সাহিত্যিকা

বি-এ-জি-বি-র দুর্গা পূজা

বি-এ-জি-বি-র দুর্গা পূজা
প্রবীর কুমার সেনগুপ্ত, ১৯৬৯ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার কয়েকজন বন্ধু আমাকে বারবার Free Verse (ছন্দ-ছাড়া) লিখতে বলছে। চেষ্টা করলাম। তবে একটু অন্য রকম ভাবে। একটু নতুনত্ব আনবার চেষ্টা করলাম। প্রথম লাইনে এক অক্ষর, দ্বিতীয় লাইনে দুই অক্ষর, তৃতীয় লাইনে তিন অক্ষর। এই ভাবে কুড়ি অক্ষর পর্যন্ত গিয়ে আবার প্রতি লাইনে অক্ষর কমতে থাকলো। এখানকার বারমিংহাম – বি এ জি বি (Bengali Association of Greater Birmingham) পূজোর ম্যাগাজিনে পাঠালাম। জানি না ওদের পছন্দ হবে কিনা। পরে হটাত মনে হল – অন্ত্যমিল ছাড়া ঠিক যেন কবিতা হয় না। তাই চেষ্টা করলাম “ছন্দ-ছাড়া” আর “অন্ত্যমিল” এর মিলন।
প্রথম কয়েক লাইন আর শেষের কয়েক লাইন বাদ দিয়ে অন্ত্যমিল খুঁজে পাওয়া যেতে পারে

বি-এ-জি-বি-র দুর্গা পূজা হয়ে গেলে সেই নিয়েই একটা লেখার চেষ্টা করলাম।

মা
দুর্গা
দুর্গতি
নাশ করে
আবার এলো
আমাদের ঘরে,
দিকে দিকে প্রদীপ –
জ্বালিয়ে মায়ের পূজো।
আমরাও তাই মায়ের
পূজার করেছি আয়োজন।
বি-এ-জি-বি র আমরা সবাই –
হাজির হয়েছি ছোট আর বড়,
তাই তো আছে কলরব আলোচনা।
পঞ্জিকা তিথি আমরা পারিনা মানতে,
পুজোকে সাজাতে হবে নিজের মতো করে।
সাদা মেঘের আনাগোনা দেখি নীল আকাশে,
সাদা কাশের ফুল সবুজ ঘাসে মাথা দোলায়
মনে পড়ে যায় পূজার দিন গুলো সুদূর দেশে।
আমাদের পুজো সপ্তাহে একটি মাত্র ছুটির দিনে।
পূজারিণী নিষ্ঠা ভরে পূজোর মন্ত্র পাঠে ব্যস্ত ভীষণ –
আর ওঙ্কার ধ্বনি বিরাজে উদাত্ত কণ্ঠের উচ্চারণ।
আরতির প্রদীপ জ্বালিয়ে ধুপ ধুনো আর চন্দনে,
সকল তিথি পূজার সফল অনুষ্ঠানের শেষে।
সবাই মেতেছে নানা রকম মজার খেলায়,
নূতন শাড়ীর সাজে মেয়েরা কি মিষ্টি হাসে
ছেলেরা দেখি নানা রঙের পাঞ্জাবী পরে –
আর ধুতির কোঁচা দোলায় হাতে হাতে।
মঞ্চ মাতে কচি-কাচার নাচা-গানা।
খিচুরি-লাবড়া-মিষ্টি, প্লেট ভরো,
পাত পেরে বসে পেট ভরাই।
সিঁদুর খেলায় বিসর্জন।
বিষাদে মন সকলের।
আলিঙ্গন নমস্কার
বিদায় বেলা এলো,
মন তো চায়না।
সকলে বলি –
আগামীতে
আবার
এসো
মা।

Sahityika Admin

Add comment