বৃষ্টি – তিনটি কবিতা
@ সোহম দাশগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
@ রামু দত্ত, ১৯৭৯ ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
@ অপূর্ব চক্রবর্তী, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
একটি বৃষ্টির কবিতার অনুবাদ
সোহম দাশগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
এটা José Feliciano নামে এক Puerto Rican গায়কের লেখা গান।
মূল কবিতাটি
Listen to the pouring rain, listen to it pour
And with every drop of rain, you know I love you more
Let it rain all night long
Let my love for you go strong
As long as we’re together
Who cares about the weather?
Listen to the falling rain, listen to it fall
And with every drop of rain, I can hear you call
Call my name right out loud
I can here above the clouds
And I’m here among the puddles
You and I together huddle
Listen to the falling rain
listen to the rain
Source: LyricFind
Songwriters: Janna Feliciano / Jose Feliciano
Rain lyrics © BMG Rights Management, Reservoir Media Management, Inc, Sony/ATV Music Publishing LLC, Universal Music Publishing Group
@ আমার বঙ্গানুবাদ
কান পেতে শোনো উতলা শ্রাবণ
ঝরছে অঝোর ধারে
প্রতিটি ফোঁটায় বেসেছি যে ভাল
তোমায় নতুন করে।
হোক না বরষা সারা রাত ভোর
তুমি যদি থাক পাশে
আরও ভালবেসে কাটুক প্রহর
নব নব উল্লাসে।
কান পেতে শোনো বৃষ্টিকণায়
কি বারতা যায় বলে
আমি শুনি তুমি ডাকছো আমায়
বৃষ্টির কল্লোলে।
ডাকো প্রাণ ভরে নামখানি মোর
শুনি মেঘমল্লারে
বাঁধো গো আমায় মেলে বাহুডোর
সজল ধরণী পরে।
*******
বৃষ্টি
@ রামু দত্ত, ১৯৭৯ ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
নববৃষ্টি পড়ে সৃজন ছন্দে ঝিরি ঝিরি টাপুর টুপুর
ভিজছে দেখি শুকনো মাটি গা জুড়ালো, লাগছে মধুর।
আকাশে আজ মাদল বাজে ধামসা বাজে গুরু গুরু
সেথা সৃষ্টি হলো কোথায় সৃষ্টি হেথায় হলো শুরু।
কাননে ফুল রোদে শুকায় তাজা পাতা নেতিয়ে মরে
ঠান্ডা জলে নাচে সবাই হাপুস জলে সিনান করে।
চাইনা ঝড়ের প্রলয় নৃত্য, বা সূর্য্য গড়া বালির মরু
শিকেয় তোলো কাব্যি-খাতা দেখো সবুজ সৃষ্টি হলো শুরু।
*******
কি করেন বাবু? ছবি তোলেন?
নাকি কয়েন —
আহা! কি সুন্দর! ঠিক ছবির মতো!
জল ঘিরে রাখে এক একটা
কি যেন বলেন – ‘সবুজ দ্বীপ’?
কত কাব্যিই না জানেন আপনারা!
পরিবার ভেঙে ভেঙ্গে এখন
বীজতলার জন্যি জমি দু’কাঠা।
আধ বস্তা বীজধান ভাচা নিই
শিবু মোড়লের ঠাঁয়ে
ফিরে দিবো বস্তা দুই ধান – এই করারে।
জমি চাষ দিয়ে বসে থাকি জলের লেগে
আকাশ পানে চেয়ে চেয়ে
দিন যায় মাস যায়
আষাঢ় পেরিয়ে এলো শাওন।
জল আছে —
মাঠে বীজ পোঁতার নেই মুরোদ।
ধানের চারাগুলো বেড়ে বেড়ে
এখন সোমত্ত মেয়ের মতো।
যেমন বাড়ে আমার মা হারা বিটিটা
সমসারে থিতু করার খ্যামতা কই?
চারাগাছ আর বিটিরে দেখি
আর বুক যায় ফেটে।
আমার আর কোন টুকু চাওয়া –
সেকথাই ওপর পানে জানাই রোজ।
********
মেঘ বেলা
@ অপূর্ব চক্রবর্তী, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
সারাটা দিন আকাশে আজ কালো মেঘের খেলা
বর্ষার ঈশান হতে আসে পুঞ্জ মেঘের ভেলা।
দিগন্তসীমায় মেঘ জমে, নামলো শ্রাবণ ধারা।
প্রাণ পেলো এই নিথর ভূমি,
দুটি নয়নে মেঘবলাকার পথচলা দেখি আমি।
শ্রাবণ আসে নিজ উল্লাসে
বৃষ্টির সুর প্রাঙ্গণে নামে আকাশ হতে
ফুলের দেহে কাঁপছে লতা
ভাঙলো তরু, বাদল যেন পাগল খ্যাপা।
কেউ জানেনা থামবে কখন আজকে মেঘের খেলা।
Add comment