পৌরাণিক মতে, পার্বতীকে গোপনে অমরত্ব রহস্য বোঝাতে নির্জন পাহাড়ে মহাদেব এই গুহা নির্মাণ করেন এবং সেজন্যই এই গুহার নাম (অমর+নাথ) অমরনাথ। পহেলগাঁও থেকে মহাদেব পার্বতীকে নিয়ে অমরনাথ গুহার উদ্দেশে যাত্রা করেন চন্দনবাড়ির পথে এবং যাওয়ার সময় রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গের যাবতীয় সম্ভার একে একে ত্যাগ করেন। উদ্দেশ্য ছিল যে তিনি অমরনাথ গুহাতে পার্বতীকে অমরত্ব রহস্য বোঝানোর সময় যেন আর কেউ সেই রহস্য শুনতে না পারে।
শেষনাগ লেকের জল এতটাই স্বচ্ছ যে লেকটা আয়নার মত দেখায় আর এইজন্যই এই লেকের নাম শেষনাগ, কারন কাশ্মীরি ভাষায় ‘শেষ’ কথাটির অর্থ ‘আয়না’ আর ‘নাগ’ কথাটির অর্থ ‘জলাধার’ বা ‘লেক’। আবার পৌরাণিক মতে, মহাদেব অমরনাথ যাওয়ার পথে এখানে ছেড়ে রেখে গিয়েছিলেন তাঁর সাপকে। সাতটা পাহাড়ের চূড়া অনেকটা একটা সাপের সাতটা মাথার মত দেখায়। সেজন্যও অনেকে এটাকে শেষনাগ লেক বলেন।কথিত আছে কয়েক হাজার বছর আগে পাহাড় চুড়ার মধ্যে মেঘ ফেটে (ক্লাউড বার্স্ট) তৈরি হয়েছিল সাত পাহাড়ের চুড়ার পাদদেশে একটা বড় গহ্বর। আশেপাশের পাহাড়চূড়া থেকে বরফ গলে এবং বর্ষাকালে পাহাড়ের থেকে জল এসে গহ্বর ভর্তি করে তৈরি করে ১ কিমি দীর্ঘ, ৭০০ মি প্রস্থ ও ৮০ মি গভীর এই লেক। এই লেক থেকেই বেরিয়েছে লিডার নদীর একটা শাখা।শেষনাগ লেকের একটা বিশেষত্ব, এটা একটা অলিগোট্রফিক লেক। সেজন্য এই লেকে কোন শেওলা বা জলজ উদ্ভিজ্জ জন্মাতে পারে না। আর লেকের জল হয় স্বচ্ছ, শুদ্ধ ও পানীয়ের উপযুক্ত। এই লেক শীতকালে বরফে ঢাকা পড়ে যায় এবং বছরের অনেকটা সময় বরফে ঢাকা থাকে। কিন্তু এই লেকে নানা রকমের মাছ পাওয়া যায়। বাদামী ট্রাউট তাদের মধ্যে অন্যতম।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো যাত্রাপথের ছবিসহ খুঁটিনাটি বিবরণ খুব সুন্দরভাবে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন
The best article Prasanta. Excellent description and informative too.