লন্ডনের দুর্গাপুজো
অঙ্কিতা মজুমদার, ২০০৯ ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
আমার পুজো
আগের বছর খুব ইচ্ছে ছিল লন্ডন যাব দুর্গাপুজো দেখতে। যে সে ইচ্ছা নয়। কঠিন ইচ্ছা। বহুমাস ধরে ভেবে রেখেছি। তারপরেও ঠিক পুজোর মধ্যেই অভির পেটের মাসলে টান ধরে সে বেচারার তো এক করুণ অবস্থা। হাঁটতে গেলেই সে টান আরো বেড়ে যাচ্ছে। মোটেই হাঁটতে পারে না। সে চলল হপ্তাখানেক। লন্ডন তো দূর, সাউথহ্যাম্পটনের এখানে যে পুজোটা হয়, সেই পুজোতে এখানকার সবাই গেলো, আমরাই কেবল যেতে পারলাম না। শুধু অষ্টমীর দিনই হবে বা, দুই’জনা ঠিক করলাম যে কিছু না হোক, কাছের দক্ষিণী রেস্তোরাতে গিয়ে ইডলিই খেয়ে আসব। পেটের মাসল টানের চক্করে সারাক্ষণ ঝোলভাতই খাচ্ছি। পুজোর দিন আর কাঁহাতক ঝোল খাওয়া যায়! তাই মোটামুটি হেলদি খাদ্য ইডলি খাওয়ার ব্যবস্থা।
তা সেই পুজোও কেটে গেল। ফেসবুকে মানুষজনের আলো আলো মুখের ছবি দেখে, বিভিন্ন প্যান্ডেল দেখে আর খাবারের ছবি দেখে। মোটের উপর মন্দ না। আর পুজো এলে এই বিদেশের আকাশও ঠিক ঝকঝকে নীল হয়ে যায়। একেবারে শরতের আকাশ। কাশ ফুলও ফোটে। আসল কাশ কিনা জানি না, কাশের মত দেখতে। তা সেইসব নিয়ে পুজো আসে, পৃথিবীর প্রত্যেকটা আকাশে, প্রত্যেকটা কাশের বনে। তবে আগের পুজোর অভিজ্ঞতা থেকে কিনা জানি না, এই পুজোতে কোনো প্ল্যান করিনি। প্ল্যান করতেই চাইনি আর কি! শুধু অফিস থেকে নবমী আর দশমীতে ছুটি নিয়ে রেখেছিলাম। এমনিই! ইচ্ছা হয়েছিল। কেবল কিচ্ছু করব না ভেবে ছুটি। অথচ কী করে কী করে যেন এইবারই লন্ডন যাওয়ার প্ল্যান হল। অভি প্ল্যান করল। ঠিক হল আমি, অভি, মৃন্ময়দা আর অভির এক বন্ধু শুভ, চারজন লন্ডন যাব পুজো দেখতে। সপ্তমীর দিন গিয়ে সারাদিন পুজো দেখব। প্ল্যানে থাকলো যে অষ্টমীর দিন সকালে আমি আর অভি বাকিংহাম প্যালেসে চেঞ্জ অফ গার্ডস দেখে আবার সবাই মিলে খেয়ে প্রিমরোজ হিলে একটু ঘুরে টুরে সন্ধের ট্রেন ধরে ফিরে আসব। প্ল্যান ভালো। বেশ এক্সসাইটিং ও। আমি কেবল মনে মনে আগে থেকে ভেবে ফেলতে চাইছি না, তাই ভাবছিও না। এরকম আমার হরদমই হয়। একটা কিছুর জন্য প্রচন্ড উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করে আছি, আর ঠিক কোনো না কোনো জটিল সমস্যা তৈরী হয়ে সেটা ভেস্তে যাবে। তার চাইতে না হওয়া অবধি বেশি নাচানাচি করে লাভ নেই। তবে মুখে যাই বলি, একটু একটু নাচানাচি মনের ভেতর চলে বইকি!
