ভুলো, ভুশুণ্ডির মাঠে (দু’টি ছোট গল্প)
সুদীপ রায়, ১৯৭০, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ভুলো
‘একবার এদিকে শুনে যাবে’
অন্দরমহল থেকে গিন্নীর ঈষৎগম্ভীর আওয়াজ আসতেই ভেতরের ঘরে এল অনন্ত। বাইরের ঘরে বসে তিনতলার শর্মা’জীর সঙ্গে কথা বলছিল অনন্ত। আবাসনের সেক্রেটারি অনন্ত সেন। সুবিধেয়, অসুবিধেয় আবাসিকরা অনন্তের কাছেই ছুটে আসে মুশকিল আসানের জন্য। এই যেমন আজ শর্মা’জী এসেছেন পাশের ফ্ল্যাটের সরকার মশাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে। সরকার সাহেব নাকি তিনতলার এজমালি করিডোরের খোলা দিকটায় আজকাল প্রায়ই জামাকাপড় শুকোতে দিচ্ছেন। সে জায়গাটা আবার শর্মার ফ্ল্যাটের মুখোমুখি। ঘরে ঢুকতে গেলে সকাল বিকেল শর্মারা দেখেন সেখানে সরকার পরিবারের সদস্যদের জামাকাপড় মায় অন্তর্বাস পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে। শর্মা’জী চান অনন্তবাবু এর একটা বিহিত করুন।
শর্মা’জীর সাথে কথার মাঝখানেই গিন্নীর ডাক পেয়ে অনন্তকে উঠতে হয়েছিল। ভেতরে এসে বলল
‘কী ব্যাপার। আর্জেন্ট কোনো কাজ আছে নাকি?‘
– হ্যাঁ আর্জেন্টই। বুঝি না, বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার কি কাণ্ডজ্ঞান লোপ পাচ্ছে? বাইরের লোক এসেছে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আর তুমি কিনা তার সামনে খালি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো? কই শর্মাজী তো ঘরের ভেতর দিব্যি চটি ফটফটিয়ে ঢুকলেন। আর তুমি … কী যে কর। প্লিজ … একটা স্লিপার পরে ওঘরে যাও।‘
বউ শান্তা বিরক্তমুখে বলল।
ঘরে স্লিপার পরে চলাফেরা করার অভ্যেস অনন্তর কস্মিনকালে ছিল না। ছোটবেলা থেকেই খালি পায়ে ঘরে বাইরে, মাঠে ঘাটে দাপাদাপি করার অভ্যেস বানিয়ে, আর এখনও ঘরের ভেতরে খালি পায়ে হাঁটা চলা করতেই অনন্ত বেশ স্বচ্ছন্দ। অনন্তর বউ শান্তা আবার ঠিক উল্টোটি। ঘরের ভেতরে, বাইরে সবসময়েই পায়ে হাল ফ্যাশনের চটী জুতো। বাইরের লোকের সামনে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ানো শান্তার মতে ডিসেন্সির অভাব, ল্যাক অফ সিভিক সেন্স, অতিথি কে অসম্মান করা।
বউয়ের কথা শুনে অনন্ত বাধ্য ছেলের মত বসার ঘরে ফিরে এসে শর্মাজীর সঙ্গে এটা ওটা দু একটা কথা বলে একফাঁকে টুক করে উঠে গিয়ে ঘরের এক কোনে রাখা শু’ক্যাবিনেট খুলে সামনে যে চটিটা পেল সেটাই পায়ে গলিয়ে নিল। যাক এখন নিশ্চিন্তি।
শর্মাজী বিদায় নিতেই শান্তা বসার ঘরে এসে ঢুকল।
‘এটা তুমি কোন চটিটা পরেছ, দেখেছ? কুকুরে চেবানো, বেড়ালে চাটা নোংরা এই চটিটা তোমার না পরলেই চলছিল না ? ওই চটি পরে তুমি বাজারে যাও ঠিক আছে, তাই বলে ওটা পরে কোনো ভদ্রলোকের সামনে কেউ বেরোয় ? তুমি কী গো। কতবার বলেছি ঘরে স্লিপার পরে চলা অভ্যেস কর। সেকথা তো তোমার মনে থাকে না, এমন ভুলোমন তোমার। আমি কিছু বললেই কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বার করে দাও। এমন ভুলো লোককে নিয়ে সংসার করা যে কী দুরুহ ব্যপার সে তোমাকে বিয়ে করার পর থেকে এই তিরিশ বছর ধরে আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।’
