শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ
সংকলক : দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯৮১ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
শান্তিনিকেতনের প্রথম আমলের ছাত্র সুধীরঞ্জন দাস তাঁর বই ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’-এ লিখছেন : “ব্রহ্মচর্যাশ্রম নাম দিয়ে একটি বিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠা করলেন ১৯০১ সালের ডিসেম্বরে (পৌষ ১৩০৮)। শান্তিনিকেতনের উন্মুক্ত আকাশ, অবারিত আলো-হাওয়া, দিগন্তবিস্তৃত ধানক্ষেতের শ্যামল শোভা এবং নিত্যপরিবর্তনশীল ঋতুসকলের নব নব বৈচিত্র্য শিশুমনের উপর প্রতিফলিত হয়ে উঠে তাদের কোমল হৃদয়গুলিকে প্রস্তুত করবে সার্থক বিদ্যা গ্রহণের উদ্দেশে …” আর এক জায়গায় সুধীরঞ্জন লিখছেন শান্তিনিকেতনের ভর্তির নিয়মাবলীর কথা; জামা-কাপড়, লেপ-তোষক ছাড়াও ছাত্রদের একটি কাঠের বাক্স আনতে হতো। কি থাকতো সেই কাঠের বাক্সে ? তিনি লিখছেন “এ ছাড়া একটি কাঠের বাক্সে ছুতোরের হাতিয়ার যথা, – করাত, হাতুড়ি, বাটালি, র্যাঁদা, তুরপুণ। এই শেষ জিনিসগুলো আমাকে বেশ আকৃষ্ট করছিল – ভাবলাম কি মজাই না হবে।“
ছাত্রদের হাতে-কলমে কাজের ওপর বিশেষ নজর ছিল রবীন্দ্রনাথের। সঙ্গে ছিল বাগান পরিচর্চা, শরীরচর্চা, খেলাধূলা, সমবেত উপাসনা, নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থ করা, সংগীত শিক্ষা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। ছোট ছোট জমি বিলি করা হতো ছাত্রদের – কেউ-বা করতো অড়হর ডাল, কেউ-বা করতো চিনেবাদামের চাষ, আবার কেউ লাগাতো ঢেঁড়স। পরে আসছি এই কাঠের কাজ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ জীবনে আমাদেরকে কি রকম তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের ছাত্র সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন “শান্তিনিকেতন ছাড়ার পর বার্লিন, প্যারিস, লন্ডন, কাইরো বহু জায়গায় বহু গুরুকে আমি বিদ্যাদান করতে দেখেছি, কিন্তু এ গুরুর [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] অলৌকিক ক্ষমতার সঙ্গে কারোরই তুলনা হয় না। কত বৎসর হয়ে গেল, কিন্তু আজও মনের পটের উপর রবীন্দ্রনাথের আঁকা কীটসের ‘অটামে’র ছবি তো মুছে গেল না। কীটস হেমন্তের যে ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তাকে যে আরও বেশি উজ্জ্বল করা যায় এ কথা তো কেউ সহজে বিশ্বাস করবেন না। ইংরাজিতে প্রবাদ আছে “You do not paint a lily” – তাই মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক নয়, রবীন্দ্রনাথ কীটসের হেমন্ত-লিলিকে মধুরতর প্রিয়তর করতেন কোন জাদুমন্ত্রের জোরে ? ……কীটস, শেলী, ব্রাউনিং, ওয়ার্ডস্ওয়ার্থকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের এ ইন্দ্রজাল কতবার দেখেছি আর ভেবেছি, হায়, এ বর্ণনা যদি কেউ লিখে রাখত তাহলে বাঙালী তো তার রস পেতই, বিলাতের লোকও একদিন ওগুলো অনুবাদ করিয়ে নিয়ে তাদের নিজের কবির কত অনাবিষ্কৃত সৌন্দর্য দেখতে পেত।”
