আদ্যাশক্তি শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা ও শারদোৎসব
সরসিজ মজুমদার, ১৯৭১ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
সমস্ত ঐশী শক্তির পুঞ্জিভূত কায়া রূপ হইলেন দেবী দুর্গা। ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত হইয়া মহিষাসুর দেব নিধনে ও সুরলোক অধিগ্রহণে সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিলো। প্রতিকারার্থে সমস্ত দেবতা শ্রী বিষ্ণু ও দেবাধিদেব মহাদেবের শরণাপন্ন হইলেন। ঊভয়ের পরামর্শে, সকলদেবগন সম্মিলিত আত্মশক্তির এক বহিঃপ্রকাশকে দেবী রূপে সৃজন করিলেন, যিনি অসুর নিধনে ব্রতী হইবেন। সকল দেবতারা তাঁহাকে নিজেদের আয়ুধ ও অলংকার দিয়া সজ্জিত করিয়া তোলেন। এই মহাশক্তিরূপিনী নারীই মহিষাসুরকে যুদ্ধে আবাহন করেন। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ত্রিশূল দ্বারা মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এছাড়া মধু-কৈটভ, এবং শুম্ভ-নিশুম্ভকেও পরাজিত ও নিহত করেন তিনি।
এই অপূর্ব সুন্দরী দেবী ই শ্রী শ্রী দুর্গা – শরৎ কালে, দেবীপক্ষে যাঁহার বোধন, পূজন, ও বিসর্জন।
মহাদেবী দুর্গাশক্তির বিকাশ আনুমানিক চতুর্থ হইতে পঞ্চম খ্রিস্টাব্দে রচিত মার্কন্ডেয় পুরাণ এবং শ্রীশ্রী চন্ডীতে। তবে মহাভারত, বিষ্ণু পুরাণ, হরিবংশ, দেবী পুরাণ, ভাগবত, বাসনপুরাণ, মহাভারতের বিরাটপর্বে ও ভীষ্মপর্বেও দুর্গাস্তব আছে। ভীষ্মপর্বে ত্রয়োবিংশ অধ্যায়ে অর্জুন দেবী দুর্গার স্তবপাঠ করেন। বিষ্ণু পুরাণের পঞ্চম অংশে দেবকীর গর্ভে দুর্গার জন্মানোর বৃত্তান্ত আছে। শ্রীশ্রী চন্ডীতে বলা হয়েছে তিনি জগৎপালিকা, আদ্যাশক্তি ও সনাতনী।
শ্রীশ্রী চন্ডীতে আরও বর্ণিত আছে প্রাচীনকালে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য সর্বহারা হইয়া বনে গমন করেন। বনের মধ্যে তারা মেধা মুনির নিকট যান। মেধা মুনির উপদেশে সুরথ ও সমাধি মাটির প্রতিমা গড়িয়া ৩ বছর কঠোর তপস্যা করেন । দেবী তুষ্ট হইয়া তাহাদের দেখা দেন এবং মনোবাঞ্ছনা পূর্ণ করেন। পরবর্তীতে বসন্তকালকে দুর্গাপূজার উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করিয়া বাসন্তী পূজার প্রচলন করেন। বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, শারদীয়া দুর্গাপুজো বা অকাল বোধনের সূচনা করেন শ্রীরামচন্দ্র। তিনি রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য অকাল বোধন করিয়া শরৎ কালে দেবী দুর্গার পুজা করেন। রামচন্দ্রের আরাধনায় সন্তুষ্ট হইয়া দেবী তার অভীষ্ট সিদ্ধ করেন।
দেবীর দশহাতে ত্রিশূল, খড়গ, সুদর্শন চক্র, ধনুবার্ন, শক্তি, খেটক, পূর্নচাপ, নাগতালা, অংকুশ ও পরশু দেখা যায় বলিয়া তিনি দশ প্রহরণ ধারিনি।
এই পূজা শাক্ত পূজা। সকলে নববস্ত্র পরিধান করিয়া পূজায় অংশ গ্রহণ করেন।
শুভ পঞ্চমী তিথিতে দেবীকে নেত্র দান করা হয়। মহাষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ, বোধন, দেবীর অধিবাস, ও দেবীকে আবাহন করা হয়।
মহাসপ্তমীর দিন সকালে নিকটস্থ নদী বা কোনো জলাশয়ে পুরোহিত নিজেই কাঁধে নবপত্রিকা বহন করেন। নবপত্রিকা বাংলার দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। একটি সপত্র কলাগাছের সহিত অপর আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একত্র করিয়া একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বাঁধিয়া লালপাড় সাদা শাড়ি জড়াইয়া ঘোমটা দেওয়া বধূর রূপ দেওয়া হইয়া থাকে। নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ বোঝায় নয়টি পাতা। কিন্তু এখানে নয়টি উদ্ভিদ দিয়া নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নয়টি উদ্ভিদ মা দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। এই নয়টি উদ্ভিদ হইল কদলী বা রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব(বেল), দাড়িম্ব(ডালিম), অশোক, মান ও ধান।
প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ। তারপর তাতে সিঁদূর দিয়ে দুর্গা ও গণেশের দক্ষিণে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়। পূজামণ্ডপে নবপত্রিকা প্রবেশের মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠানটির প্রথাগত সূচনা হয়।
নবপত্রিকার ৯টি উদ্ভিদ আসলে দুর্গার ৯টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে কল্পিত হয়। এই ৯ দেবী হইলেন রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, কচ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী। এই নয় দেবী একত্রে “নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা” নামে “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ” মন্ত্রে পূজিতা হন। অতঃপর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। এরপর বাকি দিনগুলিতে নবপত্রিকা প্রতিমাস্থ দেবদেবীদের সঙ্গেই পূজিত হইতে থাকেন। বিশেষভাবে লক্ষণীয় হইল, নবপত্রিকা প্রবেশের পূর্বে পত্রিকার সম্মুখে দেবী চামুণ্ডার আবাহন ও পূজা করা হয়। পত্রিকাস্থ অপর কোনো দেবীকে পৃথকভাবে পূজা করা হয় না।
গবেষকদের মতে, নবপত্রিকার পূজা প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পূজা। অনেকেই মনে করেন, এই শস্যবধূকেই দেবীর প্রতীক রূপে গ্রহণ করিয়া প্রথমে পূজা করিতে হয়, তাহার কারণ শারদীয়া পূজার মূলে বোধহয় এই শস্য-দেবীরই পূজা।পরবর্তীকালের বিভিন্ন দুর্গাপূজার বিধিতে এই নবপত্রিকার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। … বলাবাহুল্য এই সবই হইল পৌরাণিক দুর্গার সঙ্গে এই শস্যদেবীকে মিলিয়ে দেওয়ার একটা সচেতন চেষ্টা। এই শস্য-মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ, সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে আমাদের দুর্গাপুজোর ভিতরে এখনও সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো সংলগ্ন আছে।
দুর্গা প্রতিমার সহিত কার্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী ও অধিষ্ঠান করেন, ও পূজিত হন।
দুর্গাপূজার মহাষ্টমী তিথি মহামায়ার খুব প্রিয় তিথি। আদিশক্তি মহামায়ার প্রথম পুজো করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সেই দিন ছিল বাসন্তী শুক্লা অষ্টমী। ত্রেতাযুগে ভগবান বিষ্ণু রামচন্দ্ররূপে জন্ম নিয়াছিলেন বাসন্তী শুক্লা অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে। আবার তিনিই কৃষ্ণ রূপে জন্ম নিলেন ভাদ্র মাসের অষ্টমীতে।
