আমার কিছু কবিতা
রামু দত্ত, ১৯৭৯ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
দুজনে ভাবে আছে বসে নিভৃতে
সবার অলক্ষ্যে অজান্তে
নিজেদের উষ্ণতা ভাগাভাগি নয়
গাছের গায়ে গা লাগিয়ে
মৃদু উষ্ণ রোদের আশে
রোদে গা ভিজে উজ্জ্বল হয় পালক।
নেই রোজ রঙ পাল্টানো গরম পোশাক
রঙ পাল্টে দেন বিধাতা
শৈশব থেকে জুবুথুবু বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত।
বসে অহেতুক নয় —
বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে প্রকৃতি
উজ্জ্বল রঙ নিয়ে নিজেরাই
কখন মিশে যায় প্রকৃতির সাথে।
ছবি : মহীতোষ প্রামাণিক
******
নমস্কার ,
কাক ভোরেই রোজ দেখা আমাদের।
ঠিক বলেছেন,আমি রোজ আসি
ঘুম ভাঙানি হয়ে, গান জানি না
আমার হয়ে গান গেয়ে দেয় পাখিরা।
যন্ত্রের মতো কাজ শুরু করে সবাই।
পাড়ার চায়ের দোকানের ছেলেটি
চায়ের ভাঁড় দেয় প্রথম খদ্দেরকে
ওর বাবা বেড়িয়ে পড়ে বাজারে
সবজি কিনতে নয়, বেচতে
মা যায় সাথে , বসে বাজারের বাইরে
রাস্তায় বেচে পূজোর ফুল।
কাজ শুরু দেয় সবাই
কেউ নিঃশব্দে , কেউ কেউ
হর্ণ ভেঁপু কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে।
আমাকেও আলো পোঁছাতে হয়
নয় নয় করে নয় জায়গায়।
নয়তো আরো দূরে।
তোমার লেকের মতো না,
সুন্দর সেজে সারা জীবন শুয়ে শুয়ে
আয়েশ করে কাটিয়ে গেলো ।
******
চল না আবার ঘুরে আসি
সোঁদরবনে বাঘের ডেরায়
যেথায় কু-কুলকুল নদীর জলে
পড়ে শুধু হেতাল ছায়া।
মৌমাছি সব চাক বেঁধেছে
উঁচু উঁচু গাছের ডালে
মধুর লোভে কেন রে সব
ঘর ভাঙে কোন আক্কেলে?
রোদে কুমীর নদীর চরে
হরিণ বেড়ায় বনবাদাড়ে
মাছ কাঁকড়া লুকায় কোথায়
জাল ফেলছে জলের ‘পরে।
মামার বাড়ি যাবি যদি
অতো কিছু ভাবিস কেনে
মামা দেবে গা চেটে তোর
ভয় যেন তুই পাসনে !
লেখা আর ছবির সুন্দর কম্বিনেশন