সাহিত্যিকা

জিম করবেট

জিম করবেট
সুকান্ত রায়, ১৯৭৭ ইলেকট্রনিকস ও টেলি কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
সংযোজন – হিমাংশু নাথ, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

লেখার শুরুতে জানাই, বাঘমামার জঙ্গলে মানুষ চিড়িয়াখানার বিপরীতে অবস্থান করে। এখানে মামা-মামীদের ইচ্ছে হলে তবেই নিজের অজান্তে ঘুরতে ঘুরতে এসে আমাদের দর্শন দেবেন। এখানে উনারা নাচান তেমতি অর্বাচীন নরেদের।

আমাদের বাঘের থেকেও জঙ্গল দেখতে ও অনুভব করতে বেশি ভালো লাগে। তাই কোন expectation ছাড়াই বারবার জঙ্গলের দিকে ছুটি। জঙ্গলের নিঃস্তব্ধতা, ভোরের কুয়াশা, মাঝে মাঝে অজানা পাখীর ডাক, কিছু ডানার ঝটপটানি, হরিন বা অন্য জন্তুর দৌড়ে যাবার শব্দ, ঘন গাছের পাতার সঙ্গে রোদের লুকোচুরি, মাটির সোঁদা গন্ধ এগুলো সব মিলিয়ে একটা মায়াময় পরিবেশ যেটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব, ক্যামেরায় তোলাও তাই। চোখ, নাক, কান ও আরো কিছু ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগ করতে হয়। কেউ কি কখনো ঘন জঙ্গলে বৃষ্টিতে ভিজেছে? একমাত্র তাঁরাই জানবে বৃষ্টিতে জঙ্গলকে কিরকম সদ্যস্নাতা নারীর মতো লাগে। মিশে যেতে ইচ্ছে করে…

এখন তো অনেক লোকজনের ভীড়। আমার বিয়ে হয়েছে ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরে, আর করবেট পার্কের ট্যুর প্ল্যান করেছিলাম ১৯৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে, অর্থাৎ বিয়ের মাত্র দু’মাসের মধ্যেই। অনেকেই টিপ্পনী কেটেছিলো, আমরা মধুচন্দ্রিমা করতে মামার বাড়ি যাচ্ছি।

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে যখন এতো লোকসমাগম বা তারা মার্কা হোটেল কিছুই ছিল না তখনও মামাবাড়িতে কিন্তু মামা এবং তার পরিবারদের দেখার সৌভাগ্য হয়নি। করবেট সাহেবের লেখায় পড়েছিলাম ওখানকার বাঘেরা নাকি খুব ধুরন্ধর হয় এবং দূর থেকে মানুষদের চোখে চোখে রাখে, ধরা দেয় না। করবেট জঙ্গলে একটি মাত্র ফরেস্ট রেস্ট হাউস ছিলো, সেটা ধানগড়িতে। রামনগরে বোধহয় খুব বেশি হলে শ’খানেক লোকের বসবাস ছিলো, কেউ ওদিক দিয়ে যেতো না। জঙ্গলের মধ্যে ফরেস্ট রেস্টহাউসের কম্পাউন্ডের চারপাশে একফুট উঁচু বেড়া ছিলো আর তার গায়ে লেখা ছিল “You are in a different zoo. Animals are free here.”

সে যাইহোক, আমি আমার নতুন বৌ অঞ্জনাকে নিয়ে বাঘমামার বাড়ি পৌছালাম। (* প্রসঙ্গত বলে রাখি, অঞ্জনা কলেজে ছিলো আমারই সহপাঠিনী, বর্তমানে বৌ)। সেই কম্পাউন্ডে ছিলো একটা দোতলা বাড়ি আর কিছু সুইস টেন্ট। অতি উৎসাহী বিদেশি পর্যটকেরা স্যুইস টেন্টে থাকতেন, কিন্তু আমাদের অত সাহস ছিল না, তাই দোতলায় একটা ঘরেই রইলাম। আরও একটা কারন এই যে স্যুইস টেন্টে লাগোয়া বাথরুম ছিলো না, ছিলো একটা কমন বাথরুম।

