টেবিলে বসিয়ে নানান রকমের ওয়াইন, আর সাথে কিছু স্ন্যাক্সও দিয়ে গেলো। আমি যত না খেয়েছি, তাঁর চেয়ে অনেক বেশি ওই মেটাল bowl এ ফেলেছি। অবশেষে একটি আমার পছন্দ হলো, হোয়াইট ওয়াইন।
দেখতে দেখতে এক ঘন্টা কেটে গেলো। আমি আমার মেয়ে অনিন্দিতার সাথে গল্প করছি। মেয়েও মাঝে মাঝে পরিচিতজনের সাথে টুকটাক কথা বলছে। লাউঞ্জে এতক্ষনে জনা তিরিশেক লোক এসে গেছে। এমন সময় চেহারার এক সম্ভ্রান্ত মার্জিত ভদ্রলোক এগিয়ে এসে জানতে চাইলেন, আমরা কি ভারতীয়, এবং কলকাতা থেকে? জানালাম উনি সঠিক ধরেছেন। উনি চেহারায় আপাদমস্তক বিদেশী, সন্দেহের অবকাশই নেই, জানালেন যে অনেকদিন ঢাকা শহরে ছিলেন, সেখানেই কাজ চালানোর মতন বাংলা শিখেছেন। ইলিশ মাছও খেতে পারেন। এবং আমাদের বাংলা কথাবার্তা শুনে নিজে এসেই আলাপ করলেন। বেশ কিছুক্ষণ কথার পর নিজেই পরিচয় দিলেন, ভিয়েতনামে Ambassador of Netherlands, এবং নিজের সংগ্রহের জন্য ভালো ওয়াইনের খোঁজে এসেছেন।
ইতিমধ্যে আমাদের প্রায় ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেছে। অনন্দিতা একজন সোমেলিয়ারকে ডাকতেই আমরা সেই সন্ধ্যায় যে যে ওয়াইন টেস্ট করেছি, মেয়েটি তার লিস্ট নিয়ে এলো। আমার মেয়ে তার মধ্যে গোটা ছয়েক মার্ক করে বলে দিলো হোম ডেলিভারি করে দিতে। পেমেন্ট অনলাইনে করে দেবে।
গল্পের এখানেই শেষ। কিন্ত আমার বক্তব্য যে মাত্র পাঁচ দশক আগে ধংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আজ ভিয়েতনাম ইউরোপকে কিভাবে প্রভাবিত (influence) করে ফেলেছে, না দেখলে বিশ্বাস হয় না। নিজেদের হাজার বছরের পুরনো ইউনিভার্সিটি (Temple of Literature), দেশের কোনায় কোনায় কয়েকশ’ বছরের পুরনো কয়েকশ’ প্যাগোডা, ইন্দোচীন স্থাপত্য যেমন সযত্নে রক্ষা করছে, তেমনি প্রাচ্যের আধুনিকতাও নিজেদের সমাজে গ্রহণ করেছে। যে দেশটি একদা ভিয়েতনাম দখল করেছিল, অসম স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই ফ্রান্স দেশটিই আজ নিজেদের নিজেদের নামী দামী ওয়াইনের ব্র্যান্ড সেলস প্রমোশন করতে এখানে আসছে। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে দূরদৃষ্টি, ও আধুনিক শিক্ষা, পরিকাঠামো, উদার উন্মুক্ত বানিজ্য, এসবের জন্যই। আমি ভাবতেই পারি না কতখানি রাজনৈতিক ও সামাজিক উদার (liberal) হলে একটি কমিউনিস্ট শাসিত দেশ এরকম উন্নতি করতে পারে?
Jayanta Mazumdar. June 5, 2021. Kolkata.
শচীন দেব বর্মনের এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না, লেখককে ধন্যবাদ