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন (BHF) সসস্যরা থেমস নদীতে কলাবৌ স্নান করাচ্ছেন।
ফটো ২০০২ সাল।
এদিকে আগের সোমবার থেকে বৃষ্টি। টিপটাপ বৃষ্টি না, যাকে বলে ঝুম বৃষ্টি। মেঘলা গোমড়ামুখো দিনের ভেতর কখনো বা একটু আধটু সূর্য দেখা যায়। ভাগ্য ভালো থাকলে। তা না হলে কেবল অন্ধকার আর কেবল বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে আমার কিছুই ভালো লাগে না। কী এক অদ্ভুত মনখারাপ চেপে ধরে। আমরা আলোর দেশের মানুষ বলেই হয়তো বা! দেখা গেল সপ্তমীর দিনেও বৃষ্টি হওয়ার কথা। কেবল অষ্টমীতে রোদ ঝলমল দিন।
আমাদের সকাল ন’টার ট্রেন। আমি আগের রাতে সব গুছিয়ে রেখেছি। আগের বছর বাড়ি গেলে আমার শ্বশুরমশাই যে শাড়িটা কিনে দিয়েছেন সেইটা সাথে করে নিয়ে এসেছি। সেটাই পরব। আমরা সবাই মিলে গিয়ে কিনেছিলাম। খুবই পছন্দের শাড়ি আমার। রাতারাতি আসার আগে ব্লাউজ বানিয়ে আনলাম তাড়াহুড়ায়। এসে দেখি সে কি যে এত বাজে ব্লাউজ বানিয়েছে! তার বদলে অন্য একটা ব্লাউজ বার করে, সাথে কী কী গয়না পরব, মেকাপ করব সব বার করে ঘুমাতে গেছি। এমনিতে যে আমি নয়টায় অফিস থাকলে নয়টা বাজতে পাঁচে চোখ খুলে ল্যাপটপ টেনে বসি, সেই আমি স্রেফ পুজোর সাজের উত্তেজনায় সকাল সাড়ে ছয়টায় উঠে পড়েছি। উঠে পা টিপে টিপে সব জিনিসপত্তর নিয়ে ওঘরে গিয়ে, স্নান করে, চুল টুল সোজা করে মেকাপ করে আটটার ভেতর সব কমপ্লিট। এবার কেবল শাড়ি আর গয়না পরলেই শেষ। পৌনে নয়টায় বেরিয়ে পড়ব। সব যখন প্ল্যানমাফিক এগোচ্ছে, অভির এক কলিগ যেও কিনা আমাদের সাথে যাচ্ছে, ফোনে জানাল তার বৌয়ের শাড়ি পরায় একটু হেল্প লাগবে, আসবে কিনা! আহা পুজোর দিনে শাড়ি পরায় হেল্প না করার চেয়ে বড় পাপ আর কী হতে পারে! তাকে আসতে বলে শাড়ি পরতে লেগে পড়েছি। এই যে আমার হিসাব করা পয়তাল্লিশ মিনিট তার ভেতরে আমার প্রাতরাশটাও ধরা ছিল। তা সবদিক রক্ষা করতে অভি এল ত্রাতার ভূমিকায়। আমি শাড়ি পরছি, সে খাইয়ে দিচ্ছে। ছোটবেলার মত। আমি জামাকাপড় পরতাম, সাজগোজ করতাম, মা পিছন পিছন ঘুরে খাইয়ে দিত। অভিটাও! আমি শাড়ি পরছি আর বকবক করছি। সে বাটি হাতে ঘুরছে আর খাইয়ে দিচ্ছে। কী অদ্ভুত জীবন আমাদের! একইরকম ছবি কেমন ঘুরে ফিরে আসে। স্থান, কাল, পাত্র বদলে যায়, কেবল একই ছবি তৈরী হতে থাকে।
