সাহিত্যিকা

আমার রুমমেটের মাঝরাত্রের দুর্ঘটনা – একটি সত্য ঘটনা

আমার রুমমেটের মাঝরাত্রের দুর্ঘটনা – একটি সত্য ঘটনা
সমীর কুমার সরকার, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

সময়টা ১৯৭৫ সাল, আমাদের হাফইয়ার্লি পরীক্ষা চলছে। আমার রুমমেট সুকান্ত গতকাল মাঝরাতে মাথায় ব্যান্ডেজ, ঠোঁটে সেলাই নিয়ে হস্টেলে ফিরেছে। এবং প্রায় অচৈতন্য অবস্থায়। রোজই সে সন্ধ্যাবেলায় সেজেগুজে বেড়িয়ে যায়, কোথায় যায় বলে না। মন্দ লোকজনেরা বলে সন্ধ্যার আঁধার নেমে এলে ওঁকে নাকি লেডিজ হস্টেলের আশেপাশে দেখা যায়, ও নাকি ডিজিটাল সার্কিট, ম্যাথস এসব পড়া বুঝতে যায়। রাতের খাওয়ার সময় দেখি ফিরে আসে, মুখে হাসি, কখনো বা হাল্কা শিশ দিয়ে গান গায়, খুব ভালো মুডে থাকে।

সুকান্ত গতকালও সন্ধ্যায় বেড়িয়েছিলো, সাজগোজের মাত্রাটাও একটু বেশিই ছিলো। ও চিরকালই শৌখীন, ভালো ভালো জামা-জুতো পড়ে, তেল, সাবান, পাউডার, চুলের স্টাইল সব বিষয়েই সচেতন। ও কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে এসবের উত্তর আমার জানা ছিলো, তাই কোনদিন প্রশ্ন করতাম না। গতকালও করিনি। কিন্তু মাঝরাতে সেলাই ব্যান্ডেজের মোড়কে ফিরে এসেছে দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। অত রাতে ওর ঐ অবস্থায় আমি আর কোন প্রশ্ন করিনি। ওঁকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ভাবছিলাম কি এমন হয়ে গেলো যে এই অবস্থায় ফিরে আসতে হলো? ত্রিকোন প্রেমের ঝাড়পিট নয় তো? নানান রকম চিন্তা মাথায় আসছে। কোন ফ্যাসাদে পড়ে যায় নি তো? আমি ওর রুমমেট, এ ব্যাপারে আমার দায়িত্ব আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। আর ওর যা অবস্থা, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রশ্ন করে ওকে বিব্রতও করতে চাই না। থাক, রাতটা যাক।

সুকান্তর আজকের অবস্থা গতকাল রাতের থেকে ভালো। কালকে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় ওকে দেখে আমি আর আমার অন্য রুমমেট চিত্ত বেশ নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। হাতে পায়ে মাথায় রক্ত মাখা ব্যান্ডেজ। আর মুখ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। নাকটা কালো হয়ে গেছে, চোখের কোণটা কালশিটে। চিত্ত আর আমি বিশেষ কোন কথা না বলে ওর জামা জুতো খুলে বিছানায় শুইয়ে দিলাম।

আমরা তিনজন কলেজ হোস্টেলে একসাথে একঘরে থাকলেও সুকান্ত ছিল আমাদের থেকে অন্যরকম। অসম্ভব প্রতিভাবান (এবং ফাঁকিবাজ)। পড়াশোনাতে যেমন মেধাবী, সেরকমই ফাঁকিবাজ, সেরকমই ভীষণ মিশুকে ও আড্ডাবাজ। রোজ বিকেলবেলায় বেরিয়ে যায় আর হোস্টেলে ফেরে একটু রাত করে। ফিরে এসে ঘন্টা দুয়েক পড়াশোনা করে খেয়েদেয়ে তারপর শুয়ে পড়ে। রাত্তিরে এসে বাঁ হাতটা আকাশের দিকে তুলে রেখে দুলে দুলে ঘন্টাদুয়েক পড়েই আমাদের থেকে অনেক বেশী নম্বর পায়।

শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদধন্য সুকান্তির অধিকারী আমাদের বন্ধুটি যে অগুনতি গোপীনীর সান্নিধ্যে আসবেন সে বিষয়ে আমাদের কোন সন্দেহই থাকত না। আমরা কিছু জিজ্ঞেস করছি না দেখে নিজেই বলতে শুরু করেছে। আমরা কিন্তু ওকে একটাও কথা বলতে দিলাম না।

