সাহিত্যিকা

রাগ ইমন

রাগ ইমন
প্রনব কুমার মজুমদার, ১৯৭০ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

কলকাতায় বড় হওয়ার ফলে শীতকাল মানেই পিকনিক এরকম একটা ধারণা বা অভ্যাস সৌরভের মনে তৈরী হয়ে গিয়েছিলো। তাই এলাহাবাদে ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় চাকরি করতে গিয়ে গত তিন বছর ধরে অফিসে অনেক চেষ্টা চালিয়ে গেছে যদি একটা পিকনিক করা যায়। কিন্তু এই হিন্দুস্থানীদের মাথাতেই ঢোকে না পিকনিকের মজাটা। ওরা কেবল দলবেঁধে রেস্টুরেন্টে গিয়ে পার্টি করতেই বেশি আনন্দ পায়।

যাই হোক, এবার চতুর্থ বারের চেষ্টায় সফল হলো সৌরভ। তবে এবার বেশ কিছুটা কৌশলও করেছিলো। সরাসরি নিজে উদ্যোগ না নিয়ে সাইটের বাঙালি চীফ ইঞ্জিনিয়ার রজত রায়কে গিয়ে ধরেছিলো। বাঙালি বলেই হয়তো রজতবাবু সৌরভের আবেগকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। খানিকটা বড় সাহেবের হুকুমের মতো হওয়ায় কেউ আর আপত্তি করতে পারেনি। তা হলেও অভিজ্ঞ রজতবাবু এডমিনিস্ট্রেশনটা ভালোই বোঝেন। সৌরভকে আড়ালে রেখে স্থানীয়দের নিয়ে একটা পিকনিক কমিটি বানিয়ে দিলেন। ফলে চমৎকার একটা জায়গাও পাওয়া গেলো।

গঙ্গার ধারে একটা মোগল আমলের জমিদার বাড়ি। তবে হরে দরে ব্যাপারটা ঐ রেস্টুরেন্ট কাটিংই হলো। রেস্টুরেন্টের রাঁধুনি এসে রাঁধবে আর মদ্যপানের ভালোই ব্যবস্থা থাকবে। যতই হোক, ঠিক মনমতো না হলেও পিকনিকটা যে শেষ পর্যন্ত হচ্ছে তাতেই সৌরভ খুশি।

পিকনিকের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিলো রাতের জন্য। সবাইকে হাজির হতে বলা হয়েছিলো বিকেল চারটের সময়। সৌরভ একা থাকতো একটা একঘরের ফ্ল্যাটে। ফলে একটু দূরে হলেও স্থানীয় সহকর্মীদের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলো। চীফ ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের কৌশলটাও সৌরভ বুঝে গেছিলো। ফলে ব্যবস্থাপনায় আর নাক না গলিয়ে ঐ জমিদার বাড়ির চৌহদ্দিটার মধ্যে সে পা বাড়ালো। বাগানে ফোয়ারা, বিরাট বিরাট পাথরের মূর্তি। কেয়ারি করা সব ফুলের গাছ। খাওয়া দাওয়া আর আড্ডার ব্যবস্থা বাগানে। চার পাঁচটা ঘর পিকনিকের জন্য ছেড়ে দেওয়া ছিলো। সুসজ্জিত সব ঘর। দামী দামী মেহগণি কাঠের আসবাব। ডিজাইন করা বেলজিয়াম কাঁচের আয়না আর কাঁচ। এই সব দেখতে দেখতেই ডাক পড়লো চা খাওয়ার।

সৌরভ ঘর থেকে বাগানে এসে দেখে যে প্রায় সবাই এসে গেছে। টেবিলে চায়ের সঙ্গে এলাহাবাদের বিখ্যাত সমোসা, পকৌড়া আর জলেবী। সৌরভ একদিকে সবার সাথে দেখা করে কথা বলতে বলতে চলেছে, আর টুকটাক খাদ্যও গলাধঃকরণ করছে। তখনই সে দেখে বাগানের একপ্রান্তে চীফ ইঞ্জিনিয়ার রজত রায়কে, সঙ্গে স্ত্রী বনানী আর একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা। রায় সাহেবের বাড়িতে সে এর আগে কয়েকবার গেছে বলে সবার সঙ্গেই আলাপ আছে।

সৌরভ গিয়ে রায়সাহেব আর বনানী ম্যাডামকে প্রণাম করলো। স্নিগ্ধার সঙ্গে খানিক হাসি বিনিময়ও হলো। সৌরভ লক্ষ্য করলো বাগানের অন্য ধারে চেয়ার টেবিল পাতা আর টেবিলের ওপর রঙীন পানীয় সারি দিয়ে রাখা হচ্ছে। ইশারায় রায়সাহেবকে সৌরভ ঐ পানীয় অপছন্দের কথাটা বোঝালো। রায়সাহেবেরও ইচ্ছা মেয়ে যেন ঐসব পানীয় চলাকালীন সেখানে না থাকে। তাই সৌরভকে বললেন, “সৌরভ, তুমি স্নিগ্ধাকে একটু জমিদার বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখাও।” স্নিগ্ধা কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে, দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে মায়ের দিকে তাকালো। বাড়িতে সৌরভ এলে মা মেয়েকে চোখে চোখে রাখেন। কিন্তু এখন উপায়ন্তর না দেখে মেয়েকে বললেন, “যাও জমিদার বাড়ি কেমন হয় দেখে এসো। তবে দেরী কোরো না, রাতের খাওয়া কখন শুরু হবে জেনে যাও।”

সুযোগ পেয়ে সৌরভ ওর এতক্ষণের দেখা জমিদার বাড়ির জ্ঞান স্নিগ্ধার কাছে উজার করে দিলো। খানিকক্ষণ ধরে ঘরগুলোর ভেতর আর বাগানটা দেখে একসময় ওরা বাড়ির পেছনের দিকে এলো যার পাশ দিয়ে গঙ্গা বয়ে চলেছে। গঙ্গা অন্ততঃ আধ মাইল দূরে তো হবেই।

তখন সবে বিকেল পাঁচটা । সূর্য ডুবে গেছে, কিন্তু তার আভাটা আকাশে রয়ে গেছে। নদী পর্যন্ত অঞ্চলটা বালির চর। এতক্ষণে স্নিগ্ধা প্রথম মুখ খুললো, “ঐ বালিতে যাওয়া যায় না?”
সৌরভ জবাব দিলো, “মনে হয় যাওয়া যাবে।”

সৌরভ অবশ্য ঘরগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানোর সময় বিজ্ঞের মতো এন্তার বকবক করে গেছে। এবার স্নিগ্ধাকে নিয়ে সৌরভ বাগানের মাঝখানে এলো। ঐখান থেকে একটা সিঁড়ি প্রায় পনেরো ফুট নেমে গেছে। সিঁড়ি দিয়ে নেমে সিঁড়ির মুখেই একটা দরজা। ছিটকিনি খুলে পাল্লা ধরে টানতেই দরজা খুলে গেল। দেখে চোখের সামনেই বিস্তীর্ণ বালির চর। দুজনেই হাঁটতে শুরু করলো। ঝুরো বালির ওপর দিয়ে হাঁটা যায় না। ফলে অতি ধীর পদক্ষেপেই দুজনে এগোতে লাগলো। সৌরভের কাঁধে ছিলো একটা ঝোলা ব্যাগ। ঝোলার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে একটা চাবি টিপতেই টুং টাং করে মিষ্টি সেতারের আওয়াজ শুরু হয়ে গেলো। সৌরভ শুধু বললো, “রাগ ইমন।”

সৌরভ পিকনিকে এই সেতারের ধুন বাজাবে বলে তার সদ্য কোলকাতা থেকে কেনা টেপরেকর্ডার আর নিখিল ব্যানার্জির এই অডিও ক্যাসেটটা ঝোলায় ভরে নিয়ে এসেছিলো, কিন্তু টেবিলের ওপর রঙীন পানীয়ের সারি দেখে বুঝে গিয়েছিলো নিখিলবাবুর সেতার এই জমায়েতে জমবে। তাই স্মিগ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছিলো।

আকাশের আলো ক্রমশঃ কমে আসছে। ইমন রাগের আলাপও ক্রমশঃ গতি প্রাপ্ত হচ্ছে। বালির ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পায়ের টাল রাখতে না পেরে স্নিগ্ধা বাঁদিকে সরে যাচ্ছে। জমিদার বাড়ি থেকে দুরত্ব বেড়ে যাচ্ছে দেখে সৌরভ স্নিগ্ধার ডান হাতটাকে ওর বাঁ হাত দিয়ে ধরে ফেললো। হাতের টানে স্নিগ্ধা ক্রমেই ডানদিকে সরে আসতে থাকলো। তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা বাজে। সূর্যের আলো আর নেই, কিন্তু আকাশের একটা আলোর আভাস সাদা বালির ওপরে পড়ে স্থলভূমির একটা হদিস দিচ্ছে। কিছু না বলে স্নিগ্ধা এবার বাঁদিকে টান রাখলো, খানিকটা মজা করে। ততক্ষণে সেতারে আলাপ বিলম্বিত থেকে দ্রুততে গিয়ে পৌঁছালো। এবার সঙ্গে তাল উঠলো তবলায়। সেই তালে হাত ধরাধরি করে স্নিগ্ধা আর সৌরভের বাঁদিকে একবার আর ডানদিকে অন্যবার টানাহ্যাঁচড়া যেন একটা খেলায় পরিণত হলো। সেই সময় হঠাৎই কট করে আওয়াজ করে ক্যাসেটের একপিঠ শেষ হয়ে হলো। তার মানে ওরা এতক্ষণ আধঘন্টা ধরে এদিক সেদিক করতে করতে হেঁটে এসেছে গঙ্গার জলের প্রায় ধারে। ক্যাসেটের পিঠটা পাল্টে সৌরভ স্নিগ্ধার হাত ধরে ফিরতি পথ ধরলো।