একটিমাত্র সরকারি পাবলিক বাস সকালে নৈনিতাল থেকে ছেড়ে করবেটের গা ঘেঁষে রাতে রামনগর পৌঁছাতো। দুগ্গা দুগ্গা বলে সেই বাসে চেপে সন্ধ্যেবেলা ধানগড়ির গেটের ভিতর ঢুকে আরও মাইল পাঁচেক জঙ্গলের ভেতরে গিয়ে অবশেষে ফরেস্ট রেস্টহাউসে পৌঁছলাম। সেখানে ডিনার চাইলে সেদিন দুপুরেই বলে রাখতে হয়। তাই সেই রাতে জল আর বিস্কুট দিয়ে ডিনার সেরেই ঘরে ঢুকে পড়লাম। তখন আমরা হনিমুনে। কাজেই খাওয়া দাওয়াটা মূখ্য নয়, যাকগে সে কথা। ঘরটা আমাদের বিই কলেজের হস্টেলের ঘরের মতোই, তবে আকারে বড়, লাগোয়া বাথরুম, তাতে একটি কল আছে। শাওয়ারের কোন বালাই নেই, গরম জল তো দূরের কথা আর সময়টা জানুয়ারি মাস। তাই হাতমুখ ধোয়ার জন্য বেশি সময় নষ্ট না করে সারাদিনের ক্লান্তিতে সোজা গিয়ে বিছানায় লেপের তলায় ঢুকে গেলাম।

মাঝরাতে গিন্নি ঠেলা মেরে বললেন যে বাঘের ডাক শোনা যাচ্ছে। আমার তখন ডাকাত পড়লেও ঘুম না ভাঙার অবস্থা। পাশ ফিরে শুয়ে বললাম “পাগল হয়েছ? এখানে বাঘ? সে তো জঙ্গলে। কাল সকালে দেখতে যাবো। ও কিছুনা, বাথরুমের কলটা লিক আছে, সেখান থেকে বালতিতে টপ টপ করে জল পড়ছে।” কি করে যে বালতির কথাটা মাথায় এলো, এখনও বুঝতে পারি না। গিন্নিও আর কথা না বাড়িয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লেন (এরপর সকলে যা ভাবছে, তা নয়, সারাদিন ঝড়ঝড়ে স্টেট ট্র্যান্সপোর্টের বাসে জার্নি করে গায়ে তখন প্রচুর ব্যাথা।)

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্টের জন্য নীচে ডাইনিং হলে নেমে দেখি বেশ উত্তেজনা। কয়েকজন সুইডিশ ও জার্মান পাবলিক হাতমুখ নেড়ে চোখ বড়বড় করে দূর্বোধ্য ভাষায় কি সব বলে যাচ্ছে। আমরা খানসামা কে জিজ্ঞেস করলাম “কি হয়েছে?” কারন মনে ভয়, ওখানেই আগামী চারদিনের বুকিং আছে। রাঁধুনিটি একগাল হেসে বললে “কুছ নহী সাব, কাল রাত ইধার শের আয়া থা। আপ নিশ্চিন্ত রহিয়ে। হামারে ইধর গার্ড হ্যায়। আপকো কুছ নহী হোগা।” বলতে বলতে ভগ্নদূতের মতো গার্ড সাহেবের প্রবেশ, তার হাতে একটি লাঠি। সেই লাঠি ও গার্ডের চেহারা দেখে অত সুস্বাদু আলুর পরোটাটাও গলায় লেগে বিষম খেলাম।

