Wonders of The Unknown World
Sarasij Majumder, 1971 Civil Engineering
Bijit Kumar Roy, 1974 Mechanical Engineering
Nossa Senhora Da Graca Fort
Sarasij Majumder, 1971 Civil Engineering
The Nossa Senhora da Graça Fort as also known as the Fort of Our Lady of Grace, is a historic fort located in the parish of Caia, São Pedro and Alcáçova, approximately one kilometer north of Elvas, Portugal.
The fort was built on the Monte da Graça and played a vital role in defending the Stronghold of Elvas and City – Elvas Border Headquarters and its Fortifications. The site was classified as a National Monument since 1910 and was designated as a World Heritage Site by UNESCO in 2012.
It’s strategic position was crucial during the Restoration War when Spanish troops occupied it during the siege of Elvas in 1658, which was followed by the Battle of the Lines of Elvas on January 14, 1659. Later in the Seven Years’ War, the city was again besieged in 1762, prompting the Marquis of Pombal to call upon Marshal Wilhelm von Schaumburg-Lippe, Count of Lippe, to modernize the stronghold.
Construction of the Forte da Graça began in 1763 and was completed in 1792 during the reign of Dna. Maria I, who inaugurated it with the name of Fort Conde de Lippe. The fort resisted Spanish troops during the War of the Oranges in 1801 and the Peninsular War when the troops of General Nicolas Jean de Dieu Soult bombarded it in 1811.The structure has a quadrangular plan measuring 150 meters on a side and is completed by pentagonal bastions at the vertices. Four ravelins cover the curtains, with the monumental gate (Porta do Dragão) and three posterns inserted in the middle. The central body of the square has an elevated redoubt, circular in plan, with two floors and a parapet, opening embrasures for three orders of batteries in casemates. A circular tower with two vaulted floors, consisting of a decorated chapel and the Governor’s House, stands above the redoubt, with its central lantern. Below the chapel, excavated in the living rock, is a cistern, one of the fort’s most notable features.
The Fort of Nossa Senhora da Graça served as a military prison in the past and was in conditions close to ruin until its restoration and rehabilitation in 2015, costing almost 11 months, 220 full-time workers, and 6.1 million euros. Today, the fort has been transformed into a functional military museum, providing visitors with a glimpse into Portugal’s military history.
Acknowledgement: Britannica, Wikipedia
******
থেওপট্রা কেভ
বিজিত কুমার রায়, ১৯৭৪ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
লক্ষ বছর আগেও গ্রিসের গুহায় ছিল মানুষের বাস, এখানেই রয়েছে পৃথিবীর প্রাচীন পরিকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, এই গুহায় হাজার বছর আগে মানুষ বাস করত। তবে সম্প্রতি এই গুহার রেডিয়োকার্বন নমুনা পরীক্ষার ফল দেখে চমকে গিয়েছেন গবেষকেরা।
গ্রীসের থেসালি অঞ্চলের মেটেওরা। সেখানেই রয়েছে প্রাচীন থিওপেট্রা গুহা। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, এই গুহায় হাজার বছর আগে মানুষ বাস করত। তবে সম্প্রতি এই গুহার রেডিয়োকার্বন নমুনা পরীক্ষার ফল দেখে চমকে গিয়েছেন গবেষকেরা। এই গুহাতেই মিলেছে মানুষের তৈরি প্রাচীনতম পরিকাঠামো। মেটেওরার গুহার রেডিয়োকার্বন নমুনার ফল বলছে, ৫০ হাজার বছর আগেও এই গুহায় ছিল মানুষের বাস। এমনকি এক লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগেও গুহায় মানুষের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জেনেছেন, মধ্য প্রস্তর যুগ থেকে নব্য প্রস্তর যুগ পর্যন্ত টানা এই গুহায় ছিল মানুষের বাস। এই আবিষ্কারের ফলে নিত্যনতুন বহু তথ্যও উঠে এসেছে গবেষকদের হাতে। গ্রিসের অতীত যুগের ছবি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
