সাহিত্যিকা

চাঁদমামা (সৌরমন্ডলের কথা)

চাঁদমামা (সৌরমন্ডলের কথা)
রমা সিনহা বড়াল, ১৯৭৬, স্থাপত্য বিভাগ

“আয় আয় চাঁদা মামা, সোনার কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা”- একসময় বাংলার ঘরে ঘরে এই ছড়ার প্রচলন ছিল। বাচ্চার চোখে কাজল পড়িয়ে, কপালে একটা গোল বড়ো কাজলের টিপ দিয়ে, তখনকার মায়েরা তাদের আদরের ধন কে এই ছড়া বলেই আদর করতো।। “চাঁদের বুড়িমার চরকা দিয়ে সূতো কাটা” নিয়েও রূপকথা গল্পের প্রচলন ছিল। তবে সে ছিল ষাট সত্তর দশকের কাহিনী। আর আজকের শতাব্দীর প্রজন্মের শিশুরা, ভারতমায়ের গৌরব “ইসরোর” সৃষ্টি “বিক্রম ল্যান্ডার” এর চাঁদমামার বাড়ি পৌঁছানো দেখে বড়ো হচ্ছে। রূপকথার চাঁদ ছেড়ে বাস্তব চাঁদের রহস্য জানতে পারছে। চাঁদমামার বাড়ি থেকে কি মনি মুক্তো, বিক্রম তার ধরিত্রী মায়ের জন্য পাঠায় তাই এখন দেখার ও জানার বিষয়।

ভারতবর্ষের ইতিহাসে 2023 সালের 14 ই জুলাই এক বিশেষ দিন। ভারতীয় সময় দুপুর 2,35 মিনিটে, শ্রীহরিকোটার রকেট লঞ্চ সাইটে প্রচুর ভীড়। এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত, চন্দ্রায়ন 3 যাত্রা শুরুর শুভ লগ্ন উপস্থিত। ঠিক 2,35 মিনিটে রকেট চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল। ক্রমশ অতিক্রম করলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের স্তর। 23শে আগষ্ট বিক্রম পা রাখলো চাঁদের মাটিতে।

আমাদের পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের স্তরই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হলো গ্যাসের স্তর, যা সম্মিলিতভাবে বায়ু নামে পরিচিত, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা ধরে রাখা হয়। উষ্ণতার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডলকে ছটি স্তরে ভাগ করা হয় যেগুলি হলো ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার, এক্সোস্ফিয়ার, ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।

বায়ুমণ্ডলের গঠন
ট্রপোমণ্ডল: ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২/১৮ কিলোমিটার (০ থেকে ৭/৯ মাইল)
স্ট্র্যাটোমণ্ডল: ১২/১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার (৭/৯ থেকে ৩১ মাইল)
মেসোমণ্ডল: ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার (৩১ থেকে ৫০ মাইল)
তাপমণ্ডলঃ ৮০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার (৫০ থেকে ৪৪০ মাইল)
এক্সোমণ্ডল: > ৭০০ কিলোমিটার (>৪৪০ মাইল)
ম্যাগনেটোমণ্ডল
অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের এই স্তরের দুটি নাম রয়েছে, যেমন – থার্মোস্ফিয়ার ও আয়নোস্ফিয়ার । তবে এই স্তরটি আয়োনোস্ফিয়ার নামেই বেশি পরিচিত।

আমাদের সৌরমন্ডলের অন্যান্য অচেনা গ্রহগুলিকে চেনার ও জানার যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, সেই নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা বহুদিন ধরেই আমাদের বায়ুমণ্ডলের বিষয়ে গবেষণার কাজ করে চলেছেন। অন্য গ্রহে যেতে গেলে রকেটকে এই আয়নোস্ফিয়ার স্তর পার হয়েই যেতে হয়, তাই এর বিষয়ে গবেষণা জরুরী ছিল। বিশেষ করে নাম উল্লেখ করতে হয়, অধ্যাপক শিশির কুমার মিত্র এই স্তরের মধ্যে দিয়ে বেতার তরঙ্গের গতিবিধি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

তাঁর এই প্রাথমিক গবেষণা, পরবর্তীকালের মহাকাশ গবেষণার কাজে প্রভূত সাহায্য করে। তাঁরই প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ ইসরো চাঁদের crater এর নাম রেখেছে “মিত্র”। (Mitra is a lunar impact crater that is attached to the western outer rim of the larger crater Mach, on the far side of the Moon. Just to the west of Mitra is Bredikhin, and to the south-southeast lies Henyey.)

