সাহিত্যিকা

পাঠকের মতামত

পাঠকের মতামত
ময়ুখ দত্ত, ১৯৯০ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রতি সংখ্যায় লেখার ভ্যারাইটি খুব প্রশংসনীয়, সম্পাদক মন্ডলীকে অনেক অভিনন্দন, এই বড় প্রয়াসের জন্য!! আমরা অনেকেই হয়ত বুঝতে পারি না যে প্রতিটা সংখ্যার পেছনে কত ফলো আপ, কত সময় লাগে… দুটো সাজেশান ছিলঃ
১) প্রতিটা লেখার পরে একটা পেজ ব্রেক দিলে দেখতে পড়তে আরো ভাল লাগবে..
২) আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাল ছবি আঁকেন। তাদের কেউ কেউ যদি ইলাস্ট্রেশান করেন, ব্যাপারটা আরো জমবে (ফটোর বদলে)
আমাদের মতে এটা করা গেলে খুবই ভালো হয়। জানাশোনার মধ্যে অজয় দেবনাথ, সুদীপ রায়, বানভট্ট, দীপায়ন লোধ, এঁরা ভালো স্কেচ করেন। দেখবো, বিক্কলেজিয় ভাষায় “যদি মালটা নামানো যায়।“- সম্পাদক
অজয় কুমার দেবনাথ, ১৯৭০ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
এবারের সাহিত্যিকার সব লেখা গুলিই ভাল লাগলো। এর মধ্যে শ্রীমতি দুর্গারানী বড়ালের ‘কষ্টকল্পিত’ , বন্দনা মিত্রের ‘ মহাশ্বেতা ” শকুন্তলা চৌধুরীর ‘সরস্বতী পূজার অতীত বর্তমান ‘, অসীম দেবের ঘোড়া স্যারের নিউ ইয়ার ও ফেলুদা, হেলেন চ্যাটার্জির ‘সেই যে আমার’, রঞ্জন ঘোষ দস্তিদারের ‘শীত ও সুগার, সুদীপ রায়ের দুটি গল্প ,নারায়ণ প্রসাদ মুখার্জির ‘ষাটের দশকে প্রেম’,রমু বড়ালের জেমস ওয়েবের টেলিস্কোপ ‘অমিত মুখোপাধ্যায়ের ‘মনের আকাশ ‘ আমার বেশ ভাল লেগেছে। সম্পাদক মণ্ডলীকে অশেষ ধন্যবাদ এই প্রশংসনীয় প্রয়াসের জন্য।
অপূর্ব চক্রবর্তী, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
সত্যিই অসাধারণ প্রেজেন্টেশন। আর সম্পাদকদের অনলস প্রচেষ্টাকে অসংখ্য কূর্ণিশ জানাই
নারায়ণ প্রসাদ মুখার্জী, ১৯৬৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
শীতের সকালে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে চোখ বোলাচ্ছিলাম এবারের সাহিত্যিকার লেখাগুলো তে। খুবই উপভোগ্য লাগছিলো। কবিতাগুলো পড়ে মন ভরে গেলো। শ্রদ্ধেয় প্রফেসর বড়াল এর স্ত্রীর লেখাটি সবার আগে পড়া শুরু করেছি। খুব ভালো লাগছে। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।
অঞ্জনা গাঙ্গুলী রায়, ১৯৭৭ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানাই। আশা রাখি সকলের support এ সুন্দর পত্রিকাটি চলতে থাকবে।
সুবীর চৌধুরী, ১৯৭১ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
নতুন বছরের শুরুতেই আরও একটা সাহিত‍্যিকার সংখ‍্যা প্রকাশ পেলো। সবকটা লেখা এখনো পড়া হয়নি, ধীরে ধীরে পড়বো। আমাদের কলেজ জীবনে ১৯৬৬-১৯৭১ সালের ত‍ৃতীয় বছরে ডাঃ শঙ্কর সেবক বড়াল আমাদের পড়িয়েছিলেন। কঠিন বিষয় কিন্তু খুব সহজ করে বুঝিয়ে ছিলেন। ওঁনার বিষয়ে শুধু জেনেছিলাম ওঁনার বাড়ি ছিল চন্দননগরে। ডাঃ বড়ালের স্ত্রীর লেখা পড়ে স‍্যারের পারিবারিক বিষয়ে জানতে পারলাম, ওনাকে আমার প্রনাম জানাই। সাহিত্যিকার সম্পাদক মন্ডলীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই এই ধরনের লেখা প্রকাশ করার জন‍্য।
সুকৃত বসু, ১৯৭৩ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। 
সাহিত্যিকা ২৩ সংখ্যার প্রচ্ছদ খুব ভালো লাগলো।
লেখা গুলো পড়া হয়নি – তবে প্রত্যেক বারের মতো খুব ভালো লাগবে আশা রাখি।
দেবাশীষ তেওয়ারি, ১৯৬৯ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