ব্রেকফাস্ট খেতে খেতেই ফরেস্ট অফিসারের আগমন। জাঙ্গাল সাফারিগুলো বুক করতে করতে জানলাম যে কাল রাতে এক সুইডিশ ভদ্রমহিলা বাথরুমে যাবার জন্য টেন্ট থেকে বেরিয়েই সামনেই দেখেন বাবা দক্ষিণরায়। সেই যে দাঁতকপাটি লেগে পতন ও মূর্চ্ছা তা দেখে মামাও গুটি পায়ে হাঁটা দেন। দু’ একবার শুঁকেছিলেন কিনা জানিনা। এসব শুনে গিন্নি আামার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকালেন আর আমিও নিবিষ্ট চিত্তে ঘাড় নেড়ে পরোটায় অখন্ড মনোনিবেশ করলাম।

ব্রেকফাস্টের পর বাইরে ঘাসের জঙ্গলে বেড়াতে বেরোলাম। রেস্টহাউসটা ছিল একটা টিলার ওপর, নিচে রামগঙ্গা নদী বয়ে চলেছে। একদিকে ঘন ঘাসের জঙ্গল। সেই নদীটাকে ডানহাতে রেখে আমরা ঘাসবনে ঢুকলাম। ইচ্ছে ছিল কিছুদূর ঘাসবনের মধ্য দিয়ে গিয়ে টিলা থেকে নেমে নদীর ধার দিয়ে হেঁটে আবার ওপরে উঠে আসবো। কাজ তো কিছু নেই আবার গপ্পো করার মতো কোন বাঙালী বা নিদেনপক্ষে ভারতীয়ও নেই, তাই একটু সময় কাটানো।

ঘাসবনের ঘাসগুলো উচ্চতায় প্রায় অঞ্জনার মতোই, রঙ হলুদ। তাই বললাম “চলো হাত ধরেই চলি। এই ঘন ঘাসবনে হারিয়ে গেলে আর কোনদিনই খুঁজে পাবো না। এইভাবে মাইল খানেক হাঁটার পর আর রেস্ট হাউস দেখা গেলনা, আমরা নিচে নদীটার দিকে নামতে লাগলাম। নদীর ধারে অনেক পাথর, পাহাড়ি নদী যেমন হয়। হাঁটতে হাঁটতে সেই পাথরের ওপর দেখলাম একটি অল্পবয়সের কিশোর পাইথন রোদ পোয়াচ্ছেন। কাছে যেতেই গিন্নি হাঁ হাঁ করে উঠলেন। কাল রাতের কথা ভেবে আর এগোতে সাহস করলাম না।

ঘন্টা তিনেক পর রেস্টহাউসে ফিরে দেখি তুলকালাম অবস্থা। একটা ছোটখাটো সার্চ পার্টি তৈরি করা হচ্ছে আমাদের খোঁজার জন্য। আমাদের দেখেই ফরেস্ট অফিসার বললেন “ব্যাগগুলো প্যাক করে নিন। আমরা জীপে করে এখনই আপনাদের রামনগর ছেড়ে দিচ্ছি, তারপর যেন এই ক্যাম্পাসের চৌহদ্দিতে আর না দেখি।”
অনেক হাতে পায়ে ধরে জানলাম যেখানে আমরা নিজেদের বাগান মনে করে হাঁটাচলা করছিলাম, সেটা নাকি ঘাসবন নয়, প্রোটেক্টেড এরিয়া মানে সংক্ষেপে মামাবাড়ি।
কোন সাইনবোর্ড নেই, দিগন্তবিস্তৃত ঘাস ছাড়া আর কোনো গাছও নেই। আমরা শহুরে লোক এখানের হালচাল বুঝবো কি করে!!

