সাহিত্যিকা

আমার কয়েকটি কবিতা

আমার কয়েকটি কবিতা
অমিত পালিত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
• তুমি এসেছিলে
• আবার আসিব ফিরে
• যুদ্ধ জয়
• মনের কথা, অন্য ভাষায়

তুমি এসেছিলে

তুমি এসেছিলে
একরাশ সুগন্ধ ছড়িয়েছিল,
পূর্ণিমার রাতের চন্দ্রিমা আলোকিত করেছিল আমার ভুবন
তোমার মদালসা আমাকে করেছিল নেশায় বুঁদ
কিঙ্কিনী বেজে উঠেছিল আমার জীবনে যৌবনে।

তুমি এসেছিলে,
এক সোনাঝরা স্বপ্ন মনে এনেছিল আনন্দের অনুরনন
তোমার টানাটানা চোখের কোনে এক ঝিলিক হাঁসি
তোমার সুরে বেহাগের তাল
তোমার বাঁকা চলনের বঙ্কিম বন্ধন
কেটেছে দিন কেটেছে রাত হয়েছে ভোর
আমি হয়েছি তোমাতে বিভোর।

তুমি এসেছিলে
তাই ত হয়েছে তৈরী কতগল্প
বর্ষার ঢাল নেমেছিল তোমার কাঁধ পেরিয়ে
তোমার শাড়ীর রঙে রেঙেছিল ঘেরাটোপের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য
না জানা কত কথার সাতকাহন।

তুমি এসেছিলে
তোমার ঐ না জানা উপত্যকায় দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ
বেলাশেষের বালুচরে আজ খুঁজে ফিরি হারিয়ে যাওয়া সেই স্বপ্নের মায়াপুরী
চেতনার গভীর অবচেতনে।

তুমি এসেছিলে
তাই ত আমার জীবনে এসেছিল নতুন অঙ্গীকার
তোমার কোমল হাতে হাত রেখে পেরিয়ে এসেছি এই দুর্গম পথ
আজ তাই আমি তোমার ভাষ্যের নীরব ভাষ্যকার।

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

******

আবার আসিব ফিরে

চারিদিকে আজ এ কি হাহাকার, বিভীষিকার রৌরব
মৃত্যুময় সংহার।
কত ঘর হোলো খালি
কত জীবন অকালে গেল ঝরে
কত আপনার, কত নিবীড়তা
কত আশা, আজ সব নিরাশা
শ্মশানযাত্রায় নেই পাশে
যা ছিল শপথের অঙ্গীকার।
এ কি দুর্বোধ্য শঙ্খনিনাদ, ডম্বরু বাজে গুরুগুরু
এই পথেই কি তবে শেষের শুরু।
অলিন্দের কোনে দুটি চোখ কারে খুঁজে ফেরে
অশ্রু যার গেছে শুকায়ে
কোন সেই নির্মম সত্য যা করেছে তারে ভাগ্যহীনা
আছে দাঁড়ায়ে যদি বাজে সেই বাঁশী
জুড়ায়ে মন আলিঙ্গনের অন্তরাগ।
এ কোন শবযাত্রা
এ কোন ভাগ্যের কশাঘাত
কিসের এই অভিশাপ, বিধির দুর্বোধ্য বিধান
পাপ পুন্যের এ কি পদস্খলন,
আজ যেন সব অন্তর্যামীর দংশন।
আজ এই স্বজন হারানো শ্মশানে
বিদীর্ন হৃদয়ে প্রস্থানের পথে
আগুনের লেলিহান শিখায় বিলীন হওয়ার সাথে
রয়ে গেল শুধু শেষ কটি কথা
আমিও ত মানুষ, অধিকার ত আমারও ছিল
আশার আলো ত আমিও দেখেছিলাম
সুন্দর বর্নময় এই জীবনে
রয়ে গেল আমার শেষ অমর্ত্য ব্যাথা,
যদি থাকে অন্য জগৎ
মিলিব আবার হেথা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনখানে
অপেক্ষায় থেকো, আসিব আবার ফিরে।

২৯-মে, ২০২১

********

যুদ্ধ জয়
অমিত পালিত, ১১ জুন, ২০২১

যুদ্ধ জয়
আমার বিক্রম তোমার পরাক্রম
আগুন এখানেও জ্বলে‌ আগুন ওখানেও জ্বালায়
আকাশ এখানেও অন্ধকার ঘর ওখানেও উজাড়
সঙ্কল্পে দৃঢ় তুমি বাস্তবে বিমূঢ় আমি
রক্তমাখা হাতে দেখি তোমার হৃদয়ের প্রস্রবন।
বিধ্ব্ংসের বিভীষিকায় তোমার বিচরন
বিছানো শবদাহের ওপর আমার গৌরবের আত্মহনন।
মানুষের রক্তে বয়ে যায় অগ্নিস্রোতের লাভা
যুদ্ধের বিপননে ছড়াই আত্মশ্লাঘা।
ভরা সংসারে জাগিয়েছি মৃত্যুর মহোৎসব
প্রেতাত্মার উদ্দাম নৃত্যারতি মৃতের বুকে
রাতভর জ্বলেছে মোমবাতি ঘরের কোনে
মায়ের কোল করেছি ফাঁকা
যুদ্ধজয়ের বীর বিক্রমে।
সমাধিস্থলে ছড়ান গোলাপের পাপড়ি
শুভ্রতায় ঢাকা‌ আজ রক্তের বিদ্বেষ
শত্রুমিত্র সবাই হাজির
কে জিতিল কে হারিল কোথায় তার হিসাব নিকাশ
চারিদিকে ছড়ায়ে স্বজনহারানোর
গগনভেদী হাহাকার।

******

মনের কথা, অন্য ভাষায়

চারো তরফ রঙ্গিলি শ্যাম ছাই হুই থি
সাথ মে থি‌ লাজবাব সবাব
ঘুঙ্গঠ কি পিছে থি এক জহরিলি মুসকান
হাত মে থি মধুশালা
ম্যায় ত লুট গয়া থা।
আঁখো কি ও নরমিয়া
শবনম কি ও বুঁদে
বদন কি ও খুসবু
কতরা কতরা খুন ছা গয়া মেরে নস নস পে।
হুসন কি এক ঝলক
বনা দিয়া মেরে মজার হর গলি মে
যাঁহা পে বজি তেরী সুর কি শেহনাই
ম্যায় ত খো গয়া ওঁহি পে।
এ্যায় গুলবদন
এ্যায় জানেমন
ঝুম উঠে মেরী চাহত
তেরি হোঁঠ কি লালি মে।
য়ে ওয়াদিঁয়া, য়ে হরিয়ালি
জনম জনম কা তেরা সাথ রহ যায়েগি
বনকে এক অমর প্রেমকাহানি।

৬ জুন, ২০২১

******

You

You are, you are.
In the long silence you exist
In the dream thy destiny beacons me
In the shadows of long trees I find you
holding on my chest my long cherished desire raptured with beauty.
I hear what you say swaying with my dreams
In the murmur of the breeze
In the Twitter of the birds
Your voice cocoons leaves me in a despondence.
I find you in your fragrance,
In everlasting memories,
You bequeathed me, my only possession
you are my serene divinity.
No time is ever so long, ever so near yet so far
I see in every vicinity
Your smile that finds me
far from the maddening crowd
I feel you in my chastity.
In jewels of beauty shining in thee,
I find memoirs everywhere
In my harrowed destiny.
You are my sunshine
You are my Skylark
In you remain
my untold love story.

Sahityika Admin

Add comment