এক সন্ধ্যায় বুদ্ধদেব গুহ
দেবাশীষ তেওয়ারি, ১৯৬৯ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
মাত্র কমাস আগেই, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বুদ্ধদেব গুহ মারা গেলেন। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল পঁচাশি। তখনই জানতে পারলাম যে আমার বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গেই তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আমি তাঁকে চিনতাম না, একটা দুটো ছাড়া তাঁর বইও বিশেষ পড়িনি। কিন্তু এর আগে ২০০৪-০৫ সাল নাগাদ, সঠিক মনে নেই, অর্থাৎ প্রায় বছর ষোল আগের এক সন্ধ্যেয় তাঁর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা একত্রে কাটাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সেই স্মৃতি নিয়েই এই প্রতিবেদন।
সেটা খুব সম্ভব ২০০৫ সালই হবে। আমার স্ত্রী স্বাতী তখন বর্ধমান শহরে রোটারী ক্লাবের মেম্বার। সেদিন ওদের ক্লাবের ইন্স্টলেশান মিটিং, স্বাতী আগেই চলে গেছে, আমায় বলল সাড়ে সাতটার মধ্যে অবশ্যই হলে চলে যেতে, বুদ্ধদেব গুহ আসছেন চীফ গেস্ট হয়ে।
আমি বুদ্ধদেব গুহর নাম আগে শুনেছিলাম, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টান্ট, ঋতু গুহর হাসব্যান্ড আবার নিজেও গায়ক, একসময় শিকার করতেন, আবার লেখেনও। তাঁর একটা লেখা ‘মাধুকরী’ অনেক কাল আগে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক হিসেবে বেরিয়েছিল। আমার বেশ ভাল লেগেছিল। আর রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে তাঁর খুব ভাল সম্পর্ক, ব্যাস, ঐ পর্যন্তই। এর বাইরে তাঁর সম্বন্ধে আর বিশেষ কিছু আমার জানা ছিল না। এই জ্ঞান নিয়েই আমি চললাম বুদ্ধদেব গুহকে দেখতে এবং সম্ভব হলে তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে।
হোটেল হলে পৌঁছে দেখি বুদ্ধবাবু আমার আগেই চলে এসেছেন। ঠিক সাড়ে সাতটায় প্রোগ্রাম শুরু হলো। প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু, তারপরে স্বাতীর কয়েকটা গান এবং তারপরে মিটিং। আমি বুদ্ধবাবুর পাশেই বসে ছিলাম। স্বাতীর গানের সময় তিনি খুব মাথা নেড়ে অ্যাপ্রিসিয়েট করছেন দেখে এক সদস্য এসে আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে স্বাতীর পরিচয় দিল। গানের শেষে তিনি স্বাতীকে ডেকে বললেন, খুব ভাল গান হয়েছে আপনার। স্বাতী বলল, ‘আপনার গান শুনবো বলে আমরা কিন্তু সবাই উদগ্রীব হয়ে আছি।’ তিনি তাড়াতাড়ি বললেন, ‘না না, আমি এখানে চীফ গেস্ট হয়ে এসেছি, বক্তৃতা অবশ্যই দেব, তবে কোন গানটান নয়।’
চীফ গেস্টের বক্তব্যে তিনি সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন রোটারীয়ানদের কি ধরণের সেবামূলক কাজ করা উচিত ইত্যাদি ইত্যাদি। এও বললেন যে সে রকম কোন স্কীম দিতে পারলে তিনি চীফ মিনিস্টারকে বলে স্টেটের অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। চীফ মিনিস্টার তখন আর এক বুদ্ধবাবু এবং তাঁর সঙ্গে নাকি এঁনার সম্পর্ক খুবই ভাল।
