সাহিত্যিকা

My Memorable Moments with Professor Arun Kumar Seal

My Memorable Moments with Professor Arun Kumar Seal
Jayanta Mazumdar, 1963 Metallurgical Engineering

During my college days (1959-63) Dr. Arun Kumar Seal was the Assistant Professor in the Department of Metallurgy and actually the live wire of the entire department. We were afraid of him as well as his strong admirers.

I was personally grateful to him to kickstart my career. An MNC would ask our department each year to recommend a couple of fresh graduates for jobs, to be employed with them but would finally select graduates only from BHU and IIT Kharagpur. Our unsuccessful seniors, however, would receive a wonderfully drafted regret letter from the MNC, explaining how unlucky the MNC was not being able to fit Sibpur’s wonderful talents in their organization. A college senior, a1960 pass out, who later on became a director of a major consultancy firm in Kolkata, humorously got his copy of the regret later framed and would show it to many of us. However, by sheer luck I could break the chain and Professor Seal was perhaps even happier than me.

In 1961 we were on an educational tour to Rajasthan, at a location, I faintly remember perhaps it was Udaipur. One fine morning, Prof. Seal suggested we rent a few bicycles and take a ride into the countryside as it was a free day for us. It was a group of about ten cyclists; counting him and about 9 of us. While pedaling we would frequently pass groups of curious village women on the way, attired in riotously colored sarees, but of considerably shorter lengths, which barely covered their knees. On seeing the approaching strangers on cycles, they would impulsively pull down their ghomta aka ghunghat down to their chest and in the process their knee and limb beyond would get further exposed. Professor Seal suddenly suggested that we turn back from there with a terse comment that he was afraid further down the road some group of women may be forced to pull down their ghunghats even lower, unwillingly. It was a command, and we had to turn back reluctantly. I vividly remember that scenario.

Fast forward to 1988.
In those days, we were living in CR Park, New Delhi and Dr. Seal was the Principal of B.E. College. He used to visit Delhi frequently for his works with the UGC and other government agencies. While in Delhi he usually stayed at the Bangabhaban. I met him there one afternoon and invited him over to our home for an evening tea to be followed by a dinner with us. We two sat down and chat. There I called him Arun-da for the first time and he was so happy! Our younger daughter of 13 suddenly appeared with a chemistry book and requested her uncle (Arun da) to explain a page. Dr. Seal explained to her with great enthusiasm and then asked her whether her father helps her with Chemistry lessons or not. She responded, “No. My dad is always too busy with his office works”. Dr. Seal fired back to her “Tomar baba nijeyi kitcchu janena (and therefore, he avoids your chemistry questions)”. My daughter was delighted with the answer, and I decided that peace and tranquillity in the room should be restored somehow.

So, I begged Indira, my wife not to bring tea for us and politely enquire, gathering extreme courage, whether Arun-da would prefer to have a chilled beer instead. He was so happy and readily agreed. So, we settled down on the table with a beer for him and a large whisky for me. Dr. Seal reacts immediately, “Jayanta, what type of a host are you! Just beer for me and an expensive whisky for yourself? This is not done.”
I was delighted at his scolding. I placed on the table all my modest stocks of whisky and wine. He discarded his beer and selected a whisky and together we drank and chat. He was relaxed and talked about so many things and also about a few remarkable past students of his, not necessarily all toppers.

My mother then was with us in Delhi. I introduced my mother to Dr. Seal. I also added that it was my mother’s birthday. Dr. Seal leaped out of his chair, grabbed a wine glass, poured in from a red wine bottle and shoved the glass in my mother’s hand and requested her to take a sip and celebrate her birthday with us together. To her questioning eye he explained— “Mashima, eta angurer rosh (extracts from pure grape), khetey paaren aapni”. My mother did not drink it of course but was very happy and subsequently joined us in dinner and all of us had a wonderful experience listening to Dr. Seal’s anecdotes and stories.

Our two daughters, just 14 and 13 then, became his fan by the time the dinner was over; an altogether memorable evening for the Mazumdar family.