পরদিন সুকান্ত পরীক্ষা দিতে যেতে পারলো না, আমরা অন্যরা সকলেই গেলাম। হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা, ওকে একটা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে হবে, তাহলেই ব্যাপারটা ম্যানেজ হয়ে যায়। বিকেলে এসে দেখলাম চকোলেট খাচ্ছে। চকোলেট যে ওর খুব প্রিয় এটা হস্টেলের সকলেই জানতো। চেপে ধরলাম, বল প্রেম করতে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে এলি। কি হয়েছিলো?
– কী যা তা বলছিস?
– যা তা বলছি? চিত্তকে জিজ্ঞেস কর, আমরা কালকে কেমন টেনশনে পড়েছিলাম। আমরা জানি, তুই রোজ বিকেলে জুতো মোজা পরে ‘ফিট বাবু’ হয় কোথায় যাস, কী করিস। আমাদের কিছু বলিস না বলে আমরাও তোকে ঘাঁটাই না, কিন্তু সব বুঝতে পারি। কিন্তু তাই বলে রক্তারক্তি হয়ে মাঝরাতে ফিরবি? আর এখন কেলিয়ে চকলেট খাচ্ছিস?
– ফালতু বকছিস। যা জানিস না, বাজে তক্কো করিস না। আর আমি চকলেট খাচ্ছি না, চেষ্টা করেছিলাম, পারছি না।
– ফালতু কথা? পরীক্ষার কটা দিন তো বাদ দিলে পারতিস! কী লাভ হল? পরীক্ষাটা দিতে পারলি না, নেহাত ফাইনাল পরীক্ষা নয়, তাই বেঁচে গেলি! আবার বলছিস চকলেট খাওয়ার চেষ্টা করছি? চেষ্টা করছি মানে কি?
– আবার না জেনে বাজে কথা?
– বাজে কথা? তোকে এখানে চকলেট কে এনে দিলো?
– সে জেনে তোর কি লাভ? তুই আমাকে চকলেট কিনে এনে দিবি?
– বাজে বকিস না। আগে তো কোনদিন তোকে মাঠে যেতে দেখি নি, আজকাল এমন কী হল যে সিদ্ধিদার ক্যান্টিনেও না খেয়েই দৌড়ে মাঠে যাচ্ছিস? এদিকে সিদ্ধিদা সবাইকে জিজ্ঞেস করে, সুকান্তবাবুর কী হয়েছে? আমার কাছে আর খায় না কেন?
– তোরা ফাল্তু বকবক বন্ধ করবি, না আমার কথা শুনবি?

আমরা একটু চুপ করলাম, দেখি ও কি বলে।
– একটা বিয়ে বাড়িতে নেমন্তন্ন ছিল। আমরা সেখান থেকে ফিরছিলাম,
– বিয়েবাড়ি? একবারও তো বলিস নি। আর আমরা মানে কে?
– আমার কথা শুনবি? নাকি ভাট বকবি?
– ঠিক আছে। বল্, শুনি।

আমরা এখন গতকালের ঘটনা শুনতে বসলাম।

গতকাল সুকান্ত আমাদেরই এক সহপাঠিনী আর্কিটেকচারের মিত্রার এন্টালির বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিল। সেদিন ছিলো মিত্রার দাদার বৌভাত। সঙ্গে ছিল আমাদের ব্যাচের কয়েকজন, আর উঁচু ক্লাসে পড়া দিদি থেকে নীচু ক্লাশের কিছু ভগিনী। বিয়েবাড়ি থেকে দলবেঁধে ট্যাক্সিতে কলেজ হোস্টেলে ফেরার পথে গাড়ির ব্রেক ফেল করে। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটার সময় গাড়ি তখন হাওড়া ব্রিজের উপর, মাঝপথে। সামনে ড্রাইভারের পাশে অশোক দাস (আর্কিটেকচার) আর জানলার দিকে সোহম দাশগুপ্ত। পেছনে সুকান্ত, আমাদের আগের ব্যাচের শিপ্রাদি, রমুদি (বড়াল) আর আমাদের ব্যচের সুশোভন দাশগুপ্ত। হাওড়া ব্রীজ থেকে হাই স্পিডে নামার পথে ড্রাইভার বলে উঠলো, ব্রেক ফেল! তখন হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ে কন্সট্রাকশন চলছিলো। রাস্তার দুপাশে গর্ত, টিন দিয়ে আড়াল করা রয়েছে। কয়েক মুহুর্তের মধ্যে ব্রীজ থেকে নেমেই সামনে একটা দোতালা বাস। কিছু বোঝার আগেই ড্রাইভার স্টিয়ারিং কাটিয়ে বাঁদিকে একটা কন্সট্রাকশনের পিলারে ধাক্কা মারলো। গাড়ি থামতে দরজা খুলতে গিয়ে দেখি ধাক্কায় গাড়ির দরজা তুবড়ে আটকে গেছে! ট্যাক্সির পেছনের দরজা খোলা আর সুকান্তর পা দুটো ট্যাক্সিতে থাকলেও শরীরটা রাস্তায়। সোহমের বাঁ চোখের ভুরুর ওপর বেশ কিছুটা কেটে গেছে। ড্রাইভারেরও চোট লেগেছে। অন্যদের কিছু হয় নি। সোহম জানলা দিয়ে গলে বেরিয়ে এসে রাস্তায় নেমে দেখে সুকান্ত অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে আর তার সাদা পাঞ্জাবী পায়জামা রক্তে ভেসে যাচ্ছে! অত রাতে ব্রীজের উপর রাস্তায় লোক চলাচলও নেই। একমাত্র লাস্ট লোকাল ট্রেন ধরবেন বা এইমাত্র স্টেশনে এসে নেমেছেন এইরকম সামান্য কিছু লোকজনই রাস্তায় আছেন। রাস্তার লোকজনই এগিয়ে এসে কোনোমতে আরেকটা ট্যাক্সি যোগাড় করে দিলো। সুকান্তকে নিয়ে সোহম আর সুশোভন মেডিকেল কলেজে ছুটলো। অশোককে দায়িত্ব দেওয়া হলো মেয়েদের নিয়ে কলেজ হস্টেলে ফেরা।