এবার প্রায় পৌনে ছটা বাজে। অন্ধকার যেন রীতিমতো ঘনীভূত। বালির ওপর অন্ধকারে পথ চলা, শুধু আধ মাইল দূরে জমিদার বাড়ির আলো যাত্রাপথের নিশানা। আঁধারে পা টলোমলো বলে সৌরভ আরো শক্ত হাতে সিগ্ধাকে ধরে এগোতে লাগলো। স্নিগ্ধার নরম হাত সৌরভের হাতে। চেষ্টা করছে দ্রুত এগোনোর। ক্যাসেটে ইমন রাগের ঝালা বেজে চলেছে। চলছে সেতার আর তবলার জুগলবন্দী। একসময় ঝালা শেষ হলো তেহাইতে। হঠাৎই স্নিগ্ধা বালির ওপর কিছু একটা দেখিয়ে বললো, “ওটা কি?” সৌরভ ঝুঁকে ইঞ্চি দেড়েক মাপের একটা গাঢ় রঙের পাথরের টুকরো তুলে স্নিগ্ধার হাতে দিলো। ততক্ষণে ক্যাসেটে নিখিল ব্যানার্জী রাগ ইমনের ওপর ঠুংরী শুরু করেছে। স্নিগ্ধা সৌরভের হাতে পাথরটা দিয়ে বললো, “এখন আপনার ঝোলায় রাখুন, পরে নেবো।” সিঁড়ি থেকে কয়েক পা দূরত্বে পৌঁছে ঠুংরী থামলো। নিস্তব্ধ অন্ধকারে দুজনে হাত ধরাধরি করে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে এলো। ওদের দেখে সবাই হৈ হৈ করে উঠলো। সবার প্রশ্নের ভিড়ে দুজনের উত্তর নিস্প্রভ হয়ে পড়লো। সৌরভের বয়স তখন পঁচিশ, স্নিগ্ধার উনিশ।

আজ এখন প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর পরে সৌরভ অবসর জীবনের ফাঁকে ফাঁকে চাকরি জীবনের স্থানগুলো পরিদর্শনে বেরিয়ে একসময় এলাহাবাদে কয়েকটা দিন কাটাতে এলো। সেই সূত্রে একদিন গঙ্গার ঐ চরের কাছে এসে পৌঁছালো। গঙ্গার চেহারা অনেকটা এক থাকলেও দুপাড়ের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। দুপাড়েই রীতিমতো চোখে পড়ে কলকারখানা আর উঁচু উঁচু বাড়ি ঘর। বালির চর অনেকটাই অপসৃত। পাথর আর কংক্রিটের ঢালাই করে দুপাড় বাঁধানো। সৌরভ খেয়াল করে তারও তো দুপাটি দাঁতই বাঁধানো। তবুও যেন সব সরিয়ে সৌরভ হারিয়ে যেতে থাকে অতীতে, পঁয়তাল্লিশ বছরের অতীতে, মাত্র একটা সন্ধ্যাবেলায়। যেন সূর্যগ্রহণের মতো দিনের আলো কমে পড়ন্ত বিকেল এসে গেলো। ধীরে ধীরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা নেমে এলো। কানের মধ্যে ইমনের ঝালার শব্দপাত হতে থাকলো। আর হাতে যেন ধরা আছে – স্নিগ্ধার হাত। অমন ঠাঠা রোদ্দুরেও চোখ দুটো বুজে আসছিল কি এক আবেশে। হঠাৎই যেন সম্বিত ফিরলো। বুজে আসা চোখের পাতা দুটো কুঁচকে গেলো। আবেশী চোখ দুটো মূহুর্তে অনুসন্ধিৎসু হয়ে পড়লো। চোখ জোড়ার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো এক মহিলার ওপর। কেমন একটা উদাসী ভাবে ঐ মহিলা ধীরে ধীরে ঘুরে ঘুরে দেখছে চারিদিকে। পরনে সালোয়ার কামিজ, লম্বা চুলে পাক ধরেছে। কিন্তু চশমাটা? বড় চৌকো ফ্রেমের চশমা চোখে। পঁয়তাল্লিশ বছর আগে কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী তখন ঐ চৌকো ফ্রেমের চশমা পড়তো। হ্যাঁ, সেই পিকনিকের বিকেলে সিঁড়ি বেয়ে গঙ্গার চরে পৌঁছে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে সৌরভ মন্তব্য করেছিলো, “এই বড়সড় চশমাটায় তোমাকে দারুণ লাগছে। ঠিক যেন পাকা বুড়ি।” কিন্তু এই চশমা তো আজকাল অচল। তাহলে?