*********

আমার ঘুড়ি ওড়ানোর টিচার

আমার বয়স তখন এগারো বারো মতন হবে। আমি ছোটবেলায় কাটিয়েছি রাঁচি শহরে। থাকতাম অভিজাত হিনু কলোনিতে। কলকাতার হাওয়া প্রায়ই আমাদের চাগিয়ে তোলে, কিন্তু কিছু করে দেখাতে পারি না। অথচ উঠতি হিরো হওয়ার একটা ইচ্ছে মনে জেগে উঠছে। হিরো মানে স্কুলের পড়াশোনা, স্কুলের রেজাল্ট বাদ দিয়ে অন্য সব কিছু। মানে ক্রিকেট, ফুটবল, ডান্ডা গুলি, বা নিদেন পক্ষে স্কুলের স্পোর্টসে মেডেল পাওয়া।

আরও একটা ছিল, ঘুড়ি ওড়ানো। আমার সম্পত্তি মানে তিন চারটে রঙচঙে ঘুড়ি, একটা সস্তার ছোট লাটাই, আর অত্যন্ত সাধারণ মানের মাঞ্জা। শখ আছে, কিন্তু প্রতিভা নেই। শুধু ঘুড়ি ওড়ানোর প্রাথমিকগুলি শিখতেই দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে। অথচ ঘুড়ি আর আকাশে উড়ছে না।

তখন আমাদের পাড়ার ঘুড়ি ওড়ানোয় মুকুটহীন সম্রাট ছিল মকুন। আমাদের হিনু কলোনি থেকে খানিক দূরেই মনিতলা মহল্লার এক আদিবাসী। বয়স আন্দাজ বছর ত্রিশ পঁয়ত্রিশ। কিছুটা মনে আছে, গায়ের রঙ বেশ কালো, ঘন চুলের মাঝে কাঠের একটা ছোট্ট চিরুনি সবসময় উঁকি মারছে। আমি ছিলাম তাঁর অন্ধ ভক্ত। মকুনের ছিল নানান রঙের আর সাইজের প্রচুর ঘুড়ির স্টক, এবং মাঞ্জার পাহাড়ের সাথে বেশ বড় সাইজের লাটাই। যদি আশেপাশে কেউ ঘুড়ি ওড়ায়, মকুন এসে সোজা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কাটাকাটি খেলায় ডেকে নেবে, আর মোটামুটি অবলীলায় অন্যের ঘুড়িকে কেটেও দেবে। এভাবেই সে হয়ে গেলো পাড়ার অঘোষিত চ্যাম্পিয়ন। কয়েকবার সে ঘুড়ি যুদ্ধে হেরে গেছে ঠিকই, তবে জেতার তুলনায় সেটা একেবারেই ধর্তব্য নয়। এখন সত্তর বছর আগের কথা মনে নেই, তবে বলা যায় না,হয়তো রাতে ঘুমের মধ্যেও মকুনকে স্বপ্নে দেখেছি।

আমাদের ঠিক পাশের বাড়ির প্রতিবেশী ছিলেন লাড্ডু-দা। তিনি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যাবসা করতেন। কলকাতায় গিয়ে গাড়ি কিনে, সেটা রাঁচিতে নিয়ে এসে বিক্রি করতেন। অনেক যাতায়াতের মধ্যে একবার তিনি কলকাতায় গিয়ে এক ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন। আন্দাজ বছর পঁয়ত্রিশ বয়স, ধুতির সাথে শার্ট, মানে তখনকার দিনের হেমন্ত মুখোপাধায় স্টাইল। তবে একটা বড় তফাৎ, এই ড্রাইভারের চোখে চশমা নেই। আমরা ড্রাইভার দাদা নামেই তাঁকে চিনলাম।

দিন কয়েক পরেই আমার ঘুড়ি ওড়ানোর অক্লান্ত চেষ্টা দেখে সে নিজেই এসে আমাকে বললো, আমার ঘুড়ি সে কিছুক্ষনের জন্য ওড়াতে চায়। ওঁর কথায় আমি অবাক, এ আবার কি ঘুড়ি ওড়াবে? তবু ওঁর বয়স আর অনুরোধের সন্মানার্থে নিতান্তই অনিচ্ছাসত্বে আমার ঘুড়ি লাটাই ওঁর হাতে তুলে দিলাম, এবং এবং এবং দেখলাম ঘুড়ি ওড়ানোয় ওঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতা। ঘুড়ি যেন যন্ত্রের দম দেওয়া পুতুলের মতন ওঁর হাতের ইঙ্গিতে আকাশে নেচে নেচে বেড়াচ্ছে।

