Professor Bimal Kumar Bose, who became a Global Guru.
Amitabha Datta, 1970 Electrical Engineering
“Coming from a remote village of Bangladesh (then part of India) and being born into a large poor family, it was my dream to see the whole world with my own eyes and make important contributions to the world. I had to overcome mountainous hurdles, step by step, to fulfill the ambitious goals in life and reach where I am today ……… Achieving the goals of life requires persistent ambition, courage and hard work.”
Dr. Bimal Kumar Bose, BE College, 1956 and Professor of Electrical Engineering, 1958-1971. The man with 21 US patents, and author of 250+ technical papers.
কলেজে স্যারদেরও নামকরণের ধারা প্রচলিত ছিলো। আমাদের যে শিক্ষকেরা পড়িয়েছেন তাঁদের নামকরণ আমাদের দাদারাই করেছিলেন, আমরা সেই নামেই স্যারদের চিনতাম। আমাদের পরবর্তীকালেও সেই নামই চলে এসেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, স্যারদের নামের আদ্যাক্ষর এবং আরোপিত নামের একটা সম্পর্ক থাকতো। যেমন “A.K” মানে “আনারকলি”; “P.P” মানে “পিপে” ইত্যাদি। বলা নিষ্প্রয়োজন যে এইসব নিকনেমের কোনই ব্যবহারিক তাৎপর্য থাকতো না। তারই একটা জাজ্বল্যমান উদাহরণ এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
আমাদের ইলেকট্রিক্যালের ফোর্থ আর ফিফথ ইয়ারে ইনি আমদের সার্কিট থীয়োরী (Steady State and Transient Analysis), Industrial Electronics (পরে হয়ে যায় Power Electronics) আর Computers যা আমাদের ফিফথ ইয়ারের ইলেকটিভ মানে অপশনাল পেপার ছিলো, সেগুলো পড়াতেন। আমি ইলেকটিভ পেপার কম্পিউটার নিয়েছিলাম।
স্য্যর ছিলেন চেহারায় ছোটখাটো, ফর্সা রঙ, চোখে পুরু কাঁচের চশমা। চুল বেশ পাতলা, নিকট ভবিষ্যতেই ইন্দ্রলুপ্তি হতে যাচ্ছে সেটা বেশ ভালভাবেই বোঝা যেত। পোশাক-আশাকের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন। শীত পড়লেই সুট-টাই। গরমকালে ফুল-হাতা জামা, এবং অবশ্যই প্যান্টের মধ্যে গুঁজে পড়া, কখনো সঙ্গে টাই। স্যারকে হাফ-হাতা জামায় দেখেছি কি? মনে পড়ে না।
ইনি ছিলেন আমাদের প্রফেসর ডঃ বিমল কুমার বোস (B.K. Bose). ওনার পড়ানোর স্টাইল, এক কথায় was “intense”. যে বিষয়টি উনি পড়াচ্ছেন সেটি ক্লাসে যারা বসে আছে তাদের মাথায় ঢুকিয়েই ছাড়বেন, সেটাই মনে হতো স্যারের দৃড় প্রতিজ্ঞা। ওঁনার উচ্চারণ ভঙ্গিমায় একটা সফট বৈশিষ্ট ছিলো। স্যার বলছেন “ভোল্টেজ”, আমাদের কানে বাজতো “ভোলতেজ”। আর পড়ানোর intensity বেড়ে গেলে, স্যারের চোখের পলক পড়ার ফ্রিকুয়েন্সিও বেড়ে যেতো। কিন্ত পড়াতেন যাকে বলে জব্বর।
আমাদের সময়ে কলেজে কম্পিউটার পেপার পড়ানো হলেও কলেজে একটাও কম্পিউটার ছিলো না। এবং সিলেবাস ছিলো, বলা চলে rudimentary. আমাদের টেক্সট বইও ছিলো না, স্যারের পড়ানো ও ক্লাসের নোটস নিয়েই আমরা যা কিছু শিখেছিলাম।
আমরা ’৭০ সালে পাশ করে বেড়িয়ে যাওয়ার কিছুদিন পরে শুনলাম স্যার ইউএসএ তে পাড়ি দিয়েছেন, পরিবার সহ। শুধু উচ্চশিক্ষার সাথে যুক্ত থাকা একমাত্র কারন ছিলো না। পশ্চিমবঙ্গের অসুস্থ রাজনীতীর, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, বিই কলেজের ক্যাম্পাসের বিশৃংখলা, এসবের মিলিত কারনেই তিনি বিদেশ পাড়ির সিদ্ধান্ত নেন। তবে আমাদের ব্যাচের কিছু চ্যাংড়া এটাও জুড়ে দিয়েছিল যে “ঘ্যাম ভাইভা”য় আমাদের কয়েকজন এমন সব উত্তর দিয়েছিলো যে স্যার যারপরনাই বিচলিত হয়ে ভেবেছিলেন “এ কাদের পড়িয়েছি! নাঃ, এদেশে আর থাকা চলবে না।”
প্রায় অর্দ্ধশতাব্দী পরে আমি স্যারের সম্বন্ধে একটু বিশদ ভাবে জানার একটা ছোট প্রচেষ্টা নিলাম।