থিওপেট্রা গুহা খননের পর সেখান থেকে মিলেছে সমাধি, পাথরের তৈরি অস্ত্র, বাসন, পশুর হাড়। মানুষের তৈরি কিছু পরিকাঠামোও মিলেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রাচীনতম বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, নিয়ান্ডারথাল (আদিম মানব) প্রজাতির মানুষের বাস ছিল এই থিওপেট্রা গুহায়। আজকের মানুষের থেকে অনেকটাই অন্য রকম ছিল নিয়ান্ডারথাল। তাদের ভুরুর জায়গা ছিল অনেকটাই উচু। নাক প্রসারিত। মনে করা হয়, প্রায় চার লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর বুকে তাদের বাস ছিল। থিওপেট্রার রেডিয়োকার্বন পরীক্ষার পর গবেষকরা মনে করছেন, এটি মানুষের তৈরি পৃথিবীর প্রাচীনতম গুহা। তবে নিয়ান্ডারথাল প্রজাতির মানুষ পাহাড় কেটে এই গুহা তৈরি করেনি। তারা সম্ভবত ছোট একটি অংশে বসবাস শুরু করে। পরবর্তী কালে আধুনিক মানুষেরা পাহাড় কেটে কেটে এই গুহার বিস্তৃতি বৃদ্ধি করেছে।
মেটেওরায় চুনাপাথরের তৈরি পাহাড়ের উত্তর-পূর্ব ঢালে রয়েছে এই গুহা। পাহাড়টির উচ্চতা ১০০ মিটার। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল পাহাড়টি। এই গুহার প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে দেখা যায় লেথাইওস নদী, উপত্যকা, থিওপেট্রা গ্রাম। দৃশ্যটি বেশ মনোরম। প্রায় ৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত আদিম এই গুহা। গুহার প্রবেশপথ বিশাল চওড়া। তাই গুহার ভিতর অনেক দূর পর্যন্ত আলো প্রবেশ করতে পারে। ঠিক সে কারণেই এই গুহায় লক্ষ বছর আগে বাস করতে শুরু করেছিল মানুষ।
১৯৮৭ সালে এই গুহার খননের কাজ শুরু হয়। চলে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এর পর এই গুহা থেকে উদ্ধার হয় গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সামগ্রী। খুলে যায় অতীতের একের পর এক দরজা। স্থানীয় পশুচারণকারীরা পশুদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে এই থিওপেট্রা গুহাকে ব্যবহার করতেন। মাঝেমধ্যেই গুহায় ভেড়া, গরু বেঁধে রেখে বাড়ি চলে যেতেন তাঁরা। সে ভাবেই প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিকদের নজরে আসে গুহাটি। তার পর শুরু হয় খননকাজ।
খনন করতে গিয়েই ইতিহাসবিদেরা জানতে পারেন, এই গুহায় প্রায় লক্ষ বছর আগেও বাস করত মানুষ। যুগের পর যুগ এখানেই ঘর-সংসার করেছে তারা। ক্রমে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে পরিত্যক্ত হয় গুহাটি।
গুহার প্রত্নতাত্ত্বিক স্তর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, জলবায়ুর অনেক পরিবর্তন সয়েছে এই গুহা। এক সময় ছিল প্রবল গরম। তার পর এক সময় ছিল প্রবল ঠান্ডা। এ সব কারণেই গুহার জনসংখ্যা কমেছে। বাসের অযোগ্য হয়েছে।
এই গুহা থেকেই মিলেছে মানুষের তৈরি প্রাচীনতম পরিকাঠামো— একটি পাথরের প্রাচীর। গ্রিসে তো বটেই, গোটা পৃথিবীতেও সম্ভবত এটিই প্রাচীনতম। আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই প্রাচীর ২৩ হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, গুহার প্রবেশপথ আড়াল করার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল সেই প্রাচীর। সেই প্রাচীরের অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে।
এই গুহার নরম মাটির মেঝে থেকে তিনটি পায়ের ছাপও উদ্ধার হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন, এগুলি নিয়ান্ডারথাল প্রজাতির শিশুদের। এই পায়ের ছাপ যাদের, তাদের বয়স দুই থেকে চার বছরের মধ্যে ছিল। মধ্য প্রস্তর যুগে এই গুহায় বাস করত তারা।
২০০৯ সালে এই গুহা দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও এক বছর পর যখন ওই প্রাচীনতম প্রাচীর আবিষ্কার হয়, তখন গুহা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে আবার এখানে প্রবেশ করতে পারতেন দর্শক। যদিও ধস নামার আশঙ্কায় তা ২০১৬ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবার এই গুহায় প্রবেশের অধিকার রয়েছে দর্শকদের।
ঋণ স্বীকার আনন্দবাজার
Every words are self reavealing
Its a great idea to introduce the new feature of Wonders of the Unknown World.