সাহিত্যিকা

Messages From Our Teachers

Messages From Our Teachers

 

বিই কলেজের সাথে আমার যোগসূত্র ৫ দশকের। আমি বিই কলেজের প্রাক্তনী, তাঁর সাথে তোমাদের মাষ্টারমশাই। বিই কলেজের শিক্ষকজীবনে আমার যেটুকু আনন্দ, যেটূকু তৃপ্তি, সবই তোমাদের জন্য। আমার একটি প্রিয় কবিতার কয়েকটি লাইন মনে করে আমার ভাবনাটা তুলে দিলাম তোমাদের সকলের জন্য।

বর্ষে বর্ষে দলে দলে আসে বিদ্যামঠতলে চলে যায় তারা কলরবে,
কৈশোরের কিশলয় পর্ণে পরিণত হয় যৌবনের শ্যামল গৌরবে।
ভালোবাসি, কাছে ডাকি, নামও সব জেনে রাখি, দেখাশোনা হয় নিতি নিতি,
শাসন তর্জন করি’ শিখাই প্রহর ধরি, থাকে নাকো, হায়, কোনো স্মৃতি!
**********
ভাবিতে ভাবিতে যাই কী নাম? মনে তো নাই, ছাত্র ছিল কত দিন আগে;
স্মৃতিসূত্র ধরি’ টানি, কৈশোরের মুখখানি দেখি মনে জাগে কি না জাগে।
**********
ডাকিছে উদার বায়ু লয়ে স্বাস্থ্য লয়ে আয়ু, ডাক শোনে ব’সে রুদ্ধ ঘরে,
হাতে মসি মুখে মসি, মেঘে ঢাকা শিশু-শশী, প্রতিবিম্বে মোর স্মৃতি ভরে।

তোমরা সবাই ভালো থেকো। ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।
– তোমাদের মাষ্টারমশাই সুকোমল তলাপাত্র।

 

I am very happy to know that my dear students who got their admissions in the year 1972, are every year celebrating their association with their beloved institution, relation with their teachers, and nevertheless their mutual friendship.
I have spent 4 decades of my life in teaching, and I do cherish my association with the two Departments of the 166 years old Engineering college. My association with Electrical Engineering Department (1968-1984) & Computer Science & Technology Department (1984 to 2001) was more than just a profession, and an unforgettable relation with my students.
After my retirement, 20 years have already passed, but my bondage has not been diluted, it is even stronger than parents – child relationship. I do remember many memorable interacting incidents and yes, also do remember many of your faces.
I wish all my students a very happy, healthy and peaceful personal life.

Prof. Ananda Mohan Ghosh.

 

আমার পিছনে ফেলে আসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরানো বি .ই .কলেজের প্রসঙ্গে কিছু লিখতে গেলেই মনটা স্মৃতিমেদুর হয়ে ওঠে। মনে আছে, কলেজ ছেড়ে যাবার আগের দিন পড়ন্ত বিকেলের ধূসর আলোয় রিচার্ডসন হোস্টেলের পিছনের বারান্দায় বিষণ্ণ মনে একা দাঁড়িয়ে আছি। অনেক আবাসিক আগেই বাড়ি চলে গিয়েছে, অনেকে বিনোদনের খোঁজে প্রেক্ষাগৃহে। কয়েক সারি সুপাড়ি গাছের দিকে উদাস মনে তাকিয়ে অজানা ভবিষ্যতের কথা ভাবছি; সেইসঙ্গে মন জুড়ে রয়েছে বিগত চার বছরের মধুমাখা দিনগুলির কথা। তখন স্বপ্নেও ভাবিনি যে পরবর্তী ৫০ বছরেরও বেশি সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হয়ে উঠবে আমার কর্মক্ষেত্র।
ক্যাম্পাসে দীর্ঘকাল কাটানোর ফলে সহকর্মীদের সঙ্গেও গড়ে উঠেছিল ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক। বৃক্ষশোভিত প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল ধ্যানস্তব্ধ। কিন্তু আমার পরম প্রাপ্তি আমার কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। “বর্ষে বর্ষে দলে দলে“ তাঁরা ধারার মত এসেছে ও চলে গিয়েছে কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তারা যে ভাবে আমাকে গ্রহণ করেছে, যে অকুন্ঠ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখিয়েছে তা সত্যিই দুর্লভ। এই পরম প্রাপ্তিই আমার শিক্ষক জীবনকে পূর্ণতা দিয়েছে, আমার ভবিষ্যতের পাথেয় হয়ে রয়েছে।
১৯৭২ সালে যাদের প্রবেশ বর্ষ, তাঁরা একটি পত্রিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে। শুভেচ্ছা বাণীতে আমি প্রার্থনা করি, আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা যেখানেই থাকুক না কেন, ঐহিক সুখের সঙ্গে তারা যেন জীবনে প্রকৃত শান্তির সন্ধান পায়।

