হয়তো নয়, কেবল তোমারই জন্য
ধীমান চক্রবর্তী, ১৯৯৮ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ©চক্কোত্তি
অনেক দিন কিছু লেখাটেখা হয়নি। কিন্তু প্রথম কবিতা যাকে লিখেছিলাম.. তার জন্যই একটা পুরোনো কবিতা আজকে দিলাম..। হয়তো.. না না..
“পাগল একটা আমার..!”
দুচোখে কপট রাগ..ঠোঁটের কোণেতে চাপা হাসি,
আমার অবিন্যস্ত চুল ঘেঁটে দিলে,
শ্রাবণসন্ধ্যা এলো তোমার দুচোখের পাতায়।
বিবাগী মেঘের দল মেখে নিলো অস্তরাগ,
সিট খোঁজা পাশাপাশি, সিটিসি।
যেন বিশ্বচরাচর মুহূর্তে তাকালো চোখ তুলে,
চিরন্তন অমরত্ব আমার দখলে!
মধুর অনিশ্চয়তা, তবু সেই রেশমি সুতোয়..
বোনা আছে অন্তহীন অপেক্ষানিমেষ,
কেটে গেছে একবার দেখার ছুতোয়!
টুকরো টুকরো সুখ দুঃখ..
কর্নেটো বা ফিশ কবিরাজি, দুজনের আধাআধি ভাগ!
হঠাৎ বৃষ্টি, ছাতা একটাই, দুই মাথা কাছাকাছি, আঙুলের চেনা মেশামিশি।
মনে আছে শেষ কবে পাশাপাশি ট্রামে? মায়াবি আলোয় ভেজা..
ট্যাক্সিতে, স্ট্র্যান্ড রোড, কাঁধে মাথা রেখে..
নিমেষে অনন্ত হওয়া বাষ্পঘন হৃদস্পন্দন!
“দুটো ইভনিং শো, একটু ধার ঘেঁষে!”..
পার হয়ে এসে, আজ প্রাত্যহিকতায়..
“কী গো, এখন কোথায়?”
সয়ে গেছে। তবু অবিকল রয়ে গেছে..
কাঁধ ছুঁয়ে কপালে তোমার ঘ্রাণ আলগোছে।
চলো একদিন তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে..
গলা ছাড়ি.. “পাগলী তোমার সঙ্গে!”
আর কদিনই বা আছে?
আরো একবার তেড়েফুঁড়ে..বেঁচে উঠি, ডালে ডালে পল্লবিত হই!
কিছু গাছ বিধ্বংসী প্লাবনের পরেও তো
জেগে থাকে, মাথা উঁচু করে।
এসো তবে দুর্ধর্ষ দুরন্ত জীবন..
নামটা তো লিখে রেখে যাও..
অনাগত নতুন সে বই এর পাতায়।
জানি তুমি অমরত্ব ছুঁড়ে ফেলে দাও..
‘আবোল তাবোল’ কিম্বা ‘কালবেলা’ যদি হাতে পাও!
কিছু কিছু অলৌকিক মুহূর্তে..
“উৎসবে বসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে..”
আমরা তো বেঁধে বেঁধে থেকেছি সেদিন!
আজও না হয় সেভাবেই থাকলাম!
তুমুল ঝগড়া করি চলো একদিন!
রাগ করে সারাদিন কেউই খাবো না!
একা একা ডাইনিং এ কেউই যাবো না!
কতোকাল পরে আজ..
ফেলে রেখে সব কাজ..
তোমার জন্য শুধু এটা লিখলাম!
ধার করলাম গোটা একটা বসন্তদিন!!
Add comment