এবার যা হলো, আমার ঘুড়ির সেই সামান্যমাত্র সরঞ্জাম নিয়েই সে আমার বন্ধুদের ঘুড়ি একের পর এক কেটে দিতে লাগলো। দেখলাম ওঁর কায়দা আমাদের থেকে অন্যরকম। আমাদের লোকাল পদ্ধতি ছিলো লাটাই থেকে সুতো ছেড়ে সুতোয় ঢিল দিয়ে খেলা। আর সে করত কি, অন্যের ঘুড়ির সুতোর সাথে নিজের ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে পেঁচিয়ে হঠাত মেরে দিতো এক লম্বা ঝটকা টান। ব্যাস একের পর এক ভোকাট্টা। অন্যদের ধরাশায়ী করে সে আমার ঘুড়ি ওড়ায়, আর আমি গর্ববোধ করি।

কিন্তু এতদিন যারা পাড়ায় সেরার তকমা পেয়েছে, তাঁরা এত সহজে কেন একজনকে বিনা যুদ্ধে মেদিনী ছেড়ে দেবে? মকুনের কাছে খবর পৌঁছে গেলো যে কে এক কলকাতার ধুতি পরা ড্রাইভার এসে পাড়ায় ঘুড়ির কেরামতি দেখাচ্ছে। খবর পেয়ে মকুন আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিলো, অমুক দিনে ড্যুয়েল হবে।

নির্দিষ্ট দিনে মকুন তাঁর কিছু অনুগামী সমর্থক নিয়ে চলে এলো। আর নতুন ড্রাইভার দাদা তাঁর নিজের সরঞ্জাম আনেনি। তাঁর নিজের তো কিছু নেই, আমার সরঞ্জাম নিয়েই সে খেলে। সুতরাং ঠিক হলো যে আমার ঘুড়ি লাটাই মাঞ্জা নিয়েই সে ময়দানে নামবে। আন্দাজ সেদিন শ’খানেক লোক এই ঘুড়ির ড্যুয়েল দেখতে এসেছিল, এবং তাঁর মধ্যে অনেক বয়স্কজনেরাও খবর পেয়ে ড্যুয়েল দেখতে এসেছিলেন।

মনে আছে, সেদিন পাঁচ রাউন্ড খেলা হয়েছিল। আমাদের লোকাল হিরো, যাকে জানতাম ঘুড়ি কাটাকাটি খেলায় অপ্রতিদ্বন্দী, সে পাঁচবারই হেরে গেলো। আমি বিশ্বাস করতে পারি না, কিন্তু তাই হয়েছিল। আসলে ড্রাইভার দাদার সুতো জড়িয়ে পেঁচিয়ে হঠাত এক লম্বা ঝটকার টান আমাদের মকুন বুঝতেই পারেনি। আমার এতদিনের চেনা, নিজের চোখে দেখা সেই হিরোর পরাজয় মেনে নিতে পারছিলাম না, যদিও আমারই ঘুড়ি তখন জয়ের প্রতীক হয়ে হিনুর আকাশে উড়ছে।

আমার বয়স তখন মাত্র এগারো বারো। সেইদিন রাতে অনেকক্ষণ আমি ঘুমাতে পারিনি।
আমার হিরো মকুনের পরাজয় মেনে নিতে খুবই কস্ট হয়েছিল, কারণ আমি ঘুড়ি ওড়ানোয় পারদর্শী কোনদিনই ছিলাম না, কিন্তু মকুনই ছিল আমার গুরু, আমার শিক্ষক।

           The duties of a teacher are neither few nor small, but they elevate the mind and give energy to the character.
– Dorothea Dix

Sahityika Admin

2 comments

  • The 2 photos of Dr. Seal inserted by the editors look integral part of my story about him.
    Thank you so much.
    And the kite flying story– your Bangla translation is perhaps even better than my English version.
    Thank you.
    Jayanta Majumdar