তেইশতম সাহিত্যিকা এই পেলাম। অবশ্যই পড়তে সময় লাগবে। প্রথম কটি পাতা দেখলাম। প্রচ্ছদ খুব সুন্দর এবং খুব ভাল লাগল 1931 সালের ডাউনিং হলের সরস্বতী পুজোর আমন্ত্রণ পত্রটি। Morning shows the day এই আপ্তবাক্যটি স্মরণে রেখে আশা করাই যায় যে লেখাগুলিও খুব উচ্চ মানের হবে
অসীম সাহা, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
এই সংখ্যাটাও যথারীতি খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে অসীম দেব মিসেস বড়াল কে দিয়ে যে লেখা বের করে এনেছে তারজন্য ওঁর বাহবা প্রাপ্য। ৯৪ বয়সে ম্যাডাম যা লিখেছেন সেটা পড়ে সত্যি অবাক হতে হয়, ওঁনার স্মৃতি শক্তির তারিফ করতেই হয়। সম্পাদক মন্ডলীর সবাইকে আমার শুভেচ্ছা রইলো।
স্বপন বসু, ১৯৭৯ ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রচ্ছদ খুবই সুন্দর। কার অনুরোধে মাসীমা (শ্রীমতি বড়াল) লিখেছেন জানি না, লেখাটা অত্যন্ত সাবলীল লেগেছে। ঠিকই 1978 এ মেস স্ট্রাইক হয়েছিল। এটাও ঠিক যে পাঁচ বছর কালে কখনও স্যারকে রাগতে দেখিনি। আমাদের অনেক কাজই মজা করে, শুধরে দিতেন।
সরস্বতী পুজোর কার্ডটাও দারুণ।
কার্ডটা আমার বাবার সময়ের (১৯৩২, মেকানিক্যাল), আমাদের কাছে আর্কাইভ হয়ে আছে। আর প্রচ্ছদ করেছে সোহম দাশগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল। – অসীম দেব
রমু বড়াল, ১৯৭৬ স্থাপত্য
এই নাছোড় অনুরোধ (শ্রীমতি দুর্গারাণী বড়াল, মানে আমার মায়ের লেখাটার জন্য) ছিল শ্রীমান অসীম দেবের। আমি ওর কাছে কৃতজ্ঞ ওর নাছোড় দাবিতে সাড়া দিয়ে মা’কে দিয়ে লেখানো গেছে বলে। মা বয়সের কারণে অনেক কিছু ভুলে গেলেও পুরানো কথা অনেক কিছু মনে আছে। তাই সেই সময়কে ধরে রাখার একটা চেষ্টায়, এই লেখা লিখেছেন। পরের প্রজন্ম যাতে সেই সময়কার কথা জানতে পারে।
আর সরস্বতীর বন্দনা পড়ে মডেল স্কুল এর সরস্বতী পূজোর কথা মনে পড়ে যায়। পুলু (শকুন্তলা), হেলেন বরাবরই খুব ভাল লেখে। হেলেনের কবিতা ক্যাম্পাসের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। সবার লেখাই বেশ উচ্চমানের। পড়ে ভাল লাগে। সাহিত্যিকা সম্পাদকমণ্ডলীকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর ধারাবাহিক ই-ম্যাগাজিন উপস্থাপনের জন্য।
অর্ণব চ্যাটার্জী, ১৯৮৩ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
এইবারের সাহিত্যিকার প্রচ্ছদ সৃজনশীলতার এক অপূর্ব নিদর্শন।
প্রচ্ছদ করেছে সোহম দাশগুপ্ত, ১৯৭৭ মেকানিক্যাল। – অসীম দেব
অমিত মুখার্জী, ১৯৮২ মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
‘সাহিত্যিকা’র এই সংখ্যায় আমার কবিতা ঠাঁই পাওয়ার জন্য আনন্দিত। সম্পাদকমন্ডলীকে ধন্যবাদ।
অনিরুদ্ধ রায়, ১৯৮৩ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
শ্রদ্ধেয়া দুর্গারানী বড়ালের লেখা পড়ে ভীষণ, ভীষণ ভালো লাগলো। চুরানব্বই বছরে এতো পরিস্কার স্মৃতি আর লেখা ভাবাই যায় না।
সমীর কুমার সরকার, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