রবীন্দ্রনাথের আরেক প্রিয় ছাত্র প্রমথনাথ বিশী বলেছেন : “শান্তিনিকেতনের ছাত্রসংখ্যা যখন একশোর উপরে, বোধ করি দেড়শোর কাছাকাছি তখনও তিনি [রবীন্দ্রনাথ] সকলের নাম জানতেন, মুখ চিনতেন, সকলেই তাঁর স্নেহের অংশের ভাগী ছিল। আবার যদি কোনো পুরাতন ছাত্র তার ছেলেকে বা ভাইকে নিয়ে এসে ভর্তি করে দিতো, সে সংবাদ তিনি রাখতেন। পুরাতন ছাত্রটিকে ডেকে নিয়ে এসে, তার ছেলে বা ভাইয়ের সমস্ত খবর খুঁটিয়ে জেনে নিতেন।”
প্রমথনাথ আরও বলেছেন “শান্তিনিকেতনে শিশুদের একান্তভাবে শিশু মনে করা হয় না। এখানকার নিম্নতর শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যতালিকা লক্ষ্য করিলে বিস্ময়ের অবধি থাকিবে না। এই-সব বই কলেজের উচ্চতম শ্রেণীতে দিতেও অনেকে সংকোচ বোধ করিবেন। ছোট ছেলেরা অবশ্য ইহার সবটুকু বোঝে না; কিন্তু মনের পরিণতির পক্ষে না-বোঝা অংশেরও একটা আবশ্যক আছে। …..তাঁহার [রবীন্দ্রনাথের] নিয়ম ছিল, প্রশ্ন করিয়া করিয়া বালকদের মুখ দিয়া ঠিক শব্দটি বাহির করিয়া লইতেন – ইহাতে তাঁহার শ্রান্তি বা অসন্তোষ দেখি নাই। ….. রবীন্দ্রনাথের জগৎ ভগবান, মানুষ ও প্রকৃতি মিলিয়া। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন ছাত্রদের যথার্থভাবে জগতের অধিবাসীরূপে গড়িয়া তুলিতে এই তিন সত্ত্বা সন্বন্ধে তাহাদের সচেতন করে তোলা দরকার। … শান্তিনিকেতনকে চিত্র ও সংগীতের দানসত্র বলিলেও চলে। গানের জন্য দরকার কান ও ছবির গুণাগুণ বিচারের জন্য চোখ থাকা দরকার। ছাত্রদের কাছে জগৎটাকে ছবিরূপে সংগীতরূপেই প্রতিভাত করাই ছিল রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্য। তিনি মনে করতেন ছবি ও গানের চোখ-কান থাকিলে জগৎ-উপলব্ধি বহুল পরিমান বাড়িয়া যায়। “ – এই ছিলেন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ।
ইংল্যান্ডে মাস-চার থেকে আমেরিকা গেলেন (২৮শে নভেম্বর ১৯১২)। সঙ্গে পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী। ছ-মাস ধরে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে গেলেন, বক্তৃতা দিলেন। এই বিদেশ সফর থেকেই বোধহয় শিক্ষক রবীন্দ্রনাথের আর এক উপলব্ধি হল। শান্তিনিকেতনে টেকনিক্যাল বিভাগ খুলতে হবে, সেখানে ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হবে, গবেষণার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভারতীয়রা যে পাশ্চাত্য জাতির সমতুল্য নয় এটা তিনি পদে পদে উপলব্ধি করলেন। বিদ্যায় বুদ্ধিতে শক্তিতে তাদের সমকক্ষ হতে না পারলে বিশ্বদরবারে সম্মানের আসন সে পাবে না, এই ভাব থেকেই কবি তাঁর শান্তিনিকেতনকে গড়ে তুলবার কথা ভাবলেন।
শান্তিনিকেতনের অর্থাভাব মেটাতে, শেষ বয়সে [১৯৩৩] এসে, রবীন্দ্রনাথ দু-বৎসরের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক’-এর পদ গ্রহণ করেছিলেন। সৌভাগ্যবশত কবিকে ক্লাস নিতে হয় নি। এই সময়ে তিনি কতকগুলো বক্তৃতা দেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘মানুষের ধর্ম’। তিন বছর আগে [১৯৩০] অক্সফোর্ডে যে বক্তৃতা [The Religion of Man : the Hibbert Lectures delivered in Oxford, at Manchester College during May, 1930] তিনি দেন এগুলি তারই বাংলা রূপান্তর, সাধারণ বাঙালি শ্রোতার উপযোগী করে বলা – যথাসাধ্য সহজ করে বলেছিলেন।