Dr Bimal Kumar Bose is originally from Khalish Khali, Khulna (now in Bangladesh) and studied in Bhita M.P Institution, Burdwan for Matriculation (1950) and Ashutosh College, Calcutta for I.Sc (1952). He then joined B.E. College in 1952 and obtained his BE degree in Electrical Engineering in 1956. After graduation he worked for two years with the Tata Hydroelectric Power Company. Then he joined B.E. College and started teaching Generation, Transmission and Distribution and Electrical Machines.
In 1958 he was selected as a scholar for the US-India Technical Co operation Mission (TCM) and joined the University of Wisconsin, Madison for his MS degree which he secured in 1960. His expenses for the Wisconsin study was covered by TCM.
In 1960 Dr. Bose returned to B.E. College and stared teaching once again, and continue for the next eleven years. Meanwhile, completed his PhD in Electrical Engineering from the Calcutta University in 1966; Premchand Roychand Scholarship and Mouat Gold Medal for research contributions in 1968 and 1970 respectively.
When he emigrated to the USA in 1971, he had an offer from the Rennselaer Polytechnic Institute, Troy, NY for the position of Associate Professor of Electrical Engineering. Dr. Bose taught there for five years till 1976. According to Dr. Bose himself, the students of the Institute were brilliant and constantly tested his knowledge of power electronics. After teaching us in B.E. College, that must have been some experience for him.
While teaching in that Institute in the USA, Dr. Bose had done quite a few projects in power electronics with the help of the research department of GE and in 1976 the company offered him a full time job. The transition from a Professor, after teaching for sixteen years, to a research engineer in a giant private company like GE in the USA was a great challenge for Dr. Bose to meet.
A few anecdotes of Dr. Bose about his working with GE,
On William (Bill) McMurray, founding father of power electronics,
“I was surprised to see such a world famous scientist had barely a chair and a desk with a telephone in his office. He rarely spoke with others. Although I sat next to Bill; I could rarely speak to him informally. He insisted that I have an appointment for any discussion. Once we rode together to Auburn, New York and he did not talk to me during the entire six-hour journey. He seemed to be thinking the whole time.”
On conditions of service at GE
“Senior managers belonged to an elite class with power, status and compensation. In comparison, most of the researchers were considered second class citizens”
“A doctorate from MIT could negotiate a much higher salary in the beginning than that of a doctorate from India, like mine.”
“The salary raises tended to dry up after a number of years. You received high raises early; small raises later, and then no raises at all for years in spite of great performance. This was the most painful stage of a career.”
“The scenario changed drastically after Jack ‘Neutron’ Welch became the Chief Executive in 1981……..The researchers were also under tremendous pressure to find funded projects. It was suddenly chaotic everywhere. The company started transferring manufacturing units outside the US to decrease labor costs. The slogan everywhere was Emigrate or Evaporate.”
