শিক্ষক দিবস বিশেষ সংখ্যা
দীপক চক্রবর্তী, ১৯৭৬ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
I seem to have been only like a boy playing on the seashore, and diverting myself in now and then finding a smoother pebble or a prettier shell than ordinary, whilst the great ocean of truth lay all undiscovered before me.
– Isaac Newton
শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে সকল শিক্ষকদের জানাই আমাদের প্রণাম।
সংস্কৃতে একটা কথা আছে, “মাতা, পিতা, গুরু, দৈবম্”, অর্থাৎ, প্রথম স্থানটি মা’র জন্য সংরক্ষিত, দ্বিতীয়টি বাবা’র জন্য। তৃতীয় স্থানটি গুরুর জন্য এবং চতুর্থ স্থান ভগবানের জন্য। সনাতন হিন্দু সংস্কৃতিতে মা’কে সবার আগে এমনকি ভগবানেরও আগে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
মা’কে সবার আগে স্থান দেওয়ার কারণ শিশু তাঁর গর্ভ থেকে বেড়িয়ে তাঁকেই আঁকড়ে ধরে। এটা বলাই বাহুল্য যে সেই শিশুর কাছে তখন ভগবান, গুরু এমনকি তাঁর বাবা’ও অপরিচিত। সে তাঁর মা’কেই চেনে, যিনি স্তন্যদান করে তাকে লালনপালন করবেন। তাঁকে আদরযত্নে পুষ্ট করবেন। জীবন নিজেই নবজাতককে জানিয়ে দিচ্ছে জগতের প্রাথমিক শিক্ষা সে তাঁর মায়ের কাছ থেকেই পাবে। জীবনের পথচলার রাস্তায় যখন সেই শিশু বাড়ীর চার দেওয়ালের বাইরে বাবা’র হাত ধরে বের হবে, তখন তাঁর শিক্ষক তিনি। তারপর জ্ঞানার্জনকালে আসবেন তাঁর গুরু এবং তারপর তাঁর আধ্যাত্মিক চেতনা’র দ্বারা সে নিজেকে উন্নীত করবে। এই হচ্ছে ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির পরম্পরা।
মহাভারতে পিতামহ ভীষ্ম বলেছেন, ‘দশজন শ্রোত্রিয় অর্থাৎ বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের থেকে একজন আচার্য শ্রেষ্ঠ। বিদ্যাগুরু দশজন আচার্যের অর্থাৎ উপাধ্যায়ের সমান। বাবা অর্থাৎ পিতা, দশজন উপাধ্যায়ের সমান আর মা দশজন বাবা’র সমান।’ তিনি আরও বলেছেন যে পৃথিবী সবথেকে সম্মানের পাত্র, মা সম্মানে সেই পৃথিবীর থেকেও উঁচু। আমাদের পরম্পরাতে বলা হয়েছে যে “নাস্তি মাতৃসম গুরু”, অর্থাৎ মায়ের মতন আর গুরু হয় না।
শিক্ষক দিবসে তাই আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ আমাদের প্রথম শিক্ষাদাত্রী আমাদের মাতৃদেবীকে।
Photo Courtesy: Drongo
শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে সকল শিক্ষকদের জানাই আমাদের সাহিত্যিকা সম্পাদকমন্ডলীর প্রণাম।
– সরসিজ মজুমদার, ১৯৭১ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
– অসীম দেব, ১৯৭৭ ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
– সোহম দাসগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
– শ্রুতী গোস্বামী, ২০০৪ আর্কিটেকচার
I am very happy to know that my B. E. College students have taken a drive to publish their Sahityika magazine with a special issue on Teacher’s Day (5th of September). I do cherish my long association with the two Departments of the 165 years old Engineering college. My association with Electrical Engineering Department (1968-1984) & Computer Science & Technology Department (1984 to 2001) was more than just a profession but a relation. After my retirement, 20 years have already passed, but my bondage has not been diluted. I feel that our bondage is even stronger than parents – child relationship.
I wish all present and past students of B.E. College / IIEST, Shibpur a vey happy personal and professional future. Also wish a grand success of the magazine.
Professor Ananda Mohon Ghosh
Dear Students
While looking back to my past days in 60’s and 70’s, I recall my nostalgic memories of সাহিত্যিকা magazines, which as far as I remember, were put up in the notice board of the first lobby of the college for display. I am really glad to know that you and few other students of B.E. College have initiated a drive for its revival. I have gone through a few recent issues of the magazine and I unhesitatingly say that it is a commendable effort.
I am glad to know about your idea for bringing out a special September issue of the Magazine on the occasion of Teacher’s Day. I was associated with B.E. College for long 57 years, first as a student and then as a teacher. A great and significant part of my life was spent in B.E. College amidst a serene environment of the campus and I fondly cherish the memories of many ups and downs, changes and transformations through which the Institution had passed. During the stay in my beloved Alma Mater as a teacher, I have come across many thousands of students and on this occasion, I take the opportunity to extend my best wishes, love and affection to all of them and I sincerely pray for peace and prosperity in their life.