সাহিত্যিকা হাতে পেয়ে প্রথমেই সরস্বতী পুজো নিয়ে লেখাগুলো পড়ে ফেললাম। সব কটা লেখাই এত সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে যে আমার এরকম প্রত‍্যক্ষ অভিজ্ঞতা না থাকলেও সব ঘটনা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। সরস্বতী ঠাকুর বিদ‍্যার দেবী এই কথাটা কবে থেকে জেনেছি আমি সেটা মনে করতে পারব না এবং এই ঠাকুরের সামনে আমার হাতেখড়ি কিভাবে হয়েছিল সে সম্পর্কেও কোনো অনুভূতির কথা একদম মনে নেই, তবে যে স্কুলে পড়ার সময় ঠাকুরের কাছে বই দিয়ে তাঁর আশীর্বাদ নিতে হয় সেটা আমি ক্লাশ ইলেভেন পর্যন্ত খুব নিষ্ঠাভরে পালন করেছি। আজকে শকুন্তলা দেবীর বি ই কলেজ মডেল স্কুলে ধাক্কাধাক্কি করে ঠাকুরের পায়ের কাছে বই রাখার ঘটনা শুনে আমার সেইসব দিনের কথা মনে পড়ে গেল কিন্তু আমি কোনোদিনই পাড়ার বা স্কুলের পুজোতে অংশগ্রহণ করি নি কারণ আমাদের বাড়িতেই বড় করে পুজো হতো।
বাড়ির পুজোতে ব‍্যস্ত থাকার জন‍্য স্কুলের পুজোতে রাত জাগা কিংবা বাজার থেকে ঠাকুর আনার কোনো অভিজ্ঞতার স্বাদই আমি পাই নি, সেজন‍্য যখন স্কুলে গিয়ে রাত জাগার রঙীন সব ঘটনার কথা শুনতাম তখন মনের কোণে যে ব‍্যথা অনুভব করতাম সেই ব‍্যথার কথা আবার আমাকে মনে করিয়ে দিল আজকে অসীমের সম্পাদিত সাহিত‍্যিকা।
সরস্বতী পুজোর দিনে প্রশান্তর মতো আমার চুরি করার অভিজ্ঞতা নেই ঠিকই কিন্তু আমাদের বাড়ির বড় বাগান থেকে গাঁদা ডালিয়া গোলাপ চুরি হলেও আমরা সেই চেনাজানা পাড়ার চোরেদের কিছু বলতে পারতাম না, সেই একইরকম ঘটনা যে বাংলার অন‍্যপ্রান্তেও হতো সেটা স্কুলের মাষ্টারমশাইদের কথোপকোথনের মধ‍্যে জানতে পারলাম।
এক একজন হিন্দু দেবতার এক একরকম ফল ও ফুল প্রিয় বলে ছোট থেকে জানার জন‍্য আমি জানতাম শিব ঠাকুর যেমন বেল ও আকন্দ ফুল পছন্দ করেন, সেরকমই সরস্বতী ঠাকুরের পুজো কুল ও গাঁদাফুল ছাড়া হয় না। কিন্তু আধুনিক পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে আমাদের প্রবাসী বন্ধুরা পুজোতে অনেক নতুনত্ব নিয়ে এসেছেন তার মধ‍্যে দেখতে পারছি ঠাকুরের প্রিয় দুটি জিনিসই সেখানে ব্রাত‍্য হয়ে গেছে। হিমাংশু ও শকুন্তলা দেবীর লেখা পড়ে, আজকের প্রজন্মের কাছে আমি নারকেল কুল ও টোপা কুলের সাথে সরস্বতী পুজোর সম্পর্কের ব‍্যাখ‍্যা কীভাবে করব সেটা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম।
সরস্বতী পুজো ছাড়াও অসীম সাহা বেশ কিছু কাল্পনিক ও বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা গল্পের সাথে সামঞ্জস‍্যপূর্ণ ছবি দিয়ে উপস্থাপনা করায় এবারের সাহিত‍্যিকাটা বিশেষ আকর্ষণীয় হয়েছে।
ভূতেরবাজার ও ইমন রাগ গল্পটা বেশ সুন্দর, তবে আমার মত পাঠক সবসময় কিছু না কিছু খুঁত ধরার চেষ্টা করে বলে, নিখিল ব‍্যানার্জীর সেতারের রাগ, ঝালের সাথে গল্পটা গতিতে এগিয়ে গেলেও শেষটা কেমন বিসদৃশ লাগল। পরিণত বয়সে হঠাৎ করে সেই একই বালুচরে প্রথম অব‍্যক্ত প্রেয়সীর সাক্ষাতটা যদি একটু অন‍্যভাবে দেখানো যেত তাহলে হয়ত গল্পটা আরও আকর্ষণীয় হত।
এখনকার মতো সাহিত‍্যিকার উপর নিজের মন্তব‍্য শেষ করলেও আমার প্রিয় বন্ধু অমিত পালিতের অকালপ্রয়াণকে যথোচিত সম্মান জানিয়েও সোহমের স্মৃতিচারণের শেষ অংশটার তীব্র প্রতিবাদ করছি যেখানে সে লিখেছে আগামীদিনে world cup match দেখবে অমিতের সাথে। এই অংশটাকে অমিতের প্রতি ভালবাসা থেকে আমি একটু pessimistic thinking বলেই মনে করছি।
যাই হোক, প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে পুরো সাহিত‍্যিকাটা অপূর্ব হওয়ার জন‍্য আমি সঞ্চালকমন্ডলীর অকুন্ঠ প্রশংসা করে এই ম‍্যাগাজিনের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।

Sahityika Admin

Add comment