কলকাতার রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের রেডিও ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের সৃষ্টিকর্তাকে ইসরো সম্মানিত করায় আমরা গর্বিত। এই প্রসঙ্গে আর একটা কথা বলবার খুব ইচ্ছা হচ্ছে। আমার বাবা এবং অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় মাস্টারমশাই প্রফেসর ডঃ শঙ্কর সেবক বড়াল ছিলেন এই বিখ্যাত গবেষক মাস্টারমশাই এর একজন প্রিয় ছাত্র। বাবার ডি.এস.সি থিসিস গাইড ছিলেন প্রফেসর শিশির কুমার মিত্র এবং বাবার বিষয় ছিল “আয়নোস্ফিয়ারে উপর বেতার তরঙ্গের প্রভাব”। 1954 সালে বাবা ডঃ বড়াল ডি.এস.সি উপাধি লাভ করেন। সেই সময়ের গবেষণার কাজে ব্যবহৃত ভালব সেট রেডিও আজও আমাদের বাড়িতে সযত্নে রক্ষিত আছে।

পরবর্তীকালে চন্দ্রায়ন-3 এর সাফল্যের পিছনে আমাদের কলেজের চারজন কৃতি প্রাক্তনীর অবদানও আমাদের গর্বিত করেছে। তাঁরা হলেন
সুমিতেশ সরকার ই.টি.সি. ’87
দেবজ্যোতি ধর ই.টি.সি. ’87
রিতু নাথ ই.ই ’95 এবং
জয়ন্ত লাহা ই.টি.সি. 2009
এঁদের সকলকেই তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কাজের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাই।

রেডিও তরঙ্গের ব্যাবহার পরবর্তীকালে পথ দেখিয়েছে প্লাজমা তরঙ্গের ব্যাবহারকে। পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল চাঁদে নেই, যেখানে শব্দ সঞ্চালনের জন্য রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করা যায়। কিন্ত বিক্রম ল্যান্ডারের পরীক্ষায় প্লাজমা তরঙ্গের সাহায্যে চাঁদে কিছু অদ্ভূত শব্দতরঙ্গের উপস্থিতি জানতে পারা গেছে। বৈজ্ঞানিকরা সে পরীক্ষা করবেন। আমরা সাধারণ মানুষ কি কল্পনা করতে পারি যে চাঁদে উপস্থিত কোন অদৃশ্য প্রাণী এঈ শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষকে কিছু বলতে চাইছে?

চাঁদের সাউথ পোল, যেদিকে বিক্রম অবতরণ করেছে সেদিক প্রচন্ড ঠান্ডা, তাপমাত্রা -235 ডিগ্রী। অপরদিকে অপর গোলার্ধ প্রচন্ড গরম, সেখানের তাপমাত্রা+54 ডিগ্রী।

বিক্রম ল্যান্ডারের পাঠানো নানা তথ্যের উপর নির্ভর করে ইসরোর বিজ্ঞানীরা নানান বিশ্লেষণ করছেন। চাঁদের এই প্রচন্ড ঠান্ডা পরিবেশে জলের অস্তিত্ব আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ চন্দ্র অভিযানে, মহাকাশ ও মহাজাগতিক গবেষণার কাজে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান সব দেশই সামিল হয়েছে। সকলের এই মিলিত প্রয়াস ও গবেষণা এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। হয়তো বা এই দূষিত পরিবেশ, সমস্যা জর্জরিত বুড়ো পৃথিবী ছেড়ে নতুন কোন পৃথিবীর মতো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যাবে যেখানে মানুষ বসবাস করতে যাবে।

এই লেখা লিখতে লিখতে একবার মনে হলো সায়েন্টিফিক বা টেকনিক্যাল না করে এটা যদি কল্পবিজ্ঞান কাহিনী হিসাবে লিখি তাহলে কেমন হয়?