শাড়ি পরা শেষ করে বাকি খাবার কোনোমতে শেষ করতে করতেই মেয়েটি হাজির। বাচ্চা মেয়ে। নিজে নিজে প্রথমবার শাড়ি পরেছে। বেচারা কুঁচি দিয়েছে উল্টো দিকে। সাড়ে আটটা অলরেডি বাজে। কোনোমতে তার শাড়ি ঠিক করতেই প্রায় পৌনে নয়টা। তখনও আমার ক্রিম ট্রিম ব্যাগে ভরা হয়নি। আর গয়নাও পরা হয়নি। কোনোমতে সেসব ব্যাগে ভরে যখন ক্যাবে উঠি হাতে সাত মিনিট। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে স্টেশন খুব কাছে।
গাড়ি থেকে যখন নামছি, হাতে আর দুই কী তিন মিনিট। অন্যদিন ওয়াটারলুর ট্রেন সবসময় ১নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ে, আর আজ আমাদের তাড়া বলেই সেই ট্রেন ৪নং এ দিয়েছে। দৌড়ঝাঁপ করে হাঁপাতে হাঁপাতে ট্রেনটা যাহোক পাওয়া গেল।
তবে আমাদের কপালে সপ্তমীর দিনের এডভেঞ্চারটা লেখা ছিল। সবাই যখন বেশ আড্ডার মেজাজে, হঠাৎ ট্রেন থেমে গেল। এইখানে না এলে জানতেই পারতাম না যে ট্রেনে এরকম হাজার একটা ঝামেলা হতে পারে। আর বছরের আদ্ধেক সময় ট্রেন স্ট্রাইক। তবে সেসব কথা পরে কখনো হবে, আপাতত এই ট্রেনের কথায় আসি। কিসব নাকি ফল্ট হয়েছে। ঠিক করার চেষ্টা চলছে। চেষ্টাও চলছে আর থেকে থেকে মাইকে দুঃখ প্রকাশ হচ্ছে। দুঃখ প্রকাশ করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। অবশ্য এই বিষয়টা আমার ভালো লাগে। মানুষ দুঃখ প্রকাশ করে, ধন্যবাদ জানায়, প্রশংসাও করে। এইসবেরই দরকার জীবনে, তবে ট্রেন মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লে মাইকে থেকে থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা শোনাটা মোটেই খুব একটা সুখকর ব্যাপার নয়। বিশেষ করে যখন সময়ের ভেতরে কোথাও যাওয়ার ব্যাপার আছে। বেশ কিছুক্ষণ দুঃখ প্রকাশের পর জানানো হল যে পরের স্টেশন অবধিই এই ট্রেন যাবে। আর যাবে না। অগত্যা, পরের স্টেশনে নেমে, ট্রেন বদলিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে আধঘন্টা মত দেরি হল। বা তার একটু বেশি। তবে এসবের ভেতর লাভের লাভ আমরা ফার্স্ট ক্লাসে চড়ে ফেললাম। ট্রেনে ফল্ট হওয়ায় পরের যে ট্রেন এল, পাকেচক্রে তার ফার্স্ট ক্লাসে উঠে পড়েছি। এখানে স্বল্প দূরত্বর ট্রেনেও ফার্স্ট ক্লাস থাকে। তার টিকিটও বেশ দামী। এতদিন খালি ভেবেছি কারা ওঠে এত বেশি টাকা দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে! আজ মনে হচ্ছে দূর্গা ঠাকুর মনে মনে বলেছিলেন, “যা তোকে ফার্স্ট ক্লাস দেখিয়ে দেব।” তবে যা দেখলাম, ব্যাপারটা ওভারহাইপড। শুধু সিটগুলো একটু চওড়া আর পিছনদিকে হেলানো। এই!
