হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে
অঙ্কিতা মজুমদার, ২০০৯ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
ছোট থেকেই পুরা নাটক। যত দিন যাচ্ছে নাটক বাড়ে বই কমে না। সঙ্গের জন প্রশ্রয়ের হাসি হেসে নাটক দেখে। কাক চিল উড়িয়ে দেওয়া ঝগড়ার পরেও নাটক কিন্তু জারি থাকে।
ভাগ্যিস!
শনিবার হাত ধরে ধরে এখানকার ওয়েস্টকি মলে ঘুরে বেড়ানোর সময় অভিটা বাইরে থেকে দেখে মুগ্ধ হয়ে একটা দোকানে নিয়ে ঢুকল। আর তারপরেই আমার মনে বাকবাকুম অবস্থা। স্টেশনারি জিনিসপত্তরে এমনিতেই আমার অশেষ আগ্রহ। মনে হয় কিনে ঘর ভরে ফেলি। আর এই দোকানে কী নাই। কিউট সব বিভিন্ন রকম ডায়রি, নোটপ্যাড, পেন, জলের বোতল, জল খাওয়ার গ্লাস, গ্লোব, মিনি ভেন্ডিং মেশিন থেকে গ্রিটিংস কার্ড।
আর এইসবের ভেতরে আমি যখন মাথা আউলঝাউলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, অভি একখান গোলাপি কভার দেওয়া ডায়েরি পেড়ে দিল। আরে এই না আমার মনের মত ডায়েরি! এই ডায়েরি নিয়ে আমি ঘুরে বেড়াব আর তাতে নাকি ছোট ছোট পয়েন্ট লিখে রাখব। যাতে নাকি আমি প্রচুর প্রচুর লেখালিখি করতে পারি। ডায়েরি নিয়ে ঘোরা ব্যাপারটা কী এক্সাইটিং, না! কিন্তু ব্যাটা জানল কেমনে!
খুব বেশি কাছাকাছি থাকা, গায়ে হাত, আদরের ঘুম
ছুঁয়ে থাকি, বছর কী মাস, ফাগুনের কটা মরশুম
কাটিয়েছি দুইজনে মিলে, হিসাব রাখিনি কোনোদিন।
ভুলে গেছি বেদনার মত, ভুলে গেছি আদরের ঋণ।
আজকাল অভ্যেস জুড়ে চাল, ডাল, বাজারের লিস্ট
“বাইরে ঠান্ডা আজ খুব, জ্যাকেটের হুড তুলে নিস।”
আজকাল ঐঘর থেকে ডাক আসে, “কই চলে গেলি!”
যতবার ডেকে ওঠ তুমি, আরেকটু ভালোবেসে ফেলি।
হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে ডুড!
Add comment