ট্যাক্সি জোগাড় করে সুকান্তকে ট্যাক্সিতে তুলতে সকলের হিমশিম অবস্থা! সোহমেরও বাঁ চোখের উপর চোট। ড্রাইভারের কপাল একটু কেটেছিলো, তাই তাকেও সঙ্গে নিয়ে সোহম আর সুশোভন মেডিকেল কলেজে পৌঁছোলো। সুকান্ত তখনও অজ্ঞান। সোহম আর সুশোভন একটা স্ট্রেচার যোগাড় করে সুকান্তকে শুইয়ে ইমার্জেন্সীতে নিয়ে যায়। কপাল ভাল যে খবর পেয়ে একজন তরুণ ডাক্তার সাথে সাথেই দৌড়ে আসে। তখনই বোঝা গেলো যে, সুকান্তর ডানদিকের কপালের ওপর থেকে কোনাকুনি ভুরু, আর চোখের তলায় গভীর ক্ষত। সবচেয়ে সাঙ্ঘাতিক হলো ওপর নীচের দুটো ঠোঁটই কেটে দু’ফালা হয়ে গিয়েছিলো। ভাগ্যিস ওর জ্ঞান ছিলোনা তাই যন্ত্রণাটা টের পায়নি। ডাক্তারবাবু ছুঁচসুতো নিয়ে হাজির। সেলাইয়ের খোঁচায় জ্ঞান ফিরলে হাত পা ছুঁড়তে পারে তাই সোহমকে আর সুশোভনকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হলো সুকান্তর দু’টো হাত চেপে ধরে রাখতে হবে। দুজনেই সুকান্তর হাত ধরে দুদিকে দাঁড়িয়ে রইলো। জীবনে ঐ প্রথম চোখের সামনে শরীর সেলাই করা দেখে দুজনেরই হাত পা পেটে সেঁধিয়ে যাবার মত অবস্থা! কপালের কোনা থেকে শুরু করে পর পর স্টিচ দিতে দিতে ডাক্তারবাবু যখন সুকান্তর ওপরের ঠোঁটটায় ছুঁচ ফুটিয়েছেন, হঠাতই সুশোভন দাঁড়ানো থেকে সটান মাটিতে পড়ে গেলো! নার্স দেখে বললো সেন্সলেস হয়ে গেছে। অবশ্য চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিতেই ওর জ্ঞান ফিরে এলো। সব মিলিয়ে, সুকান্তর নিজের কথায় ১৭-১৮টা সেলাই হয়েছিলো। সুকান্তর সেলাইয়ের পর সোহমের ভুরুতেও দু-তিনটে স্টিচ হলো।

সুশোভন পরে বলেছিলো যে সোহমের ওপরের ঠোঁট সেলাইয়ের সময় হঠাতই ওর হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা সোহমের আঙুল নড়ে ওঠায় সুশোভন মুহুর্তের জন্য জ্ঞান হারিয়েছিলো!