সংযোজন
হিমাংশু নাথ, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সুকান্ত অঞ্জনাকে নিয়ে গিয়েছিলো ১৯৮৩ সালে, আর আমরা ছিলাম চারজন, মানে আমি প্লাস বিই কলেজের দুই বন্ধু গজা, আর পিজে। আর আছে অন্য আরেক বন্ধু, সে বিই কলেজের নয়, যাচ্ছি ২০২২ সালে। এই চল্লিশ বছরে প্রগতির হাওয়ায় জঙ্গলের অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। ঘরে বসে অনলাইন বুকিং করি, মোবাইলে প্রশ্নোত্তরে সব জানা যায়। থাকার জন্য পঞ্চনক্ষত্র হোটেল। দিশি বিদিশি ফুড মেনু, চাইলে চাইনিজ, থাই, ফ্রেঞ্চ সব পাবো। ঘরে ঘরে ওয়াই ফাই, চ্যানেল টিভি। ইচ্ছে হলে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটো। আমাদের অবশ্য বিশেষ একটি নন-নিগোশিয়েবল ডিম্যান্ড ছিলো। রুমে এটাচড কমোড টয়লেট উইথ ফ্লাস থাকতেই হবে। আমরা এসে উঠলাম, হোটেলে।

আজ করবেট সাফারি। গতকালের birdwatch সফর অনেকটাই পুরোনো দিনের ভোজের শুরুতে লুচি-বেগুনভাজার মতোই। খেতে ভালোই লাগতো কিন্তু নজর থাকতো কখন ‘আসল’ মানে – মাছ মাংস ইত্যাদি আসবে। আজ সেই ‘আসল’ মেনুর সন্ধানে দু’বার সাফারির ব্যাবস্থা রেখেছি। সকালে, বিকালে।

তার আগে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।
সুকান্তর করবেট ভ্রমণের পর অনেক জল বয়ে গেছে। এখন জিম করবেট অভয়ারণ্য ভারতের একটি গ্ল্যামারাস রিসার্ভ ফরেস্ট। অন্যান্য বিভিন্ন কারণের মধ্যে wild life variety অন্যতম। কারন, বাঘ-চিতা-হাতী-কুমির একসাথে আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এছাড়া নানান রকমের পাখী ও জঙ্গলের বৈচিত্র্য তো আছেই।

Wild life tourism এর জনক ভারতবর্ষে এই Edward James Corbett এর হাত ধরে। ব্রিটিশ প্রকৃতি প্রেমিক জীবনের প্রধান অংশ এই উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল- কুমায়ুন অঞ্চলে কাটিয়েছেন। আমার স্কুলের বন্ধু যারা তখন দিল্লী বোর্ডে পড়তো (ICSE /CBSE) তাদের উঁচু ক্লাসের Rapid Reader ছিলো করবেট সাহেবের Man Eaters of Kumaon. ছিলো অসাধারণ বর্ণনা। শুধু শিকারেরই নয়, পারিপার্শ্বিক গ্রাম্য সহজ লোকেদের কথা, যারা চিতাবাঘের আক্রমণে অসহায়। এই সরল লোকেদের জন্য সাহেবের সমবেদনা সেই লেখার প্রতি ছত্রে ফুটে উঠছে। করবেট সাহেব শিকারী হিসেবে যত না পরিচিত, পশুপ্রেমিক হিসেবে তার থেকে অনেক বেশি। সেকালের রাজারা তো ঢোল নাকাড়া বাজিয়ে শিকার করতেন, ক’জন মনে রেখেছে? করবেট সাহেবের সমস্ত শিকারই সরকারের অনুরোধে, মানুষের বাঁচার স্বার্থে। বাহাদুরী প্রদর্শনীর জন্য উনি মানুষখেকো বাঘ/ চিতাবাঘ শিকার করেন নি। এরজন্যই উনি সর্বসাধারণের স্বীকৃতি পেয়েছেন, আর বিভিন্ন খেতাব।

এই অভয়ারন্যের আগের নাম ছিলো Hailey National Park. ভদ্রলোকের ( Malcolm Hailey) সঙ্গে প্রকৃতির কোনো যোগাযোগ ছিলো না, কিন্তু Governor ছিলেন, তাই নামকরণ। পরবর্তীকালে সঠিক ভাবেই করবেট সাহেবের নামে এই ন্যাশনাল পার্ক।