দীপক সেনগুপ্ত
(অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক, সিভিল ১৯৬৫)

 

I am extremely delighted to learn that the students admitted in 1972 are celebrating every year their annual re-union meet. This 50 years is a long period, and much water has flown through the Ganges. And you have been transformed from budding teens to senior citizens with rich experiences.
You have come across many challenges in life and have successfully and joyously overcome all those with sincerity, dedication and courage and have made worthwhile contributions to our society. I believe that your achievements, accomplishments and contributions to our society and mankind, in various forms are worthy of applause and appreciation and we are proud of you.
I hope your achievements and indomitable spirits will continue to remain a source of inspiration to all future generations.
Finally, I hope that this will find you and your family members in the best of health and spirits. I wish all of you enjoy very good health and have all round around mental peace and happiness.
May God bless you all.

Prof. Sambhunath Biswas

 

I am happy to know that the students admitted in 1972 are celebrating their annual re-union every year.  It is so many years since you have left the institute, and you all have now become young senior citizens. Remembering your teachers after such a long period is a great pleasure for any.
For the last few years, I am receiving invitations to attend your annual get-together and attending also with my full enthusiasm. I am aware that my students have earned respect in their work areas, and that’s my appreciation and I am proud of you.
I wish good health, happiness, and peace for all my students.
May God bless you all.

Prof. Baidyanath Patra

 

My Dear Beloved Students,
I am attending your annual get-together for the last few years. Though it is past 45 long years since you left the institute, it means great for me to receive your warm invitations. I cannot express in words how much do I enjoy your association in our sunny Oval ground though it’s only for a few hours. When I see you today, it gives me a feeling and great pleasure that most of you are still young at heart. I do remember many of you, a wonderful combination of all good and intelligent (but naughty) students. Your annual invitation takes me back to those days, when I find myself surrounded by my dear students.
God bless you.

Prof. Amalendu Ghosh

 

অনেক ঘটনার মাঝে আমার খুব মনে পড়ে যখন তোমাদের সিভিলের ছাত্রদের সার্ভে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার ভয় ছিলো, তোমাদের সামলাতে পারবো কিনা। তোমরা যে খুব শান্ত ছেলে ছিলে সেটা বলবো না, কিন্তু সেই সার্ভে ক্যাম্পে আবার অনেক বছর বাদে আমি আমার নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলাম। তোমাদের কয়েকজন আমাকে কখন যে স্যার থেকে শৈবালদা বানিয়ে দিলে টেরই পেলাম না।
তোমরা সবাই খুব ভালো থেকো। আমার অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা রইলো।

শৈবাল (দা) ঘোষ।

It was a great pleasure for my wife and myself to attend the annual re-union and also commemorative function to mark the 50th year of graduation of the 1977 batch of BE College, held in the college premises. Incidentally, this was the last undergraduate class I taught before shifting to IIT Kanpur. The young students of 1977 are old with age and wisdom now.
I sincerely hope and pray for them and for their families a very happy, healthy and prosperous future. May God bless everyone.

– Prof. Ranjit Roy

 

Sahityika Admin

Add comment