বাগবাজার সর্বজনীন
বিজিত কুমার রায়, ১৯৭৪ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
আমার ভালোবাসার সর্বজনীন পূজা।
সারা কিশোরবেলার দুর্গাপূজার দিনগুলো কেটেছে এইখানে। সেই বছর এগারো বয়সে একজন কর্মকর্তা দাদা আমার হাত ধরে নিয়ে গিয়ে কমিটি অফিসে জমা করে দিয়েছিলেন যে এই ছেলেটি তোমাদের স্বেচ্ছাসেবক। সেই শুরু; স্কুল জীবনের শেষ অবধি ওই পূজার জন্যই দিয়েছি সমস্ত সময়। তারপর বাসাবদলের জন্য বাগবাজার ছেড়ে সোজা বালিগঞ্জবাসী। তাই আর পূজার ব্যবস্থাতে থাকা হয়নি। তবে বিগত ৬০ বছরের প্রায় প্রত্যেক দুর্গাপূজাতেই আমি অন্তত একদিন বাগবাজারের পূজাতে সময় কাটিয়েছি।
গত বছর সন্ধের বাগবাজার স্ট্রিটে মণ্ডপমুখী অবিরল জনস্রোতের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে মনে হচ্ছিল, এই যে ‘বাগবাজারের ঠাকুর’কে না দেখলে বুকের মধ্যে ‘কী-একটা-হল-না’ ভাব, তার কারণটা কী? ওই বিশাল প্রতিমা? বছরের পর বছর ধরে স্মৃতিতে গেঁথে-যাওয়া ওই একচালার ঠাকুরের রাজকীয়তা? ওই ডাকের সাজ? বিরাট মুকুটের তলায় ওই অতসীপুষ্পবর্ণাভাং মাতৃমুখ? কে অস্বীকার করবে, ‘থিমায়িত’ এ বঙ্গে হরেক কায়দার ঠাকুরের খুঁটিনাটি আমাদের মনে থাকে পুজোর ওই ক’টা দিন মাত্র, কিন্তু যে ঠাকুরের মুখখানা খবরকাগজ, টিভি, লাখো বিজ্ঞাপন আর শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে চিনতে পারি, কোনও ক্যাপশন লাগে না, সে হল বাগবাজারের প্রতিমা। বছরকে বছর এই প্রতিমা এক ও অদ্বিতীয়। যে ঠাকুরের মুখটা দেখলেই মনে হয়, এই হলো গিয়ে আমার নিজের আপন দুগ্গাঠাকুর!
সেই বাগবাজারের পুজো এ বার একশো পাঁচ বছরে। উত্তর কলকাতার গঙ্গাপাড়ের একটা পুজো কী করে বঙ্গজীবনস্মৃতি ও সত্তার অংশ হয়ে উঠল? জানতে গেলে ফিরতে হবে শেকড়ে, বিশ শতক-শুরুর উত্তর কলকাতায়, বলছিলেন ‘বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী’-র সাধারণ সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। তখন দুর্গাপূজা করতেন মূলত পয়সাওয়ালা ‘বাবু’রা। সে ছিল যত না পূজা, তারও বেশি টাকার গরম আর আভিজাত্যের গুমোর দেখানোর উৎসব। পুজোর ক’টা দিন ধনীর ঘরে গরিব মানুষকে খাওয়ানোয় যত না সেবার মিষ্টি, তার চেয়ে ঢের বেশি অহমিকা আর হামবড়াইয়ের ঝাল। এমনই এক বাবুর পুজোয় একবার অপমানিত হয়ে প্রসাদ না পেয়েই ফিরে গিয়েছিলেন এলাকার কিছু মানুষ। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, সবাই মিলে দুর্গাপুজো করবেন, যেখানে উঁচু-নিচু ভেদ থাকবে না। ১৯১৮ সালের এই সিদ্ধান্ত, ১৯১৯-এই শুরু হল পুজো; কাছেই নেবুবাগানে। স্থান-নাম অনুযায়ী পুজোর নাম হল ‘নেবুবাগান বারোয়ারী’। ১৯২৬-এ এই ‘নেবুবাগান বারোয়ারী’ই নাম পাল্টে হল ‘বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব’। ১৯১৯-এ পুজো-শুরুর উৎস ছুঁয়েই তাই শতবর্ষে পা বাগবাজারের পুজোর।