সাহস করে এগিয়ে গেলো সৌরভ। মুখ দিয়ে একটা শব্দ বের করলো, একটা নাম, “স্নিগ্ধা?” অর্থবোধক বাক্য বানাতে হলো না, একটা প্রশ্নবোধক উচ্চারণই যথেষ্ট। বড় ফ্রেমের চশমা আপাদমস্তক দেখলো সৌরভকে, তারপর দৃষ্টি আটকে গেল মুখে। পঁয়তাল্লিশ বছর আগের মুখের ওপরে দাঁড়ি-গোফ জমা পড়েছে। ধুলো ঝাড়ার মতো করে চোখের দৃষ্টিতে স্নিগ্ধা ঐ গোঁফ-দাঁড়ি সরানোর চেষ্টা করলো। নাক, চোখ, কান দিয়ে প্রায় আসামী চিহ্নিতকরণের কাজ সমাপ্ত। হঠাৎ কাঁধে ঝোলা ব্যাগটা নজরে পড়লো। আরে, এরকমই একটা ব্যাগে তো টেপরেকর্ডারটা বাজছিলো। আসামীর হাতে হাতকড়া পড়লো যেন। উত্তর দেওয়ার স্বরে স্নিগ্ধার গলা থেকে আওয়াজ বেরোলো, “সৌরভদা।”

সেই পরীক্ষায় তখন দুজনেই অঙ্কে একশোয় একশো পেয়ে গেছে। কুশল বিনিময় পর্বের পর সৌরভ জানতে পারলো স্নিগ্ধা স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূ-নাতনীর সাথে বেড়াতে এসেছে তার কলেজ জীবন যে দেশে কেটেছে তার স্মৃতিচারণে। সৌরভের কাছ থেকে উত্তর পেয়েছিলো শুধু দুকাঁধ ঝাঁকানো দিয়ে। স্নিগ্ধা ইঙ্গিত করলো সৌরভের কাঁধের ব্যাগটার দিকে। সৌরভ উত্তর দিলো, “এখন ব্যাগে আর সেই টেপরেকর্ডারটা নেই, একটা ছোট ছাতা আর জলের বোতল থাকে।”

উভয়েই উভয়ের দিকে তাকিয়ে রইল নির্নিমেষে। কয়েকটা মূহুর্ত যেন বহু বছরের হিসাব মিলিয়ে দিলো। হঠাৎ একটা ছোট্ট মেয়ে ছুটে এসে স্নিগ্ধার হাতে টান মেরে বললো, “ঠাম্মা চলো, বাবা ডাকছে। কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে রোদে। টাঙ্গা চড়তে হবে তো!” নাতনীর টানে স্নিগ্ধার শরীর ঘুরলো। একটু দাঁড়ালো। হাতের মুঠোফোনের চাবি টিপলো। ঐ রোদ্দুরেও গঙ্গার পাড় একটা শীতলতায় ছেয়ে গেলো। মুঠোফোন আওয়াজ তুললো রাগ ইমনের একটা ঠুংরী – ‘যব দীপ জ্বলে আনা, যব শাম ঢলে আনা…’। চৌকো চশমা পেছনে ঘুরে তাকালো। দেখলো কাঁধের ব্যাগে একটা হাত ঢুকছে। মূহুর্ত পরেই হাত বেরিয়ে এলো। দুই আঙ্গুলের ফাঁকে ধরা ইঞ্চি দেড়েক মাপের এক টুকরো গাঢ় রঙের পাথর। নাতনীর টানে চৌকো চশমা এগিয়ে চললো, দৃষ্টি পেছনে দুই আঙ্গুলের ফাঁকে ধরা গাঢ় রঙের পাথরের দিকে। একটা সুরের মূর্ছনা যেন ঝরে পড়া ফুলের একটা চাদর বানিয়ে ঢেকে ফেললো চৌকো চশমা আর কাঁধে-ব্যাগকে।

বাজতে থাকলো – রাগ ইমন।।

Sahityika Admin

Add comment