নারায়ণ প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ১৯৬৭ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে লেখা গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে দুই মেঘ এক আকাশ মন ছুঁয়ে গেলো। পাঞ্চালী ও মাধবী লতা লেখাটিও মন দিয়ে পড়লাম। ভালো লাগলো। অসীমের রানার পড়ে আনন্দ পেলাম।
বাকি সব লেখাগুলোও উল্লেখযোগ্য। এবারের সাহিত্যিকার মান সার্বিক ভাবে বেশ উন্নত ।
অমিতাভ বসু, ১৯৬৭ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রিয় সম্পাদক-মহল,
সংখ্যাটি আদ্যন্ত পড়ে আত্যন্তিক আনন্দে আপ্লুত হলাম। দূরে বসে যেসব কথা কানে আসে — দেশে বাংলা এখন অনাদৃত — মুখের কথায় ও লেখায় বাংলা অপাংক্তেয়, তাকে ‘ভেবেছিলেম দুঃখিনী মা’ — তোমাদের পত্রিকায় তার ঐশ্বর্যের ‘দীপ্তিরাশি’ দেখে আশ্বস্ত হলাম, শোনা কথায় কান দেবো না আর। এর পেছনে তোমাদের নিরলস অধ্যবসায়, চেষ্টা, আর সর্বোপরি ভালো-লাগা ও ‘প্যাশন’-এর ছাপ আছে পাতায় পাতায় — প্রচ্ছদ থেকে আরম্ভ করে লেখাগুলির সর্বত্র; তা না থাকলে এটি সম্ভব হত না। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি — বিদেশে বাংলা পত্রিকা-সম্পাদনা করেছি বেশ কয়েক বছর।
লেখকদেরও (শব্দটায় লিঙ্গভেদ আমার পছন্দ নয়!) আমার অকুণ্ঠ অভিনন্দন জানাই। পেশাদার লেখক বোধহয় কেউই নন — কিন্তু লেখাগুলির সার্বিক মান বিশেষ প্রশংসনীয়; যত্নের ছাপ আছে সব-কটিতেই। মানের পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিজস্ব ধারণা — বড়-ছোট যে কোনো লেখকের প্রথম লেখায় যতখানি যত্নের ছাপ থাকে, নানা কারণে পরবর্তী লেখাগুলিতে তার নিম্নগতি দেখা যায় — সেইসঙ্গে মান-এরও! আশা রাখবো, ‘সাহিত্যিকা’-র লেখকদের সেটা হবে না — বরং চর্চার মাধ্যমে হোক্ ক্রমোন্নতি। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ভালো-লাগার নিরিখে বলি — খুব ভালো লেগেছে আর মন ছুঁয়েছে ‘পাঞ্চালী ও মাধবীলতা’, ‘রঙ লাগালে মনে মনে’, ‘আজকে যে তোর দিন’, ইত্যাদি।
মন্তব্যের কলেবর বেড়েই চলেছে, এবার কলম থামাই! শেষ করার আগে বলি – ‘সূচীপত্র’-তে লেখা আর লেখকের নামে ফন্ট বা অন্য কোনোভাবে পার্থক্য রেখো, পাঠকের সুবিধার্থে। ‘সাহিত্যিকা’-র জয়যাত্রা অব্যাহত হোক। অজস্র শুভেচ্ছান্তে,
(আপাতত সানফ্রান্সিস্কো অঞ্চলের বাসিন্দা।)
রমা জোয়ারদার (১৯৬৭ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবীর জোয়ারদারের স্ত্রী)
আপনাদের পত্রিকা সাহিত্যিকাতে আমার লেখা ‘পাঞ্চালী ও মাধবীলতা ‘ প্রকাশিত হয়েছে বলে খুব ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে অনেকের ভালো লাগছে জেনে। ওই মেসেজ গুলো প্রবীরকে পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখা কারো ভালো লাগছে জানতে পারলে লেখাতে উৎসাহ পাই।
সাহিত্যিকার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো।
প্রদোষ প্রসূন ঘোষ, ১৯৬৭ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিই কলেজের কোন নিয়মিত সাহিত্য পত্রিকা ছিল না, যদিও আমি নিশ্চিত যে আমাদের মধ্যে অনেক গুণী লেখক লেখিকা আছেন। যে ক’জন ব্যাক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সকল লেখক লেখিকা কবি বা স্কেচ আর্টিস্টদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছেন, এবং গত দু’বছর ধরে নিত্যনতুন রচনাসম্ভারে আমাদের সাহিত্যিকার মান দিনকে দিনে উন্নত মানে পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের জন্য কোন সাধুবাদই যথেষ্ট নয়। শুধু সম্পাদকমন্ডলী নয়, আমি তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাই যারা নিজেদের গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা, স্কেচ দিয়ে আমাদের সকলের প্রিয় সাহিত্যিকাকে দেশ বিদেশের পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন।
আমি সাহিত্যিকার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।
সুকৃৎ বসু, ১৯৭৩ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
নির্দিষ্ট সময়ে “সাহিত্যিকা মার্চ ২০২৩” সংখ্যার প্রকাশ – সত্যি প্রশংসনীয়! প্রচ্ছদ, ছবি ও Get-up খুব ভালো।
পেশাদারিত্বের ছাপ মাখানো ৮৩ পৃষ্ঠার এই সংখ্যা চমৎকার!
সোহম দাশগুপ্তের প্রচ্ছদ খুব ভালো। ভেতরের ছবিগুলোও সুন্দর।
নারী দিবস ও বসন্ত উৎসব কে উৎসর্গ করে এই সংখ্যা সুন্দর রচনায় সম্বৃদ্ধ!
অসীম দেবের “রাণার”, বিমলেন্দু সোমের ” গোধূলি বেলায়” ভালো লাগলো। ৫০ বছর বন্ধুত্বের সুখ স্মৃতির পুনর্মিলন নিয়ে লেখা গুলো ও বিজিত রায়ের “চন্দননগর ভ্রমণ”ও তথ্য বহুল।
শঙ্খ কর ভৌমিক (ওরফে ল্যামি), ১৯৯৭ খনিবিদ্যা বিভাগ
আমাদের শিবপুর বি ই কলেজে (অধুনা আই আই ই এস টি, কিন্তু আমরা কেউ কেউ বি ই কলেজ নামে ডাকতে বেশী স্বচ্ছন্দ) সবই ছিল, অভাব ছিল একটা সত্যিকারের সাহিত্য পত্রিকার। “সাহিত্যিকা” সেই অভাবও পূরণ করল। এই অসামান্য উদ্যোগের জন্য কুর্নিশ জানাই আমাদের সবার প্রিয় অসীমদা সহ টিম সাহিত্যিকার সবাইকে। এই পথ চলা যেন শেষ না হয়।
Hillol Ray, 1973 Civil Engineering
Excellent
অসীম সাহা, ১৯৭৭ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
মামুর (দেবপ্রসাদ দে ) লেখাটা খুবই ভালো লাগলো। Women’s empowerment এর ব্যাপারে এই লেখাটা খুবই উপযোগী। প্রায় ৬০ বছর আগে এইরকম একটা organisation তৈরি করা, তাও আবার কোনো ক্যাপিটাল, লোকবল ছাড়া, ভাবাই যায় না। কতোটা aspiration থাকলে একজন এইরকম একটা কান্ড ঘটাতে পারে তার জ্বলন্ত উদহারণ।
Prof. (Dr.) Ashish Bhattacharya, 1977 Metallurgical Engineering
I have gone through “রানার” – something encouraging for *women as a whole and female sports persons in particular. Moreover, it has been written in the present scenario of ruthless demolition of human rights of women (as per reports of different tv news channels as well as news papers). Hats off to you for writing on a relevant topic. Expecting more this type of write-up from you in future.
Add comment