মিটিংয়ের পরে সোশ্যালাইজিং, যখন সদস্যরা নিজেদের, তাঁদের পরিবারের ও নিমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মেলামেশা করবেন এবং তারপরে ডিনার। বুদ্ধবাবু বোধহয় আগেই বলে রেখেছিলেন, যদিও তাঁর থাকার ব্যবস্থা সার্কিট হাউসে করে রাখা হয়েছে, তা সত্বেও এই হোটেলেও একটি রুম নিয়ে রাখা হয়েছিলো। আমাদের সেই ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। আমরা মানে মাত্র তিনজন, বুদ্ধবাবু, আমাদের বর্ধমানের জেলাশাসক এবং আমি। এছাড়া এক নবীন সদস্যের ওপর পড়েছে আমাদের দেখাশোনা করার ভার। সে আমায় বলল, ‘দাদা, সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, আপনি একটু ম্যানেজ করে নিন। বুঝতেই তো পারছেন সব, আমি ওখানে বসতে পারব না, আমি অন্য মেম্বারদের সঙ্গে বসছি, সেরকম দরকার পড়লে আমায় ফোন করবেন। এমনিতে কেউ এখানে আপনাদের বিরক্ত করতে আসবে না আমি ছাড়া। কোনো স্ন্যাক্সের দরকার হলে বেল বাজালে এ্যাটেন্ডান্ট আসবে, তাকে বললেই সে এনে দেবে।’
সুতরাং আমরা হোটেলের রুমে এসে বসলাম। দক্ষিণ দিকে বিশাল কাঁচের জানালা, তার কাছে একটা স্কোয়ার সেন্টার টেবিল, আর তার তিনদিকে তিনটে সিঙ্গল সোফা, কয়েকটা আর্মলেস চেয়ার। টেবিলে একটা এক লিটারের জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, তিনটে গ্লাস, মিনারাল ওয়াটার, সোডা আর বিভিন্ন স্ন্যাক্স, কাবাব প্রভৃতি।
জমিয়ে বসা হলো, বুদ্ধবাবু মাঝের সোফায়, জানালার দিকে মুখ করে, আর আমরা দুজন দু’দিকে। বুদ্ধবাবু বসেই বললেন জানালার কাঁচটা খুলে দিতে। ডি এম সাহেব ক্ষীণ আপত্তির চেষ্টা করলেন, “গরম লাগবে তো।’
– না, এসি অন থাকবে। আমি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালবাসি, যদি অবশ্য উপায় থাকে। আপনাদের ভাল লাগেনা প্রকৃতিকে?
– হাঁ হাঁ, ভাল লাগে বইকি। এসি অন থাকলে তো আর প্রব্লেম নেই
আমি বোতলটা খুললাম হুইস্কি ঢালব বলে। বুদ্ধবাবুর দিকে চেয়ে বললাম, ‘লার্জ?’
– না।
কি বিপদ, এখন যদি ছোটা পেগ করে নিতে হয় তাহলে তো সব আনন্দই মাটি, বুড়ো তো আচ্ছা বিপদে ফেললো। কি আর করা যায়, আমি মনের ভাব মনে চেপে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তাহলে, স্মল?’
‘না, পাতিয়ালা।’
বুদ্ধবাবু গম্ভীর হয়ে বললেন।
‘পাতিয়ালাআ?’
আমি চমকে উঠে ডি এমের দিকে তাকালাম। তিনি নবীন বাঙালি আই এ এস, তিনিও অবাক হয়ে গেছেন। বুদ্ধবাবু বললেন, ‘প্রথমে পাতিয়ালা, তারপরে দুটো লার্জ, তারপরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা, আর হাঁ জল দেবেন সোডা নয়।’
সুতরাং আমরা তিনজনে তিনটে পাতিয়ালা নিয়ে বসলাম, জানালা খোলা, এসি চলছে, বাইরে বর্ষা়, রিমি ঝিমি বৃষ্টি পড়ছে।
রাত দশটা বেজে গেছে। আমাদের প্রত্যেকেরই বেশ খিদে পেয়েছিল। দু’রকমের কাবাব আর মাছভাজা সহযোগে আর খেজুরে আলাপ করতে করতে আমরা পাতিয়ালা নামিয়ে দিলাম। মাঝে অবশ্য আমি একটু বেলাইন করে বসেছিলাম।
– সুনীলদা তো স্কচ অন দ্য রক খায়।
– কোন সুনীল?
– কেন লেখক সুনীল গাঙ্গুলী, উনি তো প্রায়ই এখানে আসেন।
– ও তো বাংলা খায়, ওর কথা বলবেননা তো আমার কাছে।
বুদ্ধবাবু বেশ রেগে গেছেন বলে মনে হল। বেশ কিছুক্ষণ লাগল তাঁকে সামলাতে এবং আবার আগের ফর্মে আনতে।
পাতিয়ালা শেষ হয়ে প্রথম লার্জ চলছে। আমি বুদ্ধবাবুকে গুড হিউমারে রাখার জন্যে একটা রিস্ক নিয়ে বসলাম, ‘আচ্ছা দাদা, আপনার লেখায় তো প্রচুর উর্দু শায়রী দেখতে পাওয়া যায়। একটা উর্দু শব্দ প্রায় পাওয়া যায়, ম্যাঁয়কাদা। আমাদের মত এই ধরণের আসরকেই তো ম্যাঁয়কাদা বলে, তাইনা?’
