পুণ্যবান
সোহম দাশগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিয়ে বাড়ি যাবে বলে রাধুনী আমার
ছুটি নিল, সেই থেকে টিকি নেই তার।
গিন্নী বলেন ওগো এইতো সুযোগ,
কতকাল খাইনি যে হোটেলের ভোগ।
এই কটা দিন দিয়ে হেঁশেলে তালা,
মোগলাই চাইনিজে সারি দুইবেলা।
বাজারের ঝামেলাও কমবে তোমারি,
এক ফোনে এসে যাবে হোম ডেলিভারি।
সোহাগিনী গিন্নীর বায়না শুনে,
কুল কুল ঘামি আমি ভরা ফাগুনে।
একেই ইনফ্লেশন, জ্বলছে বাজার,
মানিব্যাগখানি হায় কঙ্কালসার।
তার উপর গিন্নীর শখ বলিহারী,
দেবা ন জানন্তি- এরই নাম নারী!
মিনমিন করে বলি, খোকনের মা,
গতমাসে ডাক্তার বলেছেন না-
কোলেষ্টেরলটা বেড়েছে আবার,
অ্যাভয়েড করবেন তেলের খাবার।
ওজনটা কমে যদি আরও কেজি বারো,
উপসম হতে পারে হাঁটুর ব্যথারও।
তাই বলি, এক ঢিলে দুই পাখী মারি
বহুকাল মনে মনে বাসনা আমারই-
কতোবার স্বপ্নেতে দেখেছি গো রাতে
হেঁশেলে রাঁধছি আমি তোমায় খাওয়াতে।
পাত পেড়ে তুমি খাও, পাখা নাড়ি আমি,
এতোদিনে শুনেছেন অন্তর্যামী!
বলি খোকনের মা, মোর প্রাণাধিকে,
বঞ্চিত ক’রনাগো এ পুণ্য থেকে।
Add comment