প্রথমে আমরা গেলাম হনসলো’র পুজো দেখতে। বড়ো রাস্তার পাশে একটা ছোট গলির মুখে ফুল আর শাড়ি দিয়ে একটু সাজানো। ঐটাই ঢোকার রাস্তা। ভেতরে একটা বড় হলে পুজো। আমরা যখন ঢুকলাম তখন বোধহয় অঞ্জলি হচ্ছে। দূর্গা মা আর তার পুরো পরিবার বেশ হাসি হাসি মুখে চেয়ে আছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, সাজসজ্জায় সোনালী রঙের ব্যবহার বড় বেশি। আর ঠাকুরের মুখগুলো মানুষের মত। অবশ্য তাতে পুজোর আনন্দে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটে না। হলের ভেতরে কী একটা হুলুস্থূল ব্যাপার। শাড়ি, পাঞ্জাবী পরে সবাই ছবি তুলছে, হাসছে, কলরব করে কথা বলছে, বাচ্চারা ছুটে বেড়াচ্ছে। ঠাকুরের সামনে মেম্বাররা পুজোর জোগাড় করছে। আমি নিজে বেশ অনেকবছর অঞ্জলি দিই না। তবে এই যে উৎসবমুখর আলো আলো মুখ দেখতে ভারী ভালো লাগে। সবার মুখেই হাজার একটা বাতি জ্বলে ওঠে।
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পূজায় সিঁদুর খেলা।
হনসলো’র পুজোয় কিছুক্ষণ থেকে আমরা বেরিয়ে এলাম। পরের গন্তব্য ইলিং এর পুজো। ঠিক করে রেখেছি, সেখানেই আমরা ভোগ খাব। তবে দুটো পুজোর ভেতরে দূরত্ব বেশ অনেকটা। দু’বার বাস বদলিয়ে যেতে প্রায় ঘন্টাখানেকের বেশিই লাগে। সাউথহল বলে একটা জায়গার ভেতর দিয়ে কোনো একটা বাস গেল। বেশ বড় এরিয়া। আর মনে হচ্ছে যেন ভারতের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। ঠিক ভারতও না, পাঞ্জাব। প্রত্যেকটা মানুষ হয় পাগড়ি মাথায় নয় সালোয়ার কামিজ পরা। রাস্তার পাশে সার দিয়ে শাড়ি, চুড়িদার, পাঞ্জাবির দোকান। সোনার দোকানই পড়ল তিন চারটে। সবথেকে মজার ব্যাপার, কতগুলো যে বিউটি পার্লার দেখলাম। এইখানে আমি বিউটি পার্লার লেখা কোথাও দেখিনি। হেয়ার সালোন, নেইল সালোন, এইরকম বিভিন্ন নাম থাকে, সেখানে পুরো খাঁটি দেশি পার্লার! দোকানের সামনে মগ, বাসন, প্লাস্টিকের হরেক মাল, সবজিপাতি, ছিট কাপড়! কী নেই! মনে হচ্ছে গড়িয়াহাট কী এসপ্ল্যানেড এসে পড়েছি। তার ভেতরে একটা ছোট্ট গুমটি দোকানে গরম গরম সিঙ্গাড়া ভাজা হচ্ছে। আর সেই ফ্রেশ সিঙ্গারার গন্ধ কখন যে বাসে ঢুকে পড়েছে! আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আর দশ পনেরো বছর পড় লন্ডনে বোধহয় কেবল এশিয়াম মানুষজনই দেখা যাবে। বাংলা, হিন্দি, চাইনিজ, উর্দু, তামিল এইসবই শোনা যাবে হরদম।