But Dr. Bose remained with GE till 1987, and then returned to academia at the University of Tennessee. In his own words “Why did I leave? Although I climbed high in the GE Totem Pole; my salary raises practically stopped in the later years. I needed to establish my sense of self-esteem which was shattered in the corporate environment.”
Dr. Bose joined the Tennessee University as the endowed Condra Chair of Excellence in Power Electronics Applications and worked in that capacity for sixteen years, till 2003, and thereafter as a Professor Emeritus.
Dr. Bimal Kumar Bose also taught power electronics as a visiting professor in many countries – China, Denmark, Italy, Spain, Taiwan etc. He has authored more than 250 technical papers and holds 21 US patents. He has written or edited seven books in power electronics, and of course, there are many other feathers in his cap.
Dr. Bose’s life is an example of someone with an indomitable spirit, courage and conviction. He took some bold, challenging and risky decisions. When he emigrated to the US in 1971; perhaps he was in his mid thirties and had a family to support. When he left teaching and joined the corporate world and that too in the US; he was in his early forties. These are very crucial periods in one’s life both in the personal front and in the professional front. Also apparently, while working with GE, he had to put up with discrimination (may be racial also). Obviously he had lots of mental strength and emotional balance to deal with such situations.
What was the source of such strength? Again quoting Dr. Bose,
“Coming from a remote village of Bangladesh (then part of India) and being born into a large poor family, it was my dream to see the whole world with my own eyes and make important contributions to the world. I had to overcome mountainous hurdles, step by step, to fulfill the ambitious goals in life and reach where I am today………Achieving the goals of life requires persistent ambition, courage and hard work.”
আমাদের দাদারা এই শিক্ষকের নাম দিয়েছিলেন “বোকা” কারণ ওঁর নামের আদ্যাক্ষর “B K”।আমরাও স্যারের ক্লাসকে বলতাম “বোকা বোসের” অথবা শুধুই “বোকার” ক্লাস।
আজ প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে হৃদয়ঙ্গম হলো এটাই যে কলেজে আমাদের অনেক ব্যাপারেই ওপেন জেনারাল লাইসেন্স ছিল। সে যাইহোক, স্যারদের নামকরণের মধ্যে কোন অসম্মান ছিল না। যেটা ছিল, সেটা হলো সেন্স অফ হিউমার।
ছবিটিতে Faculty of Electrical Engineering, ১৯৬৬ সালের. এখানে ডঃ বোস দাঁড়িয়ে আছেন বাঁদিক থেকে প্রথমে। বসার সারিতে ডানদিক থেকে প্রফেসর পি. এন. ব্যানার্জি, প্রফেসর জয়ন্ত সেন। ঐ সারিতেই বাঁদিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ডঃ বড়াল। আর কাউকেই চিনতে পারছি না। পটভূমি Department Building. এর দোতলায় হতো লেকচার।একতলায় বাঁদিকের বেশিরভাগ জুড়ে ছিলো মেশিন ল্যাব।
বি ই কলেজের সেই দিনগুলি রয়েছে এবং থাকবে আমাদের মনের মণিকোঠায়, কোন সোনার খাঁচায় নয়।
***********
What was his experience at Wisconsin? Quoting Dr Bose
“Coming from India to the USA, and Wisconsin in particular, was an exciting experience for me. It was a different world, where people looked so lively and prosperous. With an Indian friend, I rented an apartment where I used to cook Indian food, but during the day, I ate American food in the university cafetaria. Winter weather in Wisconsin was extreme, and sometimes temperature used to fall to -16 degree F. The streets and the two lakes, Mandota and Manona, in Wisconsin were completely frozen. I found it difficult to walk on the sidewalks and roads with a heavy coat and my briefcase in hand. I could hardly believe that men were ice-fishing on the lakes.”
Technology is just a tool. In terms of getting the kids to work together and motivating them, the teacher is the most important.
– Bill Gates
Add comment