মন্ত্রমুগ্ধের মতন সব শুনলাম। এত বড় একটা বিপদের মুখ থেকে ফিরে এসেছে, আর আমরা অন্যরকম সন্দেহ করছিলাম? এখন সুকান্তর দুটো ঠোঁটেই সেলাই, তাই কথাও বলছে জড়িয়ে জড়িয়ে। আরও যা যা জানা গেলো যে ওপরের ঠোঁটে সেলাই করার সময় সুকান্তর কিছুটা জ্ঞান ফিরেছিলো কিন্তু যন্ত্রণাতে মুখ অসাড়, তাই বিশেষ লাগেনি। জ্ঞান ফেরার পর এমার্জেন্সি থেকে বেরিয়ে বেঞ্চের ওপর বসে প্রথম ডায়লগ “গুরু, একটা সিগারেট হবে?” অবাক হয়েই সোহম একটা সিগারেট দিয়েছিলো, কিন্তু দুই ঠোঁটেই সেলাইয়ের জন্য সুকান্ত সিগারেটের সুখটান দিতে পারলো না। ততখনে সুশোভন গেছে ট্যাক্সি ডাকতে আর সোহম নিজে কপালে স্টিচ নিয়ে সুকান্তর কাছে বসে আছে, খেয়াল রাখতে হবে আবার যদি সুকান্ত অজ্ঞান হয়ে যায়।

কোন ট্যাক্সিই পুরো বিই কলেজ পর্যন্ত আসতে রাজী হয় নি। একজনকে অনেক ধরাধরি করে অলকা অবধি ওরা এসেছিলো, তারপর শত অনুরোধেও ট্যাক্সি অত রাতে আর আগে যেতে চায়নি। সেখান থেকে একটা রিক্সা করে সুকান্ত, সোহম আর সুশোভন, এই তিনজন কলেজে এসেছিলো। দু’জনে সুকান্তকে রিক্সার মাঝখানের সীটে বসিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে রেখে। রিকশার ঝাঁকুনিতে স্টিচ সামান্য কেটে যায় আর স্টিচের ফাঁক দিয়ে দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। মুখে রক্তের নোনতা স্বাদ, সুকান্ত আবার ঘোরের মধ্যে চলে গেলো। আর হোস্টেলে পৌঁছোনোর পরেই সোহমের হাঁটু ফুলতে শুরু করে। সকালবেলায় হাঁটু ফুলে ঢোল। পরে জানা গেলো মালাইচাকি না ভাঙলেও বেশ চোট লেগেছে!

ঐ রাতে কেউ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে চায় নি কারণ মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বাড়ি ফিরলে বাবা মা ঐ মাঝরাতে প্রচন্ড শকড হতেন। তাই সেই রাতে সকলেই হস্টেলেই ফিরে এসেছিলো। পরদিন সকালে কারোরই আর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিলো না। সাগর (দাশগুপ্ত) সোহমকে ট্যাক্সি করে নেতাজীনগরের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে। আর আমি পরদিন সুকান্তকে ওর বালিগঞ্জের ট্রামডিপোর পাশেই ওর দাদুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এলাম। সুকান্তদের বালিগঞ্জের বাড়ি ছিলো জয়েন্ট ফ্যামিলি। বাবা তখন কলকাতায় থাকতেন না। বাড়ির লোকেরা (জেঠু/ জেঠিমা, কাকা/কাকিমা, দাদা/ভাই/বোনেরা) সুকান্তকে দেখে ভূত দেখার মতো অবস্থা। ভাগ্যিস সে রাতে সে বাড়ি ফেরেনি! ফোনে ওর বাবাকে খবর দেওয়ায় পরেরদিন বাবা এলেন মালদা থেকে। সুকান্তকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলেও, ডাক্তার অনুমতি দেয়নি। তাই সে বালিগঞ্জেই রয়ে গেলো।

আমাকে আরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো ডঃ সেন (EE) ও ডঃ বড়ালকে (ETC) জানানোর জন্য। ডঃ সেন সব শুনলেন এবং ডঃ বড়াল দেখলাম আগে থেকেই সব জানেন। মেয়ে রমুদি’র থেকে আগেই শুনেছেন।

সেই রাত্রে যে ডাক্তার সুকান্তর স্টিচ করেছিলেন আজও তাকে সেলাম জানাই। এতো নিখুঁত স্টিচ খুব কম ডাক্তারই দিতে পারে। কয়েকমাসের মধ্যে দাগ মিলিয়ে যেতে সুকান্তর মুখে অতোগুলো স্টিচের আর চিহ্নই ছিলোনা! এখন সঠিক মনে পড়ছেনা, একমাস মতো লেগেছিল সারতে।

*******

সংযোজন, সুকান্তর নিজের কথায়
আ্যক্সিডেন্টের পর সহপাঠী, সিনিয়ার, জুনিয়র অনেকেই বাড়িতে আসতো আমি কিরকম আছি দেখতে। সাধারনত: দু’তিন জন একসাথে আসতো। আমার বেশ মজাই লাগতো। শুধু একজন দু’বার এসেছিল একা, ছুটির দিনে। তাকে আমি হয়তো আশা করিনি।

*******

কে এসেছিলেন জানলে ইতিহাসটা সম্পূর্ণ করা যায়।

Sahityika Admin

2 comments