অষ্টমী তিথি হলো অসুরবিনাশী শুদ্ধসত্তার আবির্ভাব তিথি। অষ্টমী তিথিতে দেবী মহালক্ষ্মীরূপা বৈষ্ণবী শক্তি। দেবীর সেদিন রাজরাজেশ্বরী মূর্তি। দু’হাতে বর দেন ভক্তদের। শ্রেষ্ঠ উপাচার সেদিন নিবেদিত হয়। পদ্ম, জবা, অপরাজিতা, বেলপাতা— নানা রকমের ফুলমালায় দেবীকে সাজানো হয়। অষ্টমীপুজো হইল দুর্গোৎসবের পাঁচটি দিনের মধ্যমণি। আবার ওই একটি দিনেই সংহত হইয়া রহিয়াছে পাঁচ দিনের পুজোর নির্যাস। অষ্টমীতে পুজোর বাহুল্য বেশি। এদিন ৬৪ কোটি যোগিনী, নবদুর্গা প্রমুখের আরাধনা হইয়া থাকে। এদিন ভক্তেরা দেবীকে প্রার্থনা জানাইয়া বলেন— “নমস্যামি জগদ্ধাত্রি ত্বামহং বিশ্বভাবিনি”।
অষ্টমীতে কুমারী পুজো হয়।
সেকালে মুনিঋষিরা কুমারীপুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করিতেন। প্রকৃতি মানে নারী। সেই প্রকৃতিরই আর এক রূপ কুমারীদের মধ্যে দেখিতেন তাঁহারা। তাঁহারা বিশ্বাস করিতেন, মানুষের মধ্যেই রহিয়াছে ঈশ্বরের প্রভাব। কারণ মানুষ চৈতন্যযুক্ত। আর যাঁহাদের সৎ মন কলুষতামুক্ত, তাঁহাদের মধ্যে আবার ঈশ্বরের প্রকাশ প্রকট। কুমারীদের মধ্যেও এই গুণগুলি বিদ্যমান থাকে। তাই এই পুজোর দেবী হিসেবে তাহাদের পুজো করা হয় অষ্টমী তিথিতে।
শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পুজোর উল্লেখ রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পুজো করার বিধান রয়েছে। বয়স অনুযায়ী কুমারীদের বিভিন্ন নামেও অভিহিত করা হয়। এক বছরের মেয়ে ‘সন্ধ্যা’, সাত বছরের মেয়ে ‘মালিনী’, বারো বছরের কন্যা ‘ভৈরবী’ এবং ষোলো বছরের মেয়েকে ‘অম্বিকা’ নামে ডাকা হয়।
সন্ধি পূজাঃ-
পৌরাণিক মতে, অষ্টমী তিথির এক বিশেষ সময়, মহিষাসুরের দুই সঙ্গী—চন্ড ও মুণ্ড –একসঙ্গে দেবীকে পশ্চাৎ হইতে আক্রমণ করে। দেবী ক্রুদ্ধ হইয়া তৃতীয় নয়নের দ্বারা দেবী চামুণ্ডার সৃজন করেন। দেবী চামুণ্ডা চন্ড ও মুণ্ড কে বধ করেন। সন্ধি পূজায় দেবী দুর্গা দেবী চামুণ্ডা রূপে পূজিত হন। এই পূজায়, ১০৮টি প্রদীপ, ১০৮টি পদ্ম ফুল, ও ১০৮ টি বেল পাতার মালার উপচার নিবেদন করা হয়। নৈবেদ্যর উপকরণ হইল রক্ত জবা, আতপ চাল, ও লাল ফল। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট অর্থাৎ মোট ৪৮ মিনিট হল সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণ।
সনাতন শাস্ত্রমতে মহা নবমী বা দুর্গা নবমী হইল আসুরিক শক্তি বধ ও বিজয়ের দিন। শ্রী শ্রী চণ্ডী হইতে জানা যায়, দুর্গা রুদ্ররূপ ধারণ করিয়া মহিষাসুর, চামুণ্ডা রূপে যোদ্ধা চণ্ড, মুণ্ড এবং কালী রূপে রক্তবীজকে হত্যা করেন।
শাস্ত্র মতে, নবমীর দিন মায়ের পূর্ণাঙ্গ পুজা হয়, এই তিথিতে বলি, হোম এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। এই বলিদান মহা নবমীর একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। মূলতঃ মা দুর্গাকে সন্তুষ্ট করিতে, এবং তাঁর আশীর্বাদ লাভ হেতু ইহা করা হয়। অনেকেই ভাবেন, বলি সাধারণত অষ্টমীতেই হয়। কিন্তু না, বলিদানের রীতিটি কেবল নবমীতেই সঞ্চালিত হয়। শাস্ত্র মতে, সন্ধি পুজোর প্রথম দণ্ড অর্থাৎ ২৪ মিনিট পার হওয়ার পরেই হয় বলি। অর্থাৎনবমী তিথি শুরু হওয়ার প্রথম ২৪ মিনিটের মধ্যে বলি হয়।প্রাচীন যুগে এই দিনে মায়ের কাছে ছাগ, বা মহিষ বলি হইলেও, বর্তমানে পশু বলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই এখন কুমড়ো, লাউ, আখ, শসা বা কলা ইত্যাদি বলিতে ব্যবহার করা হয়। বেলুড় মঠের পূজায় রম্ভা বলি হয়।