সেবার পঁচিশে বৈশাখ কবির সত্তর বৎসর পূর্ণ হচ্ছে। শান্তিনিকেতনে জন্মোৎসব পালিত হচ্ছে। কবি বললেন “আমি তত্ত্বজ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞানী , গুরু বা নেতা নই। …আমি বিচিত্রের দূত। আমি নাকি গাই, লিখি, আঁকি, ছেলে পড়াই – গাছপালা আকাশ-আলোক জলস্থল থেকে আনন্দ কুড়িয়ে বেড়াই। .. আমি স্বভাবতই সর্বাস্তিবাদী – অর্থাৎ আমাকে ডাকে সকলে মিলে, আমি সমগ্রকেই মানি।…. আমি মনে করি… সমস্তর মধ্যে সহজে সঞ্চরণ ক’রে সমস্তের ভিতর থেকে আমার আত্মা সত্যের স্পর্শ লাভ করে সার্থক হতে পারবে। ”
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বলেছেন: “আমরা এ কথার সাক্ষ্য দিতে পারি যে, কবি কোনোদিন গুরুগিরি করেন নি, চেলা তৈরির ব্যবসা ফাঁদেন নি। আমরা তাঁকে কবি বলে দেখেছি, মানুষ বলেই বিচার করেছি, তর্ক করে প্রতিবাদ করে নিজেদের অভিমত জানাতে সংকোচ বোধ করি নি। তিনিও গুরুর গুরুত্ব দাবি করেন নি।”
সেবার (২৮শে নভেম্বর, ১৯২৫) রবীন্দ্রনাথের মেজাজটি বোধহয় খারাপই ছিল। শরীরও ঠিক ভালো যাচ্ছিলো না। তার উপর কাজ আর অকাজের বোঝা। তিনি নিজেই বলেছেন “…অবকাশের ফাঁকা কোথাও নেই, সমস্ত নিরেট করে কাজে অকাজে ঠাসা। ….সবচেয়ে মুষ্কিল হচ্চে লেখায় অরুচি। নানা দিকে আমাকে যতই টানচে আমার মন ততই উদভ্রান্ত হয়ে উঠচে।” এইরকম অবস্থায় তাঁকে শ্রী লক্ষ্মীশ্বর সিংহের ‘কাঠের কাজ’ গ্রন্থের ভূমিকা লিখতে হল। লক্ষ্মীশ্বর সিংহ (১৯০৫-৭৮] কারিগরি বিদ্যা সম্পূর্ণ করে কাঠের কাজের শিক্ষা নিয়ে শ্রীনিকেতনে যোগদান করেন। তাঁর কাছে শিখে ছাত্ররা অনেক ডেস্ক, বাক্স, আলমারী প্রভৃতি বানাতে পারতো। এবার আসি রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘কাঠের কাজ’ গ্রন্থের ভূমিকা প্রসঙ্গে। এই ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ আমাদের মত ভদ্রসন্তানদের বেশ কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন। ন্যায্য কারণেই করেছেন। এইবার তাঁর লেখা ভূমিকাটি দেখুন।
“বিদ্যাশিক্ষায় আমাদিগকে মানুষ করিয়া তুলিবে এই কথাই খাঁটি। কিন্তু পুঁথি পড়া মানুষই যে পূরা মানুষ তাহা বলা যায় না। অথচ এ সন্বন্ধে আমাদের বিদ্যাবিভাগের লজ্জা নাই। তাই দীর্ঘকাল সে আমাদের কানে এই মন্ত্র দিয়া আসিতেছে যে ভদ্রলোককে পূরা মানুষ হইতে হইবে না। ভদ্রলোকের চোখ ভাল করিয়া দেখিতে না শিখুক, কান ভাল করিয়া কাজ করিতে না শিখুক, হাত ভাল করিয়া কাজ করিতে না শিখুক, তাহাতে কোন অগৌরব নাই, কেবল যেন সে পড়িতে শেখে। আমাদের মতে পঙ্গুতাই ভদ্রসমাজের লক্ষণ, হাতপাগুলোকে অপটু করিয়া তুলিলেই ভদ্রতা পাকা হয়। ইহার ক্ষতি ততদিন বুঝিতে পারি নাই যতদিন বাঙালী ভদ্রসন্তানের একমাত্র মোক্ষলাভ ছিল চাকরীধামে, কেরানীতীর্থ। সেখানে জায়গার টানাটানি ঘটিতেই দেখা গেল তাহার মত অসহায় প্রাণী জীবলোকে আর নাই। সংসার সমুদ্রে পুঁথিগত বিদ্যাই যাহাদের একমাত্র ভেলা ছিল তাহাদের এবার নৌকাডুবির পালা। সেই সঙ্কটের তাড়নায় ভদ্রলোকের ছেলেকেও আজ হাতে ও কলমে দুই দিকেই শক্ত হইতে হইবে এই তাগিদ আসিয়াছে। এই শুভদিনের প্রারম্ভে শ্রীযুক্ত লক্ষ্মীশ্বর সিংহ “কাঠের কাজ” বইখানি লিখিয়াছেন; ভদ্রলোকের ভয়ে “ছুতোরের কাজ” নাম দিতে পারেন নাই। তা হউক, বইখানি সকলেরই কাজে লাগিবে, কেবলমাত্র জীবিকার জন্য নহে, শিক্ষার জন্য। কারণ যাহার হাত দুটো কর্মিষ্ঠ নয়, হাতের দিকে সে মূঢ়, তা হোক না সে নবাবজাদা, বা পন্ডিতবংশের কুলতিলক। দেশের এই সব বোকা হাতের মানুষকে শিক্ষিত হাতের মানুষ করিবার অভিপ্রায়ে এই যে বইখানি লেখা, ইহা বাঙালীর ঘরে এবং বিদ্যালয়ে আজকাল আদর পাইবে বলিয়া আশা হইতেছে। লেখক বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন বিভাগে কাঠের কাজের সাধনাতেই নিযুক্ত। এই চর্চায় তিনি যেমন বই পড়িতে উৎসাহী তেমনি হাত চালাতেও অক্লান্ত; অতএব এই বিদ্যায় তাঁহার উপদেশ দিবার অধিকার আছে পাঠকদিগকে আমরা এমন ভরসা দিতে পারি।“
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৩৩২
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
শিক্ষক রবীন্দ্রনাথকে আমরা তাঁর প্রবন্ধে, চিঠিপত্রে, কাব্যে বার বার খুঁজে পাই। আমার নিজের মনে হয় ‘চতুরঙ্গে’র ‘জ্যাঠামশাই’ চরিত্রে আমরা শিক্ষক রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাই। তিনি যেন আমাদের যুক্তিবাদী ও মুক্তমনা হওয়ার পাঠ দিচ্ছেন। আবার ‘রাজা’ নাটকের ‘ঠাকুরদা’ বা ‘অচলায়তন’ (পরবর্তীকালে ‘গুরু’) নাটকের ‘দাদাঠাকুর’কে আমারা যেন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ হিসাবেই পাই।
শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে শিক্ষক রবীন্দ্রনাথকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।🙏
——-‐———————-
তথ্য সংগ্রহ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
১. রবীন্দ্রজীবনকথা – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়] প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স।
২, রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন – প্রমথনাথ বিশী। প্রকাশক : বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা।
৩. পুরানো সেই দিনের কথা – প্রমথনাথ বিশী। প্রকাশক : মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ। কলকাতা ।
৪. মুজতবা আলী রচনাবলী – প্রথমখণ্ড (‘গুরুদেব’ নিবন্ধ) । প্রকাশক : মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ। কলকাতা ।
৫. রবিজীবনী – নবম খণ্ড, পৃষ্ঠা : ২৫৯, – প্রশান্তকুমার পাল। প্রকাশক : আনন্দ পাবলিশার্স।
৬. রবীন্দ্র-রচিত ভূমিকা – সংকলন ও সম্পাদনা – বারিদবরণ ঘোষ। প্রকাশক : বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা।
৭. কাঠের কাজ – শ্রী লক্ষ্মীশ্বর সিংহ (হস্তশিল্পশিক্ষক, শান্তিনিকেতন) । প্রকাশক : বিশ্বভারতী
৮. আমাদের শান্তিনিকেতন – শ্রীসুধীরঞ্জন দাস, পৃ : ১৫, প্রকাশক – বিশ্বভারতী গ্রন্থালয় ।
খুব ভালো লেখা। এই বিষয়ের ওপর অনেকদিন ধরে প্রবন্ধ খুঁজছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলাম না। বেশ কিছু অজানা তথ্য জানা গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ লেখককে।