বাগবাজার সর্বজনীন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি বিখ্যাত সর্বজনীন শারদীয়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ। এই পূজার সাথে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে। উত্তর কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষ প্রাচীন এই সর্বজনীন দুর্গাপূজাটি কলকাতার তথা পশ্চিমবঙ্গের সাবেকি পূজাগুলির মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে থাকে। বাংলার প্রাচীন রীতি অনুযায়ী নির্মিত প্রতিমা বাগবাজার সর্বজনীনকে এক অন্যমাত্রা দিয়েছে যে কারণে বাগবাজার সর্বজনীন দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
পূজার সূত্রপাত
বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর সূচনা ঘটে ১৯১৯ সালে৷ এই পুজো শুরু হয়েছিলো স্থানীয় নেবুবাগান লেন ও বাগবাজার স্ট্রিটের মোড়ে ৫৫ নম্বর বাগবাজার স্ট্রিটে। তখন এই বারোয়ারী পূজার নাম ছিল ‘নেবুবাগান বারোয়ারি দুর্গা পুজো’। এখানেই কয়েক বছর পুজো হয়। ১৯২৪ সালে পুজোটি সরে যায় বাগবাজার স্ট্রিট ও পশুপতি বোস লেনের মোড়ে। পরের বছর ফের সরে যায় কাঁটাপুকুরে। ১৯২৭ সালে আবার স্থানান্তরিত হয় এই পুজো। ১৯২৭ সালে দুর্গাপুজো হয়েছিল বাগবাজার কালীমন্দিরে।
পূজার বর্তমান রূপ
১৯৩০ সালে বিখ্যাত আইনজীবী তথা তৎকালীন কলকাতা পুরসভার অল্ডারম্যান শ্রী দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপূজাটি বর্তমান চেহারা পায়। নাম হয় ‘বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী’। তারই উদ্যোগে বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো উঠে আসে কর্পোরেশনের মাঠে। তৎকালীন মেয়র সুভাষচন্দ্র বসু সানন্দে এই অনুমতি দেন। শুধু পুরসভার মাঠ ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন তা-ই নয়, কলকাতা পুরসভা তখন বাগবাজারের এই পুজোয় চাঁদাও দিত। দুর্গাচরণের উদ্যোগে এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত হয় দেশীয় শিল্প সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী। সেখানে দেশীয় উদ্যোগগুলিকে আমন্ত্রণ করে জায়গা দেওয়া হতো।
১৯৩০-এ সলিসিটর পুজোর রেজিস্ট্রেশন হয় শ্রী দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে ‘প্রদর্শনী’ চালু করার ক্ষেত্রেও তাঁরই ভূমিকা। তখন শিল্পে স্বদেশি জোয়ার, দেশজ শিল্পের উন্নতিকল্পে বিবিধ প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দুর্গাচরণ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ যাঁকে বলতেন ‘মুকুটহীন রাজা’। পুজো-লাগোয়া এই প্রদর্শনী আসলে স্বদেশি শিল্প মেলারই রূপান্তর, মাতৃ-আরাধনার সঙ্গে দেশাত্মবোধ-মেশানো কর্মযোগের উদ্যাপন।
কত যে বড় বড় মানুষের স্মৃতিবিজড়িত এই বাগবাজারের পুজোর সঙ্গে! চিত্তরঞ্জন দাশ তখন কলকাতার মেয়র, তাঁরই সহায়তায় পাওয়া গেল কর্পোরেশনের মেটাল ইয়ার্ড, পুজোর আগে-পরে মিলিয়ে ৩০-৪০ দিনের জন্য। সেই থেকে সেখানেই পুজো চলেছে। পুজোর স্মারক পত্রিকায় আছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি-তালিকা, পড়ে তাজ্জব বনতে হয়। শ্রী দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতি ছিলেন ১৯৩০-৩৩। দু’দফায় সভাপতি ছিলেন স্যর হরিশঙ্কর পাল— প্রেসিডেন্সি কলেজের এই ছাত্রটি বাবা বটকৃষ্ণ পালের ওষুধের ব্যবসা সামলেছেন, ত্রিশ না পেরোতে ইউরোপ গিয়েছেন, টানা ২৪ বছর কলকাতা কর্পোরেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৪০-৪২ সভাপতি শ্রী কুমার বিশ্বনাথ রায়— দেশব্রতী, শিক্ষা ও খেলাধুলোর উন্নতিতে অকুণ্ঠ দাতা, সাংবাদিক-সম্পাদক। সর্বাগ্রে উজ্জ্বল নাম শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু— ১৯৩৮-৩৯ সালে বাগবাজারের পুজোর সভাপতি ছিলেন। ১৯৩৮-এর প্রদর্শনীতে সার্টিফিকেট অব মেরিট পেয়েছিল ‘ক্যালকাটা কলাপসিবল গেট কোম্পানি লিমিটেড’, সুভাষচন্দ্রের সই-করা সেই শংসাপত্রের কপি সযত্নে রাখা আছে পুজোকর্তাদের কাছে। এই বাগবাজার থেকেই আধুনিক রসগোল্লার যাত্রা শুরু, রসগোল্লার দুই প্রাণপুরুষ, শ্রী নবীনচন্দ্র ও শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র দাশের সুযোগ্য উত্তরসূরি শ্রী সারদাচরণ দাশ পুজোর সভাপতি ছিলেন ১৯৬১-৬৫। রসগোল্লা ভবন’-এর বর্তমান প্রজন্ম শ্রী ধীমান দাশ বলছেন, ‘‘দাদু (সারদাচরণ) হয়তো আরও থাকতেন, কিন্তু তখন সরকারি নিদানে মিষ্টির দোকানে দুধের জোগান বন্ধ হওয়ায় টাল খেয়ে-যাওয়া ব্যবসার হাল ধরতে হল।’’ ২০১৮ সালে বাগবাজারের একশো আর রসগোল্লার দেড়শো বছর, বাঙালির দুই আইকন হাত মিলিয়ে উৎসবের পরিকল্পনা করছে।
পুজোর ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি’ তালিকাও তারায় তারায় খচিত। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় থেকে শ্রীমতি আশাপূর্ণা দেবী, শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে বালক ব্রহ্মচারী। অভয়বাবুই বললেন, এক বার পুজো উদ্বোধনে এসেছেন সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত। প্রতিমার সামনে পর্দা ফেলা, কাঁচি দিয়ে ফিতে কেটে পর্দা সরিয়ে উদ্বোধন করতে হবে, কিন্তু অচিন্ত্যবাবু নারাজ। ‘‘মায়ের পর্দা সরাব আমি? আমি কে?’’ কিছুতেই তাঁকে দিয়ে সেই কাজ করানো গেলো না। পুজোর সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও নানান বছরে সভাপতিত্ব করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু, ড. ত্রিগুণা সেন, শ্রী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শ্রী বিকাশ রায়। পুজোর পর একাদশীর দিন কলকাতার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল, ১৯৬৮-৭০’এর সভাপতি শ্রী অশোককুমার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়। আনন্দ পাবলিশার্স থেকে আসা বই আমরা উপহার দিতাম ছেলেমেয়েদের, বলছিলেন গৌতমবাবু।
কুমোরটুলির একটা গলি পৌঁছেছে শ্রী সাধনচন্দ্র পালের বাড়ি। বিখ্যাত প্রতিমাশিল্পী জিতেন পাল বহু বছর বাগবাজারের ঠাকুর গড়েছেন, পরে ওঁর দুই ছেলে কার্তিকচন্দ্র আর সাধনচন্দ্রও। এখন প্রতিমা গড়েন কার্তিক পালের দুই ছেলে শ্রী নারায়ণচন্দ্র আর নবকুমার। সাধনবাবু বলছিলেন, ‘‘পুজোর ৫০ বছর থেকেই এত বড় ঠাকুর গড়া শুরু। সময়ে সাজসজ্জা একটু পাল্টেছে হয়তো, কিন্তু প্রতিমার একই রূপ।’’ মায়ের ডান পা সিংহের উপরে, বাঁ পায়ের আঙুল মহিষের উপরে। মহামায়ার চরণস্পর্শেই মহিষরূপী অসুরের মুক্তি। আর ওই প্রবাদপ্রতিম মুকুট? কৃষ্ণনগরের শিল্পী আশিস বাগচী ওরফে ‘বাচ্চুদা’র তৈরি মুকুট কলকাতায় এসে সাধনবাবুর এই ঘরেই ঢোকে। এত বড়, মুড়ে ঢোকাতে হয়। ঘরের একটা দিক ভরে যায়। এ বার দশ ফুট ছুঁই-ছুঁই মুকুট সরাসরি গিয়েছে মণ্ডপেই। সেই মুকুট পরানোর ভিডিয়োও, বাগবাজারের ঠাকুরের মতোই, ফেসবুকে ভাইরাল!