আর ঠিক এই কারণে পুজোর মন্ত্রেও সেই বিশেষত্ব উল্লেখ করা আছে। নবমীর মন্ত্র হইল
কালি কালি মহাকালি কালিকে কালরাত্রিকে|
ধর্ম্মকামপ্রদে দেবি নারায়ণি নমোহস্তু তে||
লক্ষ্মী লজ্জে মহাবিদ্যে শ্রদ্ধে পুষ্টি স্বধে ধ্রুবে|
মহারাত্রি মহামায়ে নারায়ণি নমোস্তু তে||
কলাকাষ্ঠাদিরূপেণ পরিণামপ্রদায়িনি|
বিশ্বস্যোপরতৌ শক্তে নারায়ণি নমোস্তু তে||
এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ নমঃ দক্ষযঞ্জ বিনাশিন্যে মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ|
নবমীর বিশেষত্ব হইল হোম-যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যে। নবমীতেই হোম হইয়া থাকে, ব্যতিক্রমী নিয়মও থাকিতে পারে। মূলতঃ আঠাশটা বা একশো আটটা নিখুঁত বেলপাতা লাগে। বালি দিয়া যজ্ঞের মঞ্চ প্রস্তুত হয়। বেলকাঠ নিয়মমতো সাজাইয়া পাটকাঠি দিয়া আগুন প্রজ্বলিত করিয়া ঘি’তে নিমগ্ন বেলপাতাগুলি অগ্নিতে নিবেদন করা হয়। তারপর সবার শেষে একটি কলা চেলীতে বন্ধন করিয়া পান দিয়া তাহা ঘি’তে নিমজ্জিত করিয়া পূর্ণাহুতি দেওয়া হয়। তারপর তাহার মধ্যে দই দেওয়া হয় ও দুধ ঢালিয়া অগ্নি নির্বাপিত করা হয়।
দশমীর দিন সকালে, শুভ মুহূর্তে, দেবীর পূজা, এবং শীতল ভোগ নিবেদন শেষে পূজারী ও আভ্যুদায়ীকগণ প্রতিমা প্রদক্ষিণ করিয়া বিসর্জনের আয়োজন শুরু করেন। দর্পণে প্রতিমার বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।
ইহার পর সধবা মহিলারা দেবী প্রণাম, ও সিন্দূর খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। সন্ধ্যাকালে, দেবী মূর্তি গঙ্গা, নদী, অথবা কোন বৃহৎ জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ঘটে জল ভরিয়া পূজামণ্ডপে আনয়ন করা হয়, ইহাই শান্তি বারি—মণ্ডপে উপস্থিত সকলেই এই শান্তিবারি গ্রহণ করেন- চিঁড়া, কলা, ও দই একসঙ্গে মাখিয়া প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করেন। তারপর জ্যেষ্ঠরা বিজয়ার কোলাকুলি, ও কনিষ্ঠরা জ্যেষ্ঠদের প্রণাম করেন এবং আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা সুসম্পন্ন হয়।
দুর্গা পূজা হইতে পশ্চিমবঙ্গে শারদোৎসবের শুরু—ভাতৃদ্বিতীয়ায় তাহার সমাপ্তি।
***************
On December, 2021, Durgapuja was listed as “intangible cultural asset of humanity “ by UNESCO, based on Research Documents of Topoti Guhothakurta, submitted by her, through “SANGEET, NATAK ACADEMY” to UNESCO, as advised by GOI, Cultural Ministry,- complying UNESCO requirements.
১। তথ্যসূত্র ঃ–কালিকা পুরান, শ্রী শ্রী চণ্ডী, পুরোহিত দর্পণ, ও বেলুর মঠ।
২। কৃতজ্ঞতা স্বীকার: –ফটো—ইন্টারনেট।
©Sarasij Majumder: – I declare that I personally read all referred books, literature, and documents, and the article is factually correct.
Add comment