– ম্যাঁয়কাদা হল মধুশালা
বুদ্ধবাবু বাইরে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ম্যাঁয় হল শরাব আর কাদা বা খানা হল স্থান, ম্যাঁয়কাদা বা ম্যাঁয়খানা হল সেই আসর যেখানে শরাব সার্ভ করা হয়। তাই হ্যাঁ, এই আসরকেও ম্যাঁয়কাদা বলা যায় বইকি। আপনি আমার কোন বইয়ে এটা পেয়েছেন?’
– মাধুকরী নামে আপনার একটি ধারাবাহিক বেরিয়েছিল দেশ পত্রিকায়, তাতে বেশ কয়েক জায়গায় এই শব্দটি ছিল।
– হ্যাঁ, দেশে বেরিয়েছিল বটে মাধুকরী, কিন্তু সে তো প্রায় বিশ বছর আগে।
– কিন্তু এখনও আমার একটা শায়ের পুরো মনে আছে, আমার খুব ভাল লেগেছিল।’
বুদ্ধবাবু আমার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে চাইলেন। আমি বললাম, “এটাকে শায়ের বলা যাবে কিনা ঠিক জানিনা, একটি লাইন মাত্র, ”খন্ডহর বাতাতে হ্যায় কি ইমারত বুলন্দ থী”।’
– কেয়াবাৎ, আপনার ঠিক মনে আছে দেখছি, এটা একটা ৩৭/৩৮ বছরের মেয়ে তার ঢলে পড়া যৌবনকে বোঝাতে বলেছিল।
প্রথম লার্জ শেষ হয়ে দ্বিতীয় লার্জ সুরু হয়েছে, বুদ্ধবাবু গ্লাসে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে আমায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিন্তু মেয়েটি হঠাৎ এটা বলতে গেল কেন মনে আছে কি?’
– না তো দাদা, কেন?’
– মেয়েটির একটা কিশোরী কন্যা ও একটা বছর দশেকের ছেলে ছিলো। স্বামী ছিলো, কিন্তু সে তাদেরকে লুকিয়ে তার চেয়ে কম বয়সী এক ছোকরার সঙ্গে রতিরঙ্গে লিপ্ত ছিলো। তো সেই ছোকরা মেয়েটার নাঙ্গা বুক দেখে একটা শায়র ঝেড়েছিল। এবার মনে পড়ছে?’
– না দাদা, আমার দৌড় ঐ খন্ডহর পর্যন্ত। আপনি বলুন, আমরা শুনি।
দাদা বললেন,
‘নীগাহে যায়ে কাঁহা সীনেসে উঠ কর?
হুঁয়া তো হুসনকি দৌলত গড়ী হ্যায়।’
আমি আড়চোখে দেখলাম ডি এম সাহেবের কান লাল হয়ে উঠেছে, আমার অবস্থাও খুব ভালো নয়, কিন্তু দাদা ছাড়লে তো, তিনি বলে চলেছেন, ‘মানে হচ্ছে, চোখ তুমি বুক ছেড়ে কোথায় যাচ্ছো? সুন্দরীর সব সম্পদ তো ওখানেই। এই শুনেই না মেয়েটা বলেছিল, এটাতো এখন খন্ডহর, হাঁ, এক সময় এটা সম্পদ ছিল বটে। এবার বুঝলেন তো।’
– দারুণ শায়রী দাদা, তবে এবার একটু গান হলে ভাল হয না?