মহাকাশ ও চাঁদমামাকে বাসস্থান হিসাবে যোগ্য করে তোলার জন্য নানান দেশ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে চলেছে, বিশেষ করে আমেরিকার নাসার বিজ্ঞানীরা। আর রাশিয়া তো সবার আগেই মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছিলো। নাসার বিজ্ঞানীরা হয়তো চাঁদের পাথর, ধূলো ব্যবহার করে সেখানকার রাস্তাঘাট, বাড়ি তৈরী করবে। শুনেছি ইসরো এবার চাঁদে মানুষ পাঠাবে। সেখানে মহাকাশ গবেষণার জন্য রকেট লঞ্চ করার কেন্দ্র তৈরির ব্যাবস্থা করবে। রোবটের সাহায্যে artificial intelligent প্রয়োগ করে এই কাজ করা হবে। যে ভাবে বিক্রম ল্যান্ডারকে পৃথিবী থেকে চালনা করে চন্দ্রোজয় করা হয়েছে,আমরা চাঁদের শহর বা নগর পরিকল্পনার কথাও সেভাবে ভাবতে পারি। সেখানকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, যানবাহন, চাঁদের পরিবেশ অনুযায়ীই তৈরী হবে। কাজটা করবে পৃথিবী থেকে পাঠানো আলফা, বিটা, গামা ইত্যাদি রোবটেরা, যাদের প্রোগ্রামিং ওইভাবেই করা থাকবে। আর এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সব মহাদেশের বিজ্ঞানীদেরই অবদান থাকবে।

প্রকৃতির নিয়মে একদিন চাঁদের অন্ধকার ঠান্ডা দিকে যখন সূর্যের আলো এসে পড়লো, সেই দিকটা উত্তপ্ত হতে শুরু করলো, তখন ক্রেটার ভিতর থেকে লম্বা এনটেনা লাগানো একমাত্রিক চাঁদের রোবটরাও আত্মপ্রকাশ করলো। তাদের সাংকেতিক ভাষার তর্জমা করে জানা গেল যে তাদের নামগুলো আমাদের বৃহন্তরোণ্যক ঊপনিষদ বর্ণিত সপ্তঋষির নামানুসারে। তারা হলো অত্রি, ভরদ্বাজ, গৌতমা, জামদাগ্নী, কাশ্যপ, বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্র। বিক্রম ল্যান্ডার মুগ্ধ বিস্ময়ে ভারতবর্ষের পূর্বপুরুষদের নামাঙ্কিত এই রোবটদের পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। শব্দের ভাষা আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়েই তারা পৃথিবীর অতিথিদের স্বাগত জানালো। আমন্ত্রণ জানালো তাদের বাসস্থান গ্রহ ঘুরে দেখার। আলফা, বিটা, গামা পৃথিবীতে তাদের পরিচালক গবেষকদের কাছে অনুমতির জন্য অনুরোধ জানাল। অনুমোদন হতেই সপ্তর্ষি প্রথমে তাদের মাটির নীচের সুব্রহৎ অত্যাধুনিক গবেষণাগারে নিয়ে গেল। দেখা গেল যে অসংখ্য রোবট নিঃশব্দে অত্যাধুনিক কম্পিউটার নিয়ে কাজ করছে। জানা গেল মহাবিশ্বের মহাকাশে মহাকালের মাঝে যে বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে, তারা তারই গবেষণার কাজে ব্যস্ত। তারা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছে যে এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ডের কয়েক শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে আরো কয়েকটি সৌরমন্ডলের অস্তিত্ব আছে। এক একটি গ্রহের সাথে আরো কিছু গ্রহ আগুনের গোলার মতো বিশাল সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে, ও সেই সূর্যের আলোয় আলোকিত হচ্ছে ও বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করছে।

বহুদূর গ্রহ থেকে আগত শব্দ তরঙ্গ তাদের পরীক্ষাগারে তাদের নিজের ভাষায় অনুবাদ করে জানাচ্ছে যে বিশ্বব্রহ্মান্ডের বাকি অধিবাসীদের সাথেও তারা সংযোগ স্থাপন করতে চায়। তাদের গলার স্বর একটু ভিন্ন রকমের। সবথেকে অবাক কান্ড যে তাদের নাম ঋক বেদ ও সাম বেদে বর্ণিত মহান সাধিকাদের নামে। তাঁরা হলেন সাধিকা গার্গী, মৈত্রেয়ী, রোমাশা, লোপামুদ্রা, অপালা কদ্রু, বিশ্বশ্রবা, ঘোষা, জুহু, বাগাম্বারিনী, পৌলমী, যামু, ইন্দ্রাণী, সাবিত্রী, ও দেবযাণী। এঁরা সবাই মহিলা রোবট গবেষক। এই গ্রহকে সববিষয়ে পরিচালনা করেন এই মহিলা রোবটের দল। এঁদের সাফল্যের পিছনে আছেন তাঁদের সাধিকা শিক্ষিকারা। তাঁরা হলেন বিশ্বশ্রবা, লোপামুদ্রা, অপালা, ঊর্বশী, সুলবা, লীলাবতী, মৈত্রেয়ী, শাশ্বত, ক্ষণা,গার্গী।