ইলিং এর পুজো পনেরো বছরের বোধহয়। নাকি বারো! ঠিক খেয়াল নেই। ভেতরে ঢোকার সময় ডোনেশন দিতে হয়। দিতে হয় কিনা জানি না, দেখলাম সবাই দিচ্ছে। বিনিময়ে কমিটি একটা ঝোলা ব্যাগ আর ম্যাগাজিন দিল। আমরা যখন পৌঁছেছি, পুজো হচ্ছে। অঞ্জলি দেরি আছে।
দূর্গা পুজোর ঢাকের আওয়াজ আর মন্ত্রে অদ্ভুত এক ম্যাজিক আছে। আলাদাই কমফোর্ট। সোজা পুরোনো দিনে নিয়ে যায়। ছোটবেলায় আমার পুজোয় ঘুমই ভাঙত ঢাকের আওয়াজে। সেই ঘুমঘুম চোখে ঢাকের আওয়াজ শোনার মত আরাম খুব কম কিছুতেই আছে। ঢাক বাজবে, আমি ঘুম চোখে শুয়ে থাকব, উঠব না, মা তাড়া দেবে, নতুন জামা পরে মণ্ডপে যেতে বলবে, বলেই যাবে। তারপর আমি আর তিতলি মণ্ডপে যাব। তিতলি মামাবাড়ি চলে গেলে একাই যাব। গিয়ে অবাক হয়ে দুর্গাঠাকুরের দিকে তাকিয়ে থাকব। প্রত্যেকবার একইরকম ঠাকুর। তাও দেখতে কী ভালো লাগে। বাবা বা মা কেউ একজন খেলনা বন্দুক কিনে দেবে, ক্যাপ ফাটাবো। কী এক আকাশ পাতাল খুশীতে ভরে থাকবে কটা দিন। ঠিক বোঝাতে পারব না!
ইলিং এর ঠাকুরটা বেশ। টানাটানা চোখ। যেমনটা আমি ছোট থেকে দেখি। অভি বলে মানুষ মানুষ দেখতে ঠাকুর আমি পছন্দ করি না। তা সত্যি বটে! রেকর্ড করা ঢাকের আওয়াজ আর পুজোর কাঁসর ঘন্টা কখন যে ফেলে আসা প্রত্যেকটা পুজো চোখের সামনে এনে দেয়! যেসব পুজোয় আমি আর ফিরে যেতে পারব না। কেবল সেরকম সব দৃশ্য তৈরী করার চেষ্টা করে যাব আজীবন।
প্রবাসের কোনো এক পুজোর ভোগের প্রসাদে চেনা স্বাদ খুঁজে বেড়াব, চেনা গন্ধ।
আকাশে সাদা মেঘে শরৎ চলে আসবে।
একটা অচেনা দেশ হঠাৎ আপন হয়ে যাবে।
কাছে টেনে নিতে চেয়ে ছোটবেলার মত রোদ ওঠাবে।
ঢাকের আওয়াজ শুনলেই আমার নাচতে ইচ্ছে করে।
দূর কোনো দেশে রেকর্ড করা ঢাকের আওয়াজ শুনে পা দুটো নেচে উঠবে।
মনে মনে বাড়ি ফিরে যাব।
বাড়িতে মা রোজ সকালে রেডি হয়ে মণ্ডপে যায়।
অষ্টমীর দিন বাবা নতুন ধুতি পাঞ্জাবী পরে দুগ্গা মা দেখতে যায়।
আরো ছোটবেলায় আমি, মা, বাবা, দিদিভাই, দিদিয়া সবাই রিকশা চড়ে ঠাকুর দেখতে যাই।
নিউ মার্কেট থেকে কেনা আমার হলদে ফ্রক।
সাত সমুদ্দুর পাড়ের এক দেশে আমার জন্য থরে থরে স্মৃতি সাজানো থাকবে।
কোনো এক সপ্তমীর দুপুরে, কোনো এক অচেনা শহর
আমাকে শিখিয়ে দেবে, সবকিছু তুলে রাখা থাকে।
বন্ধ চোখের পরে চাইলেই সব ফিরে আসে
২৪ অক্টোবর ২০২৩
London Sharad Utsav 2022
Photo Courtesy: The Telegraph
খুব ভালো সহজ করে লেখা, beautiful flow of description.
সত্যি, প্রবাসী বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে স্বদেশী উৎসবে মনে হয় যেন ঘরে ফিরে আসি।