পূজার সঙ্গে জড়িত বিশিষ্টজন
১৯৩৬ সালে এই পুজোর সভাপতি হয়েছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বহু প্রথিতযশা ব্যক্তিদের নাম বাগবাজারের পুজোর সঙ্গে জড়িয়েছে। যাঁদের মধ্যে ছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, স্যার হরিশঙ্কর পাল ছিলেন অন্যতম।
প্রতিমা
বাগবাজার সর্বজনীনের মাতৃপ্রতিমা নজরকাড়া। একচালার ঠাকুর। মায়ের গায়ের রং অতসী। অসুর সবুজ। একচালার ঠাকুরের পুরো সাজটাই ডাকের। বরাবর এই একই প্রতিমা গড়ে আসছে এই বারোয়ারি। কখনও অন্য কিছু করার চেষ্টা করেনি। তবু ফি-বছর সেই একই প্রতিমা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান বাগবাজারের মণ্ডপে। এটাই এদের বড় পাওনা।
পূজার মেলা
বাগবাজারের পুজোর আর একটি পাওনা এখানকার মেলা। পুজোকে কেন্দ্র করে মাঠেই বসে মেলা। প্যান্ডেল থেকে ঠাকুর দর্শনের পর বেরিয়ে অনেকেই রসনা বিলাসে মন দেন। কেউবা জিনিসপত্র কেনায়। বাচ্চাদের জন্য খেলনা, বেলুন থেকে নানা রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। পুজোর আবহে মেলার আনন্দ। এই ডবল পাওনাটাই বা কম কি?
বীরাষ্টমীর আনন্দ
অষ্টমীর দিনটা বাগবাজারের পুজোয় ‘বীরাষ্টমী’। পুজোর অফিসঘরে বসে স্মৃতিমেদুর বর্ষীয়ান কর্মকর্তা শ্রী অভয় ভট্টাচার্য, ‘‘বীরাষ্টমী যত না শাস্ত্রবিহিত, তারও বেশি জাতীয়তাবোধ আর দেশপ্রেমের গন্ধমাখা। স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে স্বদেশি হাওয়ায় অষ্টমীর সকালে এই পুজোর মাঠে লাঠিখেলা, ছুরি খেলা, কুস্তির মতো দেশজ খেলা হত। সাহেবরাই শক্তিমান, বাঙালি ভীরু, দুর্বল, এই বিশ্বাস ভাঙতেই বীরাষ্টমীর উদ্যাপন। আজও অষ্টমীতে সেই ট্রাডিশন অব্যাহত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুড়েছে জুডো, ক্যারাটে, বক্সিংও।’’ গৌতমবাবু যোগ করলেন, ‘‘শুনেছি তখন বীরাষ্টমীর দিন জনতার ভিড়ে মিশে যেতেন অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী সদস্যরাও। জনসংযোগের এমন সুযোগ হারাতে চাইতেন না তাঁরা।’’ মনে আছে ছোটবেলা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখতাম এই দেশজ প্রতিভার প্রদর্শনী। মনে হতো আমি কী কিছু করতে পারবো ?
সিঁদুর খেলা
বাগবাজারের পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এখানকার সিঁদুর খেলা। বিজয়ার দিন সকাল থেকেই লাইন পড়ে এখানে। দূরদূরান্ত থেকে মহিলারা আসেন এখানে মাকে সিঁদুর দিতে। নিজেদের মধ্যে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে। সেই রাঙানো সকালের দিকে চেয়ে থাকেন অনেকেই। যারা সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন না, তাঁরাও টিভির পর্দায় চোখ রেখে মুহুর্তগুলোকে উপভোগ করেন।
পূজার ভাসান
এই বিশাল একচালার প্রতিমা বিসর্জনের ঝক্কি বিরাট। ট্রামের লাইন পেরিয়ে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়া বিশাল একটি কর্মকাণ্ড। তারপর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া। চোখে জল এসে যেতো তখনকার বয়সে। মনে হতো সব আনন্দ শেষ হয়ে গেলো। অবশ্য হইহই করতে করতে ফিরতাম এই বলতে বলতে ” আসছে বছর আবার হবে “।
আপনারা আসুন দেখুন আনন্দ করুন এই আনন্দময়ীর অঙ্গনে।
তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার
১) উইকিপিডিয়া
২) আনন্দবাজার পত্রিকা
৩) নীলকন্ঠ ডট ইন
আর নিজের ছোটো বেলার স্মৃতি আর সেই দাদাকে যিনি হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন
Add comment