হলুদ চুমু
সমীর কুমার সরকার, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
হিমুর ছেলে মিলির মেয়ে
আজ জোছনায় ওদের বিয়ে
বিয়ান সাজে মিলি দেখে, হিমু এখন ডুঁকড়ে কাঁদে।
পাশের বাড়ির মিলির সাথে
কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে
পুতুল থেকে রান্নাবাটি, সব খেলাতেই হিমু সাথী।
অ্যানী মিসের স্কুলেতে
এবিসিডি শিখতে গেছে
বড় হয়ে অন্যপাড়ার, স্কুলেতে পড়তে গেছে।
মিলির পাশে চাটু বসে
হিমু পাশের সীটে থাকে
হঠাৎ এক কিশোরক্ষণে, হিমুর শরীর কেমন করে।
ভালোছেলে চাটুর সাথে
জায়গা এখন বদল করে
পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে, মিলির দিকে তাকিয়ে থাকে।
আদর করে মিলির সাথে
গা ঠেকিয়ে ক্লাসে বসে
পাশের বাড়ির বুড়ীর গাছে, ডাঁসা ডাঁসা পেয়ারা ঝোলে।
চাইতে গেলে কিপ্টে বুড়ি
লাঠি নিয়ে তাড়া করে
ঠিক করেছে চুরি করে, পেয়ারা নেবে মিলির তরে।
নুন লঙ্কা মাখিয়ে দেবে
স্বামীর মতো সোহাগ করে
হিমুর থেকে পেয়ারা নিয়ে, মিলি খাবে হাসিমুখে।
কিশোরকালে বেয়াড়া মনে
হিমু এখন মিলির টানে
সজাগ থাকে ঘরে বাইরে, কেউ যেন না আসতে পারে।
খেলার মাঠে ঘরের মাঝে
সবখানেতেই হিমু আছে
আঁধার রাতে মিলির সাথে, আগলে রেখে পথে হাঁটে।
হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেতেই
কিশোর হিমু জড়িয়ে ধরে
সুযোগ বুঝে সাহস করে, সোহাগ যেন উথলে পড়ে।
দুহাত ধরে জড়িয়ে হিমু
সারা মুখে ভরিয়ে দিল
গরম গরম নরম নরম, চাঁদের মুখের হলুদ চুমু।
*******
সংযোজন – সোহম দাশগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
আহা গুরু একি দিলি,
সোনার বালুকাবেলায়
প্রথম প্রেমের খেলায়
হিমাইয়ের কোলে মিলি!
শিহরিত তনু হিমু,
আঁধারে মিলিলো দোঁহে
আবেশ জড়ানো মোহে
চকাসিয়া খেলো চুমু!
একবার পরশিয়া,
ভ্রমরিয়া ঘোরে শুধু
মেলে যদি আরো মধু
প্রেমজর্জর হিয়া।
২৮-মে, ২০২১
Add comment