এই গ্রহের সৃষ্টিকর্তী এই মহিলা রোবট বাহিনী।
চাঁদ ও অন্যান্য গ্রহগুলির থেকে তাদের গ্রহের দূরত্ব বহু আলোকবর্ষ দূরে, সেখান থেকে তাদের গ্রহে পৌঁছতে হলে মহাকাশ স্টেশনের প্রয়োজন। তাই মহিলা গ্রহের গবেষকরা একশকোটি আলোকবর্ষ দূরে দূরে একটি করে অত্যাধুনিক মহাকাশ স্টেশন নির্মানের কাজ করছেন। মহাকাশ স্টেশনের চারিদিক স্বচ্ছ পদার্থ দিয়ে ঘেরা। স্টেশনের মধ্যে দিয়েই মহাকাশের মহাজাগতিক রূপ দেখা যায়। নানা রংএর তারকা খচিত বিশাল মহাকাশের অপরূপ দৃশ্য মুগ্ধ করে সবাইকে।

প্রত্যেক মহাকাশ স্টেশন পরিচালিত হয় এই সাধিকা রোবটদের দ্বারা। মহাশূন্যের মাঝে বিচরণের জন্য এরা অদ্ভূত ধরনের এক যান ব্যবহার করেন। সেগুলি সোলার পাওয়ারে চলে। যে শব্দতরঙ্গের সাহায্য নিয়ে ভাষার আদান প্রদান হয় তা ও মহাবিশ্ব মন্ডলের প্রাকৃতিক সম্পদের সাহায্যে সৃষ্টি।

রোবটগুলি এমনভাবে তৈরি যাতে তারা নিজেরাই বুঝতে পারে, তাদের কি ভাবে ব্যবহার করা হলে গ্রহে অবস্থিত অন্য প্রাণের ক্ষতি হতে পারে। তখন তারা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে না। সাধিকা মৈত্রেয়ী তাই বিক্রম ল্যান্ডারকে জানালেন যে আমাদের সৌরমন্ডলের দূত খুব শীঘ্রই তোমাদের পৃথিবীতে এই শিক্ষার প্রচারে যাবে, যাতে ধ্বংসের কবলে থাকা পৃথিবী মুক্তি পায়। ধরিত্রীমায়ের কাছে চাঁদমামার এই হবে ভাতৃদ্বিতীয়ার উপহার। আর কিছুদিনের মধ্যেই পৃথিবীর অক্সিজেনের ভান্ডার শূণ্য হয়ে যাবে, রোবট মৈত্রেয়ী তার দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পারে। তাই তার প্রিয় রোবট লোপামুদ্রাকে ইউ এফ ও আকাশ যান নিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল শুদ্ধকরণের জন্য পৃথিবী তে পাঠাবে মনস্থির করলো। কিন্ত পৃথিবীর মানুষ সে ব্যাপারে আগাম কিছু না জানলে লোপামুদ্রার ক্ষতি হতে পারে, তাই শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে মৈত্রেয়ী বিক্রম ল্যান্ডারকে পৃথিবীর ইসরোর গবেষকদের তরঙ্গের মাধ্যমে জানিয়ে রাখতে বললেন। পৃথিবীতে এই বার্তা পৌঁছতেই সুযোগসন্ধানী কিছু মানুষ প্রচার করতে লাগল ভিন্ন গ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীকে ধ্বংস করতে আসছে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মৈত্রেয়ী জানতেন এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। তাই তার “সুস্থ পৃথিবী মিশনে“ যাত্রা শুরুর আগে সব রকমের সাবধানতার ব্যাবস্থা করলেন। আমরা পৃথিবীর মানুষ,এখন তাই ভিন্ন গ্রহের দয়ায় “সুস্হ পৃথিবীতেই সুস্হভাবে বেঁচেথাকার “ জন্য অপেক্ষা করে আছি।

 

Sahityika Admin

1 comment