শেষের লাইনটা হাজার বার শুনতে শুনতে অনন্তর গা সওয়া হয়ে গেছে।
অনন্ত কোনো জবাব দিল না। যতদূর মনে পড়ছে চটিটা বাড়ির পোষা মেনি বেড়ালটা একবার চাটাচাটি করেছিল বটে কিন্তু কখনো কুকুরে চিবিয়েছিল বলে মনে পড়ল না। সে যাই হোক মনে মনে একটু খুশিই হল অনন্ত। যাক সকালের কোটা’টা অল্পের ওপর দিয়ে গেল। তবে হ্যাঁ, একথা সত্যি অনন্ত আজকাল মাঝেমাঝেই অনেক সময় অনেক দরকারি কথা ভুলে যাচ্ছে। এমাসেই ইলেকট্রিক বিল সময়মত পে না করায় রিবেট পায় নি। এবারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সময় করে ব্যাঙ্কের ইসিএস ম্যান্ডেট নিয়ে টেলিফোন আর ইলেকট্রিক বিল ব্যাঙ্কের একাউন্ট থেকে ডিরেক্ট পেমেন্টের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। ছোটখাট এরকম আরও ভুলভ্রান্তি আজকাল অনন্তর হামেশাই হচ্ছে।
শান্তা জানিয়ে দিলো, ‘এই শোন, চল আজ সন্ধ্যেবেলা মন্দিরাদিদের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে বাটার দোকানে গিয়ে তোমার জন্য এক জোড়া ভদ্রগোছের চটী কিনে আনি। আমার ডক্টর শোল চটী জোড়াও দু বছর পরা হয়ে গেছে। সেটাও ফেলে দিয়ে নতুন এক জোড়া কিনব। আর হ্যাঁ তোমার এই জঘন্য কুকুরে চেবানো, বেড়ালে চাটা চটি জোড়াও আজ বিদেয় করব। তোমার যা ভুলো মন, বাড়িতে রাখলে আবার ওটাই টেনেটুনে বার করে পরে বসে থাকবে।‘
শান্তার কথার নড়চড় হয় না। বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে অনন্তর পুরোনো চটি জোড়া একটা স্পেয়ার জুতোর বাক্সে ভরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে শান্তা গাড়িতে উঠল। ফেরার পথে লেকের পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে লেকের জলে ফেলে দিলেই হবে। সন্ধ্যের অন্ধকারে কেউ দেখতে পাবে না। অনন্ত আপত্তি করেছিল চটি ডিসপোজালের এরকম একটা আনসিভিক ব্যবস্থায়। তার চেয়ে বরং চটি জোড়া গরীব কোনো লোককে দিয়ে দেওয়া অনেক ভাল।
‘কেঊ তোমার ওই নোংরা চটি ছুঁয়েও দেখবে না। ভিখিরিদেরও একটা মিনিমাম ক্লাস থাকে। তাছাড়া তোমার তো ওই হাতির মত গোদা পা। ওই সাইজের পায়ের গরীব লোক পাওয়াও মুশকিল।‘
শান্তা অনন্তর সাজেশন এক ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিল।
মন্দিরাদিদের বাড়ি হয়ে ফেরার পথে গড়িয়াহাটের বাটার দোকান থেকে অনন্তর জন্য বেশ দাম দিয়েই ‘হাশ পাপি’ ব্র্যান্ডের এক জোড়া স্যান্ডেল কিনল শান্তা। ডক্টর শোলের স্টকের জুতোর ডিজাইন শান্তার পছন্দ হল না। লেক গার্ডেনস ফ্লাই ওভারের ঠিক আগে লেকের কাছাকাছি গাড়ি থামিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে শান্তা চটপট নেমে পুরোনো চটী জোড়া লেকের জলে ফেলে দিয়ে এল। এখন নিশ্চিন্ত। বাড়ি ফিরে নতুন কেনা জুতোর প্যাকেট টা হাতে ঝুলিয়ে ঘরে ঢুকে বাক্সটা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল। বাক্স খুলতেই বেরোল অনন্তর সেই ‘কুকুরে চেবানো, বেড়ালে চাটা’ চটি জোড়া।
অন্ধকারে ভুল করে শান্তা নতুন কেনা জুতোর প্যাকেটটাই লেকে জলাঞ্জলি দিয়ে এসেছে।
ভুশুণ্ডির মাঠে