Professor Dipak Sengupta
কবি কালিদাস রায়ের কবিতাটি এখানে লিপিবদ্ধ করি।
বর্ষে বর্ষে দলে দলে আসে বিদ্যামঠতলে
চলে যায় তারা কলরবে,
কৈশোরের কিশলয় পর্ণে পরিণত হয়
যৌবনের শ্যামল গৌরবে।
ভালোবাসি, কাছে ডাকি নামও সব জেনে রাখি,
দেখাশোনা হয় নিতি নিতি,
শাসন তর্জন করি’ শিখাই প্রহর ধরি,
থাকে নাকো, হায়, কোনো স্মৃতি!
ক ‘দিনের এই দেখা সাগরসৈকতে রেখা
নূতন তরঙ্গে মুছে যায়।
ছোট ছোট দাগ পা’র ঘুচে হয় একাকার
নব নব পদ-তাড়নায়।
জানে না কে কোথা যাবে, জোটে হেথা, তাই ভাবে
পাঠশালা, -যেন পান্থশালা,
দুদিন একত্রে মাতে, মেলে মেশে, ব’সে গাঁথে
নীতি-হার আর কথা-মালা।
রাজপথে দেখা হলে কেহ যদি গুরু ব’লে
হাত তুলে করে নমস্কার,
বলি তবে হাসি মুখে ‘বেঁচে বর্তে থাকো সুখে ‘,
স্পর্শ করি’ কেশগুলি তার।
ভাবিতে ভাবিতে যাই কী নাম? মনে তো নাই,
ছাত্র ছিল কত দিন আগে;
স্মৃতিসূত্র ধরি’ টানি, কৈশোরের মুখখানি
দেখি মনে জাগে কি না জাগে।
ঘন ঘন আনাগোনা কতদিন দেখাশোনা,
তবু কেন মনে নাহি থাকে?
‘ব্যাক্তি’ ডুবে যায় ‘দলে’ মালিকা পরিলে গলে
প্রতি ফুলে কে-বা মনে রাখে?
এ জীবন ভেঙে গ’ড়ে শ্যামল সরস ক’রে
ছাত্রধারা ব’য়ে চলে যায়,
ফেনিলতা উচ্ছলতা হয়ে যায় তুচ্ছ কথা,
উত্তালতা সকলি মিলায়।
স্বচ্ছতায় শুধু হেরি আমার জীবন ঘেরি ‘
ভাসে শুধু ম্লান মুখগুলি;
ভুলে যাই হট্টগোল অট্টহাসি কলরোল,
ম্লান মুখ কখনো না ভুলি।
কেহ বা ক্ষুধায় ম্লান কেহ রোগে ম্রিয়মাণ,
শ্রমে কারো চাহনি করুণ,
কেহ-বা বেত্রের ডরে বন্দি হয়ে রয় ঘরে,
নেত্র কারো তন্দ্রায় অরুণ।
কেহ বাতায়ন-পাশে চেয়ে রয় নীলাকাশে
যেন বদ্ধ পিঞ্জরের পাখি,
আকাশে হেরিয়া ঘুড়ি মন তার যায় উড়ি,
মুখে কালো ছায়াখানি রাখি’
স্মরিয়া খেলার মাঠ কেউ ভুলে যায় পাঠ,
বুদ্ধিতে বা কারো না কুলায়,
কেহ স্মরে গেহকোণ, স্নেহময় ভাইবোন
ঘড়ি পানে ঘন ঘন চায়।
ডাকিছে উদার বায়ু লয়ে স্বাস্থ্য লয়ে আয়ু,
ডাক শোনে ব’সে রুদ্ধ ঘরে,
হাতে মসি মুখে মসি, মেঘে ঢাকা শিশু-শশী
প্রতিবিম্বে মোর স্মৃতি ভরে।
আর সবি গেছি ভুলি, ভুলিনি এ মুখগুলি,
একবার মুদিলে নয়ন
আঁখিপাতা ভারী- ভারী, ম্লান মুখ সারি সারি
আকুল করিয়া তোলে মন।
The entire composition is a historical document, and a must read for all BE College students.
শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ ও বিশেষ সংখ্যার উদ্দেশ্যকে অত্যন্ত সাধুবাদ জানাই। সমগ্র সংকলনই ভালো লাগলো
সামগ্রিকভাবে পুরো সংকলন এক প্রশংসনীয় প্রয়াস। সম্পাদকদের আমার সাধুবাদ জানাই।
Well documented tribute.
Thanks for the editorial team that you have included our workshop teachers too, who are generally a forgotten force, though we should treat them with due respect.
Thanks for the time and efforts.
Wonderful efforts by the Sahityika team, my heartiest congratulations and praise for publishing such a special issue on our respected teachers.