সাহিত্যিকা

তিনটি কবিতা

তিনটি কবিতা
রামু দত্ত, ১৯৭৯ ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

রেলের চাকায় বাজে শুনি
আগমনীর সুর
আকাশে মেঘ ভাসে অকারণে
ঘাসে খ্যাপা রোদ্দুর।

খড়ের ওপর মাটির প্রলেপ
মাটির কাজ হলো শেষ
রং লাগাবে সাজ পরাবে
মাকে দেখতে লাগে বেশ।

ঢাকের পিঠে পড়বে কাঠি
কাঁসি বাজবে তানা নানা
ছুটির ঘন্টা বাজবে কবে
ইসকুল যেতে মানা।

জলে ফোটে লাল শালুক পদ্ম
স্থলে হাসে কাশ
দুঃখ যত থাক না বুকে, শোন
এটা শরতের মাস।।

*******

শুভ সকাল

মেঘ আসে নিজের খেয়াল খুশি মতো
শিউলি উঠানে কোথা দেখিনা বিছানো
খোলা মাঠ ভরা রোদ্দুর সে খ্যাপা
কাশ ফুল ফুটেছে কোথায় তুমি জানো?

দুগ্গার গায়ে লেপছে কালো মাটি
শাড়ি বোনা চলছে পুরানো তাঁতে
দেখি তাঁতীর মেয়ের হাতে খালি বাটি
ওতে ভাত দিও গরম ফেনের সাথে।

কাঠির খোঁজে ঢাকি গেছে নতুনগাঁ
ছেলে বাঁধে কাঁসিতে নতুন দড়িখান
কাঁসাই দেখি জলের তোড়ে ফোঁসে
বোধনের আগেই হবে নাকি ভাসান।

দুগ্গা নেই ওই নিশ্চিন্দিপুর গ্ৰামে
কোনো পুকুরেই নেই যে পদ্মফুল
শরত এবার সত্যি এসেছে নাকি
শব্দ লাগি কবি বারবার করে ভুল।

*******

বরষা যায়নি তবু শরত এসে হাজির
মাঝে মাঝে শুনি মেঘের গুরু গুরু
পদ্ম পাতা আর ফুলের ফাঁকে ফাঁকে
জলফড়িংদের কিত্কিত্ খেলা শুরু।

সাদা রোদ কালো মেঘে কাটে ছক
শালিকের দল খেলছে এক্বা দোক্বা
শিউলি ঝরে ঘরের নিকানো উঠানে
সাজ না পরে মন্দিরে ঠাকুর একা।

গুরুমশাই পাঠশালে দিলেন হাঁক
আজ হতে দিলেম তোদের ছুটি
ছেলেদের দল হৈ হৈ করে দৌড়
পিতিমের গায়ে লাগবে রঙমাটি।

কে যেন আজ পুকুর ঘাটে আসে
জলে ধোয় তার আলতাপরা পা
কুঁড়েঘর থেকে বেনেবৌ ওঠে ডেকে
‘হোথা কে এলি রে, মা উমা ?

 

Sahityika Admin

Add comment