স্ত্রীর মৃত্যুর পর, পুলকবাবু ইদানিং প্রেততত্ত্বে বিশেষ অনুরাগী হয়ে পড়েছেন। আজকাল পাড়ার লাইব্রেরী গিয়ে পরলোকচর্চার বইপত্র বাড়িতে নিয়ে এসে পড়াশোনা করছেন। তার কারণ, পুলকবাবুর বদ্ধ ধারণা, মৃত্যুর পরেও তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ত্তাঁর সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বাড়িতে মাঝে মাঝেই পুলকবাবু তার অদৃশ্য উপস্থিতি বেশ অনুভব্ করেন। শাড়ীর খসখস শব্দ, চাবির গোছার রিনিঝিনি আওয়াজ, রান্নাঘরে বাসনপত্রের এদিক ওদিক রাখার আওয়াজ হামেশা কানে আসছে। ভোররাতে তাঁর স্ত্রীর বাথরুমে যাওয়ার অভ্যেস ছিল। বাথরুমের দরজা খোলা, বন্ধ করার আওয়াজ প্রায় প্রতিরাতেই তিনি পাচ্ছেন। এমন কী গতরাতে তিনি স্পষ্ট শুনেছেন বিছানায় পাশে শুয়ে কেউ এপাশ ওপাশ করছে, যদিও কাউকেই কখনো তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।
আশ্চর্যের ব্যাপার এসবে পুলকবাবু মোটেই ভয় পাচ্ছেন না। বরং তাঁর এমন একটা বিশ্বাস জন্মাচ্ছে যে তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গেই আছেন, তাঁর ভালোমন্দের দিকে লক্ষ্য রাখছেন। স্ত্রীর এই নীরব উপস্থিতিকে কীভাবে সরব এবং সম্ভব হলে দৃশ্যমান করে তোলা যায়, সেজন্য পুলকবাবু সদাসচেষ্ট। সেই কারণেই বইপত্র পড়ে প্রেত মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করছেন।
কয়েকদিন আগের কথা। প্রবীণসভার বিশেষ এক কার্যক্রমে পুলকবাবুর পরিচয় হল এক মাঝবয়েসী ভদ্রলোকের সঙ্গে। নাম বিকাশ দত্ত। ভদ্রলোক নাকি বহুদিন প্রেততত্ত্ব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। উনি প্রেত, পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। উনি দাবী করেন যে ভুতেদের সঙ্গে একাধিকবার তাঁর চাক্ষুষ সাক্ষাৎ হয়েছে। পুলকবাবুর অভিজ্ঞতা শুনে তিনি বললেন পুলকবাবুর প্রয়াত স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিলাষী। তিনি যেন সর্বদা চোখ, কান খোলা রাখেন। খুব শিগগিরি তাঁর স্ত্রী তাঁকে দেখা দেবেন। কোথায়, কেমন ভাবে দেখা হবে তার কিছু সুত্র অবশ্যই ইঙ্গিতে পাওয়া যাবে।
দুদিন পরেই বিকাশ বাবুর ফোন।
‘এই যে পুলকবাবু, আপনাকেই খুঁজছিলাম। জানেন তো দেশে সবচেয়ে বেশি ঘন সংখ্যায় ভূত থাকে বর্ধমানের ভুশুণ্ডি’তে। কনফারমড খবর পেয়েছি সেখানে আগামীকাল এক ভৌতিক সমাবেশ হচ্ছে। আসবেন নাকি? ট্রেনে বর্ধমান কর্ড লাইনের মশাগ্রাম স্টেশনে এসে নামতে হবে। ভুশুণ্ডির বাজার স্টেশন থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার। আমি বিশেষ কাজে আজ বর্ধমান এসেছি। আগামীকাল সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ভুশুণ্ডির বাজারে অমিয়র চায়ের দোকানে চলে আসুন। আমি ওখানেই থাকব। আপনাকে কাল ভূতের সমাবেশে চাক্ষুষ ভূত দেখাব।‘
এই বলে বিকাশ লাইন কেটে দিল।
সেদিন মাঝরাতেই পুলকবাবু স্পষ্ট শুনলেন তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কল্পনার খিলখিল হাসির আওয়াজ। যেন উনি খুব খুশী।