পার্কের অনেকগুলি প্রবেশদ্বার। মূল প্রবেশ তোরণ ধানগড়ি হলেও – আমদন্ডা, বিজরাণী, ধিকালাতে আছে থাকবার আয়োজন। ধিকালাতে খুবই ব্যাপক আয়োজন, সবই প্রায় তারামার্কা আস্তানা। আর এত হোটাল যে সংখ্যা গোণাও সম্ভব নয়। আমাদের আস্তানাও পেয়েছিলাম কলেজের ভাষায়, ঝিনচ্যাক্।

মূলতঃ করবেট পার্ককে কেন্দ্র করে ব্যাপক টুরিজম আর টুরিস্টদের টুকিটাকি প্রয়োজনকে ঘিরে অজস্র ব্যবসা ছাড়া রামনগর শহরে আর তেমন কিছুই চোখে পড়েনা! বাঘ নামের মাত্র একটা প্রাণীর জন্য এতোবড় আয়োজন, এতো অজস্র মানুষের রোজগার এতোকাল আমাদের কল্পনাতীত ছিল!

জঙ্গলের ভিতরে গাছপালার বিভিন্ন বিন্যাস .. কখনও ভীষণ ঘন, কখনও একেবারেই হাল্কা। আশা করেছিলাম আমাদের টানে বাঘ না হলেও বাঘিনী নির্ঘাত দেখা দেবেন। বন্ধু গজা সেই দেখা হবার মুহূর্ত স্মরণ করে রং মেলানো হলুদ রঙের প্যান্ট পড়েছে। (সম্ভবতঃ ডায়াপার সহ!) বেশকিছু ছোটোবড়ো জন্তু দেখা গেলেও, মামা ভাগ্নেদের দর্শন দিলেন না। হয়তো অফিসের কাজের চাপে ছুটি পান নি। তবে আগের রাতের টাটকা পদচিহ্ন রেখে গেছেন, ভাগ্নেদের জন্য। তাতেই প্রণাম করে আমাদের জঙ্গল সাফারির সমাপ্তি।

এতো কেলেঙ্কারীর পরও আমরা মামাবাড়ির কোন সদস্যের দেখা পেলাম না, কিন্তু করবেট আমার দেখা শ্রেষ্ঠ জঙ্গলগুলোর মধ্যে একটা। দুঃখতো একটু হবেই, তবে বাঘের খোঁজে জঙ্গলের আনাচে কানাচে ঘুরে, রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করার উত্তেজনাও একরকম পাওয়া। আমাদের ইয়ারের অন্যান্য বন্ধুরা বাঘের খোঁজে এসে ময়ুরের নাচ, হরিনশিশুর দুধ খাওয়া, এসবের ভিডিও তুলে নিয়ে গেছে। এগুলোও একধরনের প্রাপ্তি। আরেকটা কথা বলি, যদি প্রথমবারে মামামামীর দর্শন না হয়, সেজন্য একই দিনের আরেকটা টিকিট কেটেছি। মর্নিং শো আর নুন শো। ওনাদের দেখা পাই নি, তবে দু’বারের সাফারিতেই আমাদের বাঘ দেখানোর জন্য ড্রাইভার আর গাইডের যে অপরিসীম চেষ্টা দেখেছি সেটাও আরেক তৃপ্তির ব্যাপার। একটা ব্যাপারে নিশ্চিত, বাঘের দেখা না পেলেও তেনারা যে আমাদের থেকে খুব দূরে ছিলেন না তারও যথেষ্ট আভাস পেয়েছি। সে আরেক উত্তেজনা, তাই দর্শন না পেলেও যা পেয়েছি সেটাও খুব কম নয়!

 

 

Sahityika Admin

1 comment

  • বিয়ে করেই বাঘমামার বাড়িতে যাত্রা?
    যুগলের হিম্মত আছে