আলোচনা ক্রমে অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে দেখে আমরা শায়রী থেকে পালিয়ে আসতে চাইছিলাম।
– ও, হ্যাঁ, গাআআন, ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনি আপনার বৌকে ডাকতে বলুন। ওর গান শুনবো।
– সে ডাকছি, কিন্তু আমরা তো দাদা আপনার গান শুনবো বলে আশা করে বসে আছি। ওর গানতো প্রায় শুনি।
ডিএম সাহেবও আমায় সমর্থন করলেন।
– হ্যাঁ, ম্যাডাম দারুণ গান করেন, কিন্তু উনি তো এখানকারই, আপনাকে আজ পেয়েছি, রোজ রোজ তো পাবো না।
– হ্যাঁরে বাবা, গান তো করবো, কিন্তু স্বাতীকেও ডাকুন। সে ও তো আমার গান শুনতে চেয়েছিল।
যে ক্লাব সদস্যেটির ওপর আমাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব ছিলো, সেই ছেলেটিকে ফোন করলাম, ‘ভাই স্বাতীকে একটু পাঠিয়ে দেবে, বুদ্ধবাবু একটু ওর সঙ্গে কথা বলতে চান।’ ছেলেটি বলল, ‘দাদা, স্বাতীদি কয়েকজন গেস্টকে নিয়ে এইমাত্র খেতে বসলেন, খাওয়া শেষ হলে পাঠিয়ে দিচ্ছি আর আধ ঘণ্টার মধ্যে।’
বুদ্ধবাবু গান শুরু করলেন। ডি এম সাহেব অনুরোধ করেছিলেন একটা রবীন্দ্র সঙ্গীত দিয়ে সুরু করতে, কিন্তু বুদ্ধবাবু বললেন, ‘রবীন্দ্র সঙ্গীত ঋতুর এরিয়া, আমি ওই এরিয়ায় ঢুকবো না, আমি এখন প্রধানতঃ রাগাশ্রয়ী গাইবো।’
বাইরে তখনও বৃষ্টি পড়ছে, রিমঝিম গিড়ে শাওন, খোলা জানালা দিয়ে হাওয়ার সঙ্গে মিহি জলের গুঁড়ো ঢুকছে, দ্বিতীয় লার্জ শেষ করে এখন প্রথম স্মল চলছে, এক সিপ দিয়ে বুদ্ধবাবু বললেন, ‘আজ বাদলা, কাজরী দিয়ে শুরু করি। পরে ঠুংরি, টপ্পা যেমন যেমন মুড হবে, তেমনি গাইবো।’
এই বলেই তিনি হঠাৎই তান ধরলেন। যেমন দরাজ গলা তেমনি তার আদা। আমি আদার ব্যাপারী, সামান্য মিস্ত্রী মাত্র, গান শুনতে ভাল লাগে, কিন্তু এইসব রাজা মহারাজার ব্যাপারে আমি একেবারে আনাড়ী। তাই বলতে পারব না কি রাগ, কি ঠাট, কি ধরণ, শুধু এটুকু বলবো যে আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। কটা গান শুনেছিলাম, আর কটা ছোটা যে পেগ নামিয়েছিলাম সে খেয়ালই নেই, হঠাৎ দেখলাম স্বাতীকে নিয়ে ক্লাবের সেই সদস্যটি রুমে ঢুকলো।
– কি ব্যাপার, তুমি যে বলেছিলে অন্তত আধ ঘণ্টা লাগবে। এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো?’
– দাদা, ফর্টিফাইভ মিনিটস হয়ে গেছে। এখন বারোটা বাজছে।
বুদ্ধবাবু গান করতে করতেই স্বাতীকে তাঁর পাশে একটা চেয়ার দেখিয়ে দিলেন বসার জন্য।
আর বড়জোর গোটা দুই গান হয়েছে, কয়েকজন কর্মকর্তা এসে হাজির হলেন। ‘লালাদা, বারোটা বেজে গেছে, আপনার সার্কিট হাউসে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। চলুন, আপনাকে পৌঁছে দি।’
মনঃক্ষুণ্ণ বুদ্ধবাবু আমায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখান থেকে কলকাতা যেতে কতক্ষণ লাগবে?’
– সেকেন্ড হুগলি ব্রীজ পর্যন্ত এক ঘণ্টা পনেরো মিনিট। তারপরে কলকাতায় যেখানে যাবেন। তবে এতরাতে কলকাতার যেখানেই যান না কেন পনেরো মিনিটের বেশী লাগার কথা নয়।
– আমি আজ রাতেই ফিরে যাব।
– সে কি, তা কি করে হয় লালাদা, আপনার জন্যে সার্কিট হাউসে ঘর আছে, এই রাতে আপনার যাওয়া ঠিক হবে না।
এক কর্মকর্তা বললেন।
– না রে, হাইওয়ে দিয়ে তো যাব, এখনই বেরোলে দুটোর মধ্যে পৌঁছে শুয়ে পড়তে পারবো, কাল নটায় উঠলেই হবে। কালকের দিনটা তাহলে আর মার যাবে না।
স্বাতীর দিকে ফিরে বললেন, ‘তোমার গান আর এ যাত্রায় শোনা হলো না। যেদিনই কলকাতায় যাবে, আমায় আগে ফোন করে দিও। আমি একটা আসরের ব্যবস্থা করবো। ঠিক আছে?’
স্বাতী মাথা নাড়ল,হ্যাঁ, জানাবে।
বুদ্ধবাবুর সঙ্গে সেই প্রথম আর সেই শেষ দেখা। তাঁকে আর ফোন করা হয়ে ওঠে নি।
Add comment