পরদিন পুলকবাবু হাওড়া থেকে কর্ড লাইনের ট্রেন ধরে সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় মশাগ্রাম স্টেশনে এসে নামলেন। বাইরে একটা রিকশাওয়ালা যেন তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিল। পুলকবাবু কিছু বলার আগেই রিকশাওয়ালা বলল ‘কোথায় যাবেন ? ভুশুণ্ডির বাজার তো ? উঠুন।‘
পুলকবাবু অবাক হলেন। তিনি ভুশুণ্ডির বাজারে যাবেন সেটা তো এই রিকশাওয়ালার জানার কথা নয়। মনে সন্দেহ থাকলেও মুখে কিছু না বলে পুলকবাবু রিকশাতে চড়ে বসলেন।
রিকশা স্টেশন চত্ত্বর ছাড়িয়ে আধা অন্ধকার মেঠো পথ ধরল। দু কিলোমিটার নয় পুলকবাবুর মনে হল কিলোমিটার খানেকের মধ্যেই ভুশুণ্ডির বাজার এসে গেল। বেশ আলোঝলমলে বড় বাজার। রিকশার ভাড়া মিটিয়ে পুলকবাবু অমিয়র চায়ের দোকানের খোঁজে হাঁটা দিলেন। কিন্তু না, আধঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও কেউই অমিয়র দোকানের খবর দিতে পারল না। বিকাশবাবুকেও বাজারে কোথাও দেখতে পেলেন না। আধঘন্টা পরে পরিশ্রান্ত হয়ে পুলকবাবু ভাবলেন আর একটু দেখে এবার ফেরার ট্রেন ধরতে হবে। কোনো কারণে বিকাশবাবু হয়তো আসতে পারেন নি। বিকাশ দত্তের ফোন এসেছিল পুলকবাবুর ল্যান্ড লাইনে। তখন ভুলে ওনার ফোন নম্বরটা নোট করা হয় নি। কী আর করা যাবে ? এখন ফিরতি ট্রেন ধরে কলকাতায় ফিরে যেতে হবে।
স্টেশনে ফেরার জন্য পুলকবাবু রিকশার খোঁজ করছেন, ঠিক সেই সময়ে বাজারের সমস্ত লাইট অফ হয়ে গেল। লোডশেডিং। একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই অন্ধকারেই যতদূর সম্ভব ঠাহর করে পুলকবাবু দেখলেন আশেপাশে কিছু নেই। গোটা বাজারটাই মানুষজন সমেত যেন ভ্যানিশ হয়ে গেছে। অন্ধকারে চোখ দুটো একটু ধাতস্থ হতে পুলকবাবু দেখলেন কোথায় বাজার, কোথায় কী? ফাঁকা এক মাঠের মধ্যে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। আশেপাশে শুধুই ঝোপ ঝাড়, মেঠো পথ, আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক।
হঠাৎই পুলকবাবু অনুভব করলেন কেউ যেন পেছন থেকে তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে বললেন ‘সরি পুলকবাবু আপনার সঙ্গে দেখা হল না। আজ সকালেই বর্ধমানে কার্জন গেটের কাছে পথ দুর্ঘটনায় আমি মারা গেলাম যে। যাই হোক, বলেছিলাম না ভুশুণ্ডিতে ভূতের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আপনি তো একটা আস্ত ভূতের বাজারই দেখলেন। কেমন লাগল ? ভয় পাবেন না এই মেঠো পথ ধরে সোজা চলে গেলে বড় রাস্তা পাবেন। সেখানে ডানদিকে আধ মাইলটাক গেলেই মশাগ্রাম স্টেশন। কোলকাতা ফেরার ট্রেন পেয়ে যাবেন।
না … পুলক বাবু পেছনে ফিরে কাউকেই দেখতে পেলেন না। পুলকবাবুর কিন্তু ভয় লাগছে না। তিনি মেঠো পথ ধরে এগিয়ে চললেন। হঠাৎ আবার পেছন থেকে পিঠে টোকা।
‘শোনো, তুমি রাতের প্রেশারের ওষুধটা তো খাও নি। কী যে ভুলোমন হয়েছে তোমার … মশাগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে জলের বোতল কিনে ওষুধটা খেয়ে নিও কিন্তু।‘
পুলকবাবু আবার পেছনে ফিরে তাকালেন। পেছনে একটু দূরে এক লহমার জন্য কল্পনাকে যেন অস্পষ্ট দেখতে পেলেন। কিন্তু শুধু ওই এক মুহূর্তের জন্যই।
পুলকবাবু একটু দাঁড়িয়ে এবারে তাড়াতাড়ি পা চালালেন